11/07/2025
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“কিয়ামতের আগে হ/ত্যা-হা/নাহানি বৃদ্ধি পাবে।”
সাহাবারা বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল! তখন কি মানুষ তাদের জ্ঞানে থাকবে?”
তিনি বললেন, “তাদের জ্ঞান থাকবে না। তখন হ/ত্যাকারী জানবে না সে কেন হ/ত্যা করছে, আর নি/হত ব্যক্তিও জানবে না কেন তাকে হ/ত্যা করা হচ্ছে।”
(সহীহ মুসলিম, হাদীস 2908)
২️⃣ “বিনা কারণে হ/ত্যা” কী বোঝানো হয়েছে?
🔹 এখানে “বিনা কারণে” বলতে ন্যায্য কোনো ইসলামী শারঈ কারণ ছাড়াই মানুষকে হ/ত্যা করা বোঝানো হয়েছে।
🔹 এই হ/ত্যাকাণ্ডের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা, ক্ষমতার লোভ, দুনিয়াবি স্বার্থ, হিংসা, গ্যাং কালচার, যুদ্ধ, স/ন্ত্রাস ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত হবে।
🔹 “নি/হত ব্যক্তি জানবে না কেন তাকে হ/ত্যা করা হলো” – মানে সমাজে এমন বিশৃঙ্খলা হবে যে কোনো দ্বন্দ্ব ছাড়াই মানুষ মেরে ফেলা হবে, বা অন্যদের সাথে জড়িয়ে তাকে হত্যা করা হবে।
৩️⃣ এটি কেয়ামতের আলামত:
🔸 এটি “ছোট আলামত” (ছগিরা আলামত) এর অন্তর্ভুক্ত, যা রাসূল ﷺ আগেই জানিয়ে গেছেন।
🔸 এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে নৈতিকতা ও মানবিকতা কমে যাওয়া, দুনিয়াবি লোভ ও অহংকার বৃদ্ধি পাওয়া, এবং শান্তির অভাব ইঙ্গিত করে।
🔸 মানুষের অন্তর কঠোর হয়ে যাবে, হ/ত্যাকে তুচ্ছ মনে হবে, এবং সমাজে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ কমে যাবে।
৪️⃣ আমাদের করণীয়:
✅ অন্যায়ভাবে কারো র/ক্ত ঝরানো ইসলাম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে। আল্লাহ বলেন:
“অন্যায়ভাবে কোনো প্রাণী হ/ত্যা করো না, আল্লাহ সেটিকে হারাম করেছেন।”
(সূরা আল-ইসরা, ১৭:৩৩)
✅ রাসূল ﷺ বলেছেন:
“একজন নিরপরাধ মুসলিমকে হ/ত্যা করা গোটা পৃথিবীর ধ্বংসের চেয়েও বড় অন্যায়।”
(সহীহ বুখারি ও মুসলিম)
✅ তাই কেয়ামতের এই আলামত থেকে রক্ষা পেতে:
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা,
দুনিয়ার লোভ, ক্ষমতার অহংকার থেকে বেঁচে থাকা,
সহিং/সতা ও অন্যায় হ/ত্যাকাণ্ড থেকে দূরে থাকা,
এবং মানুষের মধ্যে দ্বীনি শিক্ষা ও নৈতিকতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করা আমাদের দায়িত্ব।