SM Shihab Uddin

SM Shihab Uddin দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী! আখিরাত চিরস্থায়ী!
তবুও কেন ক্ষুদ্র এই জীবন নিয়ে মানুষের এত অহংকার?? অহংকার মুক্ত জীবন সুন্দর💓

22/10/2025

উম্মুল মুমিনীন হযরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা যে নামাজ আদায় করেছেন — এর প্রমাণ (দলীল) হাদীস ও ঐতিহাসিক গ্রন্থে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। নিচে প্রমাণসহ উল্লেখ করছি 👇
🕌 ১️⃣ সহীহ হাদীস — নবী ﷺ, আলী (রা.) ও খাদিজা (রা.) একসাথে নামাজ পড়তেন
📘 রেওয়ায়াত:
হযরত জায়েদ ইবনে হারিসা (রা.) থেকে বর্ণিত:
عَنْ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ قَالَ:
أَوَّلُ مَنْ صَلَّى مَعَ النَّبِيِّ ﷺ خَدِيجَةُ، ثُمَّ عَلِيٌّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، ثُمَّ جَعْفَرٌ.
رواه الإمام أحمد في المسند (مسند زيد بن حارثة، رقم 21713)
📚 সূত্র:
المسند للإمام أحمد (جـ 38، صـ 387، رقم الحديث 23145 بتحقيق شعيب الأرنؤوط)
السلسلة الصحيحة للألباني (جـ 1، صـ 256) — শাইখ আলবানী এটিকে حسن বলেছেন।
📖 বাংলা অনুবাদ:
জায়েদ ইবনে হারিসা (রা.) বলেন
“নবী ﷺ–এর সঙ্গে সর্বপ্রথম নামাজ পড়েছিলেন খাদিজা (রা.),
তারপর আলী ইবনে আবি তালিব (রা.), এরপর জাফর (রা.)।”
➡️ এটি একটি স্পষ্ট সহীহ হাদীস যে খাদিজা (রা.) নামাজ আদায় করেছেন নবী করিম ﷺ-এর সঙ্গে।
🕋 ২️⃣ আরেকটি সহীহ বর্ণনা
📘 হাদীস:
হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত —
أَوَّلُ مَنْ صَلَّى مَعَ النَّبِيِّ ﷺ خَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ.
رواه الطبراني في المعجم الكبير (جـ 24، صـ 383)
وقال الهيثمي: “رِجَالُهُ رِجَالُ الصَّحِيحِ.”
(مجمع الزوائد 9/223)
📖 অনুবাদ:
“নবী ﷺ–এর সঙ্গে সর্বপ্রথম নামাজ পড়েছিলেন খাদিজা بنت খুয়াইলিদ (রা.)।”
📚 হাদীসের মান:
ইমাম হাইসামী (রহ.) বলেছেন — এর রাবিরা সহীহ হাদীসের রাবিদের সমপর্যায়ের।
অর্থাৎ এটি সহীহ বা হাসান পর্যায়ের হাদীস।
৩️⃣ ইবনে সা’দ-এর তাবাকাতেও সহীহ সনদে আছে
وكان رسول الله ﷺ يصلي وخديجة تصلي معه أول النهار وآخره.

(الطبقات الكبرى لابن سعد، جـ 8، صـ 11)
অনুবাদ:
“রাসূলুল্লাহ ﷺ নামাজ আদায় করতেন এবং খাদিজা (রা.) সকাল ও সন্ধ্যায় তাঁর সঙ্গে নামাজ আদায় করতেন।”
🕌 ৪. সহীহ বর্ণনা: নবী ﷺ ও খাদিজা (রা.) একসঙ্গে নামাজ আদায় করতেন
দলীল:
📘 ইবনে ইসহাক, ইবনে হিশাম, এবং ইবনে সা’দ (طبقات الكبرى)
থেকে বর্ণিত হয়েছে:
قال ابن إسحاق:
وكان أولُ من آمن بالله ورسوله وصدّق بما جاء به من عند الله خديجةُ بنت خويلد رضي الله عنها،
فكانت تُصلي معه ﷺ وتتبعه على أمره.
অনুবাদ:
ইবনে ইসহাক বলেন —
আল্লাহ ও তাঁর রসূল ﷺ-এ প্রথম ঈমান আনয়নকারী ছিলেন খাদিজা بنت খুয়াইলিদ (রা.)।
তিনি নবী ﷺ–এর সঙ্গে নামাজ পড়তেন এবং তাঁর আদেশ অনুযায়ী চলতেন।
📚 সূত্র:
سيرة ابن هشام، جـ1، صـ 243
الطبقات الكبرى لابن سعد، جـ8، صـ11
البداية والنهاية لابن كثير، جـ3، صـ26।
৫. আলী (রা.)-এর সাক্ষ্য:
হযরত আলী (রা.) বলেছেন:
«لقد صليتُ مع رسول الله ﷺ قبل أن يُصلي أحد من الناس سبع سنين.»
(رواه أحمد في المسند)
এ বর্ণনার ব্যাখ্যায় ইমাম ইবনে কাসীর ও ইবনে সা’দ উল্লেখ করেছেন যে,
এই সময় নবী ﷺ, খাদিজা (রা.), এবং আলী (রা.) — এ তিনজন একত্রে নামাজ আদায় করতেন।
📚 সূত্র:
المسند للإمام أحمد (جـ1، صـ159)
البداية والنهاية (جـ3، صـ26)
🌙
৬. ঐতিহাসিক বিবরণ:
ইবনে সা’দ বর্ণনা করেন:
«كان رسول الله ﷺ يصلي وخديجة تصلي معه سراً في أيامٍ قبل أن يُفرض الإسلام جهراً.»
অনুবাদ:
নবী ﷺ গোপনে নামাজ আদায় করতেন, আর খাদিজা (রা.) তাঁর সঙ্গে নামাজ আদায় করতেন, ইসলাম প্রকাশ্যে আসার পূর্বে।
📚 সূত্র:
الطبقات الكبرى لابن سعد (جـ8، صـ11)

এক সাহসী যুবকের গল্প!মদিনার ব্যস্ত বাজার। ব্যবসা চলছে জমজমাট।একদিন এক পর্দানশীলা মুসলিম মহিলা আসলেন বাজারে, কিছু অলঙ্কার...
19/10/2025

এক সাহসী যুবকের গল্প!
মদিনার ব্যস্ত বাজার। ব্যবসা চলছে জমজমাট।
একদিন এক পর্দানশীলা মুসলিম মহিলা আসলেন বাজারে, কিছু অলঙ্কার কিনবেন বলে।
তিনি নিকাব টেনে বসে পড়লেন এক স্বর্ণকারের দোকানে। দোকানদার ছিল বনু কাইনুকা গোত্রের একজন ইহুদি।
সে বারবার মহিলার মুখের দিকে তাকাচ্ছিল, মুখ থেকে নিকাব সরানোর প্রলোভন দিচ্ছিল।
মহিলা কঠোর স্বরে বললেন,
“আমি মুসলিম নারী। তোমার এই অন্যায় দৃষ্টি নামাও!”
দোকানদার মুখে হাসল, কিন্তু মনে অন্য চিন্তা। যখন মহিলা মাথা নিচু করে কিছু জিনিস দেখছিলেন,
সে চুপিচুপি তার কাপড়ের পেছনের অংশ চেয়ারের সাথে বেঁধে দিল।
কিছুক্ষণ পর মহিলা উঠতেই —
চেয়ারে আটকানো কাপড় ছিঁড়ে গেল, এবং মুহূর্তের মধ্যে তার শরীরের কিছু অংশ উন্মুক্ত হয়ে পড়ল!
চারপাশের ইহুদিরা হেসে উঠল।
অপমানে, লজ্জায়, দুঃখে মহিলার চোখে অশ্রু নেমে এল।
বাজারের একপাশে দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য দেখছিলেন এক যুবক আনসারী মুসলিম।
তার মুখ লাল হয়ে উঠল, বুকের ভেতর আগুন জ্বলে উঠল।
সে ছুটে গেল সামনে —
এক মুহূর্ত দেরি না করে তরবারি বের করে সেই ইহুদি দোকানদারকে হত্যা করল!
বাজার থমকে গেল।
বনু কাইনুকার লোকেরা চিৎকার করে উঠল,
“আমাদের লোককে মেরেছে! ওকে ধরো!”
তারা সবাই মিলে সেই মুসলিম যুবকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল।
অল্পক্ষণের মধ্যেই সেই সাহসী যুবক শহীদ হয়ে গেলেন,
কিন্তু তার রক্তে লেখা রইল —
“মুসলিম নারীর ইজ্জত অমূল্য!”
এই খবর পৌঁছে গেল নবী করিম ﷺ এর কাছে।
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর চেহারা পরিবর্তিত হয়ে গেল — তিনি সঙ্গে সঙ্গে বনু কাইনুকাকে ডেকে পাঠালেন।
উক্ত ঘটনার জেরে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাদেরকে মদিনা থেকে নির্বাসিত করলেন, যেন আর কোনোদিন মুসলমান নারীর দিকে কুদৃষ্টি না দেয় কেউ।

১৬ প্রকার ইসিমের নয় প্রকার ইরাব------------------------------------------------প্রথম প্রকার ইরাব: এ প্রকার ইরাবে ৩টি ইসি...
13/10/2025

১৬ প্রকার ইসিমের নয় প্রকার ইরাব

------------------------------------------------

প্রথম প্রকার ইরাব: এ প্রকার ইরাবে ৩টি ইসিম:

(১) مُفْرَد مُنْصَرِف صَحِيح (২) جَارِي مَجْرَي الصَّحِيْح

(৩) جَمْع مُكَسَّر مُنْصَرِف

১. مُفْرَد مُنْصَرِف صَحِيح : যে শব্দের শেষে “হরফে ইল্লাত” থাকে না।

২. جَارِي مَجْرَي الصَّحِيْح: যে শব্দের শেষে “ওয়াও” বা “ইয়া” থাকবে এবং পূর্বের অক্ষরটি সাকিন হবে।

৩. جَمْعُ مُكَسَّر مُنْصَرِف: যে শব্দকে বহুবচন করার পর একবচনের ভিত্তি ঠিক থাকে না।

এ তিন প্রকারের ইরাব হলো : রফার অবস্থায় পেশ হওয়া, নসবের অবস্থায় যবর হওয়া, যরের অবস্থায় জের হওয়া। যেমন-

جَاءَ زَيْدٌ وَ دَلْوٌ وَ ظَبْيٌ وَرِجَالٌ- رَايْتُ زَيْدًا وَدَلْوًا وَظَبِيًا وَرِجَالًا - مَرَرْتُ بِزَيْدٍ وَدَلْوٍ وَظَبْيِ وَرِجَالٍ

দ্বিতীয় প্রকার ইরাব:

এ প্রকার ইরাবে ১টি ইসিম: جَمَعْ مُؤَنَّثْ سَالِمْ

৪. جَمَع مُؤَنَّث سَالِم : এ প্রকারের ইরাব হল- রফার অবস্থায় পেশ হওয়া, নসব এবং যরের অবস্থায় জের হওয়া।

যেমন هُنَّ مُسْلِمَاتٌ-رَايْتُ مُسْلِمَاتٍ- مَرَرْتُ بِمُسْلِمَاتٍ-

তৃতীয় প্রকার ইরাব:

এ প্রকার ইরাবে ১টি ইসিম: غَيْرُ مُنْصَرِف

৫. غَيْرُ مُنْصَرِف: এ প্রকারের ইরাব হলো - যের এবং তানভীন দাখিল হবে না এবং জেরের স্থলে সবসময় যবর হবে। যেমন- جَاءَ عُمَرُ- رَايْتُ عُمَرَ- مَرَرْتُ بِعُمَرَ

চতুর্থ প্রকার ইরাব: এ প্রকার ইরাবে ১টি ইসিম: اَسْـمَـاءُ سِـتَّـةٍ مُـكَـبَّـرَةً مُـوَحَّـدَةً مُـضَـافَـةً اِلٰي غَـيْـرِ يَـاءِ الْـمُـتَـكَـلِّـمِ

৬. اَسْـمَـاء سِـتَّـة مُـكَـبَّـرَة : ছয়টি একক “মুকাব্বারা বিশেষ্য” যাহা ইয়া মুতাকাল্লিম এর প্রতি ইযাফাত হয় না।

এ প্রকারের ইরাব হলো : রফার অবস্থায় واوহবে, নসব অবস্থায় الفএবং যরের অবস্থায় ياء হবে।

ছয়টি ইসিম নিম্নরূপ: اَخٌ-اَبٌ- هَنٌ- حَمٌ- فَمٌ- ذُوْ

যেমন: جَاءَنِيْ اَخُوْكَ- رَايْتُ اَخَاكَ- مَرَرْتُ بِاَخِيْكَ

পঞ্চম প্রকার ইরাব: এ প্রকার ইরাবে ৩টি ইসিম: (প্রকৃত দ্বিবচন, উহ্য দ্বিবচন, আকৃতিগত দ্বিবচন) :

এ প্রকারের ইরাব হলো : রফার অবস্থায় الف হওয়া, নসব ও যরের অবস্থায় ياء সাকিন এবং তাহার পূর্বাক্ষর যবর হবে

৭.تَثْنِيَّة حَقِيْقِي : প্রকৃত দ্বিবচন। যেমন: رَجُلَانِ- رَجُلَيْنِ

৮. تَثْنِيَّة مَعْنَوِيْ: উহ্য দ্বিবচন।

যেমন: كِلَا,كِلْتَا- كِلَيْهِمَا- كِلْتَيْهِمَا

৯.تَثْنِيَّة صُوْرِي : আকৃতিগত দ্বিবচন।

যেমন: اِثْنَانِ-اِثْنَتَانِ- اِثْنَيْنِ-اِثْنَتَيْنِ

ষষ্ঠ প্রকার ইরাব: এ প্রকার ইরাবে ৩টি ইসিম: (প্রকৃত বহুবচন, উহ্য বহুবচন, আকৃতিগত বহুবচন) :

ইরাব হলো : রফার অবস্থায় واو উহার পূর্বাক্ষর পেশ হওয়া, নসব ও যরের অবস্থায় ياء উহার পূর্বাক্ষর যের বিশিষ্ট হবে।

১০.جَمَع مُذَكَّر سَالِم حَقِيْقِي : প্রকৃত বহুবচন।

যেমন: طَالِبُوْنَ

১১. جَمع مُذَكَّر سَالِم مَعْنَوِي: উহ্য বহুবচন।

যেমন: اُوْلُوْ

১২. جَمَع مُذَكَّر سَالِم صُوْرِي: আকৃতিগত বহুবচন। যেমন: عِشْرُوْنَ- ثَلَاثُوْنَ- اَرْبَعُوْنَ

সপ্তম প্রকার ইরাব: এ প্রকার ইরাবে ২টি ইসিম: اِسْمِ مَقْصُور، غير جَمْعُ الْمُذَكَّرِ السَّالِمِ اَلْمُضَافُ إلٰي يَاءِ الْمُتَكَلِّمِ

১১.اِسم مَقْصُور: যে ইসম-এর শেষে الف مَقْصُوْر (আলিফ মাকসুরা) থাকে তাকে الاسْمُ الْمَقْصُوْر বলে।

১২.غَيْرُ الجَمْعِ الْمُذَكَّرِ السَّالِمِ مُضَافًا إلٰي يَاءِ الْمُتَكَلِّمِ: অর্থাৎ,الجَمْعُ الْمُذَكَّرِ السَّالِمِ ব্যতীত অন্য যেকোন اسم যখনيَاءُ مُتَكَلِّم -এর দিকেمُضَاف হয়।

যেমন-صَدِيْقِيْ، أُخْتِيْ، كِتَابِيْ، اَبِيْ، اُمِّيْ، غُلَامِيْ

এ প্রকারের ইরাব হলো : রফা, নসব এবং জরের অবস্থায় উহ্য জের হবে।

যেমন-عِيْسٰی، مُوْسٰی، هُدٰي، كِتَابِيْ، اَبِيْ

অষ্টম প্রকার ইরাব :

এ প্রকার ইরাবে ১টি ইসিম: اِسْم مَنْقُوص

১৩.اسْمِ مَنْقُوص: যে إسم এর শেষেاَلْيَاءُ السَّاكِنَةُ থাকে এবং পূর্বাক্ষরে যের থাকে তাকেالاسْمُ الْمَنْقُوْص বলে।

এ প্রকারের ইরাব হল: রফার অবস্থায় উহ্য পেশ হওয়া, যেরের অবস্থায় উহ্য যের, নসবের অবস্থায় প্রকাশ্য যবর হওয়া।

যেমন: جَاءَنِيْ اَلْقَاضِيْ- رَايْتُ اَلْقَاضِيَ- مَرَرْتُ باَلْقَاضِيْ

নবম প্রকার ইরাব: এ প্রকার ইরাবে ১টি ইসিম: جَمْعُ الْمُذَكَّرِ السَّالِمِ اَلْمُضَافُ إلٰي يَاءِ الْمُتَكَلِّمِ

এ প্রকারের ইরাব হলো :رفع অবস্থায়- গোপন ওয়াও,نصب অবস্থায়- প্রকাশ্য ইয়া, جر অবস্থায়- প্রকাশ্য ইয়া দ্বারা।

১৬। اَلْجَمْعُ الْمُذَكَّر السَّالِمِ مُضَافًا إلٰي يَاءِ الْمُتَكَلِّمِ : অর্থাৎ,جَمْعُ الْمُذَكَّرِ السَّالِمِ যখনيَاءُ مُتَكَلِّم এর প্রতিمُضَاف হয়। যেমন- جَاءَ مُسْلِمِيَّ، رَأَيْتُ مُسْلِمِيَّ، مَرَرْتُ الي مُسْلِمِيَّ

ঽ اِضَافَة এর কারণেن অক্ষরটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। অতঃপরواو ওياء একত্র হওয়ায়واو কেياء দ্বারা পরিবর্তন করতঃياء এর পূর্বাক্ষরে যের প্রদান করা হয়েছে।

যেমন- جَاءَ مُسْلِمِيَّ، رَأَيْتُ مُسْلِمِيَّ، مَرَرْتُ الي مُسْلِمِيَّ

প্রশ্নোত্তরে ১৬ প্রকার ইসিমের ৯ প্রকার ইরাব

-------------------------------------------------

১. প্রশ্ন:عامل কাকে বলে?

উত্তর: যেসব শব্দের কারণে إسْمُ الْمُعْرَبِ এর শেষে اِعْرَاب (তথা যবর, যের, পেশ অথবা ওয়াও, আলিফ, ইয়া) এর পরিবর্তন সাধিত হয় তাকেعَامِل বলে।

২. প্রশ্ন:اسم এর عامل কতো প্রকার?

উত্তর: اسم-এরعَامِل তিন প্রকার।

৩. প্রশ্ন:اسم এর আমেলগুলো কি কি?

উত্তর: اسم-এরعَامِل তিন প্রকার।

যথা- رَافِعٌ, نَاصِبٌ, جَارٌّ ।

৪. প্রশ্ন: عَلَامَةُ الرَّفْعِ অর্থ কি?

উত্তর: পেশের আলামত।

৫. প্রশ্ন: عَلَامَةُ الرَّفْعِ (পেশের আলামত) কয়টি?

উত্তর: তিনটি।

৬. প্রশ্ন: পেশের আলামতগুলো কি কি?

উত্তর: ১। اَلضَّمَّةُ (পেশ), ২।اَلْوَاوُ (ওয়াও),

৩।اَلْاَلِفُ (আলিফ)।

৭. প্রশ্ন: পেশের আলামতের একটি উদাহরণ দাও।

যেমন- قَامَ زَيْدٌ বাক্যে قَامَ ফেলটি হলো عَامِلٌ رَافِعٌ

৮. প্রশ্ন: عَلَامَةُ النَّصْبِ অর্থ কি?

উত্তর: যবরের আলামত।

৯. প্রশ্ন: عَلَامَةُ النَّصْبِ (যবরের আলামত) কয়টি?

উত্তর: পাঁচটি।

১০. প্রশ্ন: عَلَامَةُ النَّصْبِ (যবরের আলামত)-এর উদাহরণ দাও।

যেমন- إنَّ خَالِدًا غَنِيٌّ (নিশ্চয় খালিদ সম্পদশালী)। إنَّ হলে عَامِلٌ نَاصِبٌ।

১১. প্রশ্ন: عَلَامَةُ النَّصْبِ যবরের আলামতগুলো কি কি?

উত্তর: ১।اَلْفَتْحَةُ (যবর), ২।اَلْكَسْرَةُ (যের), ৩।اَلالِفُ (আলিফ) ৪। اَلْيَاءُ السَّاكِنَةُ الْمَفْتُوْحَةُ مَا قَبْلَهَا (সাকিনযুক্ত ইয়া দ্বারা, যার পূর্বাক্ষর যবর), ৫।اَلْيَاءُ السَّاكِنَةُ الْمَكْسُوْرَةُ مَا قَبْلَهَا (সাকিনযুক্ত ইয়া দ্বারা, যার পূর্বাক্ষর যের)।

১২. প্রশ্ন: عَلَامَةُ الْجَرِّ অর্থ কি?

উত্তর: যেরের আলামত।

১৩. প্রশ্ন: عَلَامَةُ الْجَرِّ (যেরের আলামত) কয়টি?

উত্তর: চারটি।

১৪. প্রশ্ন: عَلَامَةُ الْجَرِّ যেরের আলামতগুলো কি কি?

উত্তর: ১।اَلْكَسْرَةُ (যের), ২।اَلْفَتْحَةُ (যবর দ্বারা), ৩।اَلْيَاءُ السَّاكِنَةُ الْمَفْتُوْحَةُ مَا قَبْلَهَا (সাকিনযুক্ত ইয়া, যার পূর্বাক্ষর যবর), ৪।اَلْيَاءُ السَّاكِنَةُ الْمَكْسُوْرَةُ مَا قَبْلَهَا (সাকিনযুক্ত ইয়া, যার পূর্বাক্ষর যের হবে)

১৫. প্রশ্ন: عَلَامَةُ الْجَرِّ (যেরের আলামত)-এর একটি উদাহরণ দাও।

যেমন- دَخَلْتُ فِيْ الْمَسْجِدِ বাক্যে فِيْ হরফটি عَامِلٌ جَارٌّ

১৬. প্রশ্ন: اِعْرَابঅর্থ কি?

উত্তর: আলামত/চিহ্ন।

১৭. প্রশ্ন: اِعْرَابকাকে বলে?

উত্তর: যে চিহ্ন দ্বারাإسْمُ الْمُعْرَبِ এর শেষ অক্ষরের অবস্থা পরিবর্তন সাধিত হয়, সে সকল চিহ্নকে اِعْرَاب বলে।

১৮. প্রশ্ন: اِعْرَابএর আরবী সংজ্ঞা দাও।

اَلْاِعْرَابُ مَا بِهِ يَخْتَلِفُ اَخِرُ الْمُعْرَبِ

১৯. প্রশ্ন: مَحَلُّ الاعْرَابকাকে বলে?

উত্তর: যে অক্ষরেاِعْرَاب হয়, তাকেمَحَلُّ الْإعْرَابِ বলে।

২০. প্রশ্ন:اعْرَاب কতো প্রকার?

উত্তর: দুই প্রকার।

২১. প্রশ্ন:مَحَلُّ الْإعْرَابِ এর উদাহরণ দাও।

যেমন-قَامَ زَيْدٌ বাক্যেقَامَ হলো عامل। তার সাথের زيد হলো معرب। আরزيد এর শেষবর্ণ তথাدال হলো مَحَلُّ الْإعْرَابِ এবংدال এর ওপর যে ضَمَّةْ (পেশ) আছে তা হলো اِعْرَاب

২২. প্রশ্ন: اعْرَاب এর প্রকারসমূহ লেখো?

উত্তর: ১. اِعْرَابُ بِالْحَرَكَاتِ(হরকত দ্বারা ইরাব)।

২. اِعْرَابُ بِالْحُرُوفِ (হরফ দ্বারা ইরাব)।

২৩. প্রশ্ন: اِعْرَابُ بِالْحَرَكَاتِ এর উদাহরণ দাও।

উত্তর: ضَمَّةُ (পেশ);فَتْحَةُ (যবর); كَسْرَةُ (যের)।

২৪. প্রশ্ন: اِعْرَابُ بِالْحُرُوفِ এর উদাহরণ দাও।

উত্তর: واو (ওয়াও);الف (আলিফ);ياء (ইয়া)।

২৫. প্রশ্ন:اعْرَاب এর অবস্থা কয়টি?

উত্তর: عامل এর কারণেإعْرَابْ এর তিনটি অবস্থা হয়ে থাকে।

২৬. প্রশ্ন:اعْرَاب এর তিনটি অবস্থা কি কি?

উত্তর: (১) حَالَةُ الرَّفْعِ (পেশের অবস্থা), (২) حَالَةُ النَّصْبِ (যবরের অবস্থা), (৩) حَالَةُ الْجَرِّ (যেরের অবস্থা)।

২৭. প্রশ্ন: حَالَةُ الرَّفْعِকাকে বলে?

উত্তর: যেاسم এর পূর্বেعَامِلِ رَافِعْ থাকে সেاِسْم এর অবস্থাকে حَالَةُ الرَّفْعِ বলে।

২৮. প্রশ্ন: حَالَةُ الرَّفْعِএর বিবরণ দাও।

উত্তর: কোনো اسم এ ضُمَّة দ্বারা, কোন اِسْمُ -এ وَاوُ দ্বারা এবং কোনإسْم এالف দ্বারা رَفَع প্রকাশ পায়।

২৯. প্রশ্ন: حَالَةُ الرَّفْعِ এর উদাহরণ দাও।

যেমন-جَائَنِيْ زَيْدٌ- جَائَنِيْ رَجُلَانِ- جَائَنِيْ مُسْلِمُوْنَ

৩০. প্রশ্ন: حَالَةُ النَّصْبِকাকে বলে?

উত্তর: যেإسْم এর পূর্বেعامل ناصب থাকে সেإسْم এর অবস্থাকেحَالَةُ النَّصْبِ বলে।

৩১. প্রশ্ন: حَالَةُ النَّصْبِএর বিবরণ দাও।

উত্তর: কেনো إسْم এفَتْحَة দ্বারা, কোনإسْم এكسرة দ্বারা এবং কোনإسْم এ الف দ্বারা, কোন إسْم এياء দ্বারাنَصْب প্রকাশ পায়।

৩২. প্রশ্ন: حَالَةُ النَّصْبِ এর উদাহরণ দাও।

رَأيْتُ زَيْدًا- رَأيْتُ مُسْلِمَاتٍ- رَأيْتُ اَخَاكَ- رَأيْتُ رَجُلَيْنِ-

৩৩. প্রশ্ন: حَالَةُ الْجَرِّকাকে বলে?

উত্তর: যেإسْم এর পূর্বেعَامِلُ جَار থাকে সে إسْم এর অবস্থাকেحَالَةُ الْجَرِّ বলে।

৩৪. প্রশ্ন: حَالَةُ الْجَرِّএর বিবরণ দাও।

উত্তর: কোনإسْم এكَسْرَة দ্বারা, কোন إسْم এفتحة দ্বারা এবং কোনإسْم এ ياء দ্বারাجر প্রকাশ পায়।

৩৫. প্রশ্ন:حَالَةُ الْجَرِّ এর উদাহরণ দাও।

مَرَرْتُ بِزَيْدٍ- مَرَرْتُ بِعُمَرَ- مَرَرْتُ بِرَجُلَيْنِ- مَرَرْتُ بِالْمُسْلِمِيْنَ

৩৬. প্রশ্ন: اعْرَاب এর ভিন্নতার দিক থেকে ইসম কতো প্রকার?

উত্তর: ১৬ প্রকার।

৩৭. প্রশ্ন: ১৬ প্রকার ইসিমসমূহ কি কি?

(১) مُفْرَد مُنْصَرِف صَحِيح، (২) جَارِي مَجْرَي الصَّحِيْح، (৩) جَمْعُ مُكَسَّر مُنْصَرِف، (৪) جَمَع مُؤَنَّث سَالِم، (৫) غَيْرُ مُنْصَرِف، (৬) اَسْـمَـاء سِـتَّـة، (৭) تَثْنِيَّة حَقِيْقِي، (৮) تَثْنِيَّة مَعْنَوِي، (৯) تَثْنِيَّة صُوْرِي، (১০) جَمْعُ مُذَكَّر سَالِم حَقِيْقِي، (১১) جَمْعُ مُذَكَّر سَالِم صُوْرِي، (১২)جَمْعُ مُذَكَّر سَالِم مَعْنَوِي، (১৩) اِسْم مَقْصُور، (১৪) اَلْمُضَافُ الی يَاءِ الْمُتَكَلِّمِ غَيْرُ الجَمْعِ الْمُذَكَّرِ السَّالِمِ، (১৫) اِسْمُ الْمَنْقُوْص، (১৬) جَمْعُ الْمُذَكَّرِ السَّالِمِ اَلْمُضَافُ إلٰي يَاءِ الْمُتَكَلِّمِ-

৩৮. প্রশ্ন: ১৬ প্রকার ইসিমের ইরাব কতো প্রকার?

উত্তর: ৯ প্রকার।

৩৯. প্রশ্ন: প্রথম প্রকার ইরাবের কয়টি ইসিম?

উত্তর: প্রথম প্রকার ইরাবে তিনটি ইসিম।

৪০. প্রশ্ন: প্রথম প্রকার ইরাবের ইসিমগুলো কি কি?

(১) مُفْرَد مُنْصَرِف صَحِيح- (২) جَارِي مَجْرَي الصَّحِيْح-

(৩) جَمْعُ مُكَسَّر مُنْصَرِف-

৪১. প্রশ্ন: مُفْرَد مُنْصَرِف صَحِيح কাকে বলে?

উত্তর: যে শব্দের শেষে “হরফে ইল্লাত” থাকে না।

৪২. প্রশ্ন: جَارِي مَجْرَي الصَّحِيْح কাকে বলে?

যে শব্দের শেষে “ওয়াও” বা “ইয়া” এবং পূর্বের অক্ষরটি সাকিন হবে।

৪৩. প্রশ্ন: جَمْعُ مُكَسَّر مُنْصَرِف কাকে বলে?

উত্তর: যে শব্দকে বহুবচন করার পর একবচনের ভিত্তি ঠিক থাকে না।

৪৪. প্রথম প্রকার ইরাবের বর্ণনা দাও।

উত্তর: রফার অবস্থায় পেশ, নসবের অবস্থায় যবর, যরের অবস্থায় জের।

৪৫. প্রশ্ন: প্রথম প্রকার ইরাবের উদাহরণ দাও।

جَاءَ زَيْدٌ وَ دَلْوٌ وَ ظَبْيٌ وَرِجَالٌ- رَايْتُ زَيْدًا وَدَلْوًا وَظَبِيًا وَرِجَالًا - مَرَرْتُ بِزَيْدٍ وَدَلْوٍ وَظَبْيِ وَرِجَالٍ

৪৬. প্রশ্ন: দ্বিতীয় প্রকার ইরাবের কয়টি ইসিম?

উত্তর: দ্বিতীয় প্রকার ইরাবের একটি ইসিম।

৪৭. প্রশ্ন: দ্বিতীয় প্রকার ইরাবের ইসিম কোনটি?

উত্তর: جَمَع مُؤَنَّث سَالِم

৪৮. প্রশ্ন: দ্বিতীয় প্রকার ইরাবের বর্ণনা দাও।

উত্তর: রফার অবস্থায় পেশ, নসব এবং যরের অবস্থায় জের হয়।

৪৯. প্রশ্ন: দ্বিতীয় প্রকার ইরাবের উদাহরণ দাও।

উত্তর : هُنَّ مُسْلِمَاتٌ- رَايْتُ مُسْلِمَاتٍ- مَرَرْتُ بِمُسْلِمَاتٍ

৫০. প্রশ্ন: তৃতীয় প্রকার ইরাবের কয়টি ইসিম?

উত্তর: তৃতীয় প্রকার ইরাবের একটি ইসিম।

৫১. প্রশ্ন: غَيْرُ مُنْصَرِف কাকে বলে?

উত্তর: যে اِسْم এর মধ্যেغَيْرُ الْمُنْصَرِفِ এর নয়টি সববের যে কোন দুটি সবব অথবা দু’য়ের স্থালাভিষিক্ত একটি সবব বিদ্যমান থাকে তাকে।

৫২. প্রশ্ন: তৃতীয় প্রকার ইরাবের ইসিম কোনটি?

উত্তর: غَيْرُ مُنْصَرِف

৫৩. প্রশ্ন: তৃতীয় প্রকার ইরাবের বর্ণনা দাও।

উত্তর: যের এবং তানভীন দাখিল হবে না এবং জেরের স্থলে যবর হবে।

৫৪. প্রশ্ন: তৃতীয় প্রকার ইরাবের উদাহরণ দাও।

উত্তর : جَاءَ عُمَرُ- رَايْتُ عُمَرَ- مَرَرْتُ بِعُمَرَ

৫৫. প্রশ্ন: চতুর্থ প্রকার ইরাবের কয়টি ইসিম?

উত্তর: চতুর্থ প্রকার ইরাবের একটি ইসিম।

৫৬. প্রশ্ন: চতুর্থ প্রকার ইরাবের ইসিমটি কি?

উত্তর: اَسْـمَـاء سِـتَّـة مُـكَـبَّـرَة

৫৭. প্রশ্ন: اَسْـمَـاء سِـتَّـة مُـكَـبَّـرَة অর্থ কি?

উত্তর: ছয়টি বড় ইসিম।

৫৮. প্রশ্ন: اَسْـمَـاء سِـتَّـة مُـكَـبَّـرَة গুলো লিখো?

উত্তর: اَبٌ- اَخٌ- حَمٌ- هَنٌ- فَمٌ ও ذُوْ

৫৯. প্রশ্ন: চতুর্থ প্রকার ইরাবের বর্ণনা দাও।

উত্তর: রফার অবস্থায় واوহবে, নসব অবস্থায় الفযরের অবস্থায় ياء

৬০. প্রশ্ন: চতুর্থ প্রকার ইরাবের উদাহরণ দাও।

উত্তর : جَاءَنِيْ اَخُوْكَ- رَايْتُ اَخَاكَ- مَرَرْتُ بِاَخِيْكَ

৬১. প্রশ্ন: পঞ্চম প্রকার ইরাবের কয়টি ইসিম?

উত্তর: পঞ্চম প্রকার ইরাবে তিনটি ইসিম।

৬২. প্রশ্ন: পঞ্চম প্রকার ইরাবের ইসিমগুলো কি কি?

উত্তর: (৭) تَثْنِيَّة حَقِيْقِي (৮) تَثْنِيَّة مَعْنَوِي, (৯) تَثْنِيَّة صُوْرِي

৬৩. প্রশ্ন: পঞ্চম প্রকার ইরাবের বর্ণনা দাও।

উত্তর: রফার অবস্থায় الفহওয়া, নসব ও যরের অবস্থায় ياء সাকিন এবং তাহার পূর্বাক্ষর যবর হবে।

৬৪. প্রশ্ন: تَثْنِيَّة صُوْرِي -এর উদাহরণ দাও।

جَاءَ رَجُلَانِ- رَايْتُ رَجُلَيْنِ- مَرَرْتُ بِرَجُلَيْنِ-

৬৫. প্রশ্ন: تَثْنِيَّة مَعْنَوِي -এর উদাহরণ দাও।

جَاءَ كِلَا,كِلْتَا- رَايْتُ كِلَيْهِمَا وكِلْتَيْهِمَا- مَرَرْتُ بكِلَيْهِمَا و بِكِلْتَيْهِمَا

৬৬. প্রশ্ন: تَثْنِيَّة حَقِيْقِي -এর উদাহরণ দাও।

جَاءَ اِثْنَانِ و اِثْنَتَانِ- رَايْتُ اِثْنَيْنِ و اِثْنَتَيْنِ- مَرَرْتُ باِثْنَيْنِ و اِثْنَتَيْنِ

৬৭. প্রশ্ন: ষষ্ঠ প্রকার ইরাবের কয়টি ইসিম?

উত্তর: ষষ্ঠ প্রকার ইরাবে তিনটি ইসিম।

৬৮. প্রশ্ন: ষষ্ঠ প্রকার ইরাবের ইসিমগুলো কি কি?

১০) جَمْعُ مُذَكَّر سَالِم حَقِيْقِي, ১১) جَمْعُ مُذَكَّر سَالِم صُوْرِي- ১২) جَمْعُ مُذَكَّر سَالِم مَعْنَوِي-

৬৯. প্রশ্ন: ষষ্ঠ প্রকার ইরাবের বর্ণনা দাও।

উত্তর: রফার অবস্থায় واو উহার পূর্বাক্ষর পেশ এবং নসব ও যরের অবস্থায় ياء উহার পূর্বাক্ষর যের বিশিষ্ট হবে।

৭০. প্রশ্ন: جَمْعُ مُذَكَّر سَالِم حَقِيْقِي-এর উদাহরণ দাও।

جَاءَ طَالِبُوْنَ- رَايْتُ طَالِبِيْنَ- مَرَرْتُ بِطَالِبِيْنَ

৭১. প্রশ্ন: جَمْعُ مُذَكَّر سَالِم صُوْرِي-এর উদাহরণ দাও।

جَاءَ اُوْلُوْ- رَايْتُ اُوْلِيْ- مَرَرْتُ بِاُوْلِيْ

৭২. প্রশ্ন: جَمْعُ مُذَكَّر سَالِم مَعْنَوِي-এর উদাহরণ দাও।

جَاءَ عِشْرُوْنَ- رَايْتُ عِشْرِيْنَ- مَرَرْتُ بِعِشْرِيْنَ

৭৩. প্রশ্ন: সপ্তম প্রকার ইরাবের কয়টি ইসিম?

উত্তর: সপ্তম প্রকার ইরাবের দুইটি ইসিম।

৭৪. সপ্তম প্রকার ইরাবের ইসিমগুলো কি?

اِسْم مَقْصُور- اَلْمُضَافُ الی يَاءِ الْمُتَكَلِّمِ غَيْرُ الجَمْعِ الْمُذَكَّرِ السَّالِمِ-

৭৫. সপ্তম প্রকার ইরাবের বর্ণনা দাও।

উত্তর: রফা, নসব এবং জরের অবস্থায় উহ্য জের হবে।

৭৬. প্রশ্ন: الاسْمُ الْمَقْصُوْر কাকে বলে?

উত্তর: যে ইসম-এর শেষে الف مَقْصُوْر (আলিফ মাকসুরা) থাকে।

৭৭. প্রশ্ন اَلْمُضَافُ الی يَاءِ الْمُتَكَلِّمِ غَيْرُ الجَمْعِ الْمُذَكَّرِ السَّالِمِ অর্থ কি?

অর্থাৎ,الجَمْعُ الْمُذَكَّرِ السَّالِمِ ব্যতীত অন্য যেকোনاسم যখনيَاءُ مُتَكَلِّم -এর দিকেمُضَاف হয়।

৭৮. প্রশ্ন: সপ্তম প্রকার ইরাবের উদাহরণ দাও।

উত্তর :عِيْسٰی- مُوْسٰی- هُدٰي- كِتَابِيْ- اَبِيْ

৭৯. প্রশ্ন: অষ্টম প্রকার ইরাবের কয়টি ইসিম?

উত্তর: অষ্টম প্রকার ইরাবের একটি ইসিম।

৮০. অষ্টম প্রকার ইরাবের ইসিমটি কি?

উত্তর: اِسْمُ الْمَنْقُوْص

৮১. প্রশ্ন: اِسْمُ الْمَنْقُوْص কাকে বলে?

উত্তর: যে إسم এর শেষেاَلْيَاءُ السَّاكِنَةُ থাকে এবং পূর্বাক্ষরে যের থাকে তাকেالاسْمُ الْمَنْقُوْص বলে।

৮২. প্রশ্ন: অষ্টম প্রকার ইরাবের বর্ণনা দাও।

উত্তর : রফার অবস্থায় উহ্য পেশ, যেরের অবস্থায় উহ্য যের এবং নসবের অবস্থায় প্রকাশ্য যবর হওয়া।

৮৩. প্রশ্ন: অষ্টম প্রকার ইরাবের উদাহরণ দাও।

উত্তর : جَاءَنِيْ اَلْقَاضِيْ- رَايْتُ اَلْقَاضِيَ- مَرَرْتُ باَلْقَاضِيْ

৮৪. প্রশ্ন: নবম প্রকার ইরাবের কয়টি ইসিম?

উত্তর: নবম প্রকার ইরাবের একটি ইসিম।

৮৫. প্রশ্ন: নবম প্রকার ইরাবের ইসিমটি কি?

উত্তর: جَمْعُ الْمُذَكَّرِ السَّالِمِ اَلْمُضَافُ إلٰي يَاءِ الْمُتَكَلِّمِ

৮৬. প্রশ্ন: নবম প্রকার ইরাবের বর্ণনা দাও।

উত্তর: رفع অবস্থায় গোপন ওয়াও,نصب অবস্থায় প্রকাশ্য ইয়া, جر অবস্থায় প্রকাশ্য ইয়া দ্বারা।

৮৭. প্রশ্ন: নবম প্রকার ইরাবের উদাহরণ দাও।

উত্তর : جَاءَ مُسْلِمِيَّ- رَأَيْتُ مُسْلِمِيَّ- مَرَرْتُ الي مُسْلِمِيَّ

৮৮. প্রশ্ন: নবম প্রকার ইরাবে উহ্য নূনের বিধান কি?

উত্তর : اِضَافَة এর কারণেن অক্ষরটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। অতঃপরواو ওياء একত্র হওয়ায়واو কেياء দ্বারা পরিবর্তন করেياء এর পূর্বাক্ষরে যের দেয়া হয়েছে। যেমন- جَاءَ مُسْلِمِيَّ- رَأَيْتُ مُسْلِمِيَّ- مَرَرْتُ الي مُسْلِمِيَّ

এক নজরে নয় প্রকার ইরাব

--------------------------------

১নং ইরাবে ৩টি ইসিম

(১) مُفْرَد مُنْصَرِف صَحِيح،

(২) جَارِي مَجْرَي الصَّحِيْح، (৩) جَمْعُ مُكَسَّر مُنْصَرِف

২নং ইরাবে ১টি ইসিম (৪) جَمَع مُؤَنَّث سَالِم

৩নং ইরাবে ১টি ইসিম (৫) غَيْرُ مُنْصَرِف

৪নং ইরাবে ১টি ইসিম (৬) اَسْـمَـاء سِـتَّـة

৫নং ইরাবে ৩টি ইসিম

(৭) تَثْنِيَّة حَقِيْقِي، (৮) تَثْنِيَّة مَعْنَوِي، (৯) تَثْنِيَّة صُوْرِي

৬নং ইরাবে ৩টি ইসিম

১০) جَمْعُ مُذَكَّر سَالِم حَقِيْقِي، ১১) جَمْعُ مُذَكَّر سَالِم صُوْرِي، ১২) جَمْعُ مُذَكَّر سَالِم مَعْنَوِي

৭নং ইরাব ২টি ইসিম

১৩) اِسْم مَقْصُور، ১৪) اَلْمُضَافُ الی يَاءِ الْمُتَكَلِّمِ غَيْرُ الجَمْعِ الْمُذَكَّرِ السَّالِمِ

৮নং ইরাবে ১টি ইসিম (১৫) اِسْمُ الْمَنْقُوْص

৯নং ইরাবে ১টি ইসিম

(১৬) جَمْعُ الْمُذَكَّرِ السَّالِمِ اَلْمُضَافُ إلٰي يَاءِ الْمُتَكَلِّمِ

[মুহাদ্দিস ইব্রাহীম খলিল সাহেবের টাইমলাইন থেকে]

#নাহু #সরফ #ইরাব

09/10/2025
09/10/2025

নবি ও সাংবাদিক : ইসলামী দৃষ্টিতে একটি গভীর বিশ্লেষণ একটু মনযোগ দিয়ে পড়ুন বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।

১) ‘নবি’ শব্দের আভিধানিক অর্থ

‘نبي’ (নবি) শব্দটি এসেছে نَبَأَ – يَنْبَأُ ধাতু থেকে; অর্থ — সংবাদ দেওয়া বা অদৃশ্য বিষয়ে খবর দেওয়া।

আল-মুনজিদ ফিল লুগাহ ওয়াল আ‘লাম অনুযায়ী:

النبيّ: الذي يُخبِر عن الغيب بإذن الله.
“নবি হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি আল্লাহর অনুমতিতে গায়বের সংবাদ দেন।”

অর্থাৎ, নবী নিজ থেকেই নয় — তিনি আল্লাহর ওহি (গায়বের বার্তা) দ্বারা মানুষের কাছে তা পৌঁছে দেন।

২) ‘সাংবাদিক’ শব্দের আভিধানিক বিশ্লেষণ

‘সাংবাদিক’-এর আরবি প্রতিশব্দ صَحَفِيّ (সাহাফী) — যা صَحِيفَة (সহিফা) থেকে উদ্ভূত (অর্থ: পত্র, লেখা, সংবাদপত্র)।

সাংবাদিক হলেন:

“যিনি দৃশ্যমান পৃথিবীর ঘটনাবলী, সমাজের পরিবর্তন ও মানুষের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ, যাচাই ও প্রচার করেন।”

তাঁর জানা-বিদ্যা ইন্দ্রিয়, সাক্ষী ও মানুষের অভিজ্ঞতার উপর নির্ভরশীল — ওহি-নির্ভর নয়।

৩) নবী ও সাংবাদিক — মূল পার্থক্য :

1. উৎসের পার্থক্য

নবি → আল্লাহর ওহি (গায়ব) থেকে খবর পান।

সাংবাদিক → মানুষের মধ্য থেকে, দৃশ্যমান ঘটনাবলি থেকে খবর সংগ্রহ করেন

2. মর্যাদাগত পার্থক্য

নবী-অবস্থান আসমানী; নবুওয়াত আল্লাহ প্রদত্ত বিশেষ দান।

সাংবাদিক এক পেশাগত ভূমিকা — সামাজিক ও দুনিয়াবি কাজ।

3. সংবাদের প্রকৃতির ভিন্নতা

নবীর সংবাদ গায়বের সাথে সম্পর্কিত; মানুষের হিদায়াত ও ইমান সংশ্লিষ্ট।

সাংবাদিকের সংবাদ দৃশ্যমান ও দুনিয়াবি তথ্যাদি; সমাজ সচেতনতা ও তথ্য-সেবা প্রদান করে।

৪) কুরআন অনুযায়ী বর্ণনা অনুযায়ী নবীরা আল্লাহর পক্ষ থেকে মনোনীত।

> اللَّهُ يَصْطَفِي مِنَ الْمَلَائِكَةِ رُسُلًا وَمِنَ النَّاسِ
“আল্লাহ ফেরেশতাদের মধ্য থেকে এবং মানুষের মধ্য থেকে রাসূল মনোনীত করেন।” — (সূরা আল-হাজ্জ 22:75)

এখানে বোঝা যায় নবুওয়াত একটি নির্বাচিত ও আলোকিত দায়িত্ব — যা মানুষের সাধারণ সংবাদ সংগ্রহের কাজের সঙ্গে মিশবে না।

এই দুটির ভূমিকা একে-অপরের বিকল্প নয়, একে একটি অন্যটির সমতূল্য বলা আসমান ও জমিনকে এক কাতারে দাঁড় করানোের মত — তাই ভাষা-বাছাই ও শব্দচয়ন-এ সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন, বিশেষত রাসূল ﷺ-এর বিষয়ে।

আমাদের মনে রাখতে হবে রাসূল ﷺ-এর ক্ষেত্রে শব্দচয়ন করতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে। কারণ আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং রাসূল ﷺ-এর সম্মানের জন্য ‘ইয়া মুহাম্মদ’-এরূপ সুনির্দিষ্ট সম্বোধন ব্যবহার করেননি সেইভাবে যেমন তিনি অন্য নবীদের ক্ষেত্রে
ياعيسى’, ‘يا موسى’
ইয়া মুসা বা ইয়া ঈসা এভাবে সম্বোধন করেছেন—এই বিষয়টিকেও অনুসরণ করতে হবে।

আমরা আশা করছি আমাদের প্রিয় মুফতি আমির হামজা বিষয়টি আমাদের সামনে পরিষ্কার করবেন।

08/10/2025

অল্প সময়ে রাসুলুল্লাহ সা: এর জীবনীর চুম্বক অংশ....💖

07/10/2025
07/10/2025

Address

Sirajganj

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when SM Shihab Uddin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share