05/03/2025
আগামীকাল নিটারের শিক্ষার্থী ও শিক্ষার নিয়তি নির্ধারন দিবস। আগামীকাল গভর্নিং বডির সভা অনুষ্ঠিত হবে। এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন গুলো থেকে যায়,
১. অভিযুক্ত ১৪ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কি বেকসুর খালাস পেয়ে নিটারে ফিরে আসবে?
২. এদের মধ্যে কিছু আসবে, কিছু আসবে নাহ?
৩. নাকি কেউই ফিরে আসার সুযোগ পাবে না?
তৃতীয় প্রশ্ন দিয়ে শুরু করি, হ্যাঁ?
তৃতীয় প্রশ্নের উত্তর যদি হয় 'না' তাহলে অবশ্যই তা নিটার শিক্ষার্থী ও নিটারের শুভানুধ্যায়ীদের জন্য শোষনমুক্ত নতুন নিটারের প্রত্যাশিত প্রতিচ্ছবি হবে।
কেনো বলেছি এই কথা বেশ কিছু কারণ উপস্থাপন করে যাবো:
১. নিটারে মিজান সিন্ডিকেট এর নতুন করে দূর্নীতি ও শিক্ষার পরিবেশ কলুষিত করার সুযোগ থাকবে না।
২. নতুন করে শিক্ষক সিন্ডিকেট তৈরি করে নিটারের শিক্ষক-শিক্ষার্থী বর্তমানে সহাবস্থানের জায়গা গুলো বিনষ্ট করতে পারবে না।
৩. শিক্ষার্থীরা শিক্ষার যে উদ্দেশ্য নিয়ে নিটারে আসে তা বাস্তবায়ন করতে অযথা নিজের বাবার টাকায় পড়তে এসে আন্দোলন করতে হবে না।
৪. সর্বোপরি, শোষনমুক্ত শিক্ষা আন্দোলনের পরবর্তী নিটার তার শিক্ষক - শিক্ষার্থী নিয়ে নতুন উদ্যমে এগিয়ে চলা বলবৎ থাকবে।
এখন প্রশ্ন যদি হয় একবারে প্রথমটি তাহলে আসলেই সবার জন্য মাথা ব্যাথার বিষয়।
এই মাথা ব্যাথা আর যন্ত্রনা শুধু অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদেরেই না।
এই যন্ত্রনা হওয়া উচিত প্রাক্তন নিটারিয়ানদের;
এই যন্ত্রনা হওয়া উচিত নিটারের বর্তমান শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ;
এই যন্ত্রণা হওয়া উচিত নিটারের বর্তমান পরিচালক সম্মানিত আশেকুল আলম রানা স্যারের;
এই যন্ত্রনা হওয়া উচিত, সম্মানিত তদন্ত কমিটি, BTMA এর সম্মানিত ব্যাক্তিবর্গের এবং সম্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয় স্যারের;
সব শেষে এই যন্ত্রনার ভাগিদার BTMC ও পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়।
কেনো যন্ত্রনা হওয়া উচিত, তা যদি মাথায় না আসে তাহলে বলবো দয়া করে আমরা অন্তত পূর্বের আন্দোলন গুলোর তিক্ত অভিজ্ঞতা আর মনে করতে চাই না।
প্রথম প্রশ্নের সূত্র ধরে আরেকটি প্রশ্ন করতে হয় যে, নিটার প্রশাসন, তদন্ত কমিটি, BTMA, গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান সহ এত গুলো গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের এই ১৪ জনকে কেনো আবার ফিরিয়ে আনতে চায়?
এই প্রশ্নের বেশ কিছু সম্ভাব্য উত্তর হতে পারে,
১. হয়তো এই ১৪ জনের দুর্নীতির সহায়ক এবং সাক্ষী ছিলেন এরা;
২. হয়তো এই ১৪ জনের ক্ষমতার দাম্ভিকতার কাছে এরা আসলে কিছুই না;
৩. সব শেষে ১৪ জনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গুলো তাঁরা আসলে আমলেই না নিয়ে হালকা ভাবে দেখছেন।
যদি প্রথম পয়েন্ট সত্যি হয়, তবে নিটারের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই দুর্নীতিগ্রস্থ পরিচালনা পর্ষদের বেড়াজাল থেকে বের হয়ে পূর্ণাঙ্গ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে সকলে মিলে এগিয়ে চলার সময় চলে এসেছে।
দ্বিতীয় পয়েন্টে উত্তরটা অযৌক্তিক। যেখানে প্রতিষ্ঠানের প্রধান অংশীদার শিক্ষার্থীরা চাচ্ছে না, সেখানে এই ভয় নিতান্তই অমূলক।
তৃতীয় পয়েন্টে যদি তারা ভাবতে থাকেন তাহলে এই ছোট্ট একটা ক্যাম্পাসে এত গুলো চোর-বাটপার পুষে রেখে এত গুলো শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার আপনাদের কেউ দেয় নি।
কথা বলতে চাইলে ১৪ বছরের অনেক কথা বলতে হয়। সর্বাঙ্গে ব্যাথা ঔষধ দিবো কোথা?
এখন পঁচে যাওয়া পায়ে যখন ঔষধে কাজ হবে না, তখন পা কেটে ফেলায় বুদ্ধিমানের কাজ, নতুবা পুরো শরীরে পচন ধরতে সময় লাগবে না।
BTMA এর অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, এই ১৪ জনের কর্মসংস্থান করে দিয়ে তাদের রাজার হালে রাখার সদিচ্ছা থাকলে তারা কিন্তু তা করতে পারে। কিন্তু নিজেদের প্রতিষ্ঠানে চোর-বাটপার কে রাজার হালে রাখার বোকামি হয়তো করবেন না!
কিন্তু আমাদের পক্ষ থেকে সোজা বাংলা ভাষায় একটাই আলাপ,
"১৪ জন নিটারে এলে,
জ্বলবে আগুন নিটার জুড়ে!"
"১৪ জনের দোষরেরা
হুঁশিয়ার - সাবধান "
"১৪ জনের কালো হাত,
ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও"
জনৈক কমরেডের ভাষায়, "এর আগে তো আমগোরে মাইরা ক্যাম্পাস থেকে পালাইসোস, মান সম্মান থাকলেও একটাও আসতি না! নেক্সট টাইম আসলে হাত পা জায়গায় থাকবো না; মব-জাস্টিস!
ইনকিলাব জিন্দাবাদ! "
শুভকামনা আগামীকালের জন্য। আশা করি নিটারের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ১৪ জনের কাউকেই আসতে দেওয়া হবে না।
জয়তু নিটার।