Hyphen Social School

Hyphen Social School "A good school is the best script for a nation"----

Md. Salah Uddin Rubel

01/08/2025

আমি মাঝে মাঝে আমার neighbourhood school এ volunteer এর কাজ করি, এত চমৎকার লাগে আমেরিকার স্কুল, শিক্ষক, খেলার মাঠ, পড়ানোর ধরন। আমাদের দেশের বাচ্চাগুলোর ব‍্যাগভর্তি করে বই নিয়ে স্কুলে যাওয়া আর বড় ক্লাসের কোচিং সংস্কৃতির কথা ভেবে একটু মনও খারাপ হয়। এরা কত আনন্দ নিয়ে শেখে । আমার মনে আছে আমাদের স্কুলে শুধু একটা খেলার মাঠই ছিলো, খেলার কিছু ছিল না।শিক্ষকের ভয়ে তটস্থ, মুখস্থ বিদ‍্যা, বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়গুলোর ছিলো না কোন প্রাকটিক‍্যাল শেখার মাধ্যম, কি শিখেছি আর কি শিখি নাই মনে পরে না। নাহ, অনুযোগ না, কিছুটা আফসোস হয় একই পৃথিবীর ভিতরে মনে হয় ভিন্ন দুই গ্রহ।

আমেরিকার স্কুলগুলোতে প্রায় তিন মাসের একটি দীর্ঘ সামার ব্রেক থাকে, যা অনেকের কাছেই অবাক লাগতে পারে, বিশেষ করে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে। আমেরিকার স্কুলগুলো এই দীর্ঘ ছুটিকে দেখে রিকভারি টাইম হিসেবে। শুধু পড়াশোনা থেকে নয়, মানসিক ও সামাজিকভাবে শিশুদের পুনরুজ্জীবিত হওয়ার একটা সুযোগ হিসেবেও।

এই ছুটির সময়টা আমেরিকান শিশুরা নানা রকম সৃজনশীল কাজে অংশ নেয় যেমন ক্যাম্পে যায়, পরিবার নিয়ে ট্রাভেল করে, খেলাধুলা, আর্ট, মিউজিক, কিংবা পার্ট-টাইম জবও করে। এতে তারা কেবল ক্লাসরুম ভিত্তিক শিক্ষা নয়, বরং জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষা পায়।

এখানে আরো দেখি ছোট ছোট বাচ্চারা নিজের হাতেই খাবার খাচ্ছে, নিজের ব্যাগ গোছাচ্ছে, লাঞ্চবক্স খুলে খাচ্ছে, খাওয়ার পরে ময়লা ফেলার ডাস্টবিনে গিয়ে জিনিস ফেলে আসছে। কাউকে বলার দরকার হয় না।খুদে খুদে বাচ্চারা কাজ গুলো করে এক বড় বড় ভাব নিয়ে যখন হাটে, দেখতেও ভারি ভালো লাগে। ওদের self eateem এভাবেই গড়ে ওঠে। আমাদের ক্লাস 9/10 এর অনেক বাবু!দের মায়েরা খাইয়ে দেয় (আমিও খাইছি মায়ের হাতে বুড়া বয়সে) এসব এখানে চিন্তাই করা যায় না!

আমেরিকান শিক্ষা ব্যাবস্থায় শিশুর ‍mental health টা যেমন গুরুত্ব দেয়, ব্যক্তিত্ব গঠনের সুযোগ করে দেয়, ভদ্রতা শিখায়, আত্মনির্ভরশীল করে, সোসাল স্কিল বাড়ায়, এরা শুধুমাত্র লেখাপড়া শিখায় না। বাংলাদেশেও যদি শিক্ষার্থীদের চাপ কিছুটা কমিয়ে, ওদের শৈশবটাকে একটু উপভোগ করতে দিত, একটু ব্রেক পেত বাচ্চাগুলো, একটু life skill বা social skill শেখানো হত, তাহলে হয়তো আমরা আরো ব্যালান্সড, হ্যাপি এবং আত্মবিশ্বাসী নতুন প্রজন্ম পেতাম।

শিশুরা জন্ম নেয় ভালোবাসা আর আনন্দ নিয়ে বেড়ে ওঠার জন্য, প্রতিযোগিতার বোঝা টানার জন্য নয়। তাই প্যারেন্টদের বলবো, শুধু ক্লাসে ফার্স্ট-সেকেন্ড হওয়ার দৌড়ে নামিয়ে দিয়ে তাদের শৈশবটাকে কঠিন করে তুলবেন না। ভালো রেজাল্ট নয়, ভালো মানুষ হওয়াটাই যেন হয় আমাদের মূল লক্ষ্য।

Sajia Tonny

19/11/2024

শিক্ষকরা কী ছাত্রদের ভবিষ্যৎ দেখতে পান?

একটা ভিডিও ক্লিপ দেখলাম, খুব সম্ভবত ভারতের তামিলনাড়ু কিংবা কেরালার হবে। ১৯৯০ সালের এইচএসসি ব্যাচের ছাত্র যারা এখন মধ্যবয়সী, নিজ নিজ পেশায় প্রতিষ্ঠিত। এরকম ১৫ জন বন্ধু একসাথে মিলিত হয়ে তাদের সময়ের এক গণিত শিক্ষকের বাড়িতে হাজির হলেন। শিক্ষক ৯০ বছর বয়সী সুস্থ সবল বৃদ্ধ। নিজের একতলা সেই পুরাতন বাড়িতেই বসবাস করেন। গাছগাছালিতে ভরা সবুজের সমারোহ পুরো বাড়ি জুড়ে। তারা হৈ-হুল্লোড় করতে করতে ঢুকলেন। প্রিয় শিক্ষকের পা ছুঁয়ে সালাম করলেন। স্যারের ঘরে ঢুলেন, সেই প্রাচীন কাঠের আলমারি, বেতের সোফা, পুরাত খাট, ড্রইং রুম...সবই আগের মতো আছে। বন্ধুরা সবাই স্মৃতি কারত হলেন। সবার পরিচয় দিলেন। স্যার ৪ জনকে ছাড়া সবার নাম বলে দিলেন। ঐ চার জনের নাম মনে করতে পারলেননা, তবে তাদের 'আকাম-কুকাম' সব পই পই করে বললেন। ছাত্ররা আনন্দে হো হো করে হেসে উঠলো। বিস্তর আড্ডা চলছে। স্যার তো খুবই খুশি.... তোমরা এভাবে আমাকে মনে রেখেছ, আমি তো ভাবতেই পারছিনা! তোমরা পুলিশ অফিসার, ম্যাজিস্ট্রেট, ইঞ্জিনিয়ার, বড় বড় ব্যবসায়ী, কতো ব্যস্ত মানুষ...
এবার স্যার খানিক চিন্তিত হয়ে বললেন, আচ্ছা তোমাদের সাথে একটা ছেলে ছিলনা? খুবই অনিয়মিত ছিল....?
স্যার ওমুক? তমুক? কতো নাম...
স্যার বললেন, আর না রে বাবা! আরে...ঐ যে, যে নতুন নতুন নিয়মে অংক করতো! নিজে নিজে সূত্র আবিষ্কার করে আমাকে দেখাত ... আর বার বার ফেইল করতো?
ও.... স্যার! ওর নাম আন-ন্দ কুমার!
স্যার এবার বললেন, হ্যাঁ হ্যাঁ... আন-ন্দ, আন-ন্দ। ওর কি খবর? ওর সাথে যোগাযোগ হয় তোমাদের?
জি স্যার, ও তো এখন মস্ত বড় প্রফেসর! গণিতের নামকরা প্রফেসর। যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত নিয়ে ডক্টরেট করেছে!.... ও আপনার কথা মনে করে স্যার।

স্যার এবার হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন। এই কান্না আনন্দের কান্না, সফলতার কান্না, স্বপ্ন সফল হওয়ার কান্না...। এবার স্যার বললেন, আমি নিশ্চিত ছিলাম- এই ছেলে একদিন গণিতের. বিশেষজ্ঞ হবে। ও গণিতের রহস্য বুঝতো, গণিত নিয়ে খেলতো। তোমরা তো শুধু অংক করে যেতে কিন্তু ও অংক করতো না, অংককে ভেঙে চুরমার করতো।
বন্ধুদের একজন ফোন করে আন-ন্দের সাথে স্যারের কথা বলিয়ে দিলেন। আন-ন্দ বললেন- স্যার আমি জানতাম ওরা আপনার কাছে আজ যাবে।
অনেক আড্ডা হলো।

এবার ফেরার পালা। স্যারের হাতে একগাদা কাগজপত্র আর দুটি চাবি ধরিয়ে দিয়ে তারা বললো- স্যার, এই ফ্ল্যাটটিতে উঠে পড়ুন, চাইলে এখনি গিয়ে উঠতে পারবেন। ফার্নিচার দিয়ে রেডি করা আছে, আন-ন্দ সহ আমাদের ২০ বন্ধুর পক্ষ থেকে আপনার জন্য এই সামান্য উপহার। আপনার নামে এই ফ্ল্যাটটি কেনা হয়েছে..... স্যার ফেলফেল করে নির্বাক তাকিয়ে রইলেন আর আনন্দাশ্রু মুছলেন।
....
Masud Alam

05/11/2023

আগামী বছর থেকে ক্লাস নাইন-টেনে আলাদা কোন গ্রুপ থাকছে না। একটা যুক্তি দেখানো হয়েছে যে উন্নত অনেক দেশের হাইস্কুলে আলাদা কোন গ্রুপ নেই। এই যুক্তি ঠিক আছে। তবে উন্নত দেশের হাইস্কুলে যে আলাদা কোন গ্রুপ বিভাজন নেই—সেটার কারণগুলো কি আমরা ভেবেছি? হাইস্কুল পরবর্তী উন্নত দেশের শিক্ষায় সেটার প্রভাব কি—সেটা কি পর্যালোচনা করেছি?

আমেরিকার হাইস্কুলে (গ্রেড ৮ থেকে গ্রেড ১২) বিজ্ঞান, মানবিক, বানিজ‍্য এমন কোন গ্রুপ নেই। কিন্তু এই বিভাজন আমেরিকার উচ্চশিক্ষাতেও নেই। অর্থাৎ বিশ্ববিদ‍্যালয়েও ওদের স্টুডেন্টদেরকে কোন ডিপার্টমেন্টের সাথে “এরেঞ্জ রিলেশনশিপ” করে দেয়া হয় না। ওরা স্নাতক পর্যায়ে যেমন ইচ্ছে, তেমন কোর্সই করতে পারে।

১০-১২ টা সাবজেক্ট দিয়ে সারা আমেরিকার হাইস্কুল স্টুডেন্টদেরকে বেঁধে দেয়া হচ্ছে না। ওদের হাইস্কুলে কোন আলাদা গ্রুপ না থাকার কারণ হলো, স্টুডেন্টরা যেনো তাদের মেধা, ইন্টারেস্ট ও পারফর্মেন্স অনুযায়ী শিক্ষা নিতে পারে। যেমন, হাইস্কুলেই ফিজিক্স, কেমেস্ট্রি, বায়োলজির কয়েকটা কোর্স থাকে। অন‍্যান‍্য বিষয়ের বেলাতেও তাই।

একেবারে বেসিক কোর্সগুলো নিয়ে একটা স্টুডেন্ট নিজেদের আগ্রহকে যাচাই করে। যদি বেসিক কোর্সে ভালো করে এবং সে আগ্রহ পায়, তাহলে নেক্সট লেভেলের কোর্সটা করবে। দেখা যায় একটা সাবজেক্টেরই দুই-তিনটা লেভেলের কোর্স থাকে।

ওদের হাইস্কুলে, প্রত‍্যেকটা স্টুডেন্টের এডভাইজর (শিক্ষক) থাকে। একজন এডভাইজর একটা স্টুডেন্টের মনোযোগ, আগ্রহ, মেধা ও পার্ফমেন্স অনুযায়ী তাকে গাইড করে। কোন কোর্স নিতে হবে সে বিষয়ে পরামর্শ দেয়। যারা ভালো স্টুডেন্ট, আগ্রহী স্টুডেন্ট তারা হাইস্কুলে পড়াকালীন ইউনিভার্সিটির (কলেজের) কোর্স পর্যন্ত নিতে পারে।

হাইস্কুল ডিগ্রিও ওদের একাধিক ধরণের। জগতের সবাই তো একই গতিতে দৌঁড়াতে পারবে না—এটাই স্বাভাবিক। এটা মাথায় রেখেই ওদের ব‍্যবস্থাটা সাজানো। ভালোরা চাইলেই যেনো দ্রুত এগিয়ে যেতে পারে সে চিন্তাও ওরা করেছে। তা না হলে ভালোরা একঘেঁয়ামিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। আবার যারা তুলনামূলক কম ভালো, যাদের দৌঁড়ের গতি কম, তারা যেনো কিছু শিখে বের হয় সে ব‍্যবস্থাও আছে।

আমাদের দেশে যারা খুব ব্রিলিয়ান্ট, তারা কি চাইলেই এডভান্স কোর্স করে স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটি শেষ করতে পারে? —পারে না। কিন্তু আমাদের দেশেও তো অনেক ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট আছে। ৫% হলেও তো সংখ‍্যায় অনেক। তাহলে তাদের জন‍্য আমরা কি ব‍্যবস্থা রেখেছি?

একজন স্টুডেন্ট যেনো তার আগ্রহ, মেধা, যোগ‍্যতা অনুযায়ী শিক্ষাকে উপভোগ করতে পারে, এগিয়ে যেতে পারে, সেজন‍্যই ক্লাস এইট থেকে বিশ্ববিদ‍্যালয় পর্যন্ত আমেরিকা তাদের শিক্ষায় একটা উন্মুক্ত ব‍্যবস্থা করে রেখেছে।

স্কুলে বিভাগ বিভাজন থাকবে না, ঠিক আছে। কিন্তু ২০টা কোর্সের অপশন রাখেন। স্টুডেন্টরা যেনো তাদের যোগ‍্যতা অনুযায়ী কোর্স নিতে পারে, পড়তে পারে, শিখতে পারে—সেই ব‍্যবস্থা রাখেন। তা না হলে এই বিভাজন তুলে দিয়ে কি আদৌ লাভ হবে? ভালো হবে? একশো নম্বরের বিজ্ঞান বই পড়ে, কলেজে গিয়ে ৬০০ নম্বরের ফিজিক্স, কেমেস্ট্রি, বায়োলজি পড়তে গেলে, ওদের জন‍্য কি চাপ হবে না? ওরা কি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে না?

এই স্টুডেন্টগুলোই যখন কলেজে যাবে, তাদেরকে কি করে মানবিক, বিজ্ঞান ও বানিজ‍্য বিভাগ দেয়া হবে—সেটার কি পরিষ্কার ধারণা তৈরি করা আছ? উন্নত দেশের হাইস্কুল তো ৮-১২ শ্রেণী পর্যন্ত। আমাদের দেশে হাইস্কুল তো দশম শ্রেণী পর্যন্ত। বিষয়টা পুরোপুরি এক নয়। বিশ্ববিদ‍্যালয়ে যাওয়ার আগে উচ্চমাধ‍্যমিক দুটো বছর আলাদা করে পড়তে হয়।

উন্নত দেশের হাইস্কুল পাশ করে একটা স্টুডেন্ট চাইলে তার যোগ‍্যতা অনুযায়ী বিশ্ববিদ‍্যালয়ে যে কোন বিষয় পড়তে পারে। আমাদের দেশের একটা স্টুডেন্ট কি কলেজে মানবিক বিভাগ পড়ে ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে বায়োকেমেস্ট্রি পড়তে পারবে? সে তো ভর্তি পরীক্ষাই দিতে পারবে না। তাহলে স্কুলে গ্রুপ বিভাজন তুলে কি আদৌ লাভ হচ্ছে? ডাউন দ‍্যা রোড, বিভাজন তো থেকেই যাচ্ছে!

আমার চেয়ে বড়ো বড়ো পণ্ডিতরা নিশ্চয়ই এমন প্রশ্নগুলো করেছেন। ভেবেছেন। জানি না, তারা কি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। তারা যদি সম্মিলিতভাবে তাদের সিদ্ধান্তগুলোর পেছনে ভাবনাগুলো জাতীয়ভাবে তুলে ধরতেন, তাহলে আমরা সবাই জানতে পারতাম। তারা কি আদৌ সেটা করবেন?
…………………..
Alam

31/10/2023

ইংলিশ মিডিয়ামের নবম-দশম গ্রেডের বিজ্ঞানের সিলেবাস দেখুন। দেখবেন ওরা কতো এডভান্স লেভেলের ফিজিক্স, কেমেস্ট্রি, বায়োলজি ও ম‍্যাথ পড়ে।

পাশাপাশি আপনি বাংলা মিডিয়ামের নতুন কারিকুলামের নবম-দশম গ্রেডের বিজ্ঞানের বই দেখুন। তুলনা করুন।

কিছুদিন পর পর যারা কারিকুলাম বদলায়, তাদের বেশিরভাগের সন্তানরা পড়ে ইংলিশ মিডিয়ামে। সেসব স্টুডেন্টদের একটা বড়ো অংশ দেশে থাকবে না।

পাবলিক বিশ্ববিদ‍্যালয়ের বেশিরভাগ স্টুডেন্ট হলো বাংলা মিডিয়ামে পড়া।

তাদের বেশিরভাগ আসে গ্রাম থেকে। মফস্বল শহর থেকে। যারা স্কুলে ভালো শিক্ষক পায় না। কলেজে ভালো শিক্ষক পায় না।

এখন যদি সিলেবাসও দুর্বল থাকে, তাহলে কি হবে?

পাবলিক বিশ্ববিদ‍্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণার সংস্কৃতিটা আরো দুর্বল হবে। অনলাইন কোচিং সেন্টারে ব‍্যবসা ভালো হবে। বিশ্ববিদ‍্যালয় থেকে পাশ করে বের হয়ে, ২৪-২৫ বছরের স্টুডেন্টরা অনলাইন কোচিং সেন্টারে স্পোকেন ইংলিশ শিখবে। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন শিখবে? চাকরির ইন্টারভিউতে কিভাবে ড্রেস পড়বে, সেটা শিখবে।

কিন্তু রাষ্ট্রের কোন অভিভাবক ধমক দিয়ে বলবে না—স্কুল, কলেজে কি শিখাইছে তোদেরকে?

একই সময়ে, চীন, সিঙ্গাপুর, জাপানের স্টুডেন্টরা নবম-দশম গ্রেডে এডভান্স লেভেলের ফিজিক্স, কেমেস্ট্রি, বায়োলজি, ম‍্যাথমেটিক্স পড়বে। ঠিক একই গ্রেডের বাংলাদেশের স্টুডেন্টরা পরিবেশ দেখে দেখে খাতায় বর্ননা লিখবে। সেসব দেশের স্টুডেন্টরা যখন বড়ো বড়ো উদ্ভাবক হয়ে উঠবে, আমাদের ছেলে-মেয়েরা তখন বিদেশে শ্রমনির্ভর কাজ করবে। নয়তো দেশে সরকারি চাকরি নিয়ে পড়ে থাকবে।

তারচেয়ে বড়ো কথা, দেশের গলিতে গলিতে, গ্রামে গ্রামে কমিটি তো আছেই। ঘরে ঘরে অসংখ‍্য সহ-সভাপতি তৈরি হবে।
……………………
Alam

আমাদের ঘরে দুইজন বিজ্ঞানী আছেন। সাবা এবং সানিম। বিজ্ঞানী সাবা'র জন্মদিন ২৫ অক্টোবর। তাই জন্মদিন উপলক্ষে বাবা'র পক্ষ থেকে...
13/10/2023

আমাদের ঘরে দুইজন বিজ্ঞানী আছেন। সাবা এবং সানিম। বিজ্ঞানী সাবা'র জন্মদিন ২৫ অক্টোবর। তাই জন্মদিন উপলক্ষে বাবা'র পক্ষ থেকে মাইক্রোস্কোপ উপহার।

23/08/2023

বাচ্চাদের প্রথম বন্ডিং তৈরি হয় মায়ের সাথে, এরপর বাবা। এরপর পৃথিবীর এ, ও কিংবা সে।

ধরেন আপনার হাতে একটা কাজ আছে। আপনাকে ঘরে কাজটা কর‍তে হবে অথবা কাজটা করার জন্য বাচ্চাকে রেখে বাইরে যেতে হবে।

আপনি বাবুকে বুঝিয়ে কাজে ব্যস্ত হলেন বা বাইরে চলে গেলেন। আপনার বাচ্চা আপনাকে না পেয়ে কান্না শুরু করল। আবার যখন ফিরে এসে বা কাজ শেষে বাবুকে কোলে নিলেন সে কাদতে কাদতেই অভিযোগ করল। আপনি আবারও বুঝিয়ে বললেন (যত ছোট বাচ্চাই হোক সে আপনার এক্সপ্রেশন দেখে বুঝবে, এই গল্প আরেকদিন)।

এই বাচ্চা কান্না করলেও জানে যে আপনার সাথে তার সম্পর্ক ছেড়ার না।

এ যখন বড় হবে তার অন্য সম্পর্কগুলো একই রকম হবে। মান অভিমান থাকবে, অভিযোগ অনুযোগ থাকবে, আবার মধুর স্মৃতিও থাকবে।

আপনার কাজে আপনি চলে গেলেন। বাচ্চা কান্না করলে তাকে বকা দিয়ে গেলেন। ফিরে আসার পর কান্না করলে আবার বকা দিলেন।

আপনার এই বাচ্চা উদ্বিগ্ন হিসেবে বড় হবে। সে কোন সম্পর্কে ভরসা পাবে না। ভয় পাবে। সেই ভয় সে কিভাবে হ্যান্ডেল করবে তাও বুঝবে না। এই ভয় বুঝতে না দেয়ার জন্য সে এমন কোন রিয়েকশন দেখাবে যেটা হয়তো পরিস্থিতি আরো এলোমেলো করে দিতে পারে। আপনাকে বকতে পারে, চাই কি বড় হয়ে হাতও উঠাতে পারে।

বড় হয়ে অন্য সম্পর্কের বেলায় সে একই কাজ করবে। সম্পর্ক হারানোর ভয় সবসময় তার মধ্যে কাজ করতে থাকবে।

সবশেষে আসি, এভয়ডেন্টদের ব্যাপারে।

আপনার বাচ্চাকে আপনি কাজের আগে কিংবা পরে কোন রিয়্যাকশনই দিলেন না। আপনার বাচ্চা বুঝে যাবে আসলে সে যাই করুক কোন রিয়্যাকশন পাবে না। তখন সে আপনাকে আস্তে আস্তে রেসপন্স দেয়াই ছেড়ে দিবে। কারন সে বুঝে গেছে রিয়েক্ট করে কোন লাভ নেই। আপনি তাকে রেস্পন্স দিবেন না, তারই বা দিয়ে লাভ কি?

এদের ব্যাপারে একটা মন্তব্য দম বন্ধ হয়ে আসার মত।

এদের মুখের দিকে তাকালে হয়তো মনে হবে পৃথিবী এলোমেলো হয়ে গেলেও তাদের আর কিছু যায় আসে না কিন্তু ঠিক ঐ মুহুর্তে হার্টবিট মেপে দেখলে সারা পৃথিবী এলোমেলো হওয়া দুঃখ চেপে রাখার অনুভূতি বুঝতে পারা যায়।

অন্যদের সাথে সম্পর্কের বেলায়ও তারা নিজেদের আনন্দ, বেদনা লুকিয়েই রাখবে। যেন কোন কিছু হারানোর দুঃখ কিংবা পাওয়ার সুখ এ তার কিছু যায় আসে না।

সবকিছুর রেফারেন্স দিতে ভালো লাগে না।

শুধু জানতে ইচ্ছে করে, আপনি কোনজন?

বিঃদ্রঃ মূল লেখা আমার না, আমি ভাবানুবাদ করেছি মাত্র। আমার ভাবতে পারেন বিধায় রেফারেন্স যোগ করে দিচ্ছি। বাচ্চাদের ব্যাপারে যাদের আগ্রহ আছে বইটা পড়ে দেখতে পারেন। দৃষ্টিভংগী পরিবর্তন করে প্রভাবিত হওয়ার মত চমৎকার একটা বই।

Gopnik, A. (1996). The philosophical baby. New York:USA, Picador.

Chapter: Learning to love

Page: 181-185
: Nazia Binte Farhad

"আমি আমার জীবনে অনেক বই পড়েছি, কিন্তু সেগুলো থেকে অর্জিত বেশীরভাগ তথ্যই আমার এখন মনে নেই। তাহলে এত বই পড়ে আসলে আমার কি ল...
25/07/2023

"আমি আমার জীবনে অনেক বই পড়েছি, কিন্তু সেগুলো থেকে অর্জিত বেশীরভাগ তথ্যই আমার এখন মনে নেই। তাহলে এত বই পড়ে আসলে আমার কি লাভ হচ্ছে?" একজন ছাত্র তার শিক্ষককে ঠিক এই প্রশ্নটি একদিন জিজ্ঞেস করেছিল।
শিক্ষক এই ব্যাপারে মৌন ছিলেন, তিনি প্রথম দিন কোন উত্তর দিলেন না।
কিছুদিন পর নদীর ধারে সেই ছাত্র এবং শিক্ষকের মধ্যে একদিন দেখা হয়, শিক্ষক ছাত্রকে একটি ছিদ্রযুক্ত পাত্র দেখিয়ে বললো - "যাও, নদীর ধার থেকে পাত্রটি নিয়ে আমার জন্যে এক পাত্র পানি নিয়ে আসো", পাত্রটি সেখানে ময়লার মধ্যে মাটিতে পড়েছিল।
ছাত্রটি কিছুটা বিভ্রান্তিবোধ করলো, এটা অযৌক্তিক উপদেশ, একটা ছিদ্রযুক্ত পাত্র দিয়ে পানি নিয়ে আসা সম্ভব নয়, কিন্তু শিক্ষকের উপদেশ অমান্য করা যাবে না, তাই সে মাটি থেকে পাত্রটি তুলে নিয়ে নদীর ধারে ছুটে গেল পানি নিয়ে আসার জন্যে।
পাত্র ভর্তি করে সে পানি নিয়ে উপরে উঠে এলো, কিন্তু বেশি দূর যেতে পারলো না, কয়েকটা কদম দেওয়ার সাথে সাথেই পানিগুলো সব ছিদ্র দিয়ে নিছে পড়ে গেল।
সে আরও কয়েকবার চেষ্টা করলো, কিন্তু সে ব্যার্থ হলো এবং হতাশাবোধ করলো।
এভাবে আরও কয়েকবার চেষ্টা করার পরেও সে পানি নিয়ে পৌঁছাতে পারলো না, সে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ল।
তারপর সে শিক্ষকের নিকট ফিরে গিয়ে বললো - "আমি ব্যর্থ হয়েছি, আমি এই পাত্রটিতে পানি নিয়ে আসতে পারবো না, এটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, আমাকে ক্ষমা করুন।"
ছাত্রের কথা শুনে শিক্ষক কোমল একটি হাসি দিলেন এবং ছাত্রকে উদ্দ্যেশ্য করে তিনি বললেন - "না, তুমি ব্যর্থ হওনি। পাত্রটির দিকে তাকিয়ে দেখ, এটি এখন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, একদম নতুন একটি পাত্রের মত দেখাচ্ছে। ছিদ্রগুলো দিয়ে যতবারই পানি পড়েছে ততবারই পাত্রটির মধ্যে থাকা ময়লাগুলো পরিষ্কার হয়ে বের হয়ে গিয়েছে। যখন তুমি কোন বই পড় তখন তোমার সাথে একই ব্যাপার ঘটে, তোমার ব্রেইন হচ্ছে একটি ছিদ্রযুক্ত পাত্রের মত, আর বইয়ের মধ্যে থাকা তথ্যগুলো হচ্ছে পানির মত। তাই যখন তুমি কোন বই পড় এর সব কিছু মনে রাখতে পারো না। কিন্তু তুমি একটা বই পড়ে এর সবগুলো তথ্য মনে রাখতে পারলে কিনা সেটা তেমন গুরুত্বপূর্ন কোন বিষয় না। কারণ বই পড়ে তুমি যেসব ধারণা, জ্ঞান, আবেগ, অনুভূতি, উপলব্দি এবং সত্য খুঁজে পাও সেগুলো তোমার মনকে পরিষ্কার করে, যতবার তুমি একটি বই পড়ে শেষ কর ততবার তোমার আধ্যাত্মিক রূপান্তর ঘটে, প্রতিবার তোমার পুনর্জন্ম হয়, ফলে তুমি আরও বিশুদ্ধ একজন মানুষে পরিণত হও। এটাই হচ্ছে বই পড়ার মূল উদ্দেশ্য।"
হ্যাপি রিডিং...।

সংগৃহীত

12/07/2023

সন্তান অভিমান করে ভাবে, বাবা-মা ভুল।
লজিক বলে, সন্তানের এমন ধারণা সঠিক।
কীভাবে?
‘অভিমান’ শব্দটা যখন থাকে, তখন ভেবে নেওয়া যায় সন্তানের চিন্তাটা আবেগীয়। লজিক্যাল নয়। আবেগ এবং লজিক মস্তিষ্কের পাশাপাশি দুটো সুইচ। এর যেকোন একটা অন থাকলে অন্যটা অফ থাকবে। তাই অভিমান অবস্থায় সন্তান যদি ভাবে বাবা-মা ভুল, সেটা আবেগের দিক থেকে সঠিক। কিন্তু লজিক্যালি ভুল।

সন্তানের মস্তিষ্ক আর বাবা-মার মস্তিষ্ক এক নয়। বাবা মা বয়সে বড়। তাদের নিউরনভর্তি অভিজ্ঞতা। জীবনের নানা বাঁকে বিভিন্ন পরিস্থির ফলাফল দেখে আসা, পোড় খাওয়া মানুষ। সন্তানের ব্যাপারে তারা প্রতিটা সিদ্ধান্তই অতীতের বাস্তব ঘটনাগুলোর ফ্রেমে ফেলে একটা যৌক্তিক সিদ্ধান্তে আসে। এই সিদ্ধান্ত ভুল হবার সম্ভাবনা কম। তবে নির্ভুল হবে তা বলছি না।

যৌক্তিক সিদ্ধান্ত সন্তানকে কখনোই বিপদে ফেলে না। যুক্তি যেহেতু শেষকথা নয়, তাই সিস্টেম-লসের মত দুয়েকটা সিদ্ধান্ত ভুল হয়েও যায়।

সন্তানের বয়স অল্প।
লজিকের চেয়ে আবেগ বেশি কাজ করে। লজিকের সুইচ চালু হতেও একটা সময় লাগে। অভিজ্ঞতা বাড়তে হয়। এই সময়টা সিদ্ধান্তগুলো বাবা-মার দিক থেকে আসা ভালো। সন্তানের একমাত্র দায়িত্ব হল পারিবারিক সংবিধান হিসেবে একটা বাক্য পাঠ করা
-বাবা-মা সঠিক। তারা ভুল করতেই পারে না।

ছাগলের বাচ্চা ছাগলের মায়ের সাথে থাকে সর্বোচ্চ ছয়মাস। এরপর দূরত্ব বাড়ে। মা-ছাগল গর্ভবতী হলে তার নিউরণ থেকে প্রথম সন্তানের জন্মের অভিজ্ঞতা, স্মৃতি, সন্তানের মুখচ্ছবি মুছে যায়। একইসাথে সন্তানের মাথা থেকেও মায়ের ছবি, শৈশব মুছে যায়। একইঘরে থাকলেও তারা পরস্পরকে চেনে না। এই একটি কারণেই প্রাণিরা স্বভাবে অসভ্য। বয়োঃপ্রাপ্তির সাথেসাথেই তাই ছাগলেরা মায়ের পীঠে চড়ে।

মানুষ এখানে অনন্য।
তাদের নিউরণ একবার স্মৃতি জমাতে শুরু করলে সেটা আর মুছে ফেলে না। স্মৃতির পরিমান বাড়লে আগেরগুলো অস্পষ্ট হয়ে যায়, ঢাকা পড়ে কিন্তু পরিস্থিতি তৈরি হলে পুরোনো স্মৃতিরা আবার চোখের সামনে উঠে আসে।
মস্তিষ্কের এই একটা ক্ষমতার জন্যই মা কখনো সন্তানকে ভুলে যায়না। সন্তানও কখনো মাকে ভুলতে পারে না। তারা সুদীর্ঘ জীবন পাশাপাশি কাটিয়ে দেয়। দীর্ঘজীবন পারস্পারিক মায়া বাড়ায়। কম্পাউন্ড ইন্টারেস্টের মত। তাই শেষদিনেও বাবা-মা নিজের জন্য ভুল সিদ্ধান্ত নিলেও সন্তানের জন্য শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্তটাই বেছে নেয়।

সন্তান যেহেতু বাবা-মাকে পেটে ধারণ করে না, তাই তাদের মাতৃ বা পিতৃপ্রেম কখনোই বাবা-মায়ের পর্যায়ে যেতে পারে না। সন্তান নিজের জন্য ভুল সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। এমনকী বাবা-মার ব্যাপারে সিদ্ধান্তগুলোও তারা বেশিরভাগ সময় ভুলভাবে নেয়।

একটা বিখ্যাত কথা আছে।
''যখন তুমি বুঝে ফেলবে তোমার বাবা-মা সঠিক ছিল, ততদিনে তুমি নিজেই সন্তানের বাবা হয়েছ।''

তবুও অনেক সন্তানের জীবন পিতামাতার ভুল সিদ্ধান্তের জন্য দুর্বিষহ হয়ে যায়। কেন?
নানাবিধ ফ্যাক্টর।

আর্থিক অনটন, পিতামাতার সাইকোলজিক্যাল ডিজর্ডার (অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজর্ডার), ম্যানিয়াক পিতামাতা থাকলে পরস্থিতি স্বাভাবিক নিয়মে কাজ করবে না। ভাঙ্গা রাস্তায় গাড়ি কখনোই সরলরেখায় যাবে না। পিছলে একদুইবার খাঁদে পড়তেও পারে। এখানে পিতামাতা ভাঙ্গা রাস্তা। সন্তানরা খাঁদে পড়ে থাকা, উল্টে যাওয়া গাড়ি।

: ডা. রাজীব হোসাইন সরকার

11/06/2023

টক্সিক মানুষগুলোকে কখনো তোমার ক্ষমতা জাজ করার সুযোগ দেবে না।

ক্লাস সেভেন পড়ি তখন। গ্রামের এক লোক আমাকে একদিন রাস্তায় পেয়ে বসলো।

স্কুলের বাচ্চাদের হুটহাট থামিয়ে প্রশ্ন করাতে উনি খুব ওস্তাদ ছিলেন। সেদিন ছিলো আমার পালা।

উনি আমাকে থামাতেই লজ্জা, সংকোচ, দ্বিধায় আমি কাঁচুমাচু হয়ে গেছি। আমার ভিতরে আমি নেই। মুহূর্তে মনে হলো কেউ আমাকে প্রচণ্ড জোরে চেপে ধরেছে।

তুমি শহিদ ভাইয়ের ছেলে না?
জ্বি কাকা!
কোন ক্লাসে পড়ো তুমি?
জ্বি, ক্লাস সেভেনে।
ওহ, সেভেনে পড়ো। দারুণ তো!
ইংরেজিতে সেভেন বানান করো তো?
জ্বি, S-a-v-e-n!
নো ভাতিজা, নো! তুমি ক্লাস সেভেন পড়ে, সেভেন বানানটাই পারো না! কি করবে তুমি ভবিষ‍্যতে?

এভাবে আরো কতোগুলো কথা শুনিয়ে দিলেন।

আমার নিজের উপর নিজের খুবই ঘৃণা হলো তখন। সেভেন বানানটাই ভুল করলাম। বানানটা আমি পাড়ি। কিন্তু ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে গেছি। মুখ দিয়ে ভুলটাই বের হলো। ভীতির মধ‍্যে কখনো সঠিকটা মুখ দিয়ে আসে না।

যাই হোক, সেভেন বানান করতে না পেরেও জীবনের অনেক পথ পাড়ি দিয়েছি। জীবনে হয়তো তেমন কিছুই করতে পারিনি, কিন্তু আটকে থাকিনি।

এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে জীবনে। অনেক মানুষ, এমনকি শিক্ষকরাও সময়ে-সুযোগে অনেক নিরুৎসাহিত করেছেন। নিজেকে ভেঙ্গে দিতে চেয়েছেন। নিজের স্কুলের শিক্ষক মুখের উপর বলেছেন—পিএইচডি করে কি হবে? চাকরি নাই! ভদ্র বলে সবসময় মুখ বন্ধ করে চুপ থেকে কেটে পরেছি।

অথচ দেখেছি, জীবন অনেক সুন্দর। অনেক সম্ভাবনার। অনেক গভীর। কারো কথায়, কারো জাজমেন্টে, কারো অযাচিত বিচারে জীবন আটকে থাকে না। আটকে রেখো না।

মানুষ তোমাকে মাপতে পারবে না। তারা সবসময়ই ভুলভাবে মাপবে।

আর তুমি পারবে মানুষকে বিস্মিত করে দিতে। সে বিস্ময়ে তারা জ্বলে পুড়ে মরবে।
……………………
Rauful Alam

কেমন_বাবা_মা_আপনি? একটি শিশুকে জন্মের পর একটি শব্দহীন ঘরে একটানা ৫ বছর রেখে দিন। অথবা কেউই তার সাথে ৫ বছর কথা না বলুন দে...
24/05/2023

কেমন_বাবা_মা_আপনি?

একটি শিশুকে জন্মের পর একটি শব্দহীন ঘরে একটানা ৫ বছর রেখে দিন। অথবা কেউই তার সাথে ৫ বছর কথা না বলুন দেখবেন সে কখনোই আর কথা বলতে পারবে না। নৈঃশব্দতাই তখন তার ভাষা হয়ে দাঁড়াবে। অথবা তার চারপাশটায় কিছু বিড়াল বা অন্যকোন প্রাণী রেখে দিন দেখবেন আপনার বাচ্চাটা ও বিড়ালের মতো মিউ মিউ করছে বা ঐ প্রাণীটার মতো করে শব্দ করছে। ভাষা এবং অভ্যাস মারাত্মক ছোঁয়াচে। আপনি নবজাতকের সামনে যে ভাষা বা শব্দ ব্যবহার করবেন আপনার বাচ্চাটা ও তেমন শব্দে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে।

জন্ম দিয়েই বাবা-মা হয়ে গেলেন বিষয়টা তেমন না। আজকে জন্ম দিয়ে ১৮ বছর পর্যন্ত একজনকে অপেক্ষা করতে হয় যে তিনি আদৌ বাবা বা মা হতে পারলেন কি না ( ব্যক্তিগত মতামত)। আমি মনে করি বাবা- মা হতে হয় একটা চর্চার মধ্য দিয়ে।

আজকাল নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে অনেকেই ছোট ছোট বাচ্চাদের ধমক দেই এবং মারামারি করি। এটা যে বাচ্চাদের মানসিক বিকাশে কতোটা অন্তরায় তা ৫ বছর পর বুঝতে পারবেন।

আমি চাকরি করি আমার সময় নাই। ও দুষ্টুর হাড্ডি হয়ে গেছে। এসব গান্দা বুলি বন্ধ করেন। বাচ্চাদের সময় দিন। গল্প করুন। বই পড়ে শুনান। প্রথম বর্ণ টা শিখুক আপনার কাছ থেকেই। আপনার সন্তান আপনার আয়না। আপনার সন্তানকে দেখেই একজন বুঝবে যে বিগত বছর ধরে এই বাচ্চাটা কি কি আচরণ বা অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বড় হয়েছে। আমি আবারো বলছি ভাষা এবং অভ্যাস মারাত্মক ছোঁয়াচে। মনে রাখবেন সময় গেলে সাধন হবে না।

রুবেল মুহাম্মদ

বাবাকে বই পড়তে দেখে মেয়ে ও তার পছন্দের গল্পের বই পড়তে শুরু করে দিলো। ভাবছেন এই দৃশ্যটা  একদিনেই তৈরী হয়েছে? না মোটেও না।...
19/05/2023

বাবাকে বই পড়তে দেখে মেয়ে ও তার পছন্দের গল্পের বই পড়তে শুরু করে দিলো। ভাবছেন এই দৃশ্যটা একদিনেই তৈরী হয়েছে? না মোটেও না। ওর বয়স যখন সবে মাত্র ৩ বছর। ভালো করে স্বরবর্ণ ই জানে না। তখনো আমার মনে আছে একবছরেই ওর জন্য আমি কয়েক হাজার টাকার বই কিনে দিয়েছি। জন্মের পর থেকেই ও দেখতো ওর মা বই পড়ছে। বাবার ব্যাগ ভর্তি বই। ওর ছোট ফুফু ও বই পড়ে। কবিতা লিখে।

ছোটবেলা থেকেই সাবা সেলফ ভর্তি বই দেখে বড় হচ্ছে। ওর জন্মের পর এমন কোন মাস নেই যে মাসে আমি বই কিনেনি। এমন কি ঐ কভিডের সময় ও!

আমার ওয়াইফ আমাকে বলতো এই বইটা পড়েছি কি না ঐ বইটা পড়েছি কিনা। আমিও একই প্রশ্ন করতাম। আমাদের বালিশের পাশে, চেয়ারে, ফ্লোরে সর্বত্র বই ছড়িয়ে থাকে। কথাগুলো ফুটানি দেখাতে বলছি না।

যেহেতু চাইল্ড এডুকেশন নিয়ে কাজ করছি। তাই এই ম্যাসেজটা সকল অভিভাবকের জন্য।

দিন শেষে কিছুই থাকে না। শুধু বই থাকে। তাই আপনার বাচ্চাকে মাসে একটি হলে ও বই কিনে দিন। কতো ই বা দাম বলেন? ১০০ বা ১৫০? আপনি ও পড়া শুরু করুন। দেখবেন দেখতে দেখতে সুন্দর একটা লাইব্রেরী দাঁড়িয়ে গেছে আপনার ঘরে। আমি বিশ্বাস করি যে ঘরে শিশুরা বইয়ের গন্ধ শুঁকে বড় হয় তারা বিশ্ব জয় করে।

"পরিবারই হোক একটি শিশুর প্রথম বিদ্যালয়"

রুবেল মুহাম্মদ

Address

CRP Savar
Savar
1340

Telephone

+8801720092290

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Hyphen Social School posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Hyphen Social School:

Share

We create thinkers

Hyphen aims to create a kids friendly society by educating the parents about parenting in Bangladesh. It mainly focuses in building kids’ morality, honesty, cognitive skills and emotional intelligence since early childhood through play and fun by parents. Hyphen believes that a good kid is like a good seed which one day will be a big tree having various fruits, flowers and shade. That’s why a group young people are trying out to build each house of Bangladesh as a first school of the kids that ensures a colorful and amazing childhood for the kids. Hyphen hopes one day Bangladesh will be the fertile land for producing thinker.