গ্রামীণ কৃষি

গ্রামীণ কৃষি আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে এই
পেইজটি অনুসরণ করুন।

কলম প্রধানত দুই ধরনের: লেখার জন্য ব্যবহৃত 'লেখনী' এবং উদ্ভিদের বংশবিস্তারের জন্য ব্যবহৃত 'কৃত্রিম কলম'। লেখার কলমগুলোর ম...
28/11/2025

কলম প্রধানত দুই ধরনের: লেখার জন্য ব্যবহৃত 'লেখনী' এবং উদ্ভিদের বংশবিস্তারের জন্য ব্যবহৃত 'কৃত্রিম কলম'। লেখার কলমগুলোর মধ্যে বলপয়েন্ট, ঝর্ণা কলম, জেল কলম উল্লেখযোগ্য, এবং উদ্ভিদ কলমের মধ্যে দাবা কলম, ছেদ কলম, জোড় কলম এবং গুটি কলম প্রধান প্রকারভেদ।
লেখার কলম
এগুলো কালি ব্যবহার করে কাগজে লেখার জন্য ব্যবহৃত হয়।
বলপয়েন্ট কলম: সবচেয়ে পরিচিত এবং বহুল ব্যবহৃত কলম।
ঝর্ণা কলম (ফাউন্টেন পেন): কালি ধারণকারী একটি কলম যা লেখার জন্য একটি নিবের ব্যবহার করে।
জেল কলম: মসৃণ এবং উজ্জ্বল কালির জন্য পরিচিত।
রোলারবল কলম: জেল-ভিত্তিক বা জল-ভিত্তিক কালি ব্যবহার করে।
ফেল্ট-টিপ কলম: একটি অনুভূত-টিপযুক্ত কলম, যা সাধারণত চিহ্নিতকরণ বা লেখার জন্য ব্যবহৃত হয়।
উদ্ভিদ কলম
এগুলো কৃত্রিম উপায়ে একটি গাছের অংশ অন্য গাছের সাথে জুড়ে দিয়ে বংশবৃদ্ধি করার পদ্ধতি।
দাবা কলম: শাখা কলমের একটি ধরন।
ছেদ কলম: মাতৃগাছ থেকে শাখা, পাতা ইত্যাদি কেটে নতুন চারা তৈরি করা হয়।
জোড় কলম: দুটি ভিন্ন উদ্ভিদের অংশকে একসাথে জোড়া লাগানো হয়।
গুটি কলম: একটি গাছের ডাল থেকে একটি কলমকে কেটে অন্য একটি গাছের কাণ্ডে জুড়ে দেওয়া হয়।
অন্যান্য: এছাড়াও, যৌগিক দাবা কলম, পরিখা দাবা কলম, এবং ঢিবি দাবা কলম-এর মতো বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে।


11/08/2025


ছাদ বাগানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ  ১২ টি টিপসছাদ বাগানীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। টবে, ড্রামে গাছ লাগানো হয়। কেউ ফল, কেউবা সব...
30/07/2025

ছাদ বাগানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ১২ টি টিপস

ছাদ বাগানীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। টবে, ড্রামে গাছ লাগানো হয়। কেউ ফল, কেউবা সবজির গাছ লাগান। কেউ সফল হন। কেউ সফল হন না। ছোট ছোট কিছু ভুল বাগানীরা করে থাকেন। সে কারণে যত্ন নিলেও ফল আসে না। এখানে ছাদ বাগানীদের জন্য কিছু টিপস দেয়া হলো, যা মানলে সফলতা পাওয়া সহজ হতে পারে।

প্রথমেই মনে রাখতে হবে, টবে বা ড্রামে গাছ লাগালে তাকে খাবার দিতে হবে। প্রকৃতিতে বিদ্যমান গাছের মতো সে খাবার সংগ্রহ করতে পারে না। রোগ-বালাই হলো কিনা সেটাও বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে। ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে।

🔷১. মাটির সাথে অবশ্যই কিছু কোকোপিট মেশাবেন। গাছের গোড়া স্যাতস্যাতে হতে দিবেন না। স্যাতস্যাতে হলে অসংখ্য রোগ হবে। মাটি ভেজা থাকবে তবে স্যাতস্যাতে না। কেকোপিট মেশালে পানি কম দিলেও হবে। কোকোপিট (নারকেলের ছোবলার গুড়া) পানি ধরে রাখে। অতি বৃষ্টি হলে গোড়ায় পানি জমতে দেয় না। হালকা হওয়ায় ছাদে ওজনের চাপ পড়ে না। এছাড়া কোকোপিটে কিছু পুষ্টি উপাদান আছে। যা গাছের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কোকোপিটে চারা দ্রুত গজায়, বড় হয়। মাটির চেয়ে কোকোপিটে চারা ভালো হয়।

🔷২. গাছের জন্য বিরিয়ানি হলো সরিষার খৈল-পচা পানি। মাটির হাড়িতে খৈল পচাতে হবে। কমপক্ষে ৫ দিন। ৭ দিন কিংবা বা ১৫ দিন হলে উত্তম। অল্প পানিতে পচিয়ে তার সাথে আরো পানি মিশিয়ে দিতে হবে। এটি গাছের জন্য অত্যন্ত উপকারী। একটু গন্ধ হয়, তাই অল্প একটু গুড় দিতে পারেন। ছাদে হাড়িতে পচালে বাসায় গন্ধ আসবে না। বৃষ্টির সময় খৈল-পচা পানি দেবেন না। পুকুরের নিচে থাকা পাক কাদা গাছের জন্য খুব উপকারী।

🔷৩. আমরা জানি, মাটিতে অসংখ্য ক্ষতিকর ছত্রাক থাকে। যা গাছকে মেরে ফেলার জন্য যথেস্ট। তাই মাটি রেডি করার সময় কিছুটা বায়োডামা সলিট দিবেন। এটি উপকারী ছত্রাক। মাটিতে ক্ষতিকারক উপাদানগুলো মেরে ফেলে। আবার জৈব সারের কাজও করে। গাছের জন্য মাটি হবে ঝুরঝুরে, হালকা।

🔷৪. যাই লাগান না কেন, ভালো জাতের বীজ কিনা নিশ্চিত হয়ে নেবেন। ভালো বীজে ভালো ফসল হবে। নতুবা যতই যত্ন নেন না কেন, সব পরিশ্রম বেলাশেষে জলে যাবে। বীজ থেকে নিজে চারা করা উত্তম। কারণ বাজার থেকে যে চারা কিনবেন সেটার জাত ভালো হবে সে নিশ্চয়তা কোথায়? ছত্রাকনাশক দিয়ে বীজ শোধন করে নেয়া উত্তম। পদ্ধতি হলো- ছত্রাকনাশক দেয়া পানিতে কিছুটা সময় বীজ ভিজিয়ে রাখতে হবে। ম্যানসার, মেটারিল দুটি ছত্রাকনাশক।

🔷৫. গাছ বেশি তো ফলন বেশি- এটি ভুল ধারণা। অল্প জায়গায় বেশি গাছ লাগানো যাবে না। গাছ পাতলা করে লাগাতে হবে। বেশি লাগালে গাছ প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে না। একটি ফলের ক্রেটে মাত্র দুটি গাছ। একটি টবে একটি গাছ। ক্রেট বা টবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

🔷৬. ছাদে মাচা দেয়া সমস্যা। কারণ ঘুঁটি থাকে না। এ জন্য ফলের ক্রেটের চারপাশে লাঠি বেঁধে সহজে মাচা দেয়া যায়। লতাপাতা জাতীয় গাছ লাগানোর পাত্র একটু গভীর হলে উত্তম। গাছের জন্য সবচেয়ে বেশি ভালো জৈব সার হলো পাতা-পচা সার, তারপর ভার্মি কম্পোস্ট, তারপর গোবর সার। পাতা-পচা সার সহজলভ্য নয়। দাম বেশি। কিন্তু ভার্মি কম্পোস্ট সহজলভ্য। মাটির সঙ্গে মিনিমাম ৪০% জৈব সার দেয়া উত্তম।

🔷৭. নিম কীটনাশককে ক্ষতিকারক পোকা-মাকড় খুব অপছন্দ করে। এটি দিলে তারা বিরক্ত বোধ করে। গাছে বাসা বাঁধতে পারে না। প্রতি সাত দিনে একবার সব গাছের পাতায় নিম কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। মাসে একবার ইপসম সল্ট স্প্রে করে দেয়া উত্তম। একইভাবে মাসে একবার পানির সঙ্গে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মিশিয়ে স্প্রে করা ভালো।

🔷৮. ডাটা, পুইশাক, লালশাক, ধনেপাতা এসব লাগাতে পারেন। মাত্র ২৫ দিনে খেতে পারবেন। লালশাক লাগালে নেট দিয়ে ঘিরে দেবেন। শাকপাতা লাগালে দ্রুত আউটপুট পাবেন। যা আপনাকে প্রেরণা দেবে। পুইশাক গাছের পাতায় দাগ হলে পাতা কেটে দিন। অথবা ছত্রাকনাশক স্প্রে করেন। অথবা গাছ উঠিয়ে আবার লাগান। ইউরিয়া সার দিলে পুইশাক দ্রুত বাড়বে। শশা গাছের বৃদ্বির জন্য ডিএপি সার দিলে ভালো হবে। শশা গাছে ছাড়া ছাড়া ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয়। খুব রোদ, গাছের গোড়ায় মালচিং করে দিয়ে উত্তম ফল মিলবে। মালচিং হলো গাছের গোড়ায় বিশেষ পলিথিন কিংবা শুকনো পাতা, খড় দিয়ে ঢেকে দেয়া।

🔷৯. ফুল আসার পরে প্রানোফিক্স অথবা মিরাকুরান গাছের পাতায় শেষ বিকালে স্প্রে করবেন। বাসায় দুইটি গ্রুপের ছত্রাকনাশক রাখা ভালো। যেমন- ম্যানসার, মেটারিল। ১৫ দিনে একবার স্প্রে করবেন। এগরোমিন্ড গোল্ড অনুখাদ্য বা অন্য কোনো অনুখাদ্য বাসায় রাখতে হবে। মাসে কমপক্ষে একবার স্প্রে করবেন। অতিরিক্ত গরম, বৃষ্টি, খাদ্যের অভাব, গাছ রোগাক্রান্ত, আবহাওয়া দ্রুত আপডাউন করা ইত্যাদি কারণে ফুল ঝরে পড়তে পারে। আবার পরাগায়ন না হলে ঝরে পড়তে পারে। এ জন্য হাতের মাধ্যমে পরাগায়ন করতে হবে। পুরুষ ফুলের পরাগদণ্ড নারী ফুলে গর্ভে ঘষে দিতে হবে।

🔷১০. ছাদ বাগানে গাছ মারা যাওয়ার অন্যতম কারণ পানি বেশি বা কম দেয়া। যতটুকু লাগে ঠিক ততটুকু পানি দিতে হবে। কোন গাছের কি চাহিদা, রোগ একটু স্টাডি করলে সহজে সফল হতে পারবেন।

🔷১১. গাছের পাতার নিচে খেয়াল করবেন। বেগুন গাছের পোকা মারার জন্য সেক্স ফোরেমান ফাঁদ লাগাবেন। ডগা ছিদ্র বা ফল ছিদ্র হলে সাইপারমেত্রিন গ্রুপের কীটনাশক দিতে হবে। একটি বেগুন গাছ অনেক দিন ফল দেয়। ঢেড়স গাছ বেশি রোদ পড়ে এমন জায়গায় লাগাবেন। বেগুন, ঢেড়স, লালশাক, পুইশাক, ধনেপাতা, ডাটা শাক- এসব গাছের খুব যত্ন করতে হয় না।

🔷১২. রসুন আর লবঙ্গ বেটে সেই পানি গাছে স্প্রে করলে পোকা কম আসবে। মরিচ গাছে নেপথলিন বেঁধে দিন, পোকা কম আসবে। পাতা কোকড়ালে ভার্মিটেক কিংবা এবোম কীটনাশক দিন। কোকড়ানো পাতা ফেলে দিন। মরিচ গাছে দশ দিন পর পর ডায়মেথট গ্রুপের (যেমন টাফগর) কীটনাশক দিলে উপকার হবে। সবকিছু করছেন, তারপরও কাজ হচ্ছে না। এক্ষেত্রে গাছের জায়গা বদল করেন, উঠিয়ে অন্যত্র লাগান।
Tree of Life





ফিটকিরি/ফিটকারিছোট্র একটি টুকরা যার রয়েছে অনেক গুন।আমাদের মানব জিবনে এর ব্যাবহার অনেক।যেহেতু আমি বাগান ভিত্তিক পোষ্ট দিব...
30/07/2025

ফিটকিরি/ফিটকারি

ছোট্র একটি টুকরা যার রয়েছে অনেক গুন।আমাদের মানব জিবনে এর ব্যাবহার অনেক।যেহেতু আমি বাগান ভিত্তিক পোষ্ট দিবো তাই মানব জিবনে এর ব্যাবহার আলোচনা করবো না।বাগানে কিভাবে এর ব্যাবহার হয় তাই নিয়ে আলাপ করবো।

*প্রথমেই বলে নেই এটি কোন সার নয়।এটি এন্টিফাংগাল হিসাবে কাজ করে।কিন্তু এর ব্যাবহারে ফুলের কোয়ালিটি বেড়ে যাবে।ব্যাবহার এর সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন অবস্থাতেই যেন গাছের পাতায় না পড়ে তাহলে গাছের পাতা পুড়ে যাবে।

*মোটামুটি সব বাগানিদের আফসোস থাকে যে তাদের বাগান এর গাছে ঠিক মতো ফুল ফুটে না।এর ব্যাবহারে ফুল ফুটবে অনেক এবং ফুলের কালার ও সুন্দর হবে।

*মাটির পি এইচ যদি ঠিক না থাকে ওই মাটিতে ঠিক মতো ফুল ফোটে না।তাই ভালো ফুল ফোটানোর জন্য মাটির পি এইচ ৬-৭ এর ভিতর রাখতে হবে।এই জন্য হাফ চামচ গুড়া ফিটকারি ১ লিটার পানির সাথে মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ব্যাবহার করতে হবে ।প্রতি টবে মিশানো পানি ২০০ গ্রাম এর বেশি দেয়া যাবে না।

*ফুল ভালো পেতে হলে মাটিকে এসিডিক হতে হয়।এর ব্যাবহারে মাটি এসিডিক হয় যা গাছ খুব পছন্দ করে।

*পানি তে হয় এই জাতিয় গাছ যেমন শাপলা।শাপলার গামলাতে প্রচুর পরিমানে মশা ও বিভিন্ন পোকা মাকড়,শামুক হয় ,যদি গামলাতে এর গুড়া দিয়ে দেয়া হয় তাহলে ওই গামলার পানি স্বচ্ছ হবে আর বিভিন্ন পোকা মাকড় এর সাথে ফাইট করবে ও মশাদের বংশবৃদ্ধি রোধ করবে।

*পিপড়া তারাতে এর ব্যাবহার করা যাবে,এর জন্য ১.৫ লিটার পানিতে হাফ চামচ মিশিয়ে ব্যাবহার করতে হবে। ব্যাবহারের সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে গাছের পাতায় না পড়ে যদি গাছের পাতায় পড়ে তাহলে পাতা জ্বলে যাবে।এই জন্য ব্যাবহারের সময় সাবধানে ব্যাবহার করতে হবে।

***************
ভালো করে লেখার এই অংশ টুকু পড়ুন

*বর্ষাকালে এটা কখনোই ব্যাবহার করবেন না।আল্লাহর অসিম কুদরত বৃষ্টির পানিতেই আমাদের মাটি এসিডিক হয় তাই বৃষ্টির মৌসুমে আমাদের গাছ গুলি ও ভালো হয়।বৃষ্টির মৌসুম ছাড়া ইচ্ছা করলে ১৫ দিন পর পর ও ব্যাবহার করা যাবে।মাটির পি এইচ জানা থাকলে বেশি ভালো ভাবে এর ব্যাবহার করা যাবে।যেহেতু আমাদের অনেকের পি এইচ মিটার নেই তাই আগে বাগানের অবহেলিত এক বা দুইটি গাছের উপর পরিক্ষা করে মাটির পি এইচ বুঝে নিতে হবে।এটা ব্যাবহার করে যদি মাটির পি এইচ ৬-৭ রাখতে পারেন তাহলে আপিনি বাগানি হিসাবে সফল হবেন আর আপনার বাগানে দেখবেন খুব সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটে ভরে গিয়েছে ।
Tree of Life


Address

Saheed Maznu Street, Savar
Savar
১৩৪৩

Telephone

+8801780047055

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when গ্রামীণ কৃষি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to গ্রামীণ কৃষি:

Share