Alvi Creation

Alvi Creation Yes bro, she is online but not for you.
(39)

15/10/2025

তোমার কি মনে থাকবে,
আমি একসময় তোমার ছিলাম 😔

14/10/2025

তোমার ডানা আছে তুমি তো উড়বেই।
তুমি যাও,
আর দরিয়া দরিয়া তৃষ্ণা মিটাও ,
যেই চোখে ডুবো ,
যেই মানেই অবস্থান করো ,
আমার দিকে আওয়াজ না দিয়ো ।
কিন্তু যখন, আমাকে পাওয়ার ইচ্ছা আর আমাকে চাওয়ার আগ্রহ এতো তেজ আর এতো উঁচু হয়ে যাবে,
যখন মন কান্না করে দিবে, তখন ফিরে এসো ।

প্রিয় ভালোবাসা,তুমি জানো, আমি আজও ঠিক সেই জায়গাটাতেই দাঁড়িয়ে আছি— যেখানে একদিন তোমার হাত ধরেছিলাম। সময় পেরিয়ে গেছে, ঋতু ...
13/10/2025

প্রিয় ভালোবাসা,

তুমি জানো, আমি আজও ঠিক সেই জায়গাটাতেই দাঁড়িয়ে আছি— যেখানে একদিন তোমার হাত ধরেছিলাম। সময় পেরিয়ে গেছে, ঋতু বদলেছে, মানুষ বদলে গেছে… কিন্তু আমার অনুভূতিটা ঠিক আগের মতোই রয়ে গেছে।

তুমি চলে গিয়েছিলে খুব সহজে। যেন কিছুই হয়নি। অথচ আমি তখন নিজের ভেতরটা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তোমার চলে যাওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে বড় বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমি ভেবেছিলাম, হয়তো তুমি ফিরে আসবে, হয়তো একদিন বুঝবে আমি সত্যিই তোমাকে ভালোবেসেছিলাম। কিন্তু তুমি বুঝোনি।

ভালোবাসা আমাকে কখনো ভালোই বাসেনি।
যাকে ভালোবেসেছি, সে সবসময় আমাকে ভুল বুঝেছে। কেউ বলেছে আমি কঠিন, কেউ বলেছে আমি ঠান্ডা, কেউ বলেছে আমি ভালোবাসতে জানি না। অথচ আমি তো শুধু একটুখানি যত্ন, একটুখানি বুঝে নেওয়া চেয়েছিলাম। কিন্তু সবাই ব্যস্ত ছিল নিজের মতো করে ভালোবাসা পাওয়ার খেলায়।

প্রতিদিন আমি ভাবি— হয়তো আমি ভুল মানুষকে ভালোবেসেছিলাম। হয়তো ভাগ্যটাই এমন ছিল। যখন দেখি অন্যরা ভালোবাসায় ভিজে হাসছে, আমি তখন নিরবভাবে নিজের কষ্টকে বুকের ভেতর চেপে রাখি। কারণ আমি জানি, আমার জন্য ভালোবাসা আসে না, কেবল কষ্টই আসে।

কখনো কখনো রাতের নিরবতায় তোমার নামটা লিখে ফেলি, তারপর মুছে দিই। ভাবি, তোমার কথা মনে করা মানেই আবার নিজের কষ্টকে ডাক দেওয়া। কিন্তু কষ্টই তো আমার একমাত্র সঙ্গী হয়ে গেছে।

ভালোবাসা আমাকে কখনো ভালোই বাসেনি,
তবুও আমি ভালোবাসাকে ঘৃণা করতে পারিনি। হয়তো সত্যিকারের ভালোবাসা এমনই হয়— সে তোমাকে ভাঙে, কাঁদায়, তবু তোমার ভেতর থেকে মুছে যেতে পারে না।

শেষে শুধু এইটুকুই বলি—
যদি কখনো তুমি ফিরে তাকাও, দেখবে আমি এখনো আছি।
একই মানুষ, একই ভালোবাসা, শুধু একটু বেশি একা।

09/10/2025

“জীবনের স্রোত”

ভোরের আলোয় কাঁপা একটি কণ্ঠ,
“ছেলে হয়েছে!” — এই এক বাক্যেই শুরু হয়েছিল এক জীবনের ইতিহাস।
মাটির ঘর, জানালা দিয়ে আসা বাতাসে কাঁচা ধানের গন্ধ,
মায়ের বুকে ঘুমিয়ে থাকা ছোট্ট প্রাণ—
এভাবেই পৃথিবীতে এল সে, নাম তার আরমান।

শৈশব ছিল রোদে পুড়ে যাওয়া হাসির দিন।
বৃষ্টিতে ভিজে মাঠে গড়াগড়ি, কাদা মেখে দৌড়ানো,
আর সন্ধ্যায় মায়ের কণ্ঠে গল্প শোনা—
“ভালো মানুষ হবি, বাবা, ভালো থাকবি সবাইকে নিয়ে।”
বাবা ছিলেন নীরব মানুষ, হাতে লাঙল, মুখে ঘাম, চোখে গর্ব।
তখন সে বুঝত না—বাবা কথা কম বলেন কেন,
আজ বোঝে, ভালোবাসা সবসময় উচ্চস্বরে প্রকাশ পায় না।

কৈশোর এলো নদীর জোয়ারের মতো।
চোখে স্বপ্ন, মনে আগুন।
প্রথম ভালোবাসা এলো হালকা বাতাসের মতো,
যেমন আসে গ্রীষ্মের প্রথম বৃষ্টি—চুপিচুপি, অনামন্ত্রিত।
কিন্তু স্বপ্নগুলো কাগজের নৌকার মতো ভেসে গেল বাস্তবতার স্রোতে।
বাবার ঘামে ভেজা মুখ তার ভিতরের শিশুটাকে বড় করে তুলল।

তারপর শহর।
টিনের ছাদে বৃষ্টির শব্দে নিঃসঙ্গতা,
ভোরবেলায় কাজ, রাত জেগে পড়াশোনা।
চোখে একটাই স্বপ্ন—
“একদিন বাবা-মাকে কষ্টের ঋণ শোধ করব।”
বছরের পর বছর ধরে সে সেই স্বপ্নকেই বাস্তবের রূপ দিল।
চাকরি, সংসার, সাফল্য—সবই পেল,
কিন্তু কোনো এক কোণে মনে পড়ত সেই মাটির ঘর,
বাবার মুখ, মায়ের হাতের ভাতের গন্ধ।

একদিন আবার ভোরে কান্না শোনা গেল,
তার নিজের ঘরে—জন্ম নিল তার সন্তান।
ছোট্ট শিশুটাকে কোলে নিয়ে সে হঠাৎ কেঁপে উঠল।
মনে হলো, জীবন যেন ঘুরে ফিরে প্রথমে এসে থেমেছে।
এবার সে বাবা, আর তার সন্তানের চোখে সে-ই সেই মানুষ,
যাকে একদিন সে বুঝে উঠতে পারেনি।

সময় থামে না।
দিন কেটে যায়, দায়িত্ব বাড়ে, চোখে চশমা, কপালে ভাঁজ।
বছর পরে একদিন ছেলেও চলে গেল শহরে, নিজের জীবনের পেছনে।
ঘরটা নিঃশব্দ হয়ে গেল।
স্ত্রী পাশে বসে থাকে, চা হাতে।
দুজনেই জানে, জীবনের সূর্য এখন পশ্চিমে ঢলে পড়েছে।

সন্ধ্যায় সে বারান্দায় বসে থাকে,
দূরের লাল আকাশ দেখে মনে মনে বলে,
“এই রঙটা আমার জীবন, ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে।”
কোনো অভিযোগ নেই, কোনো অনুশোচনা নেই—
শুধু শান্তি, এক অদ্ভুত প্রশান্তি।

এক শীতের সকালে,
বালিশে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে সে—
চোখে নরম হাসি, মুখে ক্লান্তি নেই।
স্ত্রী ডাকলেন, উত্তর নেই।
জীবন থেমে গেছে নিঃশব্দে,
যেমন সন্ধ্যার বাতাস থেমে যায় গাছের পাতায়।

ছেলে ফিরে এল, বাবার পাশে বসে বলল,
“বাবা, আমি তোমাকে বুঝিনি, কিন্তু তোমার মতো হতে চেয়েছি।”
বাইরে সূর্য উঠছে, আলো পড়ছে মুখে—
মনে হচ্ছে, সে ঘুমাচ্ছে, আরেকটি ভোরের অপেক্ষায়।

এভাবেই এক জীবন শেষ হয়,
কিন্তু শেষ হয় না তার গল্প।
কারণ এক পুরুষ মানুষের জীবন কেবল তার নিজের নয়—
তা মিশে থাকে সন্তানের রক্তে, স্ত্রীর চোখে,
এমনকি বাতাসের নরম ছোঁয়াতেও।

জন্ম থেকে মৃত্যু—
এই পথটুকুই মানুষকে শেখায় ভালোবাসার মানে,
ত্যাগের গভীরতা, আর নীরবতার মর্যাদা।
জীবন শেষ হয়, কিন্তু ভালোবাসা নয়—
সে রয়ে যায়,
প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে,
মানুষের মতোই—অমর, অনন্ত, অনির্বচনীয়।

08/10/2025

“বাবার নীরব হাত”

রিদয় ছোটবেলায় সবসময় মাকে জড়িয়ে থাকত। মা তাকে গল্প শোনাতেন, মুখে ভাত তুলে দিতেন, স্কুলে পাঠিয়ে দিতেন। কিন্তু বাবা?
বাবা ছিলেন নীরব এক মানুষ—রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে, মাঠে-ঘাটে সারাদিন কাজ করে ঘরে ফিরতেন, মুখে হাসি থাকত, কিন্তু চোখে ক্লান্তি।

রিদয় তখন বুঝত না। সে ভাবত, বাবা তাকে ভালোবাসেন না, কারণ বাবা কখনো বেশি কথা বলেন না, কখনো কোলে নেন না।

একদিন সকালে স্কুলে যেতে দেরি হচ্ছিল। বাবা বললেন,

“পা চালা, দেরি হইলে শিক্ষক বকবে।”
রিদয় রাগ করে বলল, “আপনি তো কখনো ভালোভাবে বলেন না, সবসময় ধমক দেন!”

বাবা চুপ করে ছিলেন, শুধু বলেছিলেন,

“একদিন বুঝবি, কেন ধমকাই।”

সময় গেল।
রিদয় বড় হল, শহরে পড়তে গেল। বাবা তখনও ভোরে উঠতেন, চুপচাপ ছেলের খরচ পাঠানোর জন্য খাটতেন।
কখনো নিজের জন্য নতুন কাপড় কিনতেন না, নতুন জুতোও না—বলতেন,

“রিদয়ের লাগি টাকা জমাইতেছি।”

বছর পরে রিদয় চাকরি পেল। ফোনে বাবা শুধু বলেছিলেন,

“আল্লাহর শুকরিয়া। এখন তুই সুখে থাক।”
আর কিছু না।

বাবা-মা’র জন্য টাকা পাঠাত সে, কিন্তু বাবা কখনো কিছু চাইলেন না।
বলতেন,

“তোর টাকা তুই রাখ, আমি খাইতেছি গ্রামের বাতাসে।”

কিন্তু একদিন হঠাৎ খবর এলো—বাবা অসুস্থ।
রিদয় ছুটে গেল।
বাবা তখন বিছানায়, মুখে হাসি, চোখে জল।

রিদয় কাঁদতে কাঁদতে বলল,

“বাবা, আমি কিছুই বুঝতে পারিনি… আপনি কত কষ্ট করেছেন আমার জন্য!”

বাবা দুর্বল কণ্ঠে বললেন,

“বাবা, আমার সুখ তুই। তোর জন্য খাটছি বলে কষ্টটা কখনো কষ্ট লাগেনি।”

বাবা চোখ বুজলেন কিছুক্ষণের মধ্যেই।
রিদয় সেই মুহূর্তে প্রথমবার বুঝল— বাবা কখনো বলেন না, কিন্তু তার ভালোবাসা পৃথিবীর সব শব্দের চেয়ে গভীর।

আজ রিদয় প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বাবার পুরনো হাতঘড়িটা পরে কাজে যায়।
বাবার সেই নীরব হাতের ছোঁয়া যেন তার জীবনের দিশা হয়ে গেছে।

বাবা হয়তো চুপ করে থাকেন, কিন্তু তাঁর নীরবতায় থাকে পুরো পৃথিবীর মমতা।

বছর কেটে গেছে। এখন রিদয় নিজেই একজন বাবা।
তার ছোট ছেলে, অর্ণব—বয়স মাত্র সাত।
রিদয় প্রতিদিন সকালে অফিসে যাওয়ার আগে ছেলেকে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে আসে। ছেলেটা মাঝে মাঝে রাগ করে বলে,

“বাবা, তুমি সারাদিন অফিসে থাকো, আমার সাথে খেলো না।”

রিদয় হাসে, কিন্তু বুকের ভেতরটা কেমন যেন কেঁপে ওঠে।
তার মনে পড়ে যায় ছোটবেলার কথা—
সে-ও একদিন এমনই রাগ করেছিল নিজের বাবার উপর।

রাতে অর্ণব ঘুমিয়ে গেলে রিদয় তার মাথায় হাত রেখে বসে থাকে।
চুপচাপ ভাবে, “বাবা, তুমি যেমন আমার জন্য খাটেছো, আমিও আজ সেই পথে হাঁটছি।”

একদিন স্কুলের ফি দিতে গিয়ে টাকার টান পড়ল।
অফিসের প্রেশার, সংসারের দায়—সব মিলিয়ে মাথা ভারী।
কিন্তু সে থামেনি।
বাবার মতোই ভোরে উঠে কাজে গেল, মন বলল—

“কষ্ট না করলে সন্তান হাসবে কীভাবে?”

সেদিন রাতে ছেলেটা এসে বলল,

“বাবা, তুমি আমার হিরো।”
এই একটা বাক্য শুনে রিদয়ের চোখ ভিজে গেল।

সে মনে মনে বলল,

“বাবা, আমি এখন বুঝি— ভালোবাসা প্রকাশে নয়, ত্যাগে থাকে।”

বাবার পুরনো হাতঘড়িটা এখনও তার কব্জিতে ঝুলে থাকে।
যখনই ক্লান্ত লাগে, সে ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে দেখে—
একটা অদৃশ্য মুখ হাসছে, যেন বলছে,

“ভয় পাস না, আমি আছি তো।”

রিদয় এখন জানে, বাবা মারা যান না—
তারা রয়ে যান ছেলের আচরণে, তার ত্যাগে, তার পরিশ্রমে।
বাবার ভালোবাসা ঠিক সেই ভোরের রোদের মতো—
চোখে লাগে না, কিন্তু সারাদিন উষ্ণতা দেয়।

শীতের এক বিকেল। আকাশে মেঘের ফাঁকে সূর্যের মলিন আলো।
রিদয় ছেলেকে নিয়ে গ্রামের পথে হাঁটছে—হাতে একটা ফুলের তোড়া।
অর্ণব অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল,

“বাবা, আমরা কোথায় যাচ্ছি?”

রিদয় হালকা হাসল, বলল,

“তোর দাদার কাছে, যিনি একদিন আমার জন্য আকাশের নিচে ছায়া হয়ে ছিলেন।”

গাছপালায় ভরা সেই ছোট্ট কবরস্থানে এসে তারা দাঁড়াল।
রিদয় ধীরে ধীরে ফুলগুলো রাখল বাবার কবরের উপর।
চোখে জল এসে গেল, কিন্তু মুখে ছিল এক শান্ত হাসি।

“বাবা, আমি এসেছি… তুমি বলেছিলে, একদিন বুঝবি।
আজ বুঝেছি— ভালোবাসা মানে শুধু থাকা নয়, লড়ে যাওয়া।”

অর্ণব চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল, বাবার চোখের জল দেখছিল।
তারপর ছোট্ট হাতটা রিদয়ের হাতের উপর রাখল,
বলল,

“বাবা, দাদাও কি তোমাকে খুব ভালোবাসতেন?”

রিদয় চোখ মুছে বলল,

“দাদার ভালোবাসা আমি এখনো টের পাই।
তুইও একদিন আমায় এমন করেই মনে রাখবি, তাই না?”

ছেলেটা মাথা নাড়ল।
রিদয় তার মাথায় হাত রেখে বলল,

“ভালোবাসা কখনো মরে না, অর্ণব।
বাবারা চলে যান, কিন্তু তাঁদের শেখানো পথটাই থাকে আমাদের ভেতরে।”

বাতাসে পাতার শব্দ হলো, যেন কোথাও থেকে একটা নরম কণ্ঠ ভেসে এল—

“বাবা, আমি তোর গর্ব…”

রিদয় চোখ বন্ধ করল।
সূর্যের শেষ আলো তার মুখে পড়ল,
আর মনে হলো—বাবা সত্যিই পাশে আছেন, নীরবে, আগের মতোই।

07/10/2025

প্রিয় ভালোবাসা, তুমি বরং আমার আকাশ হয়েই থেকো

প্রিয় মেঘলা,

বেশ কিছু কথা ছিলো, অনেকদিন ধরে বুকের ভেতর জমে আছে।
আজ মনে হলো, লিখেই ফেলি — যদিও জানি, তুমি হয়তো এই চিঠি পড়বে না।
তবুও লিখছি… নিজের জন্য, নিজের শান্তির জন্য।

প্রিয় ভালোবাসা,
তুমি বরং আমার আকাশ হয়েই থেকো।
আমি আর কিছু চাই না তোমার কাছ থেকে।
তুমি থাকো, তবে দূরে থেকো — ঠিক আকাশের মতো।
যেখানে তাকালেই তোমাকে পাওয়া যায়, কিন্তু ছুঁতে গেলেই তুমি দূরে সরে যাও।

মনে আছে তো, সেদিন প্রথম দেখা হয়েছিলো বৃষ্টির বিকেলে?
তুমি ছাতা আননি, আমি ছাতার নিচে জায়গা দিয়েছিলাম।
সেদিনই বুঝেছিলাম, এই মেয়েটা আমার জীবনে আলাদা কিছু হতে চলেছে।
আর ঠিক তাইই হয়েছিলো…
তুমি আমার পৃথিবীর কেন্দ্র হয়ে গিয়েছিলে।

তারপর একসময় জীবন এসে দু’জনকে আলাদা করে দিলো।
তুমি বলেছিলে — “ভালোবাসা দিয়ে কি জীবন চলে?”
আমি চুপ করে গিয়েছিলাম, কারণ তোমার প্রশ্নের উত্তর তখনও খুঁজে পাইনি।
আজ জানি — জীবন হয়তো চলে ভালোবাসা ছাড়া,
কিন্তু মন বাঁচে না।

এখনও মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়,
বৃষ্টির গন্ধে তুমি ফিরে আসো মনে,
আর আমি শুধু জানালার দিকে তাকিয়ে থাকি —
ভাবি, কোথাও কি তুমি একই আকাশের নিচে তাকিয়ে আছো?

মেঘলা, আমি তোমাকে অভিশাপ দিইনি কখনও,
বরং প্রতিটা প্রার্থনায় তোমার নামটা জুড়ে দিই।
তুমি সুখে থেকো,
তোমার আকাশে রোদ উঠুক,
তোমার চোখে জল না আসুক আর।

আর আমি?
আমি তোমার আকাশের নিচেই থাকবো —
তোমার ছায়ায়, তোমার দূরত্বে, তোমার নীরবতায়।

তুমি আমার হয়নি, তবুও তুমি আছো —
প্রতিটা বাতাসে, প্রতিটা বৃষ্টির ফোঁটায়,
প্রতিটা অসমাপ্ত কথার ভেতরে।

তুমি বরং আমার আকাশ হয়েই থেকো,
আমি প্রতিদিন তাকিয়ে থাকবো…
তোমার দিকেই।

06/10/2025

শেষ চিঠি

রাতটা ছিলো একেবারে নিঃশব্দ। বাইরে শুধু বৃষ্টির শব্দ, জানালার কাঁচে টুপটাপ পানি পড়ছিলো। রুহান বসে ছিলো তার পুরনো কাঠের টেবিলের সামনে — হাতে একটা কাগজ, আর চোখে অজস্র স্মৃতি।

“আজ লিখবো শেষ চিঠিটা…” — নিজের সঙ্গে নিজেই বললো সে।

দু’বছর আগে এই টেবিলেই বসে ও প্রথম চিঠিটা লিখেছিলো মেহরীনকে। সেই চিঠিতে ছিলো ভালোবাসা, স্বপ্ন আর জীবনের রঙ। আজ এই টেবিলেই বসে সে লিখছে বিদায়ের চিঠি।

মেহরীন চলে গেছে — না, দূরে কোথাও নয়, ঠিক তার শহরেই আছে। কিন্তু তাদের মাঝের দূরত্বটা এখন মাইলের থেকেও বড়।
একদিন যাকে ছাড়া ঘুম আসতো না, এখন তার নামটা দেখলেই বুকটা পাথর হয়ে যায়।

রুহান লিখছে —

“তুমি বলেছিলে, ভালোবাসা যদি সত্যি হয়, তাহলে দূরত্ব কোনো বাধা না।
কিন্তু দেখো, এখন সেই দূরত্বটাই আমাদের আলাদা করে রেখেছে।
আমি চেষ্টা করেছিলাম… যতটা পারা যায় ততটা থেকেছি, তবুও পারিনি তোমার পৃথিবীতে মানিয়ে নিতে।
তুমি আলো ছিলে, আমি ছায়া। আর ছায়া কখনো আলোকে ছুঁতে পারে না।”

চিঠির নিচে সে শুধু একটা লাইন লিখলো —

“ভালো থেকো, আমার কষ্টের কারণ।”

চিঠিটা ভাঁজ করে টেবিলে রেখে রুহান জানালার পাশে দাঁড়ালো। বাইরে বৃষ্টি থেমেছে, কিন্তু তার চোখে বৃষ্টি শুরু হলো।

জানালার কাঁচে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে সে মৃদু হেসে বলল —
“শেষ চিঠিটা লিখে ফেললাম… এবার আমিও একটু শান্তি খুঁজবো।”

সেই রাতে রুহান আর ঘুমায়নি।
শুধু একটা চিঠি থেকে গেলো — আর সেই চিঠিটাই এক জীবনের গল্প হয়ে রইল।

পরদিন সকাল।
বৃষ্টি থেমে গেছে, বাতাসে হালকা ঠান্ডা গন্ধ।
মেহরীন অফিসে যাবার আগে দরজার নিচে একটা কাগজ দেখতে পেল — ভেজা, কিন্তু অক্ষরগুলো এখনো স্পষ্ট।

চিঠি খুলতেই তার বুকটা কেঁপে উঠল —
এটা রুহানের লেখা।

হাতে লেখা সেই অক্ষরগুলো একেকটা যেন ছুরির মতো বিঁধছিল তার হৃদয়ে।
সে চিঠি পড়ছিলো, আর প্রতিটা লাইন যেন একটা একটা করে স্মৃতি খুলে দিচ্ছিল —
প্রথম দেখা, প্রথম সিনেমা, প্রথম ঝগড়া, প্রথম “আমি তোমায় ভালোবাসি” বলা মুহূর্ত…

শেষে এসে চোখ থেমে গেলো সেই লাইনটায় —

“ভালো থেকো, আমার কষ্টের কারণ।”

ওই একটা লাইন যেন পৃথিবীর সব শব্দকে নীরব করে দিল।
মেহরীন হাঁটু গেড়ে বসে পড়ল।
চোখের পানি থামানোর চেষ্টা করেও থামাতে পারলো না।

সে নিজেই জানে — দোষটা কারও একার ছিল না।
রুহান চুপচাপ সহ্য করতো, আর মেহরীন ভেবেছিলো, সে বদলে গেছে।
কিন্তু ভালোবাসা কখনোই মরে না — শুধু ক্লান্ত হয়ে চুপ করে যায়।

রুহান চলে যাওয়ার পর প্রথমবার, মেহরীন বুঝলো —
ভালোবাসা হারানো মানে কাউকে হারানো নয়, বরং নিজের একটা অংশ হারিয়ে ফেলা।

সেই রাতে সে জানালার পাশে বসে রুহানের মতোই লিখতে শুরু করলো —

“তুমি ঠিকই বলেছিলে, ছায়া আলোকে ছুঁতে পারে না।
কিন্তু তুমি জানো না, আলোও ছায়াকে ছাড়া সম্পূর্ণ নয়।”

চিঠিটা লিখে সে বাতাসে ছেড়ে দিলো।
পাতার মতো উড়ে গেল সেই কাগজ, জানালার বাইরে।

আর হয়তো কোথাও দূরে —
রুহানও একই সময়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিল,
মনে মনে বলছিলো —
“তুমি কাঁদছো, তাই না মেহরীন…”

বৃষ্টি আবার শুরু হলো।
দু’জন আলাদা আকাশের নিচে থেকেও একই বৃষ্টিতে ভিজলো —
কিন্তু এবারও একসাথে নয়…
শুধু কষ্টের স্মৃতির ভেতরেই এক।

পাঁচ বছর কেটে গেছে।
শহরটা অনেক বদলে গেছে — নতুন রাস্তা, নতুন মানুষ, নতুন গল্প।
শুধু কিছু পুরনো স্মৃতি এখনও মুছে যায়নি।

রুহান এখন একটা ছোট্ট বইয়ের দোকান চালায়।
বইয়ের গন্ধে তার দিন কাটে, আর রাত কাটে পুরনো গানের সুরে।
মাঝে মাঝে কেউ এসে জিজ্ঞেস করে — “আপনি এত একা থাকেন?”
সে হেসে বলে, “সবাই তো কারও না কারও স্মৃতির সঙ্গেই থাকে।”

একদিন বিকেলে দোকানের দরজার ঘণ্টা বাজল।
রুহান মাথা তুলে তাকালো —
একটা চেনা মুখ।

মেহরীন।

চুলে হালকা রুপালি ছোঁয়া, চোখে এখনো সেই গভীরতা।
দু’জনের চোখ এক হলো — কিন্তু কেউ কিছু বললো না।
শুধু নীরবতা ভরল দোকানটা।

মেহরীন বইয়ের একটা কপি হাতে নিলো — “শেষ চিঠি।”
লেখক: রুহান আহমেদ।

সে একটু অবাক হয়ে হাসল — “তুমি বই লিখেছো?”
রুহান শান্ত গলায় বলল —
“হ্যাঁ… ওই চিঠিটাই ছিল প্রথম পৃষ্ঠা।”

চোখে হালকা জল টলমল করলো মেহরীনের।
সে বইটা হাতে নিয়ে বলল,
“তুমি জানো, আমি সেই চিঠিটা এখনো রেখেছি?”

রুহান একটু হেসে বলল,
“আমি জানতাম… তুমি কখনোই ফেলে দিতে পারবে না।”

বাইরে বৃষ্টি পড়ছে, ঠিক সেই পুরনো দিনের মতো।
রুহান জানালার দিকে তাকিয়ে বলল,
“আমরা আবার একসাথে হবো না, মেহরীন… কিন্তু জানো, এই পৃথিবীতে কেউ কাউকে পুরোপুরি হারায় না। কিছু সম্পর্ক কেবল অন্য রূপে বেঁচে থাকে।”

মেহরীন নিচু গলায় বলল,
“হয়তো আমরা প্রেমিক ছিলাম না… কিন্তু আমরা গল্প হয়ে গেছি।”

রুহান হেসে বলল,
“গল্পগুলোই তো চিরজীবী হয়…”

দু’জনই জানত, এটাই শেষ দেখা।
কিন্তু এবার কোনো কষ্ট ছিল না — শুধু এক শান্তি,
যেন একটা অসমাপ্ত গল্প অবশেষে পূর্ণ হলো।

বৃষ্টি তখনও পড়ছে,
আর দোকানের ভেতরে একটা বই খোলা —
প্রথম লাইনে লেখা:

“প্রতিটা শেষ চিঠিই আসলে এক নতুন শুরু।”

05/10/2025

যতটা ভালোবাসা দিয়েছি, ততটাই কষ্ট পেয়েছি😔

04/10/2025

হৃদয়টা আজও বিশ্বাস করে-ফিরে আসবে তুমি, একদিন।

03/10/2025

গল্পটা শুরু হয়েছিল খুবই সাধারণভাবে। কোনো সিনেমার মতো জমকালো দৃশ্য ছিল না, ছিল না রঙিন আতশবাজি কিংবা নাটকীয় আলাপচারিতা। বরং নীরব এক দুপুরে, এক অচেনা পথে, হঠাৎ দেখা হয়েছিল তাদের।

প্রথম দেখায় মনে হয়েছিল, এই মানুষটিকে সে বহু আগে থেকেই চেনে। অথচ তারা দুজনই জানত, বাস্তবে এরকম কিছু নয়। স্রেফ এক অদ্ভুত টান, যেটা বোঝানো যায় না, শুধু অনুভব করা যায়।

দিনগুলো চলতে থাকল। কখনো নিয়মিত কথা, কখনো নিঃশব্দে চাওয়া— এভাবেই ধীরে ধীরে দু’জন মিশে গেল একে অপরের জীবনে। চারপাশে কোলাহল থাকলেও, তাদের কাছে পৃথিবীটা যেন সীমাবদ্ধ হয়ে গেল একে অপরের ভেতরে।

কিন্তু পৃথিবী কখনোই দীর্ঘ সময়ের জন্য কাউকে নিজের মতো করে স্বপ্ন দেখার সুযোগ দেয় না।
তাদেরও দিল না।

একজনকে টেনে নিল জীবনের দায়িত্ব, অন্যজনকে ঠেলে দিল অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। সমাজ, পরিবার, কাজের চাপ, অব্যক্ত ভয়— সব মিলে যেন অদৃশ্য এক দেওয়াল তৈরি হলো। দেওয়ালটা ভাঙতে চাইলেও ভাঙা গেল না।

তারপরও তারা মাঝে মাঝে দেখা করত। খুব অল্প সময়ের জন্য, খুব সাধারণভাবে।
কথার ভেতরে না বলা কষ্ট, হাসির আড়ালে লুকোনো অশ্রু, আর দৃষ্টির ভেতরে আটকে থাকা অগণিত প্রশ্ন— এসবই হয়ে উঠল তাদের নীরব সঙ্গী।

একদিন হঠাৎ, এক ব্যস্ত রাস্তায় আবার দেখা হলো।
কেউ কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করল না। শুধু একবার চোখে চোখ রেখে হালকা হাসল।
সেই হাসির ভেতরেই ছিল হাজারো না বলা কথা, ভেঙে যাওয়া প্রতিশ্রুতির ছায়া, আর অচেনা ভবিষ্যতের ভয়।

তারপর দু’জনই ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে গেল।
কোনো বিদায় নয়, কোনো নিশ্চিত শেষ নয়। শুধু এক অস্পষ্ট উপসংহার, যেটা বোঝায়— কিছু গল্প কখনোই সম্পূর্ণ হয় না।

হয়তো সেখানেই গল্পের আসল সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে—
রঙিন সূচনায় নয়, বরং অস্পষ্ট উপসংহারে রেখে দেওয়াতেই।

03/10/2025

প্রিয় রূপা,

তোমাকে না পেয়েও আমি যেভাবে তোমাকে পেয়েছি,
সেভাবে আর কেউ কোনোদিন তোমাকে পাবে না।

তুমি হয়তো ভাবছো, হারিয়ে যাওয়া মানেই শেষ হয়ে যাওয়া। কিন্তু জানো রূপা, আমার কাছে তুমি কখনো হারাওনি। তুমি আছো আমার প্রতিটি নিশ্বাসে, প্রতিটি স্বপ্নে, প্রতিটি ব্যথায়। তোমাকে আমি শুধু একজন মানুষ হিসেবে পাইনি—তোমাকে আমি পেয়েছি আমার আত্মার গভীরে।

তুমি দূরে চলে গেছো, তোমার চারপাশে এখন অন্য মানুষ, অন্য ভালোবাসা, অন্য পৃথিবী। তবু আমি জানি, তাদের ভালোবাসা আমার মতো নয়। তারা হয়তো তোমার হাত ধরবে, কিন্তু তোমার ভেতরটা তারা কোনোদিন আমার মতো পড়তে পারবে না। তারা হয়তো তোমাকে হাসাবে, কিন্তু তোমার চোখের লুকানো জল তারা বুঝবে না।

রূপা, আমি তোমাকে না পেয়েও তোমার প্রতিটি রূপ, প্রতিটি যন্ত্রণা, প্রতিটি আনন্দ অনুভব করেছি। এভাবে আর কেউ তোমাকে ভালোবাসতে পারবে না।

তোমাকে নিয়ে আমার স্বপ্ন শেষ হয়নি। কেবল বাস্তবের পথ বন্ধ হয়েছে। তবু আমি চাই, তুমি সুখী থাকো। আমি দূর থেকে দেখব, সেই হাসি যেন তোমার মুখে সবসময় থাকে।

কিন্তু মনে রেখো—
আমার মতো করে তোমাকে আর কেউ কোনোদিন পাবে না।
তুমি ছিলে, আছো, আর থাকবে—আমার ভেতরের সবচেয়ে গভীর ভালোবাসা হয়ে।

রাতের শহরটা অদ্ভুত নিরব। চারপাশে আলো ঝলমল করছে, কিন্তু নীলা যেন সেই আলোতে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে। জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ...
02/10/2025

রাতের শহরটা অদ্ভুত নিরব। চারপাশে আলো ঝলমল করছে, কিন্তু নীলা যেন সেই আলোতে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে। জানালার পাশে দাঁড়িয়ে সে দেখছে রাস্তার দিকে। মানুষ হাঁটছে, গাড়ি চলছে, হাসির শব্দ ভেসে আসছে। সবকিছু এত জীবন্ত, অথচ তার মনে কেবল এক শূন্যতা।

তার পাশে অয়ন দাঁড়িয়ে আছে। অয়ন সবকিছু দেখে, সবকিছু শোনে, সবকিছু অনুভব করে—কিন্তু নীলাকে যেন আর দেখে না।
আগে অয়নের চোখে নীলার জন্য যে আলাদা আলো ছিল, তা এখন সবার জন্য সমানভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। বন্ধুদের জন্য, কাজের জন্য, পৃথিবীর জন্য।

নীলার বুকের ভেতরটা কেমন যেন টেনে ধরে। মনে হয়—
“তুমি কত কিছু দেখো, শুধু আমাকেই দেখো না।
তুমি সবাইকে ভালোবাসো, শুধু আমাকেই ভালোবাসো না।”

তাদের গল্পটা যেন ধীরে ধীরে বদলে গেছে।
যেখানে একদিন নীলার হাত ধরে অয়ন বলেছিল, “তুমি আমার সবকিছু”, আজ সেখানে আছে কেবল “সবাই”। নীলা জানে অয়ন মিথ্যে বলেনি, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে অয়নের ভালোবাসার দুনিয়াটা বড় হয়ে গেছে। আর সেই বিশাল দুনিয়ার ভিড়ে নীলার জন্য থাকা ছোট্ট কোণাটা ফাঁকা হয়ে গেছে।

রাত বাড়ে। নীলা জানে, অয়নের চোখে সে আর সেই একমাত্র নয়।
তবু নীলা চুপচাপ থাকে।
কারণ ভালোবাসা শুধু পাওয়ার নয়—ভালোবাসা মানে কাউকে মুক্তি দেওয়া, কেউ যদি সবকিছু ভালোবাসে, তাকে আঁকড়ে ধরে রাখা যায় না।

কিন্তু গভীর রাতের বাতাসে নীলার বুক থেকে এক নিঃশব্দ দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে—
সে চায় না পৃথিবীর সব ভালোবাসা, সে শুধু চেয়েছিল অয়নের একটুখানি চোখের আলো—যেটা একদিন শুধু তার জন্য ছিল।

Address

Sirajganj
6770

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Alvi Creation posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Alvi Creation:

Share