
07/05/2025
মেয়েটার বাড়ি ছিল তাড়াশ জেলায়, গল্পের নাম: “অজানা সেই মুখ”
ধরন: রোমান্টিক থ্রিলার, বাস্তবভিত্তিক প্রতারণা
--চরিত্র:
রায়হান: এক তরুণ, হৃদয় দিয়ে ভালোবাসে, সরল বিশ্বাসী
আনিকা: ফোনে সুমিষ্ট কণ্ঠের এক রহস্যময়ী নারী
শিহাব: রায়হানের বন্ধু, যিনি রহস্য উন্মোচনে সাহায্য করে
বয়স্ক নারী: যার আসল পরিচয় দীর্ঘদিন গোপন ছিল
---
গল্প:
রায়হান একজন সাধারণ যুবক। একদিন ফেসবুকে তার পরিচয় হয় “আনিকা” নামে এক মেয়ের সঙ্গে।
তাদের বন্ধুত্ব অল্প সময়েই গভীর প্রেমে রূপ নেয়।
প্রতিদিন ৬-৭ ঘণ্টা অডিও কলে কথা, হাসি, গল্প, স্বপ্ন বোনা – এমনকি কোরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ – "আমি কখনো তোমাকে ছেড়ে যাব না।"
কিন্তু একটা বিষয় সবসময় রায়হানকে নাড়া দিত— ভিডিও কলে কখনো দেখা দেয় না আনিকা।
একবার ফোনের টাচে ভুলবশত ভিডিও কল রিসিভ হয়ে যায়... এবং তখনই ঘটলো কিছু অবিশ্বাস্য!
রায়হান দেখে, স্ক্রিনে আছে একজন বয়স্ক মহিলা।
সে চমকে উঠে, স্ক্রিনশট নিয়ে পাঠিয়ে দেয় অনিকাকে।
ওপাশ থেকে উত্তর আসে, “ওটা আমার ভাবি।”
তবু রায়হান বিশ্বাস করতে পারে না।
তার মনে পড়ে যায়— মাঝে মাঝে ছোট বাচ্চারা ফোন ধরতো,
তখন আনিকা বলতো, ওরা আমার ভাগ্নে।
রায়হান তখন সেই ছবিটা বন্ধু শিহাবকে পাঠায়, এবং শিহাব বলে—
“এই মহিলা তো... আমরা চিনি! উনি হলেন অন্তরের মা, তার দুইটা ছেলে আছে!”
রায়হান ততক্ষণে সব বুঝে যায়।
এক বছর ধরে সে যে মানুষটিকে প্রেমিকী ভেবেছে,
সে আসলে একজন বিবাহিত মহিলা— দুই সন্তানের জননী।
ভালোবাসার নামে এক বছরের অডিও কলের অন্তরালে ছিল এক ভয়ংকর প্রতারণা।
---
শেষ দৃশ্য (ক্লাইম্যাক্স):
রায়হান একটা কাগজে লিখে রাখে—
“ভালোবাসার নামে প্রতারণা কেবল হৃদয় ভাঙে না, মানুষটার ভিতরটাও ভেঙে ফেলে।
তবে ধন্যবাদ, অজানা সেই মুখ— তুমি আমাকে বাস্তব চিনিয়েছো।”
(শেষে সে তার স্ক্রিনরেকর্ড আর স্ক্রিনশট গুলো জিপ ফাইলে রেখে স্মাইল করে ডিলিট করে দেয় — যেন সে মুক্ত।)
---
গল্পের থিম:
বিশ্বাসের দাম
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছদ্মবেশের ভয়াবহতা
Video coming soon ,