27/09/2025
"সাতক্ষীরার হৃদয়ে গেঁথে থাকা গুড়পুকুর মেলা—৪০০ বছরের ঐতিহ্য, প্রজন্মের পর প্রজন্মের আনন্দ ও মিলনমেলার প্রতীক। ছোটবেলা থেকে এই মেলাকে ঘিরে কত স্মৃতি, কত আবেগ! অথচ এ বছর প্রশাসন নিরাপত্তার কারণে মেলাটি বন্ধ রেখেছে।"
"ইতিহাস বলছে, মুঘল আমলে সাতক্ষীরার স্থানীয় জমিদাররা প্রথম এই মেলার সূচনা করেছিলেন। তখন মূলত গ্রামীণ হাট ও সামাজিক মিলনমেলার মাধ্যম হিসেবেই এটি শুরু হয়। ধীরে ধীরে এটি শহরের মানুষের জন্য বড় উৎসবে পরিণত হয়। একসময় গুড়পুকুরের চারপাশে গ্রামের মানুষ তাদের হাতে বানানো খেলনা, মাটির হাঁড়ি-পাতিল, মিষ্টি, আর নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি করত। এখান থেকেই মেলার নামকরণ হয় “গুড়পুকুর মেলা” । পরবর্তীতে সংস্কৃতি, বিনোদন আর সামাজিক সম্প্রীতির প্রতীক হয়ে ওঠে এই মেলা।"
"কিন্তু আজ?
আমরা সবাই জানি শহরে যানজট ভয়াবহ। নিউমার্কেট থেকে পাকাপোল হয়ে ডে-নাইট কলেজ পর্যন্ত রাস্তায় দিনে-রাতে চলাচল একেবারেই দুর্বিষহ। অতিরিক্ত ইজিবাইক-ভ্যান, ট্রাকের দখল, আর বাজারের মোড়ের বিশৃঙ্খলা—সব মিলিয়ে সাধারণ সময়েই যাতায়াত করা কঠিন। এমন অবস্থায় রাজ্জাক পার্কে মেলা বসলে যানজট হবে অসহনীয় পর্যায়ে, সেটা সত্যি।"
"কিন্তু প্রশ্ন হলো—এর সমাধান কি কেবল মেলা বন্ধ করে দেওয়া? ৪০০ বছরের ঐতিহ্য কি এভাবে থেমে যাবে? প্রশাসন নিরাপত্তার কথা বলে বন্ধ রেখেছে, ঠিক আছে, কিন্তু বিকল্প স্থান নির্বাচনের উদ্যোগ কোথায়?"
"গুড়পুকুর মেলা শুধু বিনোদনের জায়গা নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস, পরিচয়। এটিকে টিকিয়ে রাখা যেমন জরুরি, তেমনি শহরের মানুষের স্বাভাবিক জীবনও অক্ষুণ্ণ রাখা সমান গুরুত্বপূর্ণ। দুটোর মাঝে ভারসাম্য আনার দায়িত্ব আমাদের সবার—প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি আর সচেতন নাগরিক সমাজের।"
''ঐতিহ্য হারিয়ে গেলে প্রজন্ম হারাবে তার শিকড়। তাই এখন সময়, বন্ধ-চালুর দ্বন্দ্বে না পড়ে আমাদের ঐতিহ্যকে বাঁচাতে একটি স্থায়ী ও নিরাপদ সমাধান খোঁজার।''
゚ ゚viralシviralシfypシ゚viralシalシ