23/10/2025
#একটুখানি_তাদাব্বুর
প্রথমে পোস্টের ছবিটির দিকে খেয়াল করুন।
ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে একটি বিশাল তিমি (Whale) ও তার বাচ্চা — আল্লাহর সৃষ্টির এক অপূর্ব নিদর্শন। অতঃপর নিচের আয়াতটি সূরা আল-মু’মিনূন (২৩:১৪) থেকে নেওয়া হয়েছে যা হলো:
> تَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ
“নিপুণতম সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ কত কল্যাণময়।”
— [সূরা আল-মু’মিনূন, আয়াত ১৪]
🌊 আয়াতটির ব্যাখ্যা:
এই আয়াতটি মানুষ সৃষ্টির প্রক্রিয়া বর্ণনা শেষে এসেছে। আল্লাহ বলেন, তিনি মানুষকে মৃত্তিকা থেকে সৃষ্টি করেছেন, পরে শুক্রবিন্দু, জমাট রক্ত, গোশতের টুকরো, তারপর হাড়, মাংস, এবং শেষে নিখুঁত আকৃতি দিয়েছেন। এরপর আল্লাহ বলেন—
> “অতঃপর আমি তাকে অন্য এক সৃষ্টি করলাম (অর্থাৎ আত্মা দান করলাম), অতএব ধন্য সেই আল্লাহ, যিনি সর্বোত্তম সৃষ্টিকর্তা।”
— (তাফসির ইবনু কাসির)।
🐋 ছবির সঙ্গে সম্পর্ক:
ছবির তিমিটি পৃথিবীর বৃহত্তম প্রাণী, যার প্রতিটি অঙ্গ আল্লাহর নিখুঁত পরিকল্পনায় গঠিত —
জেনে রাখা ভালো যে, তিমির দুধ পানির নিচে গলে না; কারণ এটি ৩০-৫০% ফ্যাটযুক্ত, তাই বাচ্চা সহজে পান করতে পারে। দুধ নষ্টও হয় না।
এটি আল্লাহর এক অপূর্ব সৃষ্টি, যা কেবল তিনিই সৃষ্টি করতে পারেন যিনি সবকিছুর রক্ষক।
আল্লাহর সৃষ্টির মহিমা, নিখুঁততা ও জ্ঞান প্রকাশ পায় প্রতিটি জীবের মাঝে যা আমাদের চারপাশে বিদ্যমান।
সংক্ষেপে শিক্ষা:
>> আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা করলে ঈমান বৃদ্ধি পায়।
>> মানুষ ও প্রাণীর দেহের গঠন তাঁর শক্তি ও প্রজ্ঞার নিদর্শন।
>> প্রতিটি সৃষ্টির পেছনেই রয়েছে মহান আল্লাহর অসাধারণত্ব।
তাই একজন মুমিনের উচিত সৃষ্টির দিকে তাকিয়ে এই আয়াত স্মরণ করা যে,
"فَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ"
“নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ সর্বোত্তম স্রষ্টা।”
মহান আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর সৃষ্টি নিয়ে ভাবতে এবং তাঁর দাসত্ব করার তাওফিক দান করে আমাদেরকে জান্নাত নসীব করুন।
আমিন।
সূত্র:
১. তাফসির ইবনু কাসির, সূরা আল-মু’মিনূন (২৩:১৪)
২. সহীহ ইবনু হাজার আল-আসকালানি, ফাতহুল বারী।