06/04/2025
রক্তে ফোটা স্বাধীনতার ফুল
নোমান আল মামুন
বারুদের গন্ধে ভেজা বাতাস বলে,
ফিলিস্তিন আজো মাথা নোয়ায় না।
এ মাটি রক্তের দামে কেনা,
এখানে প্রতিটি শিশুর কান্নায়
ঝরে স্বাধীনতার শপথ।
ইজরায়েলি বর্বরতার নিচে
চূর্ণ হয়ে যায় না সাহসিকতা,
পা হীন শরীর নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ফাদি আবু সালাহ
সাহসের উপর ভর দিয়ে।
সে বলে যায়, “আমার রক্তই হবে প্রতিরোধের হাতিয়ার।”
ওখানে এক টুকরো রুটি ভাগ করে নেয় ক্ষুধার্ত শিশুর দল,
তাদের স্বপ্নে আসে না খেলনা, আসে কেবল যুদ্ধের গান।
তোমাদের ক্ষুধা,
তোমাদের শ্বাসরুদ্ধ করা নির্যাতন,
আমাদের কেবল শিখিয়েছে বিদ্রোহ।
আমাদের ঘরগুলোতে মায়ের কোলে জন্ম নেয়
ইব্রাহিম আল নাবলুসীর মতো শত প্রতিরোধ সৈনিক।
আমাদের প্রতিটি কিশোরের চোখে
সালাউদ্দিন আইয়ুবীর অপেক্ষা,
যে মুক্তির গান গেয়ে তুলবে এই ভুখণ্ডে।
আমরা লড়বো ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মতো
অটল, বীরদর্পে।
আমাদের শিরা উপশিরায় বইবে প্রতিরোধের স্রোত,
আমাদের বুক হবে ঢাল, আর হাত হবে তলোয়ার।
আমাদের জমিন জানে কীভাবে রক্ত দিয়ে
স্বাধীনতার বীজ বুনতে হয়।
হে পৃথিবী, ফিলিস্তিনের প্রতিটি গৃহের দরজা
বিদ্রোহের মশাল জ্বালিয়ে রেখেছে।
আমাদের মেয়েরা বুনছে প্রতিরোধের শাড়ি,
আমাদের পুরুষরা আঁকছে মুক্তির মানচিত্র।
মৃত্যু যদি আসে, তবু আমরা নত হবো না।
আমাদের কবরে ফুটবে বিপ্লবের ফুল,
আর মাটির বুক থেকে জেগে উঠবে স্বাধীনতার ইতিহাস।
তোমরা আমাদের ভাঙতে পারো,
কিন্তু হারাতে পারবে না।
আমরা রক্ত দিয়ে লিখেছি প্রতিরোধের মহাকাব্য।
তোমাদের ট্যাঙ্ক, তোমাদের যুদ্ধবিমান
আমাদের বিদ্রোহী আত্মাকে থামাতে পারবে না।
ফিলিস্তিন বেঁচে আছে,
ফিলিস্তিন বাঁচবে চিরকাল।
আমাদের হৃদয়ে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের দৃঢ়তা,
আমাদের শিরায় বয়ে চলে সালাহউদ্দিনের উত্তরাধিকার।
তোমরা দেখো—
স্বাধীনতার সূর্য একদিন উঠবেই ফিলিস্তিনের আকাশে।
ফিলিস্তিনের মাটিতেই ফুটবে স্বাধীনতার ফুল।