22/07/2025
দেশের ক্রান্তিকালে একটা অপ্রিয় সত্য বলি!
ইদানিং দেশের প্রায় সব ক্রিটিকাল মোমেন্টে উলামায়ে কেরাম এগিয়ে আসছেন, এটা চোখ শীতল করা দৃশ্য। এই ধারা ঠিক থাকলে আমরা গণমানুষের হয়ে উঠবো ইনশাআল্লাহ। প্রতি মুহূর্তে দুআ করছি, আল্লাহ আমাদের উম্মাহর দ্বীনি এবং দুনিয়াবি প্রয়োজনের জন্য কবুল করুন। অপ্রিয় সত্যটা হলো, গতকাল মাইলস্টোন স্কুলের জায়গায় যদি একটা মাদরাসা হতো, তাহলে এত হাহাকার এত দৌড়াদৌড়ি এত শোক কিংবা অর্থ ও সহযোগিতা— এসবের কত পার্সেন্ট দেখা যেত? বরং বিপরীত দৃশ্য বেশি দেখা যেত হয়তো। আমার বিশ্বাস বাঙ্গু সুশীলদের থেকে কথা উঠতো, এত এত মাদরাসার কী দরকার? যেখানে সেখানে মাদরাসা হতে হবে কেন? আল্লাহ সবসময়ই আমাদের মাদরাসাগুলোকে বড় বড় দুর্ঘটনা থেকে হেফাজত করছেন। কিন্তু আমি চিন্তা করি, আল্লাহ না করুন এমন একটা দুর্ঘটনা আমাদের হলে ক'জন মানুষ এগিয়ে আসতেন?
বাংলাদেশের সমাজে আমরা এখনো ঊন মানুষ! অথচ সব ক্রান্তিলগ্নে আমরাই রক্ত দিয়েছি। কখনো অধিকার পাইনি। আমরা নিজেদের অধিকার বুঝে নিতেও পারি না, এটা সত্য। এই সমাজও কি কখনো আমাদের অধিকার দিতে তৎপর হয়েছে? যাই হোক, এসব ভাবতে গেলে নিজেদের অসহায় লাগে। একটা রাষ্ট্রের জন্য এতকিছু করার পরও এ রাষ্ট্রে সবচেয়ে সস্তা রক্ত হুজুরদের! আজকে হুজুরদের ঘটনা হলে নিশ্চয়ই রাষ্ট্রযন্ত্রের কোথাও এত ছেদ পড়তো না, হুলুস্থুল তো দূর কি বাত! অথচ, মাইলস্টোনের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি দৌড়ঝাঁপ হুজুররা করতেছেন। দুআ মুনাজাত থেকে শুরু করে শারীরিক ও আর্থিক সহযোগিতার সবখানে মোল্লাদের পাবেন। আল্লাহ করুন, আমার ধারণা বা বিশ্বাস ভুল হবে। আমাদের মাদরাসাগুলোকে ন্যূনতম অঘটন থেকে তুমিই রক্ষা কইরো খোদা 🤲। মাইলস্টোনে শহিদ ও হতাহতদের জন্যও দিলখোলা দুআ রবের কাছে। আল্লাহ তাদের সুস্থ করুন দ্রুততম সময়ে।
مأخوذ.