MD Ashik Islam

MD Ashik Islam শুধু টাকা থাকার মানে রিজিক নয় ‌!নেক জীবনসঙ্গী, নেক সন্তান, উত্তম আখলাক, নেককার বন্ধু ও রিজিকের অন্তর্ভুক্ত।

26/12/2024
17/12/2023

আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে বুঝার তৌফিক দান করুক

17/12/2023

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অবশ্যই আমার উম্মতের মাঝে (কিছু লোককে) মাটি ধ্বসিয়ে, পাথর বর্ষণ করে এবং চেহারা বিকৃত করে দেওয়া হবে। আর এ শাস্তি তখন আসবে, যখন তারা মদ্যপান করবে, নর্তকী রাখবে এবং বাদ্যযন্ত্র বাজাবে।”
[সহিহুল জামি: ৫৪৬৭]

17/12/2023

জীবনের মালিক যেমন আল্লাহ, তেমনি মৃত্যুর মালিকও। উপযুক্ত কারণ ছাড়া কারো মৃত্যু ঘটানোর বা হত্যা করার কোনো এখতিয়ার আল্লাহ কাউকে দেননি। এমনকি আত্মহত্যা করার অধিকারও কারো নেই। জীবন ক্ষণস্থায়ী বা দীর্ঘস্থায়ী- যাই হোক না কেন, আল্লাহর দৃষ্টিতে তা অত্যন্ত মূল্যবান। জীবনের অপরিসীম গুরুত্ব ও মূল্যের কথা তিনি বলেছেন এভাবে- নরহত্যা বা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কাজ করার জন্য কেউ কাউকে হত্যা করল সে যেন পৃথিবীর সকল মানুষকে হত্যা করল। আর কেউ কারো প্রাণ রক্ষা করল সে যেন সকল মানুষের প্রাণ রক্ষা করল। (সূরা মায়েদা : ৩২

ইহুদিদের সম্পর্কে কোরআনে যা বলা হয়েছে:
ইহুদিরা পৃথিবীর দেশে দেশে অশান্তি ও গোলযোগ সৃষ্টি করে। মুসলমান ও খ্রিস্টানদের মধ্যে ঢুকে কুমন্ত্রণা দিয়ে তাদের বিভিন্ন সমস্যায় নিক্ষেপ করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালায়। এ ব্যাপারে আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, যখনই তারা যুদ্ধের আগুন জ্বালায়, আল্লাহ তা নিভিয়ে দেন এবং তারা যমীনে ফিতনা ফাসাদ ও গোলযোগ সৃষ্টির চেষ্টা চালায়। আল্লাহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের ভালোবাসেন না। (সূরা মায়েদা : ৬৪)।

মুসলমানদের শত্রু মনে করা তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অংশ। ইহুদিরা মুসলমানদেরকে সর্বপ্রধান শত্রু মনে করে। পক্ষান্তরে অন্যদের সাথে তাদের কিছুটা মিত্রতা গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, হে নবী, আপনি ইহুদি ও মুশরেকদেরকে মুসলমানদের কঠোর শত্রু হিসাবে দেখতে পাবেন। (সূরা মায়েদা : ৮২)।

17/12/2023

কোরআন যাদেরকে ‘পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট’ বলেছে Al A`râf الأعراف 179 ayat

মানুষ ‘সৃষ্টির সেরা জীব’ হলেও কিছু মানুষকে আল্লাহ তাআলা চতুষ্পদ প্রাণীর চেয়েও নিকৃষ্ট বলেছেন। ‘..তারা (মানুষ হয়েও) পশুর মতো, বরং পশুর চেয়েও বেশি নিকৃষ্ট’ (সুরা আরাফ: ১৭৯)। এ থেকে প্রতীয়মান হয়, ব্যাপকভাবে মানুষ বলতেই সৃষ্টির সেরা নয়; বরং কোনো ক্ষেত্রে মানুষ পশু থেকেও নিকৃষ্ট হয়ে থাকে।

কোরআন সুন্নাহর আলোকে মানুষ ও পশুর মধ্যে মৌলিক কিছু পার্থক্য রয়েছে। যেমন- সৃষ্টির সাধারণ প্রক্রিয়া হলো, আল্লাহ তাআলা ‘হও’, বললেই যে কোনো কিছু হয়ে যায়, কিন্তু মানুষের সৃষ্টি আল্লাহর কুদরতি হাতে। মহান আল্লাহ বললেন, ‘হে ইবলিস! যাকে আমার নিজ হাতে সৃষ্টি করেছি তাকে সেজদা করতে তোকে কিসে বাধা দিল?’ (সুরা সাদ: ৭৫)
এছাড়াও সুষ্ঠু বিবেক ও সঠিক জ্ঞান দেওয়া হয়েছে মানুষকে। দেওয়া হয়েছে অন্তর, স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের অন্তর রয়েছে অথচ তারা তা দ্বারা উপলব্ধি করে না’ (সুরা আরাফ: ১৭৯)। মহান আল্লাহ আরও বলেন, ‘তারা কি কোরআন সম্পর্কে মনোযোগসহ চিন্তাভাবনা করে না, নাকি তাদের অন্তর তালাবদ্ধ!’ (সুরা মুহাম্মদ: ২৪)

আল্লাহকে চিনতে না পারাদের প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করেনি? তবে তারা জ্ঞানবুদ্ধিসম্পন্ন হৃদয় ও শ্রুতিশক্তিসম্পন্ন শ্রবণের অধিকারী হতো’ (সুরা হজ: ৪৬)।

সৃষ্টিকুলের সবকিছুকে তিনি মানুষের অনুগত করেছেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মহান আল্লাহ সেই সত্তা, যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীর সব কিছু সৃষ্টি করেছেন’ (সুরা বাকারা: ২৯)। সুতরাং আল্লাহ প্রদত্ত এই অধিকার যথাযথভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে পৃথিবীর সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলা, একইসঙ্গে নিজের স্রষ্টার আদেশ-নিষেধকে মেনে নিয়ে তাঁরই বিধান গ্রহণ করা মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের বৈশিষ্ট্য।

কিন্তু যারা মহান স্রষ্টার অবাধ্যতা করে, তাদের বিবেক, জ্ঞান ও চিন্তাশক্তি অর্থহীন হয়ে গেল। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে যারা পৃথিবীর সুন্দর পরিবেশ কলুষিত করে, তারা মানবতার শত্রু। তাই মানুষ হয়েও তারা চতুষ্পদ প্রাণী বা তার চেয়েও নিকৃষ্ট।

সেজন্যই আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, ‘আমি অবশ্যই বহু মানুষ ও জিনকে দোজখের জন্যে নির্ধারিত করেছি; কারণ তাদের অন্তর আছে, কিন্তু তারা সত্যকে উপলব্ধি করে না, তাদের চোখ থাকলেও তা দিয়ে তারা সত্যকে দেখে না, তাদের কান আছে, কিন্তু তা দিয়ে তারা সত্যবাণী শোনে না। ওরা পশুর মতো; বরং তার চেয়েও বেশি পথভ্রষ্ট; নিশ্চয়ই তারা উদাসীন।’ (সুরা আরাফ: ১৮৯)
আয়াতের অর্থ এই নয় যে, আমি বিনা কারণে তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করার জন্যই সৃষ্টি করেছিলাম, বরং এর সঠিক অর্থ হচ্ছে, আমি তো তাদেরকে হৃদয়, মস্তিষ্ক, কান, চোখ সবকিছুসহ সৃষ্টি করেছিলাম। কিন্তু এরা এগুলোকে যথাযথভাবে ব্যবহার করেনি এবং নিজেদের অসৎ কাজের বদৌলতে শেষ পর্যন্ত তারা জাহান্নামের ইন্ধনে পরিণত হয়েছে। সুতরাং তাদের আমলই তাদেরকে জাহান্নামের উপযুক্ত করেছে। তাদের জাহান্নাম দেওয়া আল্লাহর ইনসাফের চাহিদা। সে হিসেবে তিনি যেহেতু আগে থেকেই জানেন যে, তারা জাহান্নামে যাবে, সুতরাং তাদেরকে যেন তিনি জাহান্নামের আগুনে শাস্তি দেয়ার জন্যই সৃষ্টি করেছেন। (ফাতহুল কাদির)

পরের অংশে বলা হয়েছে, এরা কিছুই বোঝে না, কোনো কিছু দেখেও না এবং শুনেও না। অথচ বাস্তবে এরা পাগল বা উম্মাদ নয় যে, কিছুই বুঝতে পারে না। অন্ধও নয় যে, কোন কিছু দেখবে না, কিংবা বধিরও নয় যে, কোন কিছু শুনবে না; বরং প্রকৃতপক্ষে এরা পার্থিব বিষয়ে অধিকাংশ লোকের তুলনায় অধিক সতর্ক ও চতুর। উদ্দেশ্য এই যে, তাদের যা উপলব্ধি করা উচিত ছিল তারা তা করেনি, যা দেখা উচিত ছিল তা তারা দেখেনি, যা কিছু তাদের শোনা উচিত ছিল তা তারা শোনেনি। আর যা কিছু বুঝেছে, দেখেছে এবং শুনেছে, তা সবই ছিল সাধারণ জীবজন্তুর পর্যায়ের, যাতে গাধা-ঘোড়া, গরু-ছাগল সবই সমান।
তাছাড়া, জীব-জন্তু নিজের প্রভু ও মালিকের সেবা যথার্থই সম্পাদন করে। পক্ষান্তরে অকৃতজ্ঞ মানুষ স্বীয় মালিক, পালনকর্তার আনুগত্যে ত্রুটি করতে থাকে। সেকারণে তারা চতুস্পদ জন্তু অপেক্ষা বেশি নির্বোধ ও গাফেল। কাজেই বলা হয়েছে “এরাই হলো প্রকৃত গাফেল।” (দেখুন, তাবারি; ইবনে কাসির)

এ আয়াতের দুটি শিক্ষা
১) সবাই ঈমান আনবে বা সব মানুষই সংশোধিত হবে এমন আশা করা উচিত নয়। কারণ, মহান আল্লাহ মানুষকে পথ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়ায় অনেক মানুষ ভুল পথ নির্বাচন করবে এবং দোজখে যাবে এটাই স্বাভাবিক।
২) মানুষের মনুষ্যত্বের মানদণ্ড হলো- তারা সত্যকে উপলব্ধি করবে। এ মানদণ্ড না থাকলে তাকে পশুর সমান, বরং পশুর চেয়েও অধম বলা যায়।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির মর্যাদা রক্ষার তাওফিক দান করুন। তাঁর রাগ ও শাস্তি থেকে হেফাজত করুন। প্রকৃত বান্দা হিসেবে ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Address

Satkhira, Passport Office
Satkhira
9400

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MD Ashik Islam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share