মুন্তাখাব হাদিস Muntakhab Hadeess

মুন্তাখাব হাদিস Muntakhab Hadeess মুন্তাখাব হাদিসের ছয় ছিফাত সম্পর্কে কোরআনের আয়াত ও রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর হাদিস পেতে ফলো করুন

05/11/2025

যে মৃতের জন্য বড় জামাত নামায পড়ে এবং সকলেই আল্লাহর নিকট ক্ষমা ও রহমতের দোয়া করে তবে অবশ্যই কবুল হইবে

হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যে মৃতের উপর মুসলমানদের একটি বড় জামাত নামায পড়ে যাহার সংখ্যা একশত পর্যন্ত পৌঁছিয়া যায় এবং তাহারা সকলেই আল্লাহ তায়ালার নিকট এই মৃতের জন্য সুপারিশ করে অর্থাৎ ক্ষমা ও রহমতের দোয়া করে তাহাদের সুপারিশ অবশ্যই কবুল হইবে। (মুসলিম)

05/11/2025

জানাযার নামাজে শরিফ হলে এক কীরাত আর দাফন শেষ হওয়া পর্যন্ত জানাযার সহিত থাকলে দুই কীরাত সওয়াব লাভ হয়

হযরত আবু হোরায়রা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যক্তি জানাযায় হাজির হয় এবং জানাযার নামায হওয়া পর্যন্ত জানাযার সহিত থাকে তাহার এক কীরাত সওয়াব লাভ হয়। আর যে ব্যক্তি জানাযায় হাজির হয় এবং দাফন শেষ হওয়া পর্যন্ত জানাযার সহিত থাকে তাহার দুই কীরাত সওয়াব লাভ হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হইল, দুই কীরাত কি? এরশাদ করিলেন, (দুই কীরাত) দুইটি বড় পাহাড়ের সমান। আরেক রেওয়ায়াতে আছে যে, তন্মধ্যে ছোট পাহাড়টি অহুদ পাহাড়ের মত। (মুসলিম)

05/11/2025

অসুস্থকে দেখে ৭ বার এই দোয়া পড়লে, অবশ্যই সুস্থ হবে। হ্যাঁ যদি মৃত্যুর সময় এসে যায় তবে ভিন্ন কথা।

হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যখন কোন মুসলমান বান্দা কোন অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখিতে যায় এবং সাতবার এই দোয়া পড়ে-

أَسْأَلُ اللهَ الْعَظِيمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ أَنْ يَشْفِيَكَ

অর্থঃ 'আমি আল্লাহ তা'য়ালার নিকট চাহিতেছি যিনি মহান, মহান আরশের মালিক, তিনি যেন তোমাকে সুস্থ করিয়া দেন।'

তবে, সে অবশ্যই সুস্থ হইবে। হ্যাঁ, যদি তাহার মৃত্যুর সময় আসিয়া গিয়া থাকে তবে ভিন্ন কথা। (তিরমিযী)

04/11/2025

যে কোন ব্যক্তির মধ্যে এই বিষয়গুলি জমা হইবে সে অবশ্যই জান্নাতে দাখেল হইবে।

হযরত আবু হোরায়রা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করিলেন, আজকে তোমাদের মধ্য হইতে কে রোযা রাখিয়াছে? হযরত আবু বকর (রাযিঃ) আরজ করিলেন, আমি। অতঃপর জিজ্ঞাসা করিলেন, আজ তোমাদের মধ্য হইতে কে জানাযার সহিত গিয়াছে? হযরত আবু বকর (রাযিঃ) আরজ করিলেন, আমি। পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, আজ তোমাদের মধ্য হইতে মিসকীনকে কে খানা খাওয়াইয়াছে? হযরত আবু বকর (রাযিঃ) আরজ করিলেন, আমি। জিজ্ঞাসা করিলেন, আজ তোমাদের মধ্য হইতে কে অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখিতে গিয়াছে? হযরত আবু বকর (রাযিঃ) আরজ করিলেন, আমি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিলেন, যে কোন ব্যক্তির মধ্যে এই বিষয়গুলি জমা হইবে সে অবশ্যই জান্নাতে দাখেল হইবে। (মুসলিম)

03/11/2025

যে আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় জিহাদ করে সে আল্লাহ তায়ালার জিম্মাদারীর মধ্যে আছে। যে অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখিতে যায় সে আল্লাহ তায়ালার জিম্মাদারীতে আছে। যে সকাল অথবা সন্ধ্যায় মসজিদে যায় সে আল্লাহ তায়ালার জিম্মাদারীতে আছে। যে কোন শাসকের নিকট তাহার সাহায্য করিবার জন্য যায় সে আল্লাহ তায়ালার জিম্মায় আছে। আর যে নিজ ঘরে এমনভাবে থাকে যে কাহারও গীবত করে না সে আল্লাহ তায়ালার জিম্মাদারীতে আছে।

হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রাযিঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এরশাদ নকল করেন, যে আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় জিহাদ করে সে আল্লাহ তায়ালার জিম্মাদারীর মধ্যে আছে। যে অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখিতে যায় সে আল্লাহ তায়ালার জিম্মাদারীতে আছে। যে সকাল অথবা সন্ধ্যায় মসজিদে যায় সে আল্লাহ তায়ালার জিম্মাদারীতে আছে। যে কোন শাসকের নিকট তাহার সাহায্য করিবার জন্য যায় সে আল্লাহ তায়ালার জিম্মায় আছে। আর যে নিজ ঘরে এমনভাবে থাকে যে কাহারও গীবত করে না সে আল্লাহ তায়ালার জিম্মাদারীতে আছে। (ইবনে হিব্বান)

03/11/2025

যে এক দিনে পাঁচটি আমল করে, আল্লাহ তা'য়ালা তাকে জান্নাতবাসীদের মধ্যে লিখে দেন ১.অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যায়, ২.জানাযায় শরীক হয়, ৩.রোযা রাখে, ৪.জুমআর নামাযে যায় এবং ৫.গোলাম আজাদ করে।

হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) বলেন, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এরশাদ করিতে শুনিয়াছেন, যে ব্যক্তি পাঁচটি আমল এক দিনে করিয়াছে, আল্লাহ তায়ালা তাহাকে জান্নাতবাসীদের মধ্যে লিখিয়া দেন- অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখিতে গিয়াছে, জানাযায় শরীক হইয়াছে, রোযা রাখিয়াছে, জুমআর নামাযে গিয়াছে এবং গোলাম আজাদ করিয়াছে। (ইবনে হিব্বান)

03/11/2025

হযরত সা'দ ইবনে ওবাদা (রাঃ)-কে নবী করীম (সাঃ) ও তাঁর সঙ্গী সাহাবায়ে কেরামের দেখতে যাওয়ার ঘটনা

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট বসা ছিলাম। একজন আনসারী সাহাবী আসিয়া তাঁহাকে সালাম করিলেন। তারপর ফিরিয়া যাইতে লাগিলেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, হে আনসারী ভাই! আমার ভাই সা'দ ইবনে ওবাদা কেমন আছেন? তিনি আরজ করিলেন, ভাল আছেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাঁহার সহিত বসা সাহাবায়ে কেরামকে) এরশাদ করিলেন, তোমাদের মধ্য হইতে কে তাহাকে দেখিতে যাইবে? ইহা বলিয়া তিনি দাঁড়াইয়া গেলেন। আমরাও তাঁহার সহিত দাঁড়াইয়া গেলাম। আমরা দশজনের অধিক লোক ছিলাম। আমাদের নিকট না জুতা ছিল, না মোজা, না টুপি, না কামিস। আমরা এই পাথরময় জমিনের উপর চলিয়া হযরত সা'দ (রাযিঃ) এর নিকট বসিলাম। (তখন) তাঁহার কওমের যে সমস্ত লোক তাঁহার নিকট ছিল তাহারা পিছনে সরিয়া গেল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁহার সঙ্গী সাহাবায়ে কেরাম হযরত সা'দ (রাযিঃ) এর নিকটে পৌঁছিয়া গেলেন। (মুসলিম)

03/11/2025

যখন অসুস্থ ব্যক্তির নিকট যাও তখন তাকে বল, সে যেন তোমার জন্য দোয়া করে। কেননা তার দোয়া ফেরেশতাদের দোয়ার মত কবুল হয়।

হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এরশাদ করিয়াছেন, যখন তুমি অসুস্থ ব্যক্তির নিকট যাও তখন তাহাকে বল, সে যেন তোমার জন্য দোয়া করে। কেননা তাহার দোয়া ফেরেশতাদের দোয়ার মত (কবুল হয়)। (ইবনে মাজাহ)

02/11/2025

সকালে অসুস্থকে দেখতে গেলে সন্ধ্যা পর্যন্ত সত্তর হাজার ফেরেশতা দোয়া করে। সন্ধ্যায় দেখতে গেলে....

হযরত আলী (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এই এরশাদ করিতে শুনিয়াছি, যে মুসলমান কোন অসুস্থ মুসলমানকে সকালে দেখিতে যায়, সন্ধ্যা পর্যন্ত সত্তর হাজার ফেরেশতা তাহার জন্য দোয়া করিতে থাকে। আর যে সন্ধ্যায় দেখিতে যায়, সকাল পর্যন্ত সত্তর হাজার ফেরেশতা তাহার জন্য দোয়া করিতে থাকে এবং জান্নাতে সে একটি বাগান পায়। (তিরমিযী)

02/11/2025

যে অসুস্থকে দেখতে যায় সে রহমতের মধ্যে ডুব দেয় এবং যখন তাহার নিকট বসে তখন সে রহমতের মধ্যে অবস্থান করে

হযরত কা'ব ইবনে মালেক (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যক্তি কোন অসুস্থ লোককে দেখিতে যায় সে রহমতের মধ্যে ডুব দেয় এবং (যখন অসুস্থ লোককে দেখিবার জন্য) তাহার নিকট বসে তখন সে রহমতের মধ্যে অবস্থান করে। (মুসনাদে আহমাদ)

হযরত আমর ইবনে হাযম্ (রাযিঃ) এর বর্ণনায় আছে যে, অসুস্থ ব্যক্তির নিকট হইতে উঠিয়া যাওয়ার পরও সে রহমতের মধ্যে ডুব দিতে থাকে। যে পর্যন্ত না সে যেখান হইতে অসুস্থকে দেখার জন্য রওয়ানা হইয়াছিল সেখানে পৌঁছিয়া যায়। (তাবারানী, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ)

02/11/2025

যে অসুস্থকে দেখতে যায় সে রহমতের মধ্যে ডুব দেয়, যখন অসুস্থ ব্যক্তির নিকট বসে তখন রহমত তাকে ঢেকে নেয়

হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এরশাদ করিতে শুনিয়াছি, যে ব্যক্তি অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখিতে যায় সে রহমতের মধ্যে ডুব দেয়। যখন সে অসুস্থ ব্যক্তির নিকট বসিয়া যায় তখন রহমত তাহাকে ঢাকিয়া লয়। হযরত আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমি আরজ করিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই ফযীলত তো আপনি ঐ সুস্থ ব্যক্তির জন্য এরশাদ করিলেন যে অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখিতে যায়, কিন্তু স্বয়ং অসুস্থ ব্যক্তি কি পায়? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিলেন, তাহার গুনাহ মাফ হইয়া যায়। (মুসনাদে আহমদ)

01/11/2025

যে ভালভাবে ওজু করে সওয়াবের আশায় অসুস্থ ভাইকে দেখতে যায়, তাকে দোযখ হতে সত্তর খরীফ দূরে রাখা হবে।

হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যক্তি ভালভাবে ওজু করে অতঃপর সওয়াবের আশা লইয়া আপন মুসলমান অসুস্থ ভাইকে দেখিতে যায়, তাহাকে দোযখ হইতে সত্তর খরীফ দূর করিয়া দেওয়া হয়। হযরত সাবেত বানানী (রহঃ) বলেন, আমি হযরত আনাস (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করিলাম, হে আবু হামযা! খরীফ কাহাকে বলে? বলিলেন, বৎসরকে বলে। অর্থাৎ সত্তর বৎসরের দূরত্ব পরিমাণ দোযখ হইতে দূরে সরাইয়া রাখা হয়। (আবু দাউদ)

Address

Shaistaganj

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মুন্তাখাব হাদিস Muntakhab Hadeess posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share