Moment - মুহূর্ত

Moment - মুহূর্ত I am a student studying session 18-19 in Department of Mathematics in Sirajganj Government College

15/10/2025

#গল্প_ভালোবাসা_বনাম_প্রতিশোধ
#লেখিকা_অনামিকা_সরকার
#পর্ব_০২

পরের দিন সকাল। ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস ভরে উঠেছে ছাত্রছাত্রীদের কোলাহলে। নতুন সেমিস্টারের উত্তেজনা এখনো কাটেনি। সূচনা তবুও গত রাতের ভয়াবহ ঘটনাটা ভুলতে পারছে না। হোস্টেল থেকে বের হতেই আইরা বারবার বলে দিল—

—“সন্ধ্যার পর টিউশন বাদ দে। যা বলেছি মনে রেখিস।”
—“হুম, বুঝেছি,” সূচনা মৃদু হেসে উত্তর দিলো, যদিও মনে ভীষণ অস্থিরতা।
সূচনা গভীর ভাবনাতে কোনো দিকে তাল নাই আইরা তাকিয়ে দেখে বললো কি রে কি ভাবছিস?
সূচনা--- ওই লোকটাকে কোথায় পাবো?
আইরা--- কি আবোল তাবোল বকছিস কোন লোক?
সূচনা--- ওই যে আমাকে বাঁচালো কাল রাতে
আইরা--- এটা ঢাকা শহর এখানে মানুষ খুজে পাবি কেমনে আর না নাম জানিস না মুখ চিনিস
সূচনা--- পেছন থেকে দেখলে চিনবো
আইরা--- নাউজুবিল্লাহ আস্তাগফিরুল্লাহ মুখে হাত রেখে বলছে
সূচনা--- কি রে ওমন করছিস কেন?
আইরা--- তুই আজকাল মানুষের পিছন দেখা শুরু করেছিস বলে হাসতে হাসতে মাটিতে বসে পরলো
সূচনা--- আরে আমি কখন বললাম যে মানুষের পেছন দেখি আমি তুই না সত্যি খুব দুষ্ট
আইরা হাসতেই আছে

অর্কর বন্ধু রাহাত গেটের সামনে এসে দেখে একটা মেয়ে মাটিতে বসে হাসছে আর একজন দাড়িয়ে রাগি ফেস নিয়ে। রাহাত ভাবছে মেয়েটার কিছু হয়েছে
রাহাত---- এই মেয়ে কি হয়েছে তোমার মাটিতে বসে কেকাচ্ছো কেনো। সূচনার দিয়ে তাকিয়ে বলছে আপু ওর কি মিরকি রোগ আছে নাকি
সূচনা--- হ্যা ভাইয়া জুতাটা খুলে নাকে ধরেন বলে মিটি মিটি হাসছে
রাহাত জুতা খুলে যেই নাকে ধরবে ওমনি আইরা ধাক্কা দিলো
আইরা--- কি সব করছেন পাগল ছাগল ছি ওয়াক
রাহাত---- আরে আপনি ঠিক হয়ে গেছেন মিস
আইরা--- কেন আমার কি হবে
রাহাত--- তাহলে মাটিতে বসে মিরকি রোগীর মতো ছটফট করছিলেন কেন
আইরা--- ওহহ গড আপনাদের জ্বালাতে কি শান্তি মতো হাসতেও পারবো না

সূচনা হাসতে হাসতে পেছনে হাটছিলো হঠাৎ ধাক্কা খেলো শক্ত কিছুর সাথে। পেছনে ফিরে দেখে কালকের গান গাওয়া ছেলেটা
সূচনা--- স....
অর্ক---- চোখে দেখতে পাওনা? নাকি ইচ্ছা করে ছেলেদের গায়ে পরো।
সূচনা অপমানে চোখ টলমল করছিলো
অর্ক---- কি হলো বোবা নাকি কানা?
রাহাত---- আরে কি করেছিস মেয়েটা ইচ্ছা করে পরবে কেন দেখ কেমন ভয় পেয়েছে
কায়নাত---- এসব এদের নাটক বড়োলোকের ছেলে দেখলে গায়ে ঢলে পড়ে।
অর্ক---- কি হলো চুপ করে আছো কেন কান ধরে সরি বলো।ধমক দিয়ে কথাটা বললো
শাহিন---- আরে কি করছিস জুনিয়র তো তাই বুঝে নাই এভাবে বকিস না
আইরা--- ভাইয়া সরি আসলে
অর্ক---- ও কি বোবা আমার কথা বোঝে না?
সূচনা চোখের পানি ছেরে দিয়ে আস্তে আস্তে কান ধরে সরি বলে পেছন ফিরে চলে যেতে নিলে
অর্ক---- এই মেয়ে আমি কি যেতে বলেছি? সিনিয়রদের রেসপেক্ট দিতে জানো না
সূচনা থেমে যায় বোকার মতো মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে
অর্ক---- এরপর রাস্তা ঘাটে সাবধানে চলাফেরা করবে কারো গায়ে পরবে না। মনে থাকবে?
সূচনা মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বুঝালো
অর্ক---- এখন যাও

বলতে দেরি সূচনা পারলে দৌড়ে পালায়

রাহাত ঠাট্টা করে বলল—
—“কিরে দোস্ত, গতকাল গান গাইলি, সবাই পাগল হয়ে গেল। আজ আবার কাকে ডেডিকেট করতে যাচ্ছিস?”
অর্ক শুধু হেসে বলল—
—“কখনো কখনো উত্তর না দেওয়াটাই শ্রেষ্ঠ উত্তর।”

ক্লাস শেষে সূচনা আর আইরা একসাথে বের হলো। গেইটে পৌঁছালে সূচনা চারপাশে তাকিয়ে কারো খোঁজ করতে লাগল। সে খুঁজছিলো অর্ককে ভালো ভাবে দেখে নিলো আছে নাকি ওই লোকটার সামনে কিছুতেই পরবে না আর

—“কাকে খুঁজছিস?” আইরা প্রশ্ন করল।
—“কিছু না… কিছু না,” সূচনা চুপ করে গেল।

তবে মনটা যেন সারাক্ষণ বলছিল—লোকটা আবার কোথাও না কোথাও আসবেই।

সন্ধ্যা নামতেই শহরের আলো জ্বলে উঠল। সূচনা সেদিন আর টিউশনি করতে গেল না, সরাসরি হোস্টেলে ফিরে এল। কিন্তু দূর থেকে কেউ যেন তাকে লক্ষ্য করছিল। অন্ধকার গলির ভেতর, হুডির ভাঁজের নিচে লুকানো চোখদুটি তীক্ষ্ণভাবে তাকিয়ে ছিল সূচনার দিকে।

তার চোখে ছিল রাগ, বেদনা আর গভীর কোনো অজানা রহস্য।

অন্যদিকে, অর্ক ক্যান্টিনে বসে আছে। চারপাশে হাসি-আড্ডা, কিন্তু তার চোখ বারবার ক্লাসরুমের করিডোরের দিকে চলে যাচ্ছে। রাইফা খেয়াল করেই বলল—
—“আচ্ছা অর্ক, তুই কি ওই নতুন মেয়েটার দিকে তাকাচ্ছিস? সূচনা ইসলাম?”
অর্ক লজ্জা পেয়ে গেল। মাথা নীচু করে বলল—
—“বোকা বকিস না।”
কাইনাত ঠাট্টা করে বলল—
—“আরে সত্যি বল, নাহলে কাল থেকে তোর গিটারের সুরে প্রেমের গন্ধ পাই ক্যান?”
সবাই হেসে উঠলো, কিন্তু অর্কের চুপ থাকা যেন অনেক কথাই বলে দিচ্ছিল।
কায়নাতের বুকে চিনচিনে ব্যাথা লাগলো

রাত গভীর হলো। হোস্টেলে আইরা ঘুমিয়ে পড়েছে। সূচনা একা জানালার পাশে বসে বাইরে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ মনে হলো—কেউ যেন তাকে নজর করছে। বুক ধড়ফড় করতে লাগল। ভয় আর কৌতূহলের মিশ্র অনুভূতি তাকে গ্রাস করল।

ভার্সিটির কথা মনে পরতেই মন খারাপ হলো মনে মনে ভাবলো যার গানের গলা এতো মিষ্টি তার ব্যাবহার এতো না বিস্রি। আর কি রাগ

গরীব বলে অবহেলা করলো চোখ থেকে কয়েক ফোটা পানি পরলো আল্লাহ আমাকে এতিম করে দিলে বাবা নাই মা কে নিয়ে একা জীবন।
এই ঢাকা শহরে কি আমি এদের ভীরে টিকতে পারো!
আমাকে পারতেই হবে আমি আর ভয় পাবো না অর্ক চৌধুরী আবার আমাকে অপমান করতে আসলে দেখিয়ে দিবো গ্রামের মেয়েরা সস্তা নয়

অর্ক অনেক রাতে বাসায় ফিরলো দেখে বাবা বসে আছে
অর্কর বাবার নাম আরমান চৌধুরী মায়ের নাম মিসেস নাজমা চৌধুরী
আরমান চৌধুরী বললেন অর্ক এতো রাত হলো কেন
অর্ক---- বাবা একটু কাজ ছিলো
আরমান চৌধুরী --- যাই হোক কাল একটু বাসায় থেকো তোমার বোনকে দেখতে আসবে পাত্রপক্ষ
অর্ক---- ঠিক আছেঢাকার এক কোণে, পুরনো গুদামঘরটায় অন্ধকার নেমে এসেছে। দেয়ালের গায়ে লাল আলো ঝিকমিক করছে, সিগারেটের ধোঁয়ায় চারপাশ ভারী। ভেতরে বসে আছে কয়েকজন গুণ্ডা, কণ্ঠে টেনশন—

—“ভাই, খবর খারাপ… সেই হুডি পরা ছেলেটা আবার এলাকায় দেখা গেছে।”

হঠাৎ ভারী দরজা “ঘড়র ঘড়র” শব্দে খুলে গেল। ধোঁয়ার কুয়াশা ভেদ করে ঢুকলো একজন— কালো শার্ট, কালো ব্লেজার, চোখে ঠান্ডা তীক্ষ্ণ দৃষ্টি। সে-ই আরভিন শেখ

পা টিপে টিপে আসতেই চারপাশ নিস্তব্ধ হয়ে গেল।

সে ধীরে ধীরে সোনার মোড়ানো লাইটার বের করে সিগার ধরাল। তারপর ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে এক কোণে বসা গুণ্ডাটার দিকে তাকালো—

—“খবর খারাপ বলছিস? নাকি তোদের সাহসই খারাপ হয়ে গেছে?”

গুণ্ডাটা কাঁপতে কাঁপতে বলল—
—“না ভাই… আসলে লোকটা হঠাৎ করে উধাও হয়ে যায়…”

আরভিন টেবিলের ওপর রাখা গ্লাস তুলে হঠাৎই ছুঁড়ে মারলো তার দিকে। গ্লাস ভেঙে চূর্ণ হয়ে গেল, রক্ত ঝরে পড়লো লোকটার কপাল থেকে।

আরভিন দাঁড়িয়ে গম্ভীর গলায় বলল—
—“এই শহরে আমার ইচ্ছের বাইরে কারও নিঃশ্বাস চলবে না। হুডি পরা একটা ছোকরা আমার নামটা কলঙ্কিত করবে? তার গলায় রশি পড়বে, না হলে তোমাদের গলায়।”

চারপাশে আবারও নিস্তব্ধতা। তার ঠোঁটে হালকা হাসি ফুটে উঠল, কিন্তু সেই হাসির মধ্যে কোনো উষ্ণতা নেই— কেবল শীতল আতঙ্ক।

এরপর আস্তে করে বলল—
—“এখন যাও… রোট লাল করে আনো।”

লোকগুলো মাথা নিচু করে দৌড়ে বের হয়ে গেল, আর অন্ধকার ঘরে ভেসে রইলো কেবল সিগারের ধোঁয়া আর আরভিন শেখের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি।

চলবে...

14/10/2025

📍কপি করা কঠোর নিষিদ্ধ 📍

ঢাকা মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি (DMU)

সকালের আলোয় ভিজে থাকা ক্যাম্পাস, দূরে মাঠে জমে থাকা বৃষ্টির ফোঁটা চকচক করছে। নতুন সেমিস্টারের প্রথম দিন। ব্যাগ কাঁধে নিয়ে নার্ভাস হয়ে ঢুকল সাওদা ইসলাম সূচনা। গ্রামের ছোট্ট এক পরিবেশ থেকে উঠে আসা মেয়েটি যেন এই বিশাল শহুরে ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে।

হোস্টেলে রুম পেয়ে গিয়েছে, রুমমেট আইরা সরকার /আগেই তাকে সব বোঝাতে শুরু করেছে—
—“ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এখানে সবাই প্রথমে একটু হকচকিয়ে যায়।
১০ টা থেকে ক্লাস শুরু। অলরেডি সকাল ৯:৪০ বেজে গেছে। প্রথম দিন লেট করলে কেমন দেখায় তারাহুরো করে ভার্সিটির গেট পেরিয়ে যাচ্ছিলো
সূচনার চোখে পড়ল এক ভিন্ন দৃশ্য। ভার্সিটির মাঠে ছাত্রছাত্রীরা জমে আছে, আর মাঝখানে বসে আছে একদল সিনিয়র তাদের মধ্যে একজনের হাতে গিটার। বন্ধু বান্ধব চারপাশে বসে আছে।

ছেলেটা ধীরে ধীরে গিটারের তারে হাত বুলাতে শুরু করল। সুরের মায়ায় ভিড়টা চুপ হয়ে গেল।
🎵🎵🎵
এই ছেলের মাথায় কি যে
সে তো কিছুই জানে না
এতো পিছে পিছে ঘুরি
তবু গায়ে লাগে না
এই ছেলের মাথায় কি যে
সে তো কিছুই জানে না
এতো পিছে পিছে ঘুরি
তবু গায়ে লাগে না
তোয়ার চলার ধরণ ওফ্ফ
দেখলে দুক দুক করে বুক
দুধে আলতা তোমার রুপ
কাছে আইতে মন চায় খুব
তোয়ার চলার ধরণ ওফ্ফ
দেখলে দুক দুক করে বুক
দুধে আলতা তোমার রুপ
কাছে আইতে মন চায় খুব
তোয়ার তুলনাতে কেউ
আশেপাশে নাই
তোয়ার চাওনিতে খালি
আগুন ধরাই
আর মনের ঘড়িতে হেতি
১২ টা বাজায়
ইল্লায় আই কই দিতাম চাই
ইউ লুক লাইক
নাইকা নাইকা নাইকা
ইউ লুক লাইক
নাইকা নাইকা নাইকা
ইউ লুক লাইক
নাইকা নাইকা নাইকা
ইউ লুক লাইক
নাইকা নাইকা নাইকা
এই পরাণ হাগল হই যাইবো
তোয়ার অই হরাণ না হাইলে
জীবন তো আর বিথা হই যাইবো
তোয়ারে ধইতাম না হাইলে
এই পরাণ হাগল হই যাইবো
তোয়ার অই হরাণ না হাইলে
জীবন তো আর বিথা হই যাইবো
তোয়ারে ধইতাম না হাইলে
তোয়ার তুলনাতে কেউ
আশেপাশে নাই
তোয়ার চাওনিতে খালি
আগুন ধরাই
আর মনের ঘড়িতে হেতি
১২ টা বাজায়
ইল্লায় আই কই দিতাম চাই
ইউ লুক লাইক
নাইকা নাইকা নাইকা
ইউ লুক লাইক
নাইকা নাইকা নাইকা
ইউ লুক লাইক
নাইকা নাইকা নাইকা
ইউ লুক লাইক
নাইকা নাইকা নাইকা
ইউ লুক লাইক
নাইকা নাইকা নাইকা
ইউ লুক লাইক
নাইকা নাইকা নাইকা
ইউ লুক লাইক
নাইকা নাইকা নাইকা
ইউ লুক লাইক
নাইকা নাইকা নাইকা
এই ছেলের মাথায় কি যে
সে তো কিছুই জানে না
এতো পিছে পিছে ঘুরি
তবু গায়ে লাগে না
এই ছেলের মাথায় কি যে
সে তো কিছুই জানে না
এতো পিছে পিছে ঘুরি
তবু গায়ে লাগে না

সূচনা দাঁড়িয়ে রইল দূরে, মনে হলো সময় থেমে গেছে। এই শহর, এই কোলাহল—সবকিছু মিলিয়ে গিটারের সুর যেন তাকে অন্য এক জগতে নিয়ে যাচ্ছে।

সুর থেমে গেলে অর্কের চোখ হঠাৎ পড়ল সূচনার দিকে। কিছুক্ষণের জন্য চোখাচোখি হলো। সূচনা তাড়াতাড়ি চোখ সরিয়ে নিল, কিন্তু মনে মনে অদ্ভুত এক অনুভূতি জমে গেল—লাজুক, কৌতূহলী, অজানা এক টান।

অর্ক বন্ধুদের সঙ্গে হাসতে হাসতে উঠে গেল, কিন্তু সূচনার মনে বাজতে থাকল সেই সুর…
আইরার ধাক্কায় হুস ফিরলো সূচনার
আইরা --- কি রে চল তারাতাড়ি দেরি হয়ে গেলে স্যার আজ কান ধরে বের না করে দিলে হয় প্রথম দিনেই লেট
সূচনা--- ওহহ হ্যা চল
ক্লাসের সামনে গিয়ে দেখে ক্লাস অলরেডি শুরু হয়ে গিয়েছে দুজনে ক্লাসের সামনে গিয়ে বললো,
May I come in sir?
Sir--- yes come in.
স্যার --- লেট হলো কেন?
আইরা--- সরি স্যার নেক্স ডে থেকে আর লেট হবে না
স্যার --- ঠিক আছে বসো
দুই বান্ধবী বসে পরলো
সূচনা-- আজকের মতো বেঁচে গেলাম

অর্ক আর ওর বন্ধুরা মিলে ক্যান্টিনে বসে আছে। ( রাইফা, কাইনাত, রাহাত, সাহিন) ওদের পাঁচ জনের একটা গ্রুপ ৩ বন্ধু ২ বান্ধবী
কাইনাত--- দোস্ত আজ কিন্তু গানটা ফাটাফাটি হয়েছে।
রাহাত--- গানটা কি কাউকে ডেডিকেটেড করে গেয়েছিস নাকি?
অর্ক--- সেটা তোদের না জানলেও চলবে। আচ্ছা তোরা কে কি খাবি খেয়ে নে আমার একটু কাজ আছে আসছি কাল দেখা হবে।
কাইনাত--- এখনি চলে যাবি! আর তোর এতো রোজ কিসের কাজ থাকে?
রাইফা--- আয়হায় লাইলা এসেছে মাজনুর খবর নিতে।
সবাই হেসে উঠলো
অর্ক-- স্টপ ইয়ার। থাক আসছি বলেই চলে গেলো।
পেছনে কাইনাত চাতক পাখির ন্যায় চেয়ে রইলো

ক্লাস শেষ ৩ টায় দুই বান্ধবী মাঠে দাড়িয়ে
সূচনা--- আর কয়েকটা টিউশনি ধরিয়ে দিতে পারবি খুব উপকার হতো
আইরা---- ঠিক আছে আমি দেখবো। আর এই দুইটা অনেক রাত হয়ে যায় ওই রাস্তাটা সেফ না মেয়েদের জন্য নতুন টিউশন পেলে ওগুলা ছেরে দিবি।
সূচনা--- হ্যা আমার একটু একটু ভয় লাগে ওই রাস্তাটা
আইরা--- ঠিক আছে কিছু খেয়ে বের হই চল
সূচনা ---- আচ্ছা চল বাসায় যেতে যেতে সন্ধ্যা পার হয়ে যায় খুধা লেগে যায়

দুজনে খেয়ে নিল , আইরা গেলো হোস্টেলে আর সূচনা টিউশনির উদ্দেশ্যে গেলো

সন্ধ্যা পেরিয়ে গেছে। গলির মাথার ল্যাম্পপোস্টে হলুদ আলো টিমটিম করে জ্বলছে। সূচনা আজ একটু দেরি করে টিউশনি শেষ করেছে। বইভর্তি ব্যাগটা কাঁধে ঝুলিয়ে সে ধীরে ধীরে গলির ভিতর দিয়ে হাঁটছে। চারপাশ নিস্তব্ধ, মাঝে মাঝে কেবল কুকুরের ঘেউ ঘেউ কিংবা বাতাসে উড়ে আসা শুকনো পাতার শব্দ শোনা যায়।

এমন সময় হঠাৎ করেই সামনে কয়েকটা ছায়া দেখা দিল। তিন-চারজন অচেনা যুবক রাস্তা আটকে দাঁড়াল। তাদের চোখে-মুখে দুষ্টুমি, কণ্ঠে কুৎসিত ঠাট্টা।
— “এই যে সুন্দরী, কোথায় যাচ্ছো একা একা?”
— “আমাদের সাথে একটু গল্প করে যাও।”

শব্দগুলো শুনে সূচনার বুক কেঁপে উঠল। সে দ্রুত হাঁটতে চাইলো, কিন্তু তারা পথ আটকে দাঁড়াল। ভয়ের ঘাম কপালে জমে উঠল, হাত কাঁপতে লাগল। নিজের অসহায়ত্বটা যেন আরও বেশি অনুভব করছিল সে।
প্রানপণ দৌড়ানোর চেষ্টা করছিলো কিন্তু কাঁধে ভাড়ি ব্যাগের জন্য কিছুতেই এগোতে পারছে না
দৌড়াতে দৌড়াতে রাস্তায় ঠাস করে পরে গেলো
মাতাল গুন্ডা গুলো বলছে_
আহারে মামনি পরে গেছে তোরা ওকে টেনে তোল ব্যাথ্যা পেয়েছো মামনি! কোনো বেপার না আমরা সবাই মিলে তোমার ব্যাথা সারিয়ে দিবো কি বলিস তোরা বলেই বিস্রি ভাবে দাত বের করে হাসছে তার সাথে সবাই অট্টহাসি দিচ্ছেলো
সূচনার ভয়ে প্রানটা বেরিয়েই যাচ্ছিলো
সূচনা--- প্লিজ আমার সাথে এমন করবেন না।
সূচনা ---আমাকে যেতে দিন আপনাদের পায়ে ধরি এতো বড়ো সর্বনাশ করবেন না আমার কান্নায় ভেঙে পরলো।
গুন্ডা গুলো সূচনার গলার দিকে হাত বাড়িয়ে ওরনা ধরতে নিলেই

ঠিক তখনই, অন্ধকারের ভেতর থেকে এক হুডি পরা লোক এগিয়ে এলো। তার মুখটা ছায়ায় ঢাকা, কিন্তু দৃষ্টি ছিল দৃঢ়। সে সামনে দাঁড়িয়ে গলায় গম্ভীর স্বরে বলল—
“ওকে একা ছেড়ে দাও। আর এক পা এগুলে খারাপ হবে।”

গুন্ডারা প্রথমে হেসে উড়িয়ে দিল, কিন্তু লোকটার চোখের তীব্রতায় তারা থমকে গেল। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে সরে যেতে শুরু করল। গলিটা আবার নীরব হয়ে গেল।

সূচনা হাঁপ ছেড়ে বাঁচল। বুকের ভেতর ধুকপুকানি এখনও থামেনি। সে কৃতজ্ঞ দৃষ্টিতে হুডি পরা অপরিচিতের দিকে তাকাল। বলতে চাইল “ধন্যবাদ”, কিন্তু ঠোঁট কাঁপায় শব্দ বের হলো না।

লোকটা শুধু হালকা মাথা নেড়ে ঘুরে দাঁড়াল। তার পদশব্দ মিলিয়ে গেল অন্ধকারে। সূচনা স্থির দাঁড়িয়ে রইল, মনে হলো—আজ অচেনা শহরের অচেনা এক গলিতে সে যেন অদৃশ্য কোনো রক্ষাকর্তার সান্নিধ্যে এলো।
সূচনা ভাবলো অদ্ভুত লোক কিছু বললোও না আবার শুনলোও না একটা ধন্যবাদ দিতে চাইলাম তবুও নিলো না লোকটা মনে হয় কিপ্টা
আল্লাহর দুনিয়াতে সব খারাপ আর আজব মানুষের পালায় শুধু আমাকেই কেন পরতে হবে
যাই হোক আজ যে কার মুখ দেখে ঘুম থেকে উঠেছিলাম দিন টাই কুফা গেলো। তবে সব বিপদ থেকে আল্লাহ বাচিয়ে নিয়েছে কোনো রকম। বলে হোস্টেলের দিকে ফিরলো।
রুমে ঢুকে দেখে আইরা পড়ার টেবিলে
আইরা--- কিরে তোর এমন অবস্থা কেন? জামাতে মাটি লেগে আছে কেন পরে গেছিলি নাকি কোথাও ?
সূচনা--- আরে আস্তে ধীরে প্রশ্ন কর একটা একটা করে উত্তর দেই।
তারপর সব কাহিনি খুলে বললো সব শুনে আইরা মাথায় হাত দিয়ে তাকিয়ে আছে
আইরা--- কাল গিয়ে বারোন করে আসবি আর রাত করে পড়াতে হবে না
সূচনা--- তাহলে চলবো কেমন করে
আইরা--- আমি আছি তো নতুন টিউশন না হওয়া পর্যন্ত আমি চালাবো সব ।
সূচনা--- কিন্তু ?
আইরা--- কোনো কিন্তু না তোর জীবনের থেকে আমার কাছে টাকা বড়ো না আমি যা বলছি তাই হবে।
সূচনা--- ঠিক আছে সব হিসাব করে রাখবো পরে দিয়ে দিবো।
আইরা-- পরের টা পরে দেখা যাবে।

চলবে......
(আবারো লেখা স্টার্ট করলাম । জানিনা কেমন হয়েছে শব্দ ভুল হলে অবশ্যই ধরিয়ে দিবেন ধন্যবাদ-

05/10/2025

সোনার চাঁদ মোর

Address

Sirajganj

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Moment - মুহূর্ত posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category