https://www.facebook.com/anannya.anu.021?mibextid=ZbWKwL

Anannya's Creation, Savar (2025)

29/10/2025

পুরান ঢাকার পুজা 🙏🥰🌻

23/10/2025

পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজার, তাতী বাজার এর প্রতিমা 🙏🌻🌻🌺,,,জয় মা কালি 🙏🌺🌺

21/10/2025

Ma r pujo 🌺🙏🎇🎇,,, sas jatra sthan 🥹🙏

20/10/2025

শুভ দীপাবলি 🙏🎇🎇🎇

19/10/2025

নরকা চতুর্দশী: অসুর নরকাসুরের উপর কৃষ্ণের বিজয়ের গল্প
নরক চতুর্দশী, যা ছোট দিওয়ালি নামেও পরিচিত,
এটি ভগবান কৃষ্ণ এবং দেবী সত্যভামার রাক্ষস রাজা নরকাসুরের উপর বিজয়ের প্রতীক।
দীপাবলির একদিন আগে উদযাপিত এই পবিত্র উপলক্ষটি অহংকার এবং মন্দের উপর ধর্মের বিজয়ের প্রতীক।
গোয়ায় প্রতিমা পোড়ানো থেকে শুরু করে বাংলায় কালী পূজা পর্যন্ত, ভারত জুড়ে আঞ্চলিক বৈচিত্র্যের সাথে, এই উৎসবটি ঐশ্বরিক ন্যায়বিচার এবং আধ্যাত্মিক শুদ্ধিকে সম্মান করে। এই পৌরাণিক যুদ্ধ কীভাবে আজও ভক্তি এবং আচার-অনুষ্ঠানকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে তা জানুন।

নরকাসুর ছিলেন বরাহ ও ভূদেবীর পুত্র, যিনি ঐশ্বরিক উৎস থেকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কিন্তু অহংকার দ্বারা বিপথগামী হয়েছিলেন।

🙏🌺কৃষ্ণ এবং সত্যভামা তাকে পরাজিত করেছিলেন, যা অন্ধকারের উপর ধর্মের বিজয়ের প্রতীক।

🔥গোয়ায় অভ্যন্তরীণ মন্দকে ধ্বংস করার জন্য নাটকীয়ভাবে কুশপুত্তলিকা দাহ করে নরক চতুর্থী উদযাপন করা হয়।

🙏বাংলায়, কালীপূজা এই দিনটিকে চিহ্নিত করে, যা বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে নারীর ঐশ্বরিক শক্তিকে তুলে ধরে।

💧তেল স্নান এবং হলদি অনুষ্ঠানগুলি অঞ্চল জুড়ে শুদ্ধিকরণ এবং ঋতুগত সুস্থতার প্রতীক।

🔥প্রদীপ জ্বালানো এবং লক্ষ্মীর কাছে প্রার্থনা করা আধ্যাত্মিক শৃঙ্খলার মাধ্যমে সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করে।

🙏আসল "নারক" হলো ভেতরের জিনিস - আমাদের অহংকার, রাগ এবং অজ্ঞতা আমাদের পুড়িয়ে ফেলতে হবে।

নরকাসুর কে ছিলেন? তাঁর ঐশ্বরিক উৎপত্তি এবং নিয়তি:

পুরাণে নরকাসুরের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে, যা শুরু হয় হিরণ্যক্ষ নামে এক রাক্ষস কর্তৃক ভূদেবী ভূদেবীকে অপহরণ করার মধ্য দিয়ে। ভূদেবীকে রক্ষা করার জন্য, শ্রী বিষ্ণু দশাবতারদের একজন বরাহের অবতার ধারণ করেন এবং মহাসমুদ্রের গভীরে ডুব দেন। শুয়োরমুখী দেবতা ভূদেবীকে পৃষ্ঠে নিয়ে আসেন, তাকে তার দাঁতের উপর তুলে ধরেন, যা দেবতা এবং আনন্দিত মানুষের জন্য একটি ঐশ্বরিক দর্শন।

এই পবিত্র মুহূর্তেই—কেউ কেউ বলেন বরাহের ঘাম থেকে, আবার কেউ কেউ বলেন তাঁর দাঁতের ছিদ্র থেকে— ভুদেবী একটি সন্তান ধারণ করেছিলেন । ঐশ্বরিক সত্তা থেকে জন্ম নেওয়া এই শিশুর নামকরণ করা হয়েছিল ভৌমাসুর বা নরকাসুর —যার অর্থ "ভূমির (পৃথিবী) পুত্র।" ভৌমাসুর মঙ্গল (মঙ্গল) গ্রহের সাথেও যুক্ত , যাকে প্রায়শই বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে ভৌমা বলা হয়। নরকাসুর নামটি অহংকার এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঐশ্বরিক উৎপত্তি থেকে নরকে (নরকের মতো গুণাবলী) অবতরণকে প্রতীকী করে।

মাতৃত্বের সহজাত প্রবৃত্তির জোরে, ভূদেবী ভগবান বিষ্ণুর কাছে তাঁর পুত্রকে শক্তিশালী বৈষ্ণবস্ত্র দান করার জন্য অনুরোধ করেন , যা একটি অপরাজিত অস্ত্র যা স্বর্গের কেউ প্রতিরোধ করতে পারে না, যার সামনে ইন্দ্রের সমস্ত শক্তি শীঘ্রই শক্তিহীন হয়ে পড়ে। ভগবান বিষ্ণু রাজি হন।

কিন্তু জ্ঞান ছাড়া ক্ষমতা প্রায়শই পতনের দিকে নিয়ে যায়।

বিষ্ণুর শক্তিতে আশীর্বাদপ্রাপ্ত নরকাসুর অহংকারী এবং অবাধ্য হয়ে ওঠে। তার ঐশ্বরিক বংশধর হওয়া সত্ত্বেও, সে ধর্মের পথ থেকে বিচ্যুত হয়। তার কর্মকাণ্ড শীঘ্রই স্বর্গ ও পৃথিবী উভয়কেই নাড়া দেবে।

নরকাসুর কীভাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে দেবতাদের আতঙ্কিত করেছিলেন?

ঐশ্বরিক বংশধর এবং অজেয় বৈষ্ণবস্ত্র দ্বারা সজ্জিত হয়ে , নরকাসুর একজন ভয়ঙ্কর যোদ্ধায় পরিণত হন। কিন্তু ধর্মকে সমর্থন করার পরিবর্তে, তিনি আধিপত্যের পথ বেছে নেন। তার বিজয় স্বর্গ থেকেই শুরু হয়েছিল । নরকাসুর স্বর্গীয় রাজ্যগুলিতে আক্রমণ করেছিলেন, দেবতাদের পরাজিত করেছিলেন এবং তাদের পবিত্র ধনসম্পদ দখল করেছিলেন। তিনি দেবতাদের নগরী আক্রমণ করেছিলেন, তাদের সম্পদ লুট করেছিলেন এবং দেবমাতা (দেবতাদের মা) অদিতির শক্তিশালী কানের দুল চুরি করেছিলেন এবং এমনকি ইন্দ্রের কিংবদন্তি বজ্র (বজ্রধ্বনি)ও বন্দী করেছিলেন।

স্বর্গে যা কিছু ছিল তা জয় করে, তিনি পৃথিবীর দিকে মনোযোগ দেন। সেখানে তিনি প্রয়াগজ্যোতিষপুরে তার দুর্গ স্থাপন করেন এবং কামরূপে (আধুনিক আসাম) তার রাজধানী স্থাপন করেন। এই অঞ্চলটি পরবর্তীতে ঐতিহাসিক ভৌমকর রাজবংশের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয় , যারা নিজেকে নরকাসুরের বংশধর বলে দাবি করে।

ঠিক যখন মনে হচ্ছিল তার পৈশাচিক কর্মকাণ্ডের চরম সীমানা এসে পৌঁছেছে, তখনই নরকাসুর এক চূড়ান্ত নিষ্ঠুরতার মাধ্যমে রাজকীয়, দেবী এবং তপস্বী পরিবারের ১৬,০০০ নারীকে অপহরণ করে । তার প্রাসাদে বন্দী থাকাকালীন, তাদের আর্তনাদ দেবতা এবং নশ্বর উভয়কেই আচ্ছন্ন করে রাখা আতঙ্কের প্রতিধ্বনি করে।

দেবতারা শ্রীকৃষ্ণের কাছে সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করেন:

নরকাসুরের সন্ত্রাসের রাজত্ব তীব্রতর হওয়ার সাথে সাথে, দেবতা এবং মানুষ উভয়ই তার ক্রমবর্ধমান অহংকারের কারণে কষ্ট ভোগ করতে থাকে। তার অনিয়ন্ত্রিত শক্তি মহাজাগতিক শৃঙ্খলাকে ব্যাহত করে এবং ঐশ্বরিক আইনের প্রতি তার অবাধ্যতা ধর্মের কাঠামোকে হুমকির মুখে ফেলে। তাকে চ্যালেঞ্জ করার মতো কেউ না থাকায়, দেবতারা হতাশায় হাত জোড় করে ভগবান কৃষ্ণের কাছে আসেন । তারা ভারসাম্য পুনরুদ্ধার এবং নরকাসুরের অত্যাচারী শাসনের অবসান ঘটাতে তাঁর কাছে অনুরোধ করেন । সদা করুণাময় কৃষ্ণ দেবতাদের সাহায্য করতে রাজি হন।

তিনি তাঁর প্রিয় স্ত্রী সত্যভামার কাছে পৌঁছান, যিনি নিজেই নরকাসুরের নিজের মা ভূদেবীর অবতার, তাঁর কৃতিত্বে তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করেন। স্বর্গ ও মর্ত্যের বাসিন্দাদের অবস্থা শুনে, দেবী সত্যভামা যুদ্ধের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেন, এবং দেবী যুগল, শক্তিশালী পাখি গরুড়ের পিঠে বসে, নরকাসুরের শহরের দ্বারে উপস্থিত হন।

শ্রী কামাখ্যা দেবীর মায়ার সাহায্যে শ্রীবিষ্ণু কর্তৃক নরকাসুরের বিনাশ:

একদিন নরকাসুর শ্রী কামাখ্যা দেবীকে তার স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন। দেবী তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন যদি তিনি নীল পর্বতের চার পাশে পাথরের রাস্তা এবং কামাখ্যা মন্দিরের কাছে একটি বিশ্রামাগার রাতারাতি তৈরি করে দেন। তিনি আরও বলেন যে যদি তিনি এটি করতে না পারেন তবে তাকে ধ্বংস করা হবে।

গর্বে গর্বিত নরকাসুর চারটি রাস্তার নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেন এবং বিশ্রামাগারটি সম্পূর্ণ করতে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই মহামায়ার (দেবী) মায়াবী মোরগ রাতের শেষের দিকে ডাকতে ডাকতে ডাকতে বেরিয়ে পড়ে। এতে নরকাসুর ক্রোধান্বিত হন। তিনি মোরগটিকে তাড়া করে ব্রহ্মপুত্র নদীর বিপরীত তীরে মেরে ফেলেন। আজও এই ঘটনার নামানুসারে এই স্থানটির নামকরণ করা হয়েছে কুক্তাচকী (কুক্ত অর্থ মোরগ)। এরপর দেবী ভগবতীর মায়াবী শক্তির সাহায্যে ভগবান শ্রীবিষ্ণু নরকাসুরকে ধ্বংস করেন। নরকাসুরের বিনাশের পর, তার পুত্র ভগদত্তকে কামরূপের রাজা হিসেবে অভিষেক করা হয়। পরবর্তীতে, তার সমস্ত বংশধর নিহত হওয়ার সাথে সাথে কামরূপ রাজ্য বিভিন্ন ছোট ছোট রাজ্যে বিভক্ত হয়ে যায় এবং রাজা সামন্ত কামরূপ শাসন করতে শুরু করেন। নরকাসুরের দুষ্কর্ম এবং একজন ঋষির অভিশাপের কারণে, দেবী অদৃশ্য হয়ে যান (অপ্রকাশিত হয়ে যান) এবং কামাখ্যা মন্দির ধ্বংস হয়ে যায়।

অষ্টম শতাব্দীতে, সেই সময়ের রাজারা দেবী মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করেছিলেন। মন্দিরটি বারবার আক্রমণের শিকার হয়েছিল এবং ১৭ শতক পর্যন্ত এটি পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমান মন্দিরটি ১৫৬৫ সালে আহোম রাজাদের রাজত্বকালে নির্মিত হয়েছিল।

কিভাবে কৃষ্ণ ও সত্যভামা নরকাসুরকে পরাজিত করেছিলেন?

🙏🙏কৃষ্ণ এবং সত্যভামা গরুড়ের চূড়ায় যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার সাথে সাথে আকাশ কেঁপে উঠল। নরকাসুর তাদের আগমনের বিষয়ে সতর্ক হয়ে তার বিশাল সেনাবাহিনীকে একত্রিত করলেন, তবুও তিনি তার অজেয়তার প্রতি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু তিনি ধর্মের শক্তি এবং ঐশ্বরিক ঐক্যকে অবমূল্যায়ন করেছিলেন। সত্যভামা, তার শক্তি (নারীশক্তি) এবং একজন দক্ষ তীরন্দাজের উপস্থিতির পর যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছিল, তাতে কৃষ্ণ নরকাসুরের সেনাবাহিনীকে আক্রমণ করে দুষ্ট রাজার রাজ্য ধ্বংস করে দেন এবং তার সুদর্শন চক্র দিয়ে অসুরের দেহকে দুই ভাগে ভাগ করে দেন। সেই মুহূর্তে, অসুরের অন্ধকার রাজত্বের অবসান ঘটে। এভাবে নরকাসুরের নৃশংস শাসনের অবসান ঘটে।

শেষ নিঃশ্বাসের সাথে সাথে, নরকাসুর ক্ষমা প্রার্থনা করেন , এবং কৃষ্ণ তাকে শেষ বর দেন - যেন তার মৃত্যু আলো এবং আনন্দের সাথে উদযাপন করা হয়, যাতে তার নাম ঘৃণার সাথে স্মরণ করা না হয়, বরং মন্দের উপর শুভের বিজয়ের স্মারক হিসেবে। নরকাসুরের অন্তঃপুর (অভ্যন্তরীণ বাসস্থান) থেকে, কৃষ্ণ এবং সত্যভামা 16,000 নারীকে মুক্ত করেন, যারা কৃষ্ণের পরিবারের অংশ হতে চেয়েছিলেন এবং তাদের ত্রাণকর্তা তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। মুক্ত নারীদের গ্রহণযোগ্যতা ধর্মের মূল নীতি পুনরুদ্ধার, সম্মান এবং আশ্রয়ের প্রতীক।

ভারত জুড়ে নরক চতুর্থী কীভাবে পালিত হয়?

নরক চতুর্দশী , যা ছোট দিওয়ালি নামেও পরিচিত , আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের ১৪ তম তিথিতে পালিত হয় - যেদিন কৃষ্ণ এবং সত্যভামা নরকাসুরকে বধ করে পৃথিবীকে মুক্ত করেছিলেন, সেই দিনটি সারা দেশে নরক চতুর্থী হিসাবে পালিত হয়। দীপাবলির একদিন আগে উদযাপিত এই উৎসব অন্ধকারের উপর আলোর বিজয় এবং বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় নেতিবাচক শক্তির শুদ্ধির প্রতীক । ২০২৫ সালে, নরক চতুর্থী ২০ অক্টোবর সোমবার পালিত হবে।

গোয়ায় নরক চতুর্দশী:

উপকূলীয় রাজ্যে, স্থানীয় সম্প্রদায়গুলি পুতল নামে পরিচিত রাক্ষস-রাজা নরকাসুরের বিশাল মূর্তি তৈরি করে এবং হাসি, আনন্দ এবং উৎসবের পরিবেশে তাকে দহন করে। এরপর পরিবারগুলি ভোরে তেল স্নানের জন্য বাড়িতে ফিরে আসে , যা শারীরিক এবং আধ্যাত্মিক উভয়ভাবেই অন্ধকার দূর করার প্রতীক। নরকা চতুর্থীতে এই ধরণের উদযাপন ভারতে কোথাও দেখা যায় না, যা গোয়ার নরকা চৌদাসকে একটি বিশেষ উৎসব করে তোলে।

বাংলায় কালীপূজা নরক চতুর্থীর সাথে কীভাবে সম্পর্কিত?

পশ্চিমবঙ্গে , নরক চতুর্থী কালী পূজার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সারিবদ্ধ , যা মা কালীর প্রতি ভক্তির একটি শক্তিশালী রাত , যিনি হলেন তীব্র অথচ করুণাময় মাতৃদেবী। কালী পূজা এবং ভূত চৌদ্দাস - বাংলায় নরক চতুর্থী ঐতিহ্যগতভাবে দেবী কালীর পূজার মাধ্যমে পালিত হয়। পরিবারগুলি শরীর থেকে নেতিবাচকতা, কুদৃষ্টি এবং অসুস্থতা দূর করার জন্য তেল এবং উবতান (ছোলার গুঁড়ো পেস্ট) প্রয়োগের সহজ আচারের জন্য একত্রিত হয়।

ঋতু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এটি বোঝা যায় যখন শরীর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় এবং অসুস্থতার ঝুঁকিতে পড়ে যায় যা শুদ্ধিকরণের মাধ্যমে দূর করা হয়। এটি লক্ষণীয় যে, কালিকা পুরাণ অনুসারে, হিন্দু দেবী কালীর উদ্দেশ্যে নিবেদিত পবিত্র গ্রন্থ , নরকাসুরকে মহাকালী দমন করেছিলেন।

দক্ষিণ ভারতে লক্ষ্মী ও কৃষ্ণের পূজা:

দক্ষিণ ভারতে , নরক চতুর্দশী বৃহত্তর দীপাবলি উৎসবের সাথে, বিশেষ করে লক্ষ্মী পূজা এবং কৃষ্ণ পূজার সাথে নির্বিঘ্নে মিশে যায় । ভক্তরা নরকাসুরের উপর ভগবান কৃষ্ণের বিজয়ের সম্মানে তাঁর কাছে প্রার্থনা করেন । কৃষ্ণ এবং বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে নিবেদিত মন্দিরগুলিতে বিশেষ পূজা এবং ভজন অনুষ্ঠিত হয় , যার পরে প্রায়শই প্রদীপ জ্বালানো হয় , কোলাম (রঙ্গোলি) দিয়ে ঘর সাজানো হয় এবং উৎসবের মিষ্টি ভাগাভাগি করা হয়। অনেক পরিবারে সমৃদ্ধি, শান্তি এবং পারিবারিক সম্প্রীতির জন্য দেবী লক্ষ্মীর পূজা করা হয় , যা এই উৎসবকে সম্পদ এবং অভ্যন্তরীণ প্রাচুর্যের স্বাগত জানানোর সাথে যুক্ত করে ।

নরক চতুর্দশীর গল্পটি একটি আকর্ষণীয় এবং শক্তিশালী গল্প যে কীভাবে অহংকার এবং মন্দের অস্তিত্ব থাকতে পারে না, এমনকি যদি তাদের মূলে একটি ঐশ্বরিক উপাদান (বিষ্ণু) থাকে। ভূদেবী এবং বরাহের পুত্র হিসেবে, নরকাসুর অসীম শক্তিশালী ছিলেন, কিন্তু তার উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে, তিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে তার নিজের মা (ভূদেবী যিনি সত্যভামা রূপে অবতারিত হন), তার ধর্মবিরোধী অপকর্মের অবসান ঘটান। এই নাটকীয় কিংবদন্তিটি ধর্মসুরির নরকাসুর বিজয় ব্যয়োগের মতো কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় সূত্রে লিপিবদ্ধ আছে ।

নরক চতুর্দশীর আধ্যাত্মিক বার্তা কী?

এই উৎসব আমাদের নিজেদের ভেতরের নরক (অভ্যন্তরীণ অন্ধকার) - ক্রোধ, লোভ, অহংকার - - এর মুখোমুখি হতে এবং আত্ম-সচেতনতা এবং ভক্তির আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে উৎসাহিত করে। এটি আমাদের সত্য, নম্রতা এবং আধ্যাত্মিক জাগরণের আলো উদযাপনের জন্য আমন্ত্রণ জানায়। কৃষ্ণের করুণাময় ন্যায়বিচার এবং সত্যভামার ধার্মিক সাহসকে স্মরণ করে, নরক চতুর্থী শাস্তির নয় - বরং মুক্তি, শুদ্ধিকরণ এবং আশার উৎসবে পরিণত হয় ।
#নরকচতুর্দশী🙏🙏🙏

19/10/2025

আশ্বিনে রাঁধে - কার্তিকে খায়🙏🌻🌻
বারো মাসে তেরো পার্বণের দেশ বাংলাদেশ। আশ্বিন মাসের শেষদিন ও কার্তিক মাসের প্রথম দিন ঘিরে বৃহত্তর চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচলিত আছে এমন এক পার্বনের, যার নাম জলবিষুব সংক্রান্তি।

শনিবার (১৮অক্টোবর) এই পার্বণ উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা করছেন অশ্বিনী কুমারের ব্রত। এই ব্রত ‘ব্রতের ভাতের পূজা’ নামেও পরিচিত।

সনাতনী ইতিহাস মতে, স্বর্গের চিকিৎসক অশ্বিনী কুমারদ্বয় সূর্যদেব ও সংজ্ঞা’র পুত্র। অভিশাপগ্রস্ত সংজ্ঞা জগজ্জননী পার্বতীর কাছে নিজের দুর্দশা থেকে মুক্তি চাইলে পার্বতী এক মুষ্টি চাল দিয়ে তাকে বলেছিলেন-আশ্বিন মাসের শেষ তারিখ পূর্বরাত্রে শেষ দিবস রেখে এই চাল ভক্তিপূর্বক রন্ধন শেষে মহাদেবের অর্চনা করতে হবে এবং কার্তিক মাসের ১ম দিবসে সেই অন্ন ভক্ষণে মনস্কামনা পূর্ণ হবে। সে নিয়ম মেনে রোগ ও অভিশাপমুক্ত হয়েছিলেন দেবী সংজ্ঞা।

অশ্বিনী কুমারদ্বয় হলেন- নাসত‍্য ও দস্র। ঋগ্বেদ এবং সংস্কৃত সাহিত‍্যেও অশ্বিনীকুমারদ্বয়ের নাম এসেছে। মহাভারতের আদিপর্বের পৌষ‍্যপর্বাধ‍্যায়ে উপমন‍্যোপাখ‍্যানে দেব-চিকিৎসক হিসাবে তাদের ভূমিকার কথা জানা যায়।

‘আশ্বিনে রাঁধে, কার্তিকে খায়
যেই বর মাগে, সেই বর পায়,

সনাতনী সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই প্রবচন। আশ্বিন সংক্রান্তির রাতে সারারাত জেগে বিশেষ খাবার তৈরি করেন বাড়ির নারীরা। এর মধ্যে অন্যতম গুড়মিশ্রিত নারিকেল। কার্তিকের সকালে সেই নারিকেল ও বাংলা কলা দিয়ে পূজায় নিবেদন করা পান্তা ভাত খাওয়া হয়।

নবযুগ পঞ্জিকা মতে, শুক্রবার পঞ্চমী তিথিতে সন্ধ্যায় অশ্বিনী কুমারদ্বয়ের পূজা শেষে রবিবার (১৯ অক্টোবর) ব্রতের ভাত খাওয়া হবে।

Anannya's Creation

29/10/2025

23/10/2025

21/10/2025

20/10/2025

19/10/2025

19/10/2025

Address

Telephone

Website

Alerts

Contact The Business

Shortcuts

Share

Category