Tofael ahmad ashrafi

26/06/2025

নিচে "ভাই" নিয়ে একটি আট লাইনের সংক্ষিপ্ত বাংলা কবিতা দেওয়া হলো:

ভাই আমার আপন জন,
সুখে-দুঃখে সবসময়।
শৈশব জুড়ে খেলার সাথি,
ভাই ছাড়া জীবন ফাঁকি।

তার হাত ধরেই হাঁটা শেখা,
ভুল করলে তিনি শেখা।
রাগ করলেও মনে ব্যথা,
ভাই-ই জীবনের আশ্রয়পথা।

26/06/2025

19/06/2025

"ট্যাটু (Tattoo)" করার হুকুম ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী হারাম (নিষিদ্ধ)।

📜 হাদিসের আলোকে:

সাহিহ বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত রয়েছে,
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:

"اللَّهُ لَعَنَ الْوَاشِمَةَ وَالْمُسْتَوْشِمَةَ"
“আল্লাহ ট্যাটু করা নারী ও যে করায় উভয়কে অভিসম্পাত করেছেন।”
— (সহীহ বুখারী: ৫৯৩৭, সহীহ মুসলিম: ২১২৫)

📌 ব্যাখ্যা:

ট্যাটু শরীরের রূপ পরিবর্তনের একটি পদ্ধতি। এটি শরীরের ত্বকে স্থায়ীভাবে কালি বা রঙ ঢুকিয়ে ডিজাইন করা হয়।

ইসলাম শরীরকে আল্লাহর দেওয়া একটি অমানত হিসেবে বিবেচনা করে, তাই এটিতে স্থায়ী পরিবর্তন আনাকে নিষিদ্ধ করেছে।

এছাড়া ট্যাটু অনেক সময় অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, অবৈধ সংস্কৃতি এবং অবিশ্বাসীদের অনুকরণে হয়ে থাকে।

❗ কিছু বিশেষ দিক:

যদি কেউ অজ্ঞতা বা অজান্তে ট্যাটু করে ফেলে, সে যেন তওবা করে ও ক্ষমা প্রার্থনা করে।

ট্যাটু মুছে ফেলা সম্ভব হলে, তা মুছে ফেলা উত্তম।

✅ উপসংহার:

ট্যাটু করা ও করানো উভয়ই ইসলামে হারাম এবং গুনাহের কাজ। এ থেকে বাঁচা এবং তাওবা করা কর্তব্য।

14/06/2025

নামায (সালাত) মুসলমানদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এটি শুধুমাত্র একটি ইবাদত নয়, বরং একটি নিয়মিত আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর সাথে সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যম। নিচে নামায সম্পর্কিত কিছু উপদেশ দেওয়া হলো:

🕌 নামাযের উপদেশ (উপকারী কথা)

১. নামাযকে গুরুত্ব দিন

“নামায দ্বীনের স্তম্ভ।”
নামায ছাড়া ইসলামের ভিত্তি দাঁড়ায় না। যেকোনো অবস্থাতেও নামায ত্যাগ করা উচিত নয়।

২. নিয়মিত এবং সময়মতো নামায পড়ুন

আল্লাহ বলেন:
“নিশ্চয়ই নামায মুমিনদের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ করা হয়েছে।”
📖 (সূরা নিসা: ১০৩)

৩. নামাযে খুশু-খুজু রাখুন

মনোযোগ ও বিনয় ছাড়া নামায, শুধু শারীরিক কসরত হয়ে পড়ে। হৃদয় দিয়ে আল্লাহর সামনে দাঁড়ান।

৪. নামায আপনার চরিত্র সংশোধন করবে

“নামায অবশ্যই অশ্লীলতা ও গর্হিত কাজ থেকে বিরত রাখে।”
📖 (সূরা আনকাবুত: ৪৫)

৫. জামাতের সাথে নামায পড়ার চেষ্টা করুন

রাসূল (ﷺ) বলেছেন:
"জামাতের সঙ্গে নামায একাকী নামাযের চেয়ে ২৭ গুণ বেশি সওয়াবপূর্ণ।"
📚 (বুখারী, মুসলিম)

৬. ফজরের নামায বিশেষভাবে গুরুত্ব দিন

“ফজরের নামায সাক্ষীদের উপস্থিতিতে হয়।”
📖 (সূরা ইসরা: ৭৮)

৭. নামায কখনো মিস করবেন না

রাসূল (ﷺ) বলেছেন:
"আমাদের ও মুনাফিকদের মধ্যে পার্থক্য হল নামায।"
📚 (তিরমিযী)

🌙 সংক্ষিপ্ত দোআ:

"হে আল্লাহ! আমাকে ও আমার বংশধরদের নামায কায়েমকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন।"
📖 (সূরা ইব্রাহিম: ৪০)

আপনি চাইলে আমি বাংলা অনুবাদসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের নিয়ত ও দোয়া, কিংবা নামায শেখার গাইড বানিয়ে দিতে পারি। জানালে প্রস্তুত করে দিচ্ছি।

08/06/2025

🐄 কুরবানির গোশতের করণীয় 🕌

🟢 ১. গোশত বণ্টনের নিয়ম (ইসলামিক বিধান):

কুরবানির গোশত তিন ভাগে ভাগ করা সুন্নত:

এক-তৃতীয়াংশ নিজে রাখা।

এক-তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের দেয়া।

এক-তৃতীয়াংশ গরিব ও অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করা।

🔸 কুরআনে বলা হয়েছে:
"তোমরা তাদের (কুরবানির পশুর) গোশত খাও এবং অভাবগ্রস্তদের খাওয়াও।"
(সূরা হজ্জ: ২৮)

🟢 ২. দ্রুত গোশত সংরক্ষণ:

কুরবানির পর যত দ্রুত সম্ভব গোশত পরিষ্কার করে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে।

বরফ বা ফ্রিজে সংরক্ষণ করা উত্তম।

গোশতের উপরের রক্ত শুকিয়ে গেলে তা ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধির আশঙ্কা কমায়।

🟢 ৩. বিতরণে শিষ্টাচার:

গোশত বিতরণে কারো প্রতি অবজ্ঞা বা লজ্জা সৃষ্টি হয় এমন ভাষা বা আচরণ বর্জন করা উচিত।

ভালো মানের অংশই গরিবদের দিতে হবে, নষ্ট বা কম মানের অংশ নয়।

🟢 ৪. নিজে ভোগ করার ক্ষেত্রে:

ঈদের দিন গোশত রান্না করে পরিবারের সঙ্গে খাওয়া সুন্নত।

দীন-দুনিয়ার শোকর আদায় করে খাওয়া উচিত।

🟢 ৫. অতিরিক্ত গোশত হলে:

সংরক্ষণ করে ধাপে ধাপে আত্মীয়, গরিব ও অসহায়দের দেওয়া যেতে পারে।

কুরবানির উদ্দেশ্য হলো তাকওয়া অর্জন, তাই কৃপণতা করা উচিত নয়।

🟢 ৬. পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা:

কুরবানির স্থান পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে, যাতে দুর্গন্ধ বা রোগজীবাণু ছড়াতে না পারে।

✅ উপসংহার:

কুরবানির গোশত শুধু খাওয়ার জন্য নয়, এটি সহমর্মিতা, তাকওয়া ও সমাজের সব শ্রেণিকে একত্রিত করার এক মহান উপলক্ষ। সঠিকভাবে বণ্টন ও ব্যবহার করলেই কুরবানির মূল উদ্দেশ্য পূর্ণতা পায়।

29/05/2025

29/05/2025

ইসলামের চরম শত্রু শাহাবাগীরার ফাঁসীর কাঠঘোরায় আনার জন্য বিশ্ব মানবতার দাবি

26/05/2025

সিঁড়ি কিনলাম আজ কে মজবুত অনেক সবাই আসেন নিচে নামতে 🤣

11/04/2025

কিছু উপকারিতা

চিয়া বীজে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই নিয়মিত চিয়া সিড খেলে আপনি অনেক ধরনের উপকারিতা পাবেন।

এই চিয়া সিড শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে, এতে অনেক বেশি পরিমাণে খাদ্য আঁশ থাকে যা আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে ধীরগতি করে। এর ফলে বেশি বেশি ক্ষুধা লাগে না বা অতিরিক্ত খাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও, উচ্চমাত্রার ফাইবার এবং প্রোটিন থাকার কারণে ওজন খুবই দ্রুত কমে, সাথে নিয়ন্ত্রণ করতেও খুব ভালো ভূমিকা রাখে। নিয়ম করে খাওয়ার ফলে সুষম খাদ্য খাবার অভ্যাস নিশ্চিত হওয়ার সাথে অপ্রয়োজনীয় মোটা হওয়ার আশংকা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কিন্তু দেখা গেছে যে, চিয়া সিডে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রে পরিমাণ অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। এতে থাকা ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, কোয়ারসেটিন নামক উপাদান হৃদরোগ ও প্রদাহ দূর করে, অস্টিওপোরোসিসের বিশেষ ঝুঁকি কমায়, কেম্পফেরল উপাদান ক্যান্সারসহ অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী রোগের ঝুঁকি কমায়। এই চিয়া সিডে থাকা মাইরিসেটিন অ্যালার্জি সমস্যার বিরুদ্ধেও বেশ কার্যকরী।