12/04/2025
বৈশাখের ঠিক তিন দিন আগে আমরা বাড়ির সব বোনেরা মিলে ঠিক করলাম ভাবিকে ছাড়া বৈশাখ করবো না।না মানে কোনো ভাবেই না।মা বারে বারে বলছিলো এসময় বেশি জার্নি করা ঠিক হবেনা। বউমা ওখানেই বৈশাখ করুক।কিন্তু আমরা নাছোড়বান্দা। মা কে বোঝালাম, ভাইয়া খুব সাবধানে গাড়ি চালিয়ে ভাবিকে নিয়ে আসবে।শেষে মা রাজি হয়। ভাবি আসলো বাসায়।আমাদের সে কি আনন্দ। সবাই একসাথে বৈশাখ করবো।আমি শাড়ি পরবো।বিশেষ করে ভাবিকে নিয়ে আসার কারণ ভাবি শাড়ি পরিয়ে আমাকে সাজিয়ে দেবে😁
ঠিক পরের দিন সকালে ভাবি বললো তার শরীর খারাপ লাগছে।মা আর ভাইয়া সাথে সাথে হসপিটাল এ নিয়ে যায়।সব টেস্ট করে ডা. বললেন আজকেই সিজার করতে হবে।সন্ধ্যায় আব্বা সব গুছিয়ে হসপিটালে নিয়ে গেলেন। তখন অবশ্য আমাদের সবার মন খারাপ।বার বার মনে হচ্ছিলো হয়ত ভাবিকে বাসায় না নিয়ে আসলেই ভালো হতো।
সন্ধার পরে আব্বা ফোন দিলেন।দিয়েই সে কি খুশি।আহা!!
মনে হচ্ছিলো উনি যদি পারতেন চিৎকার করে সবাই কে বলতেন আমার ঘরে একটা চাঁদ এসেছে। আব্বাকে এত খুশি আমি আগে কখনো দেখিনি।
সেদিন থেকেই আব্বা সেই ছোট্ট বাবুর নাম দিলেন "আমার বন্ধু "। সবাই কে বলে এটা আমার বন্ধু। আজ আব্বার বন্ধুর জন্মদিন। আব্বা ছাড়া আব্বার বন্ধুর দ্বিতীয় জন্মদিন।
আব্বা থাকলে এইদিনে আব্বা নতুন পাঞ্জাবি পরতো। মা কে জোর করে নতুন শাড়ি পরাতো।তারপর সবাই মিলে কেক কাটতো।দুইবছর ধরে এসবের কিছুই হয়না।সেই আব্বার বন্ধু এবার ছয় বছর পর তার বাবার সাথে জন্মদিন করছে।
জন্মদিনে অনেক অনেক ভালোবাসা বাবা।
আমি তোমাকে এখনো আমার আব্বার মতোই ভালোবাসি।আব্বা নেই কিন্তু আব্বার বন্ধুকে আমি সারাজীবন আগলে রাখবো।তুমি শুধু আমার আব্বার বন্ধু না, আমার আব্বা৷ আমার সব কিছু বাবা।
পিচ্চি তোমাকে অনেক ভালোবাসে। অনেক বড় হও।তোমার দিদাকে আগলে রেখো।বাবা মার গর্ব হও
শুভ জন্মদিন আব্বা