27/09/2025
আমি বিনয়ের সাথে জামায়াতের এমপি প্রার্থীদের অনুরোধ করি—নির্বাচনী মাঠে কথা রয়ে সয়ে বলুন; প্লিজ। প্রয়োজনে কথা কম বলুন, তবুও কোনো বিতর্কিত মন্তব্য করবেন না। যে বিষয়ে ধারণা নাই, সে বিষয়ে কোনো আলাপ করার প্রয়োজন নাই। নিজের দক্ষতা ও স্মার্টনেস বুঝাতে গিয়ে যেন অজ্ঞতা উন্মোচিত না হয়ে যায়। যাদের সামনে আমরা কথা বলছি, ক্ষেত্রবিশেষে তাদের মাঝে আমাদের চেয়েও বুঝমান মানুষ আছে।
আপনি মনে করতেই পারেন, আপনি একটা সংসদীয় আসনের সামান্য একজন প্রার্থী, আপনার কথায় কী-ই বা আসে যায়। ভুল ভাবছেন। সোস্যাল মিডিয়ার এই উন্মেষের জামানায় মূহুর্তেই আপনার বক্তব্য সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। আপনার-আমার কারণে এক মাসের অর্জন একদিনেই ধ্বসে পড়বে।
একজন এমপি প্রার্থীর কারণে সারাদেশে ভোটের মাঠে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটতে পারে।
একজন তরুণ প্রার্থী হিসেবে প্রচণ্ড ভয়ের মধ্যে আছি। সতর্ক থাকি—আমার মুখ থেকে আবেগে এমন কথা যেন বের না হয়, যা জামায়াতের চিন্তা ও আদর্শের সাথে মিলে না। বয়সের উচ্ছলতায় যেন এলোমেলো কোনো কথা না বলি। নির্বাচনী বক্তৃতায় অনেক ভ্যারিয়েশন না এনে সুনির্দিষ্ট কিছু পিনপয়েন্ট নির্ধারণ করেছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি এসব সুনির্দিষ্ট পয়েন্টের বাহিরে আমি কোনো বিষয়ে আলাপ করব না।
নিজের সীমাবদ্ধতা বুঝতে পারাটা প্রজ্ঞা। আমি সব বিষয়ে এক্সপার্ট নই, এক্সপার্ট হওয়া জরুরিও নয়।
আবারও বলি, শরিয়া, নারী, সাম্প্রদায়িকতা, ট্র্যান্সজেন্ডার, ইসলামি হুকুমাত, জিহাদ সম্পর্কে অবশ্যই অবশ্যই মিনিমাম স্টাডি থাকতে হবে। ইচ্ছেমতো কোনো মন্তব্য করা যাবে না।
কেন্দ্রকে বিনীত অনুরোধ করেছি, প্রার্থীদের সুনির্দিষ্ট কিছু পয়েন্টে কথা বলার রেড লাইন নির্ধারণ করে দিতে হবে। জামায়াতের চিন্তা-চেতনা এমপি প্রার্থীদের বয়ান থেকেই জাতি বুঝতে চাইবে, পুরো দুনিয়াও বুঝতে চাইবে।
আমার এই উদ্বিগ্নতা আমাদের প্রার্থীদের কতটা স্পর্শ করবে, জানি না।
(নূর মোহাম্মদ ভাইয়ের পেজ থেকে সংগৃহিত)