
19/07/2025
যদিও আমি জামায়াতে ইসলামীর কর্মী নই, তবে তাদের কিছু নেতার আত্মত্যাগ, নেতৃত্বগুণ এবং সাধারণ মানুষের জন্য আন্তরিক ভালোবাসা আমাকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। আজকের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে একটি দৃশ্য আমাকে বিশেষভাবে আলোড়িত করেছে। বাংলাদেশের প্রখ্যাত ও জনপ্রিয় মুফাসসিরে কোরআন হযরত মাওলানা আমির হামজা (হাফিজাহুল্লাহ), যাঁর জন্য মাহফিলের মাঠে লাখো মানুষ অপেক্ষা করে থাকে, যিনি চাইলেই সম্মানসূচক মঞ্চে সবুজ গালিচায় হেঁটে উপস্থিত হতে পারতেন, তিনি আজ মঞ্চে না গিয়ে বরং সাধারণ জনতার কাতারে দাঁড়িয়ে ছিলেন—নীরবে, বিনয়ে। তিনি কোনো দম্ভ দেখাননি, বরং এক ধরনের গভীর উপলব্ধি ও দায়িত্ববোধ নিয়ে মানুষের মাঝে মিশে গেছেন। এটি ছিল এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত—যেখানে একজন নেতা কেবল তার ব্যক্তিত্ব দিয়ে নয়, তার আচরণ দিয়েও প্রমাণ করেছেন যে সত্যিকারের নেতৃত্ব মানে জনতার কাঁধে চড়ে ওঠা নয়, বরং তাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ানো। এমন নেতাই চায় বাংলাদেশ। আমাদের প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেই গুণী মানুষ রয়েছেন—চাই সেই গুণী মানুষগুলোর মধ্যে নৈতিকতা, আত্মশুদ্ধি ও মানুষের ভালোবাসা অর্জনের প্রতিযোগিতা হোক। দল বড় নয়, বড় দরকার নেতৃত্বের মানবিকতা। রাজনীতি যদি জনসেবার প্রকৃত রূপ ফিরে পায়, আর নেতা যদি মানুষের অন্তরে জায়গা করে নিতে পারেন, তবে বাংলাদেশ একদিন সত্যিকারের অর্থে সুন্দর হয়ে উঠবে—দল-মতের ঊর্ধ্বে।