04/10/2025
মানুষের মস্তিষ্কে একটা sympathy bias কাজ করে। যাকে দুর্বল মনে করা হয়, তার কথা মানুষ দ্রুত বিশ্বাস করে। নারীর চোখের পানি, আবেগ, কিংবা অভিযোগ সমাজকে অনেক বেশি প্রভাবিত করে পুরুষের আত্মপক্ষ সমর্থনের চেয়ে। ইতিহাস, সংস্কৃতি আর সামাজিক আবেগের কারণে নারীকে সাধারণত "ভিকটিম" বা "ভুক্তভোগী" হিসেবে দেখা হয়। তাই কোনো নারী যদি পুরুষের বিরুদ্ধে কিছু বলে, সেটাকে সহজে সহানুভূতির চোখে দেখা হয়।
আবু ত্বহা আদনান ভাইয়ের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এক মিনিটের জন্য ধরে নিলাম সত্য। কিন্তু ত্বহা ভাইয়ের তো ফ্যামিলি আছে, তার মা-বাবা গুরুজন আছেন, তার উস্তাদ ও আছেন। অবশ্যই তার স্ত্রী এই অভিযোগ গুলো তাদেরকে জানাতে পারতেন। অথবা পারিবারিক সালিসি বৈঠকে এটা উপস্থাপন করে তার নামে বিচার দিতে পারতেন।
কিন্তু তার স্ত্রী একজন সেলিব্রিটি মানে সেও ক্ষমতাধর। অতএব তার স্বামীর ভুল এখন তার কাছে স্বামীর মান-মর্যাদার চেয়েও বড়। কারন সেও সেলিব্রিটি তার ক্ষমতাও তার স্বামীর থেকে কম নয়। অতএব সে তার পারিবারিক বিষয়টা ফেসবুকেই বলে দিলেন। এবং তারপর কি হলো-
কোনো পুরুষের চরিত্রে দাগ লাগানো মানে শুধু তার সামাজিক ইমেজ না, পরিবার, এবং পেছনের সকল ভালো কাজ সবকিছুই ভেঙে ফেলা সম্ভব। একবার মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি হয়ে গেলে, সেই সন্দেহ পরে মিথ্যা প্রমাণিত হলেও সেই কলঙ্ক পুরোপুরি মুছা যায় না।
তাই এই ঘটনার থেকে আমাদের ভাইয়ের জন্য একটা শিক্ষা রয়েছে। সেই শিক্ষা কি নিজেরাই খুঁজে নিয়েন, আমি জাস্ট বলবো-নিজের স্ত্রীকে স্ত্রী হিসেবেই ঘরে রাখুন।
আর এজন্যই কিবোর্ড যু দ্ধা সুমন আহমাদ বলিয়াছেন: “একজন পুরুষ ততোক্ষণ পর্যন্ত দোষী, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে নির্দোষ। আর একজন নারী ততোক্ষণ পর্যন্ত নির্দোষ, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে দো ষী"
©Alor Poth