08/10/2024
দ্বীনে ফেরার পর সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো নন-মাহরাম মেইনটেইন। এই ব্যাপারে অনেক বোনেরাই উদাসীন – আল্লাহুমাগফিরলি।
বাইরে বোরকা, হিজাব, নিকাব, হাত-পা মোজা পরে যাওয়া খুবই সহজ। কিন্তু বাসায় মেইনটেইন করা অনেক কঠিন। এই ক্ষেত্রে বোনেরা আবার কিছুটা সংকোচবোধ করেন।
যেমন : এতোদিন উনাদের সামনে চলাফেরা করলাম, এখন উনাদের সামনে নিকাব পরবো! উনারা কি ভাববেন! আচ্ছা হাশরে যেদিন জিজ্ঞাসা করা হবে ফরজ বিধান পালন না করার জন্য, সেদিন কি এই অযুহাত কাজে দিবে?
যদি না দেয় তাহলে এসব ভেবে কি লাভ? সংকোচ নাকি রবের বিধান পালন কোনটা আগে?
বাসায় নন-মাহরাম থাকলে পর্দা মেইনটেইন করার জন্য যেসব পোশাক ব্যবহার করতে পারেন :
★ ঘেরওয়ালা গোল জামা, জামার লং হবে হাটুর নিচে। একদম ঢিলাঢালা জামা, লম্বা হাতা, হাতায় ইলাস্টিক হবে যেন উপরে উঠে না আসে।
★ ঢিলেঢালা সালোয়ার, যেন কোনোভাবেই শরীর বোঝা না যায়।
★ হিজাবের লং এমন হবে যেন কাজ করতে সুবিধা হয়। মেয়েদের বাসায় কমবেশি সবারই কাজ থাকে, মেহমান আসলে কাজটা বেড়ে যায়। তাই হিজাবের লং হাইট অনুযায়ী দিতে পারেন, যেমন : ৪৫-৫৫ লং দিতে পারেন পছন্দ অনুযায়ী। হিজাবের সাথে এটাচ নিকাব, অথবা চাইলে আলাদা ১পার্ট নিকাব ব্যবহার করতে পারেন। হিজাবের ঘের অনেক বেশি দিবেন ইনশাআল্লাহ। হিজাব বা খিমারে চাইলে হাতা সহ দিতে পারেন অথবা হাতা ছাড়া।
★ পায়ে অবশ্যই অবশ্যই মোজা পরবেন। যতই ময়লা হোক না কেন, দরকার পরলে ঘরে জুতা পরে হাঁটবেন, তবুও মোজা পরতেই হবে। পায়ের মোজা নষ্ট হয়ে যায় তাড়াতাড়ি, তাই ভালো মানের মোজা ব্যবহার করতে পারেন, অথবা ৩-৪ জোড়া মোজা রাখতে পারেন।
★ জামা, সালোয়ার, হিজাব, নিকাব, এমন কাপড়ে বানাবেন যেন শরীর দেখা না যায়। নিজের আরামদায়ক হবে এমন কাপড়ে বানাতে পারেন ইন শা আল্লাহ।
★ আমার মনে হয় মেয়েদের ৩/৪টা জামা হলেই হয়ে যায়। এর বেশি দরকার পড়ে না আলহামদুলিল্লাহ।
বাসায় নন-মাহরাম মেইনটেইন করা হলে অনেকেই অনেক কথা বলতে পারে, এসব কথা গায়ে মাখবেন না। রবের বিধান সবার আগে, কে কী বললো তাতে কিছুই আসে যায় না।
অযথা নন-মাহরামের সাথে কথা বলা হাসাহাসি করা থেকে বিরত থাকবেন ইন শা আল্লহ।
~ সহমত আপু.
©️