12/05/2025
যে স্বর্ণের বিষয়টা হাইলাইট করে আপনারা মেয়েটিকে স্বর্ণলোভী বলেছেন আপনাদের কি মনে হয় না একজন বিসিএস ক্যাডার সিনিয়র এএসপির স্ত্রীর বিয়ের গহনা এখানে খুব সামান্য।
একটা ধনী পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করলে নিশ্চয়ই আরো বেশি গহনা দিয়ে বিয়ে করতো।সুস্মিতা গরিব বলেই পলাশের মা তাকে এদিকেও ঠকালো।শুধু এএসপির বউ হিসেবে মানসম্মান যাবে বলে এটুকু দিতে বাধ্য হলো।সুস্মিতার ছবির গলার ছোট সেটটি ও কানের দুল তার বাবার বাড়ি থেকে দেওয়া।আর বিয়ে বাদে তাকে কোন প্রকার স্বর্ণালংকারও দেয়া হয়নি। সুস্মিতার ইন্টারভিউর কথাগুলো কতটুকু সত্য তা এখানেই প্রমাণ পাওয়া গেল।
বিয়ের সময় কতটুকু গহণা নিয়ে এসেছে তা তাদের বিয়ের ভিডিওতেই আছে।আর এগুলোও এখন শ্বাশুড়ির দখলে।তাই স্বামী হিসেবে চাইছে পলাশ বউকে তার স্ত্রী সরূপ এই গহনাগুলো অত্যন্ত পাক যা সে শখ করে কিনেছিল তার প্রিয়তমা স্ত্রীর জন্য।তার পরিবার তার চিরকুটে লেখার কতটুকু মূল্যায়ণ করবে তারও গ্যারান্টি নেই।
পলাশের জমানো সব সম্পত্তি থেকেতো সুস্মিতাকে দিবেনা কিছু তাই মৃ*ত্যুর আগে এই চিন্তা করে গেল কারণ সে জানে তার লোভী পরিবার কেমন। টাকার মেশিন হিসেবে ইউজ করলো তাই সে সবাইকে সব বুঝিয়ে দিয়ে গেল। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হলো এই অভাগী মেয়েটাই।
যেই স্বামী সারাজীবনের দায়িত্ব নিয়েছিল সে এই মাঝপথে ছেড়ে চলে গেল এই সমাজের কাছে মেয়েটা দোষ না করেও দোষী হল তার সর্বস্ব হারিয়ে।অপরদিকে পলাশের সকল জমানো সম্পত্তি পেয়ে তার পরিবার কতটা উৎফুল্ল তা তার পরিবারের সদস্যের প্রকাশ হওয়া ভিডিওগুলোতেই সবাই দেখতে পাচ্ছেন বিশেষ করে পলাশের মায়ের।
যে মায়ের জন্য ছেলের এত বড় আত্মত্যাগ অবশেষে জীবনবলি! এমন মা ভক্ত ছেলের মা কিভাবে এত তরতাজা হয়ে মিডিয়া এক নিশ্বাসে এত গলাবাজি করছে ছেলেকে চিতায় দেয়ার পর। সে কেঁদে কেঁদে আধমরা হয়ে বেড রেস্টে থাকার কথা যে তার কলি*জার ১ টা অংশ চলে গেছে আর সে লাফিয়ে লাফিয়ে উঠানেই পাখা, মুড়া পেতে পুএবধুর বদনামে লেগে পড়েছে বি*শ্রি ভা*ষায়।
আদরের ছেলেটা যে এত কষ্ট পেয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছে সেটার মায়া না করে এই চাপাবাজ মহিলা এখনো পড়ে আছে পুএবধুর বদনাম করা নিয়ে। ছেলে ম*রেও এই মহিলার ঝগড়া থামাতে পারলোনা!
অপরদিকে স্ত্রীটা ঠিকই কেঁদে কেঁদে নিজের অবস্থা খারাপ করে ফেলছে যা তার মলিন চেহারায় ফুটে ওঠেছে এবং সে তার স্বামীর মৃ*ত্যু কষ্টটাও উপলদ্ধি করে কষ্ট পাচ্ছে।এজন্যই বলে দিনশেষে বউ ছাড়া কেউ আপন না।স্বামী মা*রা গেলে বউ একমাএ অন্তর থেকে কাঁদে নিজের ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে সঙ্গীহারা হয়ে প্রতিনিয়ত তার অভাব অনুভব করে।দেয়ালে পীঠ না ঠেকলে কিছু পুরুষ স্ত্রীর মূল্য বুঝেনা। মায়ের আনুগত্য দেখাতে গিয়েই নিজের ভবিষ্যত, সন্তান ও স্ত্রীর জীবনটা শেষ করে দিল বোকা পলাশ সাহা।
আর অন্য দিকে পলাশের দুই সহদর ভাই ঠিকই বউ বাচ্চাসহ নিজের সংসার নিয়ে দিব্যি দিন কাটাচ্ছে যেখানে মায়ের কোন কর্তৃত্বের অধিকার নেই।