Ummah Mumin Muslim

Ummah Mumin Muslim ����
(1)

একটা দুর্ঘটনা মুহূর্তেই বদলে দিয়েছে গাজীপুর শ্রীপুর উপজেলার তালতলী গ্রামের দরিদ্র শ্রমিক জমির হোসেনের জীবন।কখনো ভোরে-সন্...
06/09/2025

একটা দুর্ঘটনা মুহূর্তেই বদলে দিয়েছে গাজীপুর শ্রীপুর উপজেলার তালতলী গ্রামের দরিদ্র শ্রমিক জমির হোসেনের জীবন।
কখনো ভোরে-সন্ধ্যায় অটোরিকশা চালিয়ে, আবার কারখানায় কাজ করে সংসার চালাতেন তিনি। মা, স্ত্রী আর ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে ছিলো তার হাসি-খুশির সংসার।

কিন্তু ২০২২ সালের শেষ দিকে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নেয় তার দুই পায়ের শক্তি। হুইলচেয়ারে বন্দি হয়ে যায় তার জীবন। সংসারের একমাত্র ভরসা যিনি ছিলেন, সেই স্ত্রীও তিন মাসের মাথায় শিশুসন্তানকে ফেলে রেখে অন্যত্র ঘর বেঁধে চলে যান।

অসহায় জমির তখন ভেবেছিলেন—মা আছেন, তিনিই ভরসা। কিন্তু নিয়তির নির্মম খেলায় আজ সেই মা-ও ক্যান্সারে আক্রান্ত।
একদিকে অচল ছেলে, অন্যদিকে মৃত্যুর সাথে লড়াই করা মা—সাথে মাত্র পাঁচ বছরের ছোট্ট মেয়ে। সংসারের হাল ধরার মতো আর কেউ নেই।

জমির হোসেন কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন—
“আগে আমি কামাই করতাম, সংসার চালাতাম। এখন আমি অচল হয়ে গেছি। আমার আম্মু অসুস্থ, আমি অসুস্থ, ছোট মেয়ে আছে… আমাদের দেখার মতো কেউ নাই। সরকার বা কোনো জায়গা থেকে আমি একটুও সাহায্য পাই নাই। আমি শুধু চাই আমার আম্মুর চিকিৎসা হোক, যাতে অন্তত আমি বেঁচে থাকলে মেয়েকে মানুষ করতে পারি।”

প্রতিবেশীরা সামান্য সাহায্য করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি অপ্রতুল। দিন দিন চিকিৎসা ব্যয় বাড়ছে, অথচ সংসারে নেই কোনো আয়ের উৎস।

আজ জমিরের অসহায় পরিবারের একটাই আর্তি—
👉 সরকার ও সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসেন, হয়তো চিকিৎসার মাধ্যমে আবারো দাঁড়াতে পারবেন জমির। মা ফিরে পাবেন নতুন জীবন, ছোট্ট মেয়েটি ফিরে পাবে বাবার শক্ত হাতের ভরসা।

প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ—
দয়া করে এ অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ান।
আপনাদের সামান্য সহযোগিতাই হতে পারে তাদের জন্য নতুন জীবনের আলো।

যে মায়ের আঁচলে মাথা রেখে সন্তানের হাসি দেখে পৃথিবীর সব কষ্ট ভুলে থাকার কথা, আজ সেই মায়ের আঁচল ভিজছে দুঃখের নোনা জলে। কার...
06/09/2025

যে মায়ের আঁচলে মাথা রেখে সন্তানের হাসি দেখে পৃথিবীর সব কষ্ট ভুলে থাকার কথা, আজ সেই মায়ের আঁচল ভিজছে দুঃখের নোনা জলে। কারণ, তার একমাত্র ভরসা, আদরের সন্তান মেহেদী আজ মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছে।

ঠাকুরগাঁওয়ের নেকমত গ্রামের এই ছেলেটি ছোটবেলাতেই বাবাকে হারিয়েছে। তখন থেকেই মেহেদী ছিল তার মায়ের একমাত্র আশা, একমাত্র শক্তি। অভাব-অনটনের সংসারে মা মনোয়ারা দিনরাত পরিশ্রম করেছেন, যেন ছেলের লেখাপড়া বন্ধ না হয়। মেধাবী মেহেদী সেই বিশ্বাস ভেঙে দেয়নি। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পেরিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে।

মায়ের চোখে স্বপ্ন ছিল—
“ছেলেকে লেখাপড়া করিয়ে মানুষের মতো মানুষ বানাব।”
সেই স্বপ্ন পূরণও হচ্ছিল ধীরে ধীরে। কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতক শেষে যোগ দেন ডিবিসি নিউজে নিউজরুম এডিটর হিসেবে। সংসারের হাল ধরবে, মায়ের কষ্ট ঘুচাবে—এই বিশ্বাসেই মা নতুন করে বাঁচতে শুরু করেছিলেন।

কিন্তু ভাগ্য যেন নির্মম পরিহাসে আঘাত হানল। কয়েক মাস আগেই পেটে তীব্র যন্ত্রণায় হাসপাতালে ভর্তি হলে জানা যায়—মেহেদীর শরীরে বাসা বেঁধেছে ভয়ঙ্কর ক্যান্সার।

চিকিৎসকেরা বলেছেন, দ্রুত উন্নত চিকিৎসা ছাড়া তাকে বাঁচানো সম্ভব নয়। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন বিপুল অঙ্কের টাকা—যা এক মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। এখন সেই মেহেদী, যিনি একদিন দেশের মানুষের খবর পৌঁছে দিতেন, আজ নিজের জীবনের খবর নিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।

তার সহকর্মীরা এগিয়ে এলেও, খরচ এত বেশি যে পরিবার একা সামলাতে পারছে না। এই লড়াইয়ে মেহেদীর প্রয়োজন আমাদের সবার সহানুভূতি, সহযোগিতা আর ভালোবাসা।

আজ মেহেদীর কলম থেমে গেছে, কিন্তু তার জীবনের গল্প থামতে দেওয়া যায় না। এই সম্ভাবনাময় প্রাণশক্তি নিভে যাওয়ার আগেই আমরা যদি একসাথে হাত বাড়াই—তাহলেই হয়তো আবারও হাসতে পারবে সেই মা, আবারো আলো ফিরে আসবে মেহেদীর জীবনে।

যোগাযোগ করুন- 01722288289

একটু ভালোবাসা, একটু সহায়তা—হয়তো মেহেদীকে ফিরিয়ে দিতে পারে নতুন এক জীবন। ❤️

সিরাজগঞ্জে ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। হাসি-ঠাট্টার মধ্য দিয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে মামী ও ভাগ্নের মধ্যে। নিয়মিত ফোনালাপে...
06/09/2025

সিরাজগঞ্জে ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। হাসি-ঠাট্টার মধ্য দিয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে মামী ও ভাগ্নের মধ্যে। নিয়মিত ফোনালাপের মাধ্যমে ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।

পরিবারের বাঁধা ও সামাজিক নিন্দা উপেক্ষা করে এক পর্যায়ে ওই নারী নিজের ১৩ মাস বয়সী শিশুকে ফেলে ভাগ্নে মোহাম্মদ ফজলু মিয়ার হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে রাজধানীর উত্তরায় হুজুরের মাধ্যমে তারা বিয়ে করেন বলে জানান।

এরপর গাজীপুরের কোনাবাড়ি আমবাগ এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একটি বাসা ভাড়া নেন তারা। তবে বাড়ির মালিক তাদের আচরণ সন্দেহজনক মনে করে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, ওই নারী এখনও বৈধ স্বামীকে তালাক দেননি, অথচ তার স্বামীর আপন ভাগ্নেকেই বিয়ে করেছেন।

এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। দুই পরিবারের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র উত্তেজনা। স্থানীয়রা বিষয়টিকে সামাজিক অবক্ষয়ের ভয়াবহ উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করছেন।

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও ঘটনাটি নিন্দনীয় বলে মত দিয়েছেন অনেকে। ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী, স্বামীকে তালাক না দিয়ে এভাবে সম্পর্ক গড়ে তোলা ও বিয়ে করা অবৈধ এবং কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

অঝরে কাঁদছেন দিশেহারা অন্তর।এই কান্না কারো মৃত্যুশোকের নয়, বরং প্রিয়তমাকে হারানোর যন্ত্রণার কান্না। চার বছরের সংসার ভেঙে...
05/09/2025

অঝরে কাঁদছেন দিশেহারা অন্তর।
এই কান্না কারো মৃত্যুশোকের নয়, বরং প্রিয়তমাকে হারানোর যন্ত্রণার কান্না। চার বছরের সংসার ভেঙে গেছে এক মুহূর্তে। স্ত্রী আয়েশা পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছে।

“আমার বউ এভাবে করল কেন? আমি কি কম ভালোবাসছিলাম? যা কিছু ছিল, ধার করে হলেও তাকে এনে দিতাম। আমি ভেবেছিলাম ও-ই আমার সব। অথচ আজ সবকিছু ফেলে রেখে চলে গেল…”—অন্তরের কণ্ঠ কেঁপে ওঠে।

বুধবার রাতেও স্বাভাবিকভাবে খাবার খেয়ে ঘুমিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সকালে ঘুম ভাঙতেই দেখেন স্ত্রী নেই, নেই স্বর্ণালঙ্কার, নেই নগদ টাকাও। আড়াই ভরি স্বর্ণ ও প্রায় আড়াই লাখ টাকা নিয়ে অদৃশ্য হয়েছে প্রিয় মানুষটি। ফোন বন্ধ, কোনো খোঁজ নেই।

মা-বাবা ভেবেছিলেন ছেলে-ছেলের সংসার সুখেই কাটছে। কিন্তু হঠাৎ এই ঘটনায় পুরো পরিবার ভেঙে পড়েছে। অন্তর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছেন তিনি।

“আল্লাহর কাছে দোয়া করি সম্পর্কটা যেন ঠিক হয়… কিন্তু আল্লাহও যেন আমার ডাক শুনলেন না।”—অন্তরের বুক ফাটা আর্তনাদ।

স্থানীয় থানায় অভিযোগ করেছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

কিছু বিচ্ছেদ লজ্জার, কিছু বিচ্ছেদ বেদনার—কিন্তু অন্তরের এই বিচ্ছেদে রয়েছে লজ্জা, প্রতারণা আর অসহ্য যন্ত্রণা সব মিলিয়ে।

চার দিন কেটে গেছে, তবুও ফেরেনি জ্ঞান।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ সায়েম এখনো লাইফ সাপোর্টে মৃত্য...
05/09/2025

চার দিন কেটে গেছে, তবুও ফেরেনি জ্ঞান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ সায়েম এখনো লাইফ সাপোর্টে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। চারদিন ধরে তাঁর মা-বাবা দিশেহারা হয়ে শুধু অপেক্ষা করছেন—কখন ছেলেটি চোখ মেলে তাকাবে তাঁদের দিকে।

অন্যদিকে, একই সংঘর্ষে গুরুতর আহত মামুন মিয়া অস্ত্রোপচারের পর কিছুটা উন্নতির দিকে, কিন্তু মাথার হাড় খুলে রাখতে হয়েছে। তাঁর কেবিনের বাইরে বড় অক্ষরে লেখা—
“হার নেই। মাথায় চাপ দেবেন না।”
এই ছোট্ট কয়েকটি শব্দ যেন বেদনাভরা গল্প বলে যায় প্রতিটি দর্শনার্থীর কাছে।

সংঘর্ষে হাত ভেঙে এখনও চিকিৎসাধীন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিদ মাহবুব সুমন্ত। ছেলেকে ঘিরে বাবার কেবল একটাই আশা—আবার যেন ক্লাসে ফিরতে পারে সে।

সহপাঠীরা প্রিয় বন্ধুকে হারানোর ভয় নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন হাসপাতালে। অন্তর্মুখী স্বভাবের সায়েমের ওপর এমন নৃশংস হামলা মেনে নিতে পারছেন না কেউই।
তাদের বুকভরা কষ্টের আর্তি—
“মানুষ মানুষকে এতটা নির্মমভাবে আঘাত করতে পারে? চারদিন হয়ে গেল, তবুও আমাদের বন্ধুর জ্ঞান ফেরেনি।”

চিকিৎসকেরা বলছেন, মামুন ও সুমন্ত এখন অনেকটাই আশঙ্কামুক্ত, কিন্তু সায়েমের অবস্থা এখনো চরম সংকটাপন্ন। ভর্তি হওয়ার সময়ই তিনি ছিলেন প্রায় মৃত্যুপথযাত্রী—মস্তিষ্কে ভয়ানক রক্তক্ষরণ। এখনো তিনি লড়াই করছেন জীবন আর মৃত্যুর সীমারেখায়।

অভিভাবক, সহপাঠী, শিক্ষক—সবাইয়েরই একটাই দাবি,
“যারা এমন বর্বর হামলা করেছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক। আহতদের চিকিৎসার পূর্ণ দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিক। এবং এই নির্মমতার সঠিক বিচার হোক।”

ক্যাম্পাস জুড়ে তাই দাবির আগুন—
ন্যায়বিচার চাই, জীবন রক্ষার লড়াইয়ে আমরা সায়েম-মামুন-সুমন্তের পাশে।

ঝিনাইদহের অসহায় বৃদ্ধা শাহারুন নেসার জীবন যেন এক দীর্ঘ বেদনার গল্প। ঘরে নেই চাল-ডাল, ভাঙা চুলোয় আগুন জ্বলে না। কখনো কচুর...
05/09/2025

ঝিনাইদহের অসহায় বৃদ্ধা শাহারুন নেসার জীবন যেন এক দীর্ঘ বেদনার গল্প। ঘরে নেই চাল-ডাল, ভাঙা চুলোয় আগুন জ্বলে না। কখনো কচুর শাক, কখনো কলমি শাক—এসব তুলে এনে বাজারে বসেন। রাত ১০–১১টা পর্যন্ত বসে থাকেন, তবুও বিক্রি না হলে না খেয়েই ফিরতে হয় তাকে।

স্বামী নেই বহু বছর, ছেলেরাও ফেলে গেছে অনেক আগেই। ভাঙা ঘরে একা পড়ে আছেন তিনি। ছিদ্র টিনের ছাউনি, পলিথিনে ঢাকা ঘর, মেঝেতে ছড়িয়ে থাকে খালি হাঁড়ি-বাসন। তীব্র ক্ষুধায় কখনো দিন কাটে না খেয়ে, কখনো কারও দয়া পাওয়া খাবারে।

প্রতিবেশীরা বলেন—“আমরা চোখে দেখি এই কাকিকে রাত অবধি বসে থাকতে। এত কষ্টের জীবন দেখলে মনটা ভেঙে যায়।”

আজ তার সবচেয়ে বড় প্রয়োজন—একটু খাবার, একটু চিকিৎসা, আর নিরাপদ থাকার মতো একটি ঘর।
শাহারুন নেসার এই অসহায় লড়াইয়ে আমরা যদি সামান্য সহায়তাও করি, হয়তো তার জীবনে আবার একটু আলো ফিরবে।

ডিবিসি নিউজের মানবিক প্রতিবেদনের পর ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেল সীমতী মুরমুর জীবনে। মাত্র দুই দিনের মাথায় কলেজে ভর্তির দুশ্চি...
04/09/2025

ডিবিসি নিউজের মানবিক প্রতিবেদনের পর ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেল সীমতী মুরমুর জীবনে। মাত্র দুই দিনের মাথায় কলেজে ভর্তির দুশ্চিন্তা দূর হলো এই অসহায় আদিবাসী শিক্ষার্থীর। তার পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়েছে তিনটি প্রতিষ্ঠান। সীমতী আর তার মা খুশিতে আপ্লুত হয়ে জানালেন কৃতজ্ঞতা— “ডিবিসি নিউজের কারণেই আজ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।”

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া মেধাবী সীমতী অভাবে প্রায় পড়াশোনা থেমে যাওয়ার মুখে ছিল। কিন্তু জিপিএ-৫ পাওয়া এই শিক্ষার্থীর স্বপ্ন শেষ পর্যন্ত থেমে গেল না। এখন এডমিশন ফি, খাতাপত্র থেকে শুরু করে পড়ালেখার যাবতীয় ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা জানালেন আনন্দ— “মেয়েটা আবার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে, এটাই আমাদের জন্য বড় খুশির খবর।”

মানবিক এক সংবাদ কীভাবে একজনের ভবিষ্যৎ বদলে দিতে পারে, সীমতীর গল্প তারই জীবন্ত প্রমাণ।

দরিদ্র দিনমজুর মোহাম্মদ মামুন এখন মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন।চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার ফকিরহাট মুরাদপুর ইউনিয়নে স্ত্র...
03/09/2025

দরিদ্র দিনমজুর মোহাম্মদ মামুন এখন মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন।
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার ফকিরহাট মুরাদপুর ইউনিয়নে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তার সংসার। এক সময় দিনমজুরি করে যা উপার্জন করতেন, তাই দিয়েই পরিবারে চলতো সুখের জীবন। কিন্তু হঠাৎ করেই দুই বছর আগে জীবনে নেমে আসে অন্ধকার।

👉 মামুনের দুটি কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে গেছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন— তার বাঁচতে হলে কিডনি প্রতিস্থাপন জরুরি। এজন্য প্রয়োজন ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। কিন্তু এ বিশাল অঙ্কের টাকা জোগাড় করা একেবারেই অসম্ভব তার মতো দরিদ্র পরিবারের জন্য।

এখন প্রতিনিয়ত বেঁচে থাকার জন্য তাকে ডায়ালাইসিস করাতে হয়। প্রতি ডায়ালাইসিসে খরচ হয় প্রায় ২৩০০ টাকা, এবং প্রতি সপ্তাহে অন্তত ২–৩ বার করতে হয়। যেখানে সংসারে তিনবেলা খাবার জোটে না, সেখানে এই বিশাল চিকিৎসা ব্যয় চালানো সম্ভব নয়।

মামুনের স্ত্রী নাসিমা আক্তার চোখের জল সামলে বলেন—
"আমাদের যা ছিল সব বিক্রি করে স্বামীর চিকিৎসা করেছি। গরু-সম্পত্তি কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। এখন আর কিছুই করার নেই। শুধু অসহায় চোখে তাকিয়ে থাকি, কোথা থেকে স্বামীর চিকিৎসার টাকা আসবে... আমার ছোট দুটি সন্তান প্রতিদিন বাবার জন্য কাঁদে। ওরা শুধু চায় তাদের বাবা বেঁচে থাকুক।"

৬ বছরের মিরাজ আর ২ বছরের জায়ান প্রতিদিন বাবার কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ে জিজ্ঞেস করে—
“আমার আব্বু কি মরতে যাবে?”
একজন বাবার অসহায় চোখের পানি আর সন্তানের ভয় কিভাবে সহ্য করে একটি পরিবার?

আজ মামুন শুধু পরিবার নয়, পুরো সমাজের কাছে সাহায্যের আকুতি জানাচ্ছেন। তার পরিবার, তার ছোট ছোট দুই সন্তান চায় তাদের বাবাকে ফিরে পেতে।

✋ আমাদের ছোট্ট সহযোগিতাই পারে একটি পরিবারকে অন্ধকার থেকে আলোতে ফিরিয়ে আনতে।
✋ আমাদের একত্র ভালোবাসাই পারে দুই সন্তানের মুখে আবার হাসি ফোটাতে।

আসুন, আমরা সবাই মিলে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিই।
কারণ, একটি বাবার জীবন বাঁচানো মানে একটি পরিবারের স্বপ্ন বাঁচানো।

যোগাযোগ নাম্বার - 01842762723

Address

Shariatpur
Shariatpur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ummah Mumin Muslim posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ummah Mumin Muslim:

Share