12/08/2025
বাংলাদেশের সফল বাণিজ্য চুক্তি: বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করেছে। এর ফলে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের উপর শুল্ক ৩৫% থেকে কমিয়ে ২০% করেছে। এই চুক্তি অর্জনে ডঃ ইউনূস এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডঃ খলিলুর রহমানের দূরদর্শিতা ও কৌশলগত পরিকল্পনা বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
বাণিজ্য ঘাটতি মোকাবিলার কৌশল: যুক্তরাষ্ট্র যখন বাণিজ্য ঘাটতি থাকা দেশের উপর শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দেয়, তখন বাংলাদেশের কৌশল ছিল প্রাক্কালে ডঃ খলিলুর রহমানকে ওয়াশিংটনে প্রস্তাব নিয়ে পাঠানো, যাতে বাংলাদেশ স্বেচ্ছায় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর পদক্ষেপ নেয়। বাংলাদেশ মার্কিন কৃষি পণ্যের আমদানি বাড়িয়ে মার্কিন মধ্যবর্তী কৃষি নির্ভর রাজ্যগুলোর সমর্থন আদায় করেছিল, যা একটি স্মার্ট কৌশল ছিল।
ভারতের ওপর প্রভাব: এই কৌশল ভারতের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে কাজ করেছে। আগে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে খাদ্যশস্য ও তুলা আমদানি করত, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রকে আমদানি উৎস হিসেবে বেছে নিয়ে বাংলাদেশ ভারতের ওপর নির্ভরতা কমিয়েছে। ভারত হঠাৎ করে প্রয়োজনীয় পণ্যের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করত, যা বাংলাদেশ এড়াতে পেরেছে।
চুক্তির ফলে শুধু ভারতের বাজার শেয়ার কমেনি, বাণিজ্যকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার ক্ষমতাও দুর্বল হয়েছে। ভারত নিজস্ব বাণিজ্য আলোচনায় ব্যর্থ হয় কারণ তারা মার্কিন কৃষি পণ্যের শুল্ক কমাতে রাজি হয়নি, যেখানে বাংলাদেশ শুল্ক শূন্যে নিয়ে গিয়েছিল।
ডঃ খলিলুর রহমানের ভূমিকা: ডঃ খলিলুর রহমান আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিত্ব, যিনি UNCTAD-এর মতো প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পদে কাজ করেছেন। তিনি "Everything But Arms" উদ্যোগেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, যা স্বল্পোন্নত দেশের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেছিল এবং বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে উপকৃত করেছিল। অসুস্থ অবস্থায়ও তিনি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য আলোচনা চালিয়ে গেছেন, যা তার উৎসর্গ ও পেশাদারিত্বের প্রমাণ।
সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ: এই সফল চুক্তি বাংলাদেশের জন্য বিশাল মার্কিন বাজার উন্মুক্ত করেছে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। যদি এই সুযোগটি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তবে পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারবে।