07/08/2025
সান্তাহার রেলস্টেশনটি ১৮৭৮ সালে নির্মিত হলেও ১৯০১ সালে পরিপূর্ণ ভাবে জংশন হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
১৯১০ থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে প্রথম এই শহরে উন্নয়নে প্রকৃত ছোঁয়া উপলদ্ধি করে।১৯০১ সালে জংশনের মর্যাদা অর্জনের পর পরই বৃটিশদের সিদ্ধান্তে গড়ে ওঠে বিশাল ইয়ার্ড, সিগন্যাল অফিস, ওয়ার্কশপ, আর স্টোর ইত্যাদি ।তবে সবচেয়ে জরুরি ছিল রেলের কাজে নিয়োজিত অসংখ্য কর্মচারীদের আর তাদের পরিবারদের বাসস্থান। তাই শুরু হল অফিসার কোয়ার্টার থেকে শুরু করে গ্রেডভিত্তিক স্টাফ কোয়ার্টার, স্কুল, হাসপাতাল, বাজার—সবকিছু পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার কাজ।ধীরে ধীরে ছোট্ট শহরে রুপান্তরিত হয়। যেখানে রেলকর্মীদের জন্য তৈরি হয়েছিল নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধা,পাশাপাশি সৃষ্টি হয় সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান।
তবে এই শহরটির প্রাণ স্পন্দন করতো তখন এক বিশাল পানির ট্যাংকি থেকে। রেলের জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্যই তৈরি হয়েছিল এই উঁচু ট্যাংকটি, যা সান্তাহারের এক বিশেষ চিহ্নে পরিণত হয়েছিল। দূর থেকে দেখা যেত লালচে রঙের ট্যাংকির বিশালাকৃতির দেহ।
প্রায় শত বছর কেটে গিয়েছে, অনেক কিছু বদলে গেছে, কিন্তু সান্তাহারের সেই পানির ট্যাংকি আজও যেন অতীতের স্মৃতি জাগিয়ে তুলে, শোনায় সেই দিনের গল্প, যখন রেলের কলোনী ধীরে ধীরে এক ছোট শহরে পরিণত হচ্ছিল।এটি আমাদের সান্তাহারের ঐতিহ্যের, ইতিহাসের, এবং সংগ্রামের এক অটুট প্রতীক।
আমাদের সান্তাহার