02/08/2024
”জুলাই চলবে”
জুলাই চলবে
এ জুলাই পৃথিবীর দীর্ঘতম জুলাই।
এ জুলাই চলবে...
সাঈদের এ জুলাই
এ জুলাই মুগ্ধতাময়
এ জুলাইয়ের এক একটি দিনের নাম দিলাম
এক একজন শহিদের নাম।
এ জুলায়ের ভোরের ধরণ সিনা টান টান
জল্লাদের উল্লাস অগুনে যখন যায় যায় প্রাণ
তপ্ত দুপুরে কমরেডের ডাক এলো- পানি লাগবে...পানি...
আন্দোলনে এসে এখনি মরো না
স্বৈরাচারের বুলেটেই তোমাকে মরতে হবে
আপাতত প্রাণটা বাঁচাও, এই নাও পানি,
প্রাণটা বাঁচাও, হাঁটো, স্লোগান দাও
শোষকের বুলেটেই তোমাকে মরতে হবে
যেভাবে মরেছে তোমার ভাই শাকিল, শান্ত, তামিম
মরেছে শিহাব, হৃদয়, আবদুল গনি।
এ জুলাই পৃথিবীর দীর্ঘতম জুলাই
এ জুলায়ের নাম জুলুমের অবসান।
ঐ যে দেখ অপ্রতিরুদ্ধ মিছিল
কান পেতে শোন ঘৃণা, আক্রোশ আর দ্রোহের স্লোগান
আসমান কাঁপে দেখ ন্যায় সংগ্রামে
দেশ প্রেমিকের পদভারে কাঁপে জালিমের আসন।
ঐ দেখ বুক পেতে আছে আসমান
বুক পেতে দিয়েছে আবাদী জমিন
বুলেট দিয়ে জুলাই ঠেকায়- কার এত হিম্মত
কোথায় আছে এমন হিটলার হেডেড
খুনি চেঙ্গিস!
ঐ দেখ পতাকা উড়ে, হাওয়া এসে দোল দেয়
বুকে মুক্তির নাচন উঠে
সমস্ত ব্যারিকেড উপেক্ষা করে
রক্ত চোখ আর উদ্ধত তর্জনী উপেক্ষা করে
ভয়কে উড়িয়ে দিয়ে পাতার মতোন
দেখ, দেখ, কেমন করে স্লোগান দেয়
দাবি ও দফা দেয়
পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটে বিদ্রোহী তরুণ।
দিকে দিকে আওয়াজ উঠে
আওয়াজ ফাঁটে আক্রোশে
মিছিল দীর্ঘ হয়
ক্রমশ জড়ো হয় জনগন
দিনে দিনে দিন বাড়ে আর মুক্তির জুলাই দীর্ঘ হয়,
আম্মা এসে দাঁড়ায় মিছিলে
আব্বা এসে দাঁড়ায় মিছিলে
একে এক মিছিলে আসে প্রিয়তম শিক্ষক
তারুণ্যের জুলাই দীর্ঘ হয়,
দলে দলে সকলে আসে মুক্তির জুলাইয়ে
চলে আসে কবির কলম, সাংবাদিকের ক্যামেরা
চলে আসে বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক ও শ্রমজীবী
শুধু আসে না রেমিটেন্স!
আর এই প্রথম কোন না আসাটাই সুন্দর
আমাদের জুলাইয়ের তরে স্বাস্থ্যকর।
পৃথিবীর সুন্দরতম জুলাইয়ের শপথ
স্বাক্ষী থাকো লতা পাতা ফুল
স্বাক্ষী থাকো বাংলাদেশ, সন্তান হারা মায়ের কোল
জয় হবে ন্যায় সংগ্রামের, শোক হবে শেষ
বিকট পতনে পাতালে যাবে স্বৈরাচার
মার্চ হবে বরাবর বাংলাদেশ।
#ভূবনমুন্সী
( শ্রদ্ধাঃ যেখানে অন্যায়, সেখানেই প্রতিরোধ; যখনই অন্যায়, তখনই প্রতিবাদ- এমন দীপ্ত ও শাণিত বোধে উজ্বিবীত বাংলার ছাত্র, যুব, তারুন্যকে স্যালুট, গভীর শ্রদ্ধা সমস্ত শহিদ ভাইদের প্রতি।
স্লোগানের পর স্লোগান আসুক, পরিবর্তনের পাল্টা ইশতেহারে চলুক অনুশীলন। শুধুই দাবি, দফার পথ ধরে নয়, একদম শিকড় থেকে সমস্ত সংকট মীমাংসার প্রয়াস ছড়িয়ে পড়ুক বুক হতে বুকে, মুখে মুখে।
সত্যি বলতে রাজনৈতিক সংস্কৃতি যদি পঁচে যায় তবে দেশটা রসাতলে যেতে বাধ্য, আর যদি দেশটা চুর- বাটপারেও ভরে যায়, শুধু রাজনৈতিক সংস্কৃতিটা উন্নত হলেই দেশটা বেঁচে যায়।
অন্ডার গ্রাউন্ডের ডন আর অভিবাবকত্বে থাকা নেতা কিংবা শিক্ষকের ‘কন্ঠ ও কর্তব্য’ যখন এক রূপ ধারন করে, ‘আস্তানা আর অঙ্গন’ তফাৎ ঘুচিয়ে নেয়, তখন ‘আমি আছি’ বা ‘লাব্বাইক’ বলতে পারা তরুনদেরই জাগতে হয়, জেগে উঠতে হয় ভোর প্রত্যাশী মায়ের ডাকে, তারুণ্যের মেজাজে জাগাতে হয় স্বার্থের মদে মগ্ন, তন্দ্রাচ্ছন্ন আপন জাতিকে; যাদের সাথে জড়িয়ে থাকে আমাদের ভালো বা মন্দ থাকার শর্ত, যাদেরকে সাথে নিয়েই আমরা আমাদের যাপনের সংবিধান লিখেছিলাম এবং যাদেরকে সাথে নিয়েই রচনা করবো আমাদের যথার্থ সংবিধান।
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানবেন ”বড়দা”।
রাষ্ট্রিক ষড়যন্ত্রের আবর্তে আমাদের জন্ম, বুলেট-বারুদের ময়দানে বেড়ে-বলে উঠেছি আমরা। এখনো শকুনের পাখায় ঢাকা আছে নীল আকাশ। মুক্তির উপমা আমি দেখলাম কবে? ষড়যন্ত্রে ভরে থাকা আমার ইতিহাস, স্বাধীনতায় বিশ্বাস থাকবে কী করে? বারুদের গন্ধে ঠাঁসা আমার বাতাস, নির্মল নিঃশ্বাসে সুস্থতার স্বাদ পেলাম কবে?
আমরা ক্লান্ত-শ্রান্ত, কিন্তু নির্লিপ্ত নই; কারণ আগামী আমাদের, আমরাই আগামীর।
আজকে দেশের এই দুর্দিনে ,যখন রাজনৈতিক ডিজঅ্যাবিলিটি নিয়ে, সহিংসতা ও শঠতা নিয়ে চারপাশে চোখের সামনেই ঘুরে বেড়াচ্ছে দলকানা, দিশাহীন অক্ষম রাজনৈতিক নেতৃত্ব, যাদের কাছে তরুদের লাশটাই ক্ষমতা অর্জনের সিঁড়ি, এমন জাহেলিয়াতের অন্ধকারে আপনাকেই মনে পড়ছে বারবার। কত আগেই বলেছিলে, বিদেশমুখীন এই রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে যে বা যারাই আসুক সর্বশেষে স্বৈরাচার হতে বাধ্য। চালক (সরকার) যতই ভালো হোক, ইঞ্জিন (রাষ্ট্র কাঠামো) ঠিক না থাকলে কেউ ভালো করে গাড়ি চালাতে পারবেনা। যে আসবে, সে-ই গণবিরোধী অবস্থানে চলে যাবে। হচ্ছেও তাই, একাত্তর হতে আজ আবধি আমরা শুধু জীবন দিয়ে স্বৈরাচারে পতন ঘটাচ্ছি, সুন্দর যাপনের সন্ধান পাচ্ছি না।
কত আগেই আপনি দেশের প্রধান সংকট নির্বাচন কালীন সংকট চিহ্নিত করে তার সাংবিধানিক দিশায় সমাধানের কথা বলে ছিলেন, কিন্তু আজও...আজও সেই পুরনো খেলায় আমরা মারছি নয়তো মরছি, মুক্তি পাচ্ছি কৈ!!
সমস্ত সংকট ও সমস্যার মূল ছিন্ন করতে, ইনশাঅল্লাহ, আপনার সাথে দেখা হবে মার্চ ফর বাংলাদেশে। - ভূবন মুন্সী)