31/07/2025
এনসিপির আলেমদের জন্য আলাদা উইং তৈরির বিতর্ক
---
সাম্প্রতিক সময়ে শোনা যাচ্ছে, এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি) আলেমদের জন্য আলাদা একটি সাংগঠনিক শাখা বা উইং তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে। এই উদ্যোগ ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
সমালোচকদের মূল যুক্তি:
এটি ওলামা লীগ মডেলের পুনরাবৃত্তি, যা একসময় শেখ হাসিনা ব্যবহার করেছিলেন।
আলেমরা কোনো ভিন্ন জাতি বা ভিনগ্রহবাসী নন; তারা সাধারণ নাগরিকের অংশ।
আলেমদের আলাদা ক্যাটাগরিতে ফেলে মূলধারার বাইরে রাখা এক ধরনের ‘আদারিং’ বা বিচ্ছিন্ন করার কৌশল।
---
বিষয়টির রাজনৈতিক তাৎপর্য
১. মেইনস্ট্রিম রাজনীতি বনাম সেক্টরাল উইং
আলাদা উইং মানে তাদের মূল দলে পূর্ণ অন্তর্ভুক্তি নয়, বরং প্রতীকী অংশগ্রহণ।
এতে আলেমদের মূল নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়া থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হতে পারে।
2. ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি
আওয়ামী লীগের আমলে ওলামা লীগ গড়ে তোলা হয়েছিল, যা মূল দলে কখনো প্রভাবশালী হয়নি, বরং একটি নিয়ন্ত্রিত প্ল্যাটফর্মে সীমাবদ্ধ ছিল।
এনসিপি যদি একই কৌশল নেয়, তবে তা হাসিনার পুরোনো ফর্মুলার অনুকরণ হিসেবে দেখা হতে পারে।
3. আদারিং বা আলাদা করে দেওয়ার ঝুঁকি
আলেম মানে কোনো পেশা নয়, বরং এটি ধর্মীয় জ্ঞানের একটি পরিচয়।
তাদের আলাদা গ্রুপে ঠেলে দিলে সমাজে তাদের সাধারণ নাগরিক পরিচয় ক্ষীণ হয়ে যায়, এবং একধরনের গেটো রাজনীতি তৈরি হয়।
---
সমালোচকদের অবস্থান
সমালোচকরা বলছেন:
> “আলেমরা কোনো ভিনগ্রহবাসী নন।
তাদের মেইনস্ট্রিম থেকে আলাদা করে রাখা
সুস্থ রাজনীতির অংশ নয়।”
তাদের মতে, সবাইকে একক প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করে সমান মর্যাদা দেওয়া উচিত।
---
উপসংহার
এই প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে যে, এটি এনসিপির মূল ধারার অংশগ্রহণমূলক চরিত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।