The Quran Verse

The Quran Verse Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from The Quran Verse, Digital creator, Satkhira.
(1)

‎ #একটুখানি_তাদাব্বুর  ‎‎‎أَفَرَأَيْتُم مَّا تُمْنُونَ‎"তোমরা কি ভেবে দেখেছো, তোমাদের বীর্যপাত সম্পর্কে?"‎— (সূরা আল-ওয়া...
01/08/2025

‎ #একটুখানি_তাদাব্বুর


‎أَفَرَأَيْتُم مَّا تُمْنُونَ
‎"তোমরা কি ভেবে দেখেছো, তোমাদের বীর্যপাত সম্পর্কে?"
‎— (সূরা আল-ওয়াকিয়া, আয়াত ৫৮)

‎🔍 একটু চিন্তা করি :

‎আল্লাহ তাআলা এই আয়াতে মানুষকে তাদের সৃষ্টি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে বলছেন। মানুষ যখন সন্তান জন্ম দেয়, তখন সে মনে করে, তার বীর্যপাতই সবকিছু। অনেকেই তো আবার সন্তান হওয়ানোকেই নিজের ক্রেডিটও দিতে চায়! কিন্তু আল্লাহ জিজ্ঞাসা করছেন:

‎> "তোমরা কি সত্যিই ভেবে দেখেছো যে, তোমাদের বীর্য—যা দিয়ে সন্তান জন্ম নেয়—এর পেছনে কার ক্ষমতা কাজ করছে?"

‎মানুষ কেবল মাধ্যম; মূল সৃষ্টিকর্তা হচ্ছেন আল্লাহ। তুমি বীর্যপাত করলে, কিন্তু তা থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ শিশু সৃষ্টি হওয়া, তার জীবন থাকা, আত্মা প্রদান, রূপ-রং, বুদ্ধি, স্বাস্থ্য — সবই আল্লাহর ইচ্ছা ও পরিকল্পনায়।

‎📖 এরপরের আয়াতগুলিতে আরও বলা হয়:

‎> “তোমরা কি এটা সৃষ্টি করো, না আমি সৃষ্টি করি?”
‎— (সূরা আল-ওয়াকিয়া, আয়াত ৫৯)

‎আল্লাহ স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, আমরা যেন অহংকারী না হই। সন্তান জন্ম নেওয়ার পুরো প্রক্রিয়াই এক বিস্ময়কর, নিখুঁত ব্যবস্থা — যা একমাত্র আল্লাহর কুদরতেই সম্ভব।


‎📌 শিক্ষণীয় বিষয়:

‎১. 🧠 মানুষ যেন নিজের ক্ষমতায় গর্ব না করে, বরং স্রষ্টাকে চিনে নেয়।
‎২. 👶 সন্তানের জন্ম একটি অলৌকিক ব্যাপার যদিও তা মহান আল্লাহর কাছে অত্যন্ত সহজ।
‎৩. 🕋 এই আয়াত মানুষকে আত্ম-পর্যালোচনার দিকে আহ্বান জানায়—আরো জানায় আমাদের সৃষ্টি কেমন দুর্বল ও নির্ভরশীল!
‎৪. 💭 এই আয়াত থেকে তাওহিদের শিক্ষা মেলে—সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ একমাত্র আল্লাহর হাতে।

‎আল্লাহ তাআলা এই আয়াতের মাধ্যমে আমাদের আত্মতত্ত্ব, সৃষ্টিতত্ত্ব এবং তাঁর অসীম কুদরতের প্রতি মনোযোগ দিতে আহ্বান করছেন।

‎উৎস:
‎📘 আল-কুরআন, সূরা আল-ওয়াকিয়া (৫৬), আয়াত ৫৮-৫৯
‎📚 তাফসির ইবনে কাসীর, তাফসির আস-সা'দী।

25/07/2025
وَمَا خَلَقْنَا السَّمَاءَ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا لَاعِبِينَআকাশ পৃথিবী এতদুভয়ের মধ্যে যা আছে, তা আমি (আল্লাহ) ক্...
18/07/2025

وَمَا خَلَقْنَا السَّمَاءَ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا لَاعِبِينَ
আকাশ পৃথিবী এতদুভয়ের মধ্যে যা আছে, তা আমি (আল্লাহ) ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি।
______
(সূরা আম্বিয়া, আয়াতঃ ১৬)।

হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের  নূরকে পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন।(সূরা আত তাহরীম, আয়াত ৮)।
01/05/2025

হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের নূরকে পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন।
(সূরা আত তাহরীম, আয়াত ৮)।

 #একটুখানি_তাদাব্বুর "জীবনের কোনো এক মোড়ে আমরা সবাই হয়তো এমন কষ্ট পাই, যা কাউকে বলা যায় না…হৃদয়ের গভীর থেকে যখন কান্না ও...
24/04/2025

#একটুখানি_তাদাব্বুর

"জীবনের কোনো এক মোড়ে আমরা সবাই হয়তো এমন কষ্ট পাই, যা কাউকে বলা যায় না…
হৃদয়ের গভীর থেকে যখন কান্না ওঠে—তখন শব্দ হয়ে ওঠে ভারী, চোখ হয়ে যায় আর্দ্র।
কিন্তু তখন—আমরা কি কাউকে পাই?
পাই কি এমন একজনকে, যার সামনে কাঁদা যায় নির্ভয়ে, যিনি জানেন আমাদের চোখের অশ্রুর মানে?"

قَالَ إِنَّمَا أَشْكُو بَثِّي وَحُزْنِي إِلَى اللَّهِ
“তিনি বললেন, আমি তো আমার দুঃখ ও অস্থিরতা আল্লাহর সমীপেই নিবেদন করছি…” (সূরা ইউসুফ ১২:৮৬)

"এ কথা বলেছিলেন এক পিতা, যিনি হারিয়েছিলেন তাঁর সবচেয়ে প্রিয় পুত্র—ইউসুফ (আলাইহিস সালাম)।
বছরের পর বছর কেটে গেছে। কেবল স্মৃতি আর আশায় তিনি বেঁচে ছিলেন।
কিন্তু তিনি কাউকে অভিযোগ করেননি…
তিনি দুঃখ করেননি মানুষের কাছে…
তিনি শুধু বললেন—
'আমি আমার দুঃখ ও কষ্ট কেবল আল্লাহর কাছেই বলি।'"

এটি মূলত হৃদয়ভাঙ্গা কান্না ও আস্থার এক গল্প যা ইয়াকুব আঃ আমাদেরকে শিখিয়ে গিয়েছেন।

"এটা ছিলো ধৈর্যের চূড়ান্ত রূপ।
এটা ছিলো ঈমানের গর্বিত ঘোষণা।
এটা ছিলো সেই কান্না—যার প্রতিধ্বনি আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
একজন নবীর অশ্রু, যার শক্তি ছিল আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল।

এই আয়াত আমাদের শেখায়—
যখন পৃথিবী বোবা হয়ে যায়, তখন আকাশ কথা বলে।
যখন কেউ বোঝে না, তখন রব বোঝেন।"

এই আয়াত আমাদেরকে আরো যা যা শেখায় তা হলো:

১. আত্মার গভীর কষ্টের মুক্তি:
এই আয়াতে ইয়াকুব (আ.) প্রকাশ করছেন—তিনি তাঁর কষ্ট মানুষকে বোঝান না, বরং একমাত্র আল্লাহর কাছেই তা বলেন। এটি একজন মুমিনের জন্য বড় শিক্ষা—আমাদের দুঃখ-ব্যথা, যন্ত্রণার গভীরতর অনুভূতিগুলো সবচেয়ে ভালোভাবে আল্লাহই বোঝেন।

২. আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা:
ইয়াকুব (আ.) অনেক বছর ধরে তাঁর প্রিয় পুত্র ইউসুফ (আ.)-কে হারিয়ে ছিলেন। তবুও তিনি আশা হারাননি। তিনি বলছেন, “আমি আল্লাহ সম্পর্কে এমন কিছু জানি যা তোমরা জানো না”—এখানে বুঝা যায় যে তিনি আল্লাহর করুণা, প্রজ্ঞা ও প্রতিশ্রুতির উপর পূর্ণ আস্থা রেখেছেন।

৩. অশ্রুভেজা হৃদয়ের দোয়া:
ইবনে কাসীর (রহ.) বলেন, ইয়াকুব (আ.) এই কথাগুলো বলার সময় এতটাই ব্যথিত ছিলেন যে তাঁর চোখ অন্ধ হয়ে গিয়েছিল কান্নার কারণে (সূরা ইউসুফ ৮৪)। এটি বোঝায় যে দুঃখ প্রকাশ করলে তা কেবল আল্লাহর দরবারেই করা উচিত, যিনি সৃষ্টিকর্তা ও দয়াময়।

৪. আধ্যাত্মিক শক্তি ও ধৈর্যের অনন্য দৃষ্টান্ত:
এই আয়াত ধৈর্য ও ঈমানের এক চরম নিদর্শন। যেকোনো বিপদে একজন মুমিন কিভাবে আত্মা ও হৃদয়ের কান্না আল্লাহর সামনে উন্মুক্ত করে তাতে শান্তি ও সাহায্য পায়—এই আয়াত তার নিখুঁত প্রতিচ্ছবি।

৫. তাওয়াক্কুল (আল্লাহর উপর ভরসা) এর শিক্ষা:
মানুষ অনেক সময় বলতেই পারে না তার ভেতরের দুঃখ। কিন্তু আল্লাহ জানেন সব কিছু। ইয়াকুব (আ.)-এর মতো আমরাও শিখি—কান্না, দুঃখ, আশা—সব কিছুর ঠিকানা আল্লাহ।

এই আয়াত এমন এক দোয়া ও কান্নার ভাষা যা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ বোঝে না। এটি প্রমাণ করে, কষ্ট যত গভীরই হোক না কেন, মুমিন তার ফয়সালা কেবল আল্লাহর কাছেই রাখে।

"আপনারও যদি আজ হৃদয় ভারী হয়…
কারো সাথে কিছু বলার না থাকে…
তাহলে এই আয়াত মনে রাখুন—
‘আমি তো আমার দুঃখ ও শোক কেবল আল্লাহর কাছেই বলি।’
তিনিই যথেষ্ট। তিনিই সবচেয়ে দয়াময়।"

 #খোলা_চিঠিকাকে পূজা দিচ্ছেন? ===============মানব জাতির জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সর্বশেষ বার্তা হলো আল কুরআন। এতে ব...
22/04/2025

#খোলা_চিঠি

কাকে পূজা দিচ্ছেন?
===============
মানব জাতির জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সর্বশেষ বার্তা হলো আল কুরআন। এতে বর্ণিত হয়েছে কি আমাদের করণীয় আর কিসে আসবে প্রকৃত সফলতা। এতে সতর্ক করা হয়েছে যারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কিছুর পূজা করছে তাদেরকেও।
কিছু স্পষ্ট ও শক্তিশালী কুরআনের আয়াত দেওয়া হলো—যা মূর্তিপূজা, বহু উপাস্যে বিশ্বাস ও শিরকের বিরুদ্ধে সরাসরি সতর্ক করে। হিন্দু ভাইয়েরা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

১. সূরা বাকারা, আয়াত ১৬৫

وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَتَّخِذُ مِن دُونِ ٱللَّهِ أَندَادًۭا يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ ٱللَّهِ ۖ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ أَشَدُّ حُبًّۭا لِّلَّهِ

অর্থ:
"মানুষের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহর পরিবর্তে অন্যদেরকে শরীক বানিয়ে নেয়, এবং তাদেরকে আল্লাহর মতো ভালোবাসে। অথচ ঈমানদাররা তো সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে আল্লাহকে।"

বার্তা:
আল্লাহর সমতুল্য অন্য কাউকে ভালোবাসা বা উপাসনা করা শিরক, যা মারাত্মক অপরাধ।

২. সূরা আর-রূম, আয়াত ৪০

ٱللَّهُ ٱلَّذِى خَلَقَكُمْ ثُمَّ رَزَقَكُمْ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيكُمْ ۖ هَلْ مِن شُرَكَآئِكُم مَّن يَفْعَلُ مِن ذَٰلِكُم مِّن شَىْءٍۢ ۚ سُبْحَـٰنَهُۥ وَتَعَـٰلَىٰ عَمَّا يُشْرِكُونَ

অর্থ:
“আল্লাহই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, রিজিক দেন, মৃত্যু দেন ও আবার জীবন দান করবেন। তোমরা যাদের শরীক করো, তাদের কেউ কি এসবের কিছু করতে পারে? তিনি মহাপবিত্র, তারা যা শরীক করে তার ঊর্ধ্বে।”

বার্তা:
আল্লাহ ছাড়া কেউ সৃষ্টিকর্তা, রিজিকদাতা, জীবনদাতা হতে পারে না—তাদের উপাসনা করা অর্থহীন ও বিপজ্জনক।

৩. সূরা আল-আনবিয়াঃ আয়াত ৯৮–৯৯

إِنَّكُمْ وَمَا تَعْبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ حَصَبُ جَهَنَّمَ ۖ أَنتُمْ لَهَا وَارِدُونَ

অর্থ:
“তোমরা এবং তোমরা যাদের আল্লাহ ছাড়া উপাসনা করো—তোমরা সবাই জাহান্নামের জ্বালানি; তোমরা অবশ্যই সেখানে প্রবেশ করবে।”

বার্তা:
আল্লাহ ছাড়া যাদের উপাসনা করা হয় (যেমন মূর্তি, দেব-দেবী), তারা এবং তাদের উপাসকেরা—সবাই জাহান্নামের জ্বালানি হবে।

৪. সূরা যুমার, আয়াত ৬৫

لَئِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُونَنَّ مِنَ ٱلْخَـٰسِرِينَ

অর্থ:
“(হে নবী!) আপনি যদি শিরক করেন, তবে আপনার সব আমল নিষ্ফল হয়ে যাবে, এবং আপনি অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।”

বার্তা:
যদি নবীর মতো ব্যক্তি শিরক করতেন, তিনিও রক্ষা পেতেন না! তাহলে সাধারণ মানুষের কি অবস্থা হবে?

এরপরও আল্লাহকে বাদ দিয়ে আর কাকে ডাকছেন আপনার পালনকর্তা রুপে?

 #একটুখানি_তাদাব্বুর আয়াত:إِنَّ اللَّهَ فَالِقُ الْحَبِّ وَالنَّوَىٰঅনুবাদ: “নিশ্চয় আল্লাহই বীজ ও আঁটি থেকে অঙ্কুর সৃষ্...
08/04/2025

#একটুখানি_তাদাব্বুর

আয়াত:
إِنَّ اللَّهَ فَالِقُ الْحَبِّ وَالنَّوَىٰ
অনুবাদ: “নিশ্চয় আল্লাহই বীজ ও আঁটি থেকে অঙ্কুর সৃষ্টিকারী।”
সূরা আল-আন‘আম (৬), আয়াত ৯৫

মহান আল্লাহর সর্বশেষ নির্দেশনা সম্বলিত মহা গ্রন্থ "আল কুরআন" বিশ্বাসীদের জন্য এক অপার নেয়ামত। এর পরতে পরতে লুকিয়ে রয়েছে আমাদের জন্য দিক নির্দেশনা। সূরা আল আনআম এর এমনই এক চিন্তা জাগানিয়া আয়াত হলো ৯৫ নম্বরের এই আয়াতটি।

১. আয়াতের মূল বার্তা:
আল্লাহ তাআলা এখানে তাঁর সৃষ্টিশক্তি ও একক নিয়ন্ত্রণের পরিচয় দিচ্ছেন। তিনি সেই সত্তা যিনি মৃত, কঠিন বীজ ও আঁটির ভেতর থেকে জীবনের অঙ্কুরোদ্গম ঘটান। এটি একটি নিখুঁত উদাহরণ যে কিভাবে আল্লাহ মৃত বস্তু থেকেও প্রাণ সৃষ্টি করেন।

২. শব্দার্থ:

فَالِقُ (ফালিক):
চিরে ফেলা, বিভাজনকারী, অঙ্কুরোদ্গমকারী।

الْحَبِّ (হাব্ব):
সাধারণ বীজ, যেমন গম, ধান, যব ইত্যাদি।

النَّوَىٰ (নাওয়া):
আঁটি, যেমন খেজুর, আম, পীচ প্রভৃতি ফলের কাষ্ঠল অংশ।

৩. বৈজ্ঞানিক বাস্তবতা:
আল্লাহর এই কর্মপ্রক্রিয়া আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে পুরোপুরি সঙ্গতিপূর্ণ। বীজ বা আঁটির ভিতরে লুকিয়ে থাকা ভ্রূণের (embryo) একটি নির্দিষ্ট পরিবেশে পানির সংস্পর্শে এসে সক্রিয় হয়ে ওঠা এবং ধীরে ধীরে অঙ্কুরোদ্গম করা, এটি আল্লাহর কুদরত ছাড়া অসম্ভব।

৪. তাফসীরকারীদের ব্যাখ্যা:
তাফসীর ইবন কাসীর:
ইবন কাসীর বলেন, “এখানে বীজ ও আঁটির মাধ্যমে সাধারণ খাদ্যশস্য এবং ফলমূল বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা এগুলোকে চিরে এমন গাছ উদ্গত করেন যা মানুষ ও জীবজন্তুর জন্য খাদ্য হয়।”

তাফসীর আল-কুরতুবী:
কুরতুবী বলেন, “এই আয়াত আমাদেরকে বুঝিয়ে দেয় যে আল্লাহ ছাড়া কেউ বীজে প্রাণ দিতে পারে না। এতে তাওহীদের শক্তিশালী যুক্তি আছে।”

৫. আধ্যাত্মিক শিক্ষা:
এই আয়াত আমাদের শেখায়, কঠিন পরিস্থিতিতেও আল্লাহ তাআলা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেন—যেমন কঠিন আঁটির ভিতর থেকেও নবজীবন বের হয়।

এটি আল্লাহর সৃষ্টি ও পুনরুত্থানের (resurrection) প্রমাণ, যেভাবে মৃত বীজে প্রাণ সঞ্চার হয়, তেমনি মৃত্যুর পর মানুষকেও পুনরায় জীবিত করা আল্লাহর পক্ষে সহজ।

এই আয়াত আল্লাহর সৃষ্টিশক্তি, একত্ববাদ এবং পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের একটি দৃষ্টান্তমূলক প্রকাশ। প্রতিটি বীজ এবং আঁটি অঙ্কুরিত হওয়া শুধু প্রাকৃতিক নিয়ম নয়, বরং তা আল্লাহর কুদরতের জীবন্ত নিদর্শন।
মহান আল্লাহ আমাদেরকে এই সত্য উপলব্ধি করার তাওফিক দান করুন।
আমিন।

রেফারেন্সসমূহ:

১. সূরা আল আনআম, আয়াত ৯৫ (আংশিক)
২. তাফসীরে ইবনে কাসীর (Arabic & Bengali Translation)
৩. তাফসীরে আল কুরতুবি
৪. Scientific sources on seed germination (e.g., Britannica, botany texts)

Indeed, in the Messenger of Allah you have an excellent example for whoever has hope in Allah and the Last Day, and reme...
27/03/2025

Indeed, in the Messenger of Allah you have an excellent example for whoever has hope in Allah and the Last Day, and remembers Allah often.
(Sura AlAhzab 21)

 #একটুখানি_তাদাব্বুর সুরা আল-আহকাফের ৫ নম্বর আয়াতটি একটি গভীর তাদাব্বুর (চিন্তা-গবেষণা) ও উপলব্ধির দাবি রাখে।আয়াতটি হলো:...
27/03/2025

#একটুখানি_তাদাব্বুর

সুরা আল-আহকাফের ৫ নম্বর আয়াতটি একটি গভীর তাদাব্বুর (চিন্তা-গবেষণা) ও উপলব্ধির দাবি রাখে।
আয়াতটি হলো:
[৪৬:৫] আল আহ্‌কাফ

وَمَن أَضَلُّ مِمَّن يَدعو مِن دونِ اللَّهِ مَن لا يَستَجيبُ لَهُ إِلى يَومِ القِيامَةِ وَهُم عَن دُعائِهِم غافِلونَ

তার চেয়ে আর অধিক পথভ্রষ্ট কে, যে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকে যা কিয়ামত দিবস পর্যন্তও তার ডাকে সাড়া দেবে না? আর তারা (যাদেরকে উপাসনা করা হয়) তাদের (যারা ডাকছে তাদের) ডাক সম্বন্ধে অবহিতও নয়।

এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা মুশরিকদের ভ্রান্ত বিশ্বাস ও কর্মের প্রতি তীব্র সমালোচনা করেছেন। নিচে আয়াতের তাদাব্বুর ও মূল বার্তাগুলো বিশ্লেষণ করা হলো:

১. সর্বোচ্চ স্তরের গোমরাহীর চিত্রণ

আয়াতের শুরুতে প্রশ্ন করা হয়েছে:
"তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে...?"
এখানে আল্লাহ তা'আলা ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে, শিরক হলো সবচেয়ে বড় পথভ্রষ্টতা। কারণ, একজন মুশরিক স্রষ্টার পরিবর্তে সৃষ্টিকে ইবাদতের যোগ্য মনে করে—যারা নিজেরা অসহায়, মৃত বা নির্বোধ (যেমন মূর্তি, প্রাকৃতিক শক্তি, ফেরেশতা, নবী-অলি ইত্যাদি)।

২. অক্ষম মাবুদের বাস্তবতা

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলছেন:

"যে কিয়ামত দিবস পর্যন্তও তার ডাকে সাড়া দেবে না?"

- এখানে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, মুশরিকরা যাদের ডাকে, তারা চিরদিনের জন্য অক্ষম।
- যেমন, মূর্তি, কবরবাসী অলি-আউলিয়া, প্রাকৃতিক শক্তি—এগুলো কখনোই মানুষের ডাকে সাড়া দিতে পারে না, কারণ তারা তো মৃত বা নির্জীব।
- এমনকি কিয়ামতের দিনও তারা তাদের উপাসকদের সাহায্য করতে পারবে না (যেমন সুরা আল-কাসাস, ২৮:৬৪-এ বলা হয়েছে)।

৩. মাবুদদের উদাসীনতা

- আর তারা (মাবুদরা) তাদের আহ্বান সম্পর্কে উদাসীন।
- মুশরিকরা যাদের ইবাদত করে, তারা তাদের ডাক শুনতেও পায় না, বুঝতেও পারে না।

- যেমন সুরা ইউনুস (১০:১০৬)-এ বলা হয়েছে,

"তুমি আল্লাহ ছাড়া এমন কিছুর ইবাদত কোরো না, যে না উপকার করতে পারে, না অপকার। যদি তা করো, তবে তুমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবে।"

৪. বর্তমান যুগের প্রাসঙ্গিকতা

এই আয়াত শুধু প্রাচীন যুগের মুশরিকদের জন্য নয়, বরং সব যুগে সবার জন্যই সতর্কতা। আজকের সমাজেও মানুষ টাকা-পয়সা, ক্ষমতা, নেতা, বিজ্ঞান বা কুসংস্কারকে আল্লাহর স্থলাভিষিক্ত করে বসে—যেগুলো প্রকৃতপক্ষে অসহায়।

৫. শিক্ষা ও প্রয়োগ

শিরক থেকে সতর্কতাঃ
এই আয়াত আমাদেরকে যেকোনো ধরনের শিরক (প্রকাশ্য বা গোপন) থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেয়।

তাওহিদের দৃঢ়তাঃ
একমাত্র আল্লাহই সব শক্তির উৎস, তিনিই তাঁর বান্দার ডাকে সাড়া দেন (সুরা গাফির, ৪০:৬০)।

আহ্বানের প্রকৃতিঃ
আমরা যেন কখনোই এমন কিছুর কাছে সাহায্য না চাই, যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু—কারণ তা প্রকৃতপক্ষে সম্পূর্ণ ব্যর্থ ও লজ্জাজনক।

এই আয়াত আমাদেরকে
আল্লাহর একত্ববাদের প্রতি অবিচল থাকতে এবং সমস্ত ভ্রান্ত বিশ্বাস ও কর্ম থেকে দূরে থাকতে শেখায়। এটি শিরকের ধ্বংসাত্মক পরিণতির কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং আমাদেরকে সত্যিকার মাবুদ আল্লাহ-এর দিকে ফিরে যাওয়ার তাওফিক দান করার দোয়া করতে উৎসাহিত করে।

হে আমাদের রব! আমাদেরকে আপনার প্রতি যথাযথ ইবাদতের তাওফিক দান করুন এবং আমাদের জীবন-মৃত্যু সবই যেন হয় আপনার সন্তুষ্টির জন্য সেই ব্যবস্থা আপনি করে দিন।
আমিন।

 #একটুখানি_তাদাব্বুর সূরা আল-আনকাবুত (২৯:৪১) এর তাফসীরঃ আয়াত:إِنَّ مَثَلَ ٱلَّذِينَ ٱتَّخَذُوا۟ مِن دُونِ ٱللَّهِ أَوْلِ...
23/03/2025

#একটুখানি_তাদাব্বুর

সূরা আল-আনকাবুত (২৯:৪১) এর তাফসীরঃ

আয়াত:

إِنَّ مَثَلَ ٱلَّذِينَ ٱتَّخَذُوا۟ مِن دُونِ ٱللَّهِ أَوْلِيَآءَ كَمَثَلِ ٱلْعَنكَبُوتِ ٱتَّخَذَتْ بَيْتًۭا ۖ وَإِنَّ أَوْهَنَ ٱلْبُيُوتِ لَبَيْتُ ٱلْعَنكَبُوتِ ۖ لَوْ كَانُوا۟ يَعْلَمُونَ

বাংলা অর্থ:

“যারা আল্লাহ ছাড়া বহু অভিভাবক গ্রহণ করে, তাদের দৃষ্টান্ত মাকড়সার ন্যায়, যে ঘর বানায় এবং নিশ্চয় সবচাইতে দুর্বল ঘর হল মাকড়সার ঘর, যদি তারা জানত।”

এই আয়াতের মূল শিক্ষা ও বিশ্লেষণঃ

১. মাকড়সার জাল কেন উদাহরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে?

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা এখানে মাকড়সার জালকে শিরকের দুর্বলতার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করেছেন। কারণ:

✅ অত্যন্ত দুর্বল: মাকড়সার জাল দেখতে জটিল হলেও সামান্য বাতাস, পানি বা স্পর্শে ধ্বংস হয়ে যায়। ঠিক তেমনি, যারা আল্লাহ ছাড়া অন্য উপাস্য গ্রহণ করে, তাদের বিশ্বাসও তেমনি দুর্বল ও ভঙ্গুর।

✅ আত্মপ্রবঞ্চনা: মাকড়সার জাল হয়তো তার জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় মনে হতে পারে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি কোনো রকম নিরাপত্তা দেয় না। যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যের ওপর নির্ভর করে, তারাও এমন একটি ভুল ধারণার মধ্যে থাকে যে তারা সুরক্ষিত, কিন্তু বাস্তবে তারা ধ্বংসের মুখে থাকে।

✅ সামাজিক ও আধ্যাত্মিক দুর্বলতা: বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে, মাকড়সার সমাজে পুরুষ মাকড়সা স্ত্রী মাকড়সার দ্বারা নিহত হয় এবং তাদের পারিবারিক বন্ধন প্রায় নেই। এটি শিরকের সমাজের অবস্থা বোঝায়, যেখানে সত্যিকারের নৈতিকতা ও সম্পর্কের স্থায়িত্ব থাকে না।

২. আয়াতের গুরুত্ব এবং ব্যাখ্যা

(ক) তাওহীদের গুরুত্ব

কুরআনে বহুবার বলা হয়েছে যে, প্রকৃত শক্তি ও সুরক্ষা কেবলমাত্র আল্লাহর কাছ থেকেই আসে।

যারা মূর্তি, জিন, মানুষ বা অন্য কোনো কিছুকে তাদের রক্ষাকর্তা মনে করে, তারা ভুল পথে আছে।

প্রমাণ:

১. “আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই। তিনিই একমাত্র শক্তিশালী ও জ্ঞানী।” (সূরা আলে ইমরান ৩:১৮)

২. “যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্য অভিভাবক গ্রহণ করে, তারা মাকড়সার জালের মতোই দুর্বল।” (সূরা আল-আনকাবুত ২৯:৪১)

(খ) শিরকের দুর্বলতা ও ধ্বংসের নিশ্চয়তা

যেকোনো মিথ্যা বিশ্বাস ও শিরক দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না।

শিরকের ভিত্তি সবসময় দুর্বল ও অবাস্তব, কারণ এটি সৃষ্টি করা হয়েছে মানুষের কল্পনায় এবং বাস্তবে তার কোনো ক্ষমতা নেই।

প্রমাণ:

১. “সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলীন হয়ে গেছে, নিশ্চয়ই মিথ্যা ক্ষণস্থায়ী।” (সূরা আল-ইসরা ১৭:৮১)

২. “তারা কেবল ধারণার ওপর নির্ভর করে, সত্যের ওপর নয়।” (সূরা ইউনুস ১০:৩৬)

(গ) যাদের উপর নির্ভর করা হয়, তারা আসলে দুর্বল

মানুষ সাধারণত সম্পদ, ক্ষমতা, মূর্তি, রাজনীতি, বা অন্য কিছুর ওপর নির্ভর করে, কিন্তু এগুলো একসময় ধ্বংস হয়ে যায়।

মাকড়সার জালের মতো এসব আশ্রয়ও অস্থায়ী এবং শেষ পর্যন্ত কোনো রকম নিরাপত্তা দিতে পারে না।

হাদিস থেকে প্রমাণ:
✅ রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
"যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্যের ওপর নির্ভর করবে, সে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।" (তিরমিজি: ২৫১৬)

৩. বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে আয়াতের ব্যাখ্যা

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে:
✅ মাকড়সার জাল বিশ্বের অন্যতম দুর্বল ঘর। এটি হালকা বাতাস, পানি বা সামান্য ধাক্কাতেই ছিঁড়ে যায়।
✅ মাকড়সার সমাজ খুবই দুর্বল। স্ত্রী মাকড়সা প্রজননের পর পুরুষ মাকড়সাকে হত্যা করে, অর্থাৎ তাদের পারিবারিক বন্ধন দুর্বল।
✅ জীবনচক্র ছোট ও অনির্ভরযোগ্য।

ঠিক তেমনিভাবে, যারা আল্লাহকে ছেড়ে অন্যের ওপর নির্ভর করে, তারা এমনই দুর্বল ও ক্ষণস্থায়ী।

৪. অন্যান্য তাফসীরবিদদের দৃষ্টিকোণ

(ক) ইমাম ইবন কাসির (রহ.)

তিনি বলেন:
✅ "এই আয়াত দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে, শিরক হচ্ছে সবচেয়ে দুর্বল ও ক্ষণস্থায়ী বিশ্বাস। যারা আল্লাহকে ছেড়ে অন্য কারও ওপর নির্ভর করে, তারা নিজেরাই ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।"

(খ) ইমাম কুরতুবি (রহ.)

তিনি বলেন:
✅ "এই আয়াত মুশরিকদের জন্য একটি শিক্ষা। তাদের মিথ্যা দেব-দেবতা বা রক্ষাকর্তা আসলে একদম দুর্বল, যাদের কোনো ক্ষমতা নেই।"

মূল শিক্ষাঃ

১️⃣ আল্লাহ ছাড়া অন্যের ওপর নির্ভর করা দুর্বলতার প্রতীক।
২️⃣ মিথ্যা বিশ্বাস ও শিরক একসময় ধ্বংস হয়ে যায়।
৩️⃣ মাকড়সার জাল যেমন ক্ষণস্থায়ী, তেমনি শিরকের ভিত্তিও দুর্বল।
৪️⃣ সত্যিকারের শক্তি ও নিরাপত্তা কেবলমাত্র আল্লাহর কাছেই রয়েছে।

এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের শেখাচ্ছেন যে, আমাদের কেবলমাত্র তাঁর ওপরই নির্ভর করা উচিত, কারণ তিনিই একমাত্র স্থায়ী ও নির্ভরযোগ্য অভিভাবক।
মহান আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার তাওফিক দান করুন।
আমিন।

Address

Satkhira
9421

Telephone

+8801722645508

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The Quran Verse posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share