নতুন

নতুন পেইজে আসার জন্য ধন্যবাদ 🌺
আসা করি সাপোর্ট করবেন,
এবং যারা পেইজ Follow করছেন তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ🌺

04/04/2025

Cow Fighting 🧐

যাকাত বন্টনের সঠিক খাতইসলামে যাকাত বণ্টনের খাত সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। যাকাতের মাধ্যমে দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত মান...
29/03/2025

যাকাত বন্টনের সঠিক খাত

ইসলামে যাকাত বণ্টনের খাত সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। যাকাতের মাধ্যমে দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত মানুষদের সহায়তা করা এবং সমাজে অর্থনৈতিক সমতা প্রতিষ্ঠা করা হয়। নিচে কুরআন ও হাদিসের আলোকে যাকাত বণ্টনের সঠিক খাতসমূহ উল্লেখ করা হলো

যাকাত বণ্টনের খাতসমূহ:
ফকির (অত্যন্ত দরিদ্র):
যারা সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত এবং মৌলিক চাহিদা পূরণে অক্ষম।

মিসকিন (দরিদ্র):
যারা কিছু সম্পদ রাখে কিন্তু তা তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট নয়।

যাকাত সংগ্রহকারীরা:
যারা যাকাত সংগ্রহ ও বিতরণের দায়িত্ব পালন করে।

নব মুসলিম:
যারা সদ্য ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং সহায়তার প্রয়োজন।

দাস মুক্তির জন্য:
যারা দাসত্ব থেকে মুক্তি পেতে সাহায্যের প্রয়োজন।

ঋণগ্রস্ত:
যারা বৈধ ঋণগ্রস্ত এবং ঋণ পরিশোধে অক্ষম।

আল্লাহর পথে সংগ্রামরত ব্যক্তিরা:
যারা আল্লাহর পথে (ফি সাবিলিল্লাহ) সংগ্রাম করে এবং সহায়তার প্রয়োজন।

মুসাফির (ভ্রমণকারী):
যারা ভ্রমণরত অবস্থায় সহায়তা প্রয়োজন এবং নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সামর্থ্য নেই।

কুরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি:
কুরআনের আদেশ -

إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللَّهِ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

উচ্চারণ:
ইন্নামা আস-সাদাকাতু লিলফুকারায়ি ওয়াল মাসাকিনি ওয়াল আমিলীনা আলাইহা ওয়াল মুআল্লাফাতি কুলুবুহুম ওয়া ফির রিকাবি ওয়াল গারিমিনা ওয়া ফি সাবিলিল্লাহি ওয়াবনি সাবিল, ফরিদাতাম মিনাল্লাহি। ওয়াল্লাহু আলীমুন হাকিম।
অর্থ:
সদকাসমূহ তো ফকির, মিসকিন, যাকাত আদায়ের কাজে নিযুক্ত, যাদের মন জয় করা প্রয়োজন, দাস মুক্তি, ঋণগ্রস্ত, আল্লাহর পথে এবং মুসাফিরদের জন্য নির্ধারিত। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি ফরজ বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
[সূরা আত-তাওবা, আয়াত ৬০]

হাদিসের প্রমাণ

قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَرَضَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ زَكَاةً تُؤْخَذُ مِنْ أَغْنِيَائِهِمْ وَتُرَدُّ عَلَى فُقَرَائِهِمْ

বাংলা উচ্চারণ:
কালা আন-নাবিয়্যু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম: ফারদাল্লাহু আলাইহিম যাকাতান তুউখাযু মিন আগনিয়াইহিম ওয়া তুরাদ্দু আলা ফুকারাইহিম।
অর্থ:
নবী (সা.) বলেন: আল্লাহ তাদের উপর যাকাত ফরজ করেছেন, যা তাদের ধনীদের থেকে গ্রহণ করা হবে এবং তাদের দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।"
[সহিহ বুখারি]

সারসংক্ষেপ:
যাকাত বণ্টনের জন্য নির্ধারিত খাতসমূহ হলো ফকির, মিসকিন, যাকাত সংগ্রহকারীরা, নব মুসলিম, দাস মুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্ত, আল্লাহর পথে সংগ্রামরত ব্যক্তিরা এবং মুসাফির। কুরআন ও হাদিসে যাকাতের প্রাপ্য ব্যক্তিদের সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। যাকাতের মাধ্যমে সমাজে অর্থনৈতিক সমতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

পরিবার বর্গের মধ্যে যাকাতযাকাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত, যা সমাজের দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত মানুষদের সাহায্য করার জন্য নির...
29/03/2025

পরিবার বর্গের মধ্যে যাকাত

যাকাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত, যা সমাজের দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত মানুষদের সাহায্য করার জন্য নির্ধারিত। যাকাত বিতরণের ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। নিম্নে পরিবার বর্গের মধ্যে যাকাত প্রদানের কিছু মূলনীতি ও শর্তাবলী আলোচনা করা হলো।

পিতা-মাতা ও সন্তান:
পিতা-মাতা তাদের সন্তানদের যাকাত দিতে পারবেন না এবং সন্তানরাও তাদের পিতা-মাতাকে যাকাত দিতে পারবে না। কারণ, তারা একে অপরের প্রতি সরাসরি দায়িত্বশীল এবং তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের দায়িত্ব রয়েছে।

যাদের মধ্যে যাকাত প্রদান করা যাবে:
ভাই-বোন
যাকাতের অর্থ ভাই-বোনকে প্রদান করা যাবে, যদি তারা যাকাতের প্রাপ্য হন এবং তাদের নিজস্ব সম্পদ নিসাব পরিমাণ না হয়।

আঙ্কেল, আণ্টি, চাচা-চাচি, মামা-মামি:
এই আত্মীয়দের মধ্যে যাকাত প্রদান করা যাবে, যদি তারা যাকাতের প্রাপ্য হন।

দাদা-দাদী, নানা-নানী:
দাদা-দাদী এবং নানা-নানীদের মধ্যে যাকাত প্রদান করা যাবে, যদি তারা যাকাতের প্রাপ্য হন।

إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللَّهِ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

উচ্চারণ:
ইন্নামা আস-সাদাকাতু লিলফুকারায়ি ওয়াল মাসাকিনি ওয়াল আমিলীনা আলাইহা ওয়াল মুআল্লাফাতি কুলুবুহুম ওয়া ফির রিকাবি ওয়াল গারিমিনা ওয়া ফি সাবিলিল্লাহি ওয়াবনি সাবিল, ফরিদাতাম মিনাল্লাহি। ওয়াল্লাহু আলীমুন হাকিম।
অর্থ:
সদকাসমূহ তো ফকির, মিসকিন, যাকাত আদায়ের কাজে নিযুক্ত, যাদের মন জয় করা প্রয়োজন, দাস মুক্তি, ঋণগ্রস্ত, আল্লাহর পথে এবং মুসাফিরদের জন্য নির্ধারিত। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি ফরজ বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
[সূরা আত-তাওবা, আয়াত ৬০]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: قَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، عِنْدِي دِينَارٌ، قَالَ: «تَصَدَّقْ بِهِ عَلَى نَفْسِكَ»، قَالَ: عِنْدِي دِينَارٌ آخَرُ، قَالَ: «تَصَدَّقْ بِهِ عَلَى زَوْجَتِكَ»، قَالَ: عِنْدِي دِينَارٌ آخَرُ، قَالَ: «تَصَدَّقْ بِهِ عَلَى وَلَدِكَ»، قَالَ: عِنْدِي دِينَارٌ آخَرُ، قَالَ: «تَصَدَّقْ بِهِ عَلَى خَادِمِكَ»، قَالَ: عِنْدِي دِينَارٌ آخَرُ، قَالَ: «أَنْتَ أَبْصَرُ

উচ্চারণ:
আন আবি হুরায়রাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু, আন্না আন-নাবিয়্যু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কালা: কালা রজুলুন: ইয়া রাসুলাল্লাহ, ইনদি দিনারুন, কালা: তাসাদ্দাক বিহি আলা নাফসিক, কালা: ইনদি দিনারুন আখার, কালা: তাসাদ্দাক বিহি আলা যাওজতিক, কালা: ইনদি দিনারুন আখার, কালা: তাসাদ্দাক বিহি আলা ওয়ালাদিক, কালা: ইনদি দিনারুন আখার, কালা: তাসাদ্দাক বিহি আলা খাদিমিক, কালা: ইনদি দিনারুন আখার, কালা: আনতা আবসার।
অর্থ:
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন: একজন লোক বলল, 'হে আল্লাহর রাসূল, আমার কাছে একটি দিনার আছে।' তিনি বললেন, 'এটা তোমার নিজের উপর ব্যয় করো।' সে বলল, 'আমার কাছে আরেকটি দিনার আছে।' তিনি বললেন, 'এটা তোমার স্ত্রীর উপর ব্যয় করো।' সে বলল, 'আমার কাছে আরেকটি দিনার আছে।' তিনি বললেন, 'এটা তোমার সন্তানের উপর ব্যয় করো।' সে বলল, 'আমার কাছে আরেকটি দিনার আছে।' তিনি বললেন, 'এটা তোমার খাদিমের উপর ব্যয় করো।' সে বলল, 'আমার কাছে আরেকটি দিনার আছে।' তিনি বললেন, 'তুমি ভালো জানো।
[সহিহ মুসলিম]

সারসংক্ষেপ:
যাকাত বণ্টনের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী, পিতা-মাতা এবং সন্তানের মধ্যে যাকাত প্রদান করা যায় না। তবে, ভাই-বোন, চাচা-চাচি, মামা-মামি, দাদা-দাদী এবং নানা-নানীদের মধ্যে যাকাত প্রদান করা যেতে পারে, যদি তারা যাকাতের প্রাপ্য হন। যাকাতের মাধ্যমে পরিবার এবং সমাজে অর্থনৈতিক সমতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হয়।

#জাকাত

অমুসলিমদের যাকাত দেওয়ার বিধানইসলামে যাকাত প্রধানত মুসলিম দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করার জন্য নির্ধারিত। যা...
29/03/2025

অমুসলিমদের যাকাত দেওয়ার বিধান

ইসলামে যাকাত প্রধানত মুসলিম দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করার জন্য নির্ধারিত। যাকাত প্রদান করার ক্ষেত্রে অমুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করা নিয়েও ইসলামী শরিয়তে কিছু বিধান ও নিয়ম রয়েছে।

অমুসলিমদের যাকাত দেওয়ার ক্ষেত্রে মূলনীতি, মুআল্লাফাতি কুলুবুহুম (যাদের মন জয় করা প্রয়োজন):
কুরআনের সূরা আত-তাওবার আয়াত ৬০-এ উল্লেখিত মুআল্লাফাতি কুলুবুহুম খাতের অধীনে অমুসলিমদের যাকাত দেওয়া যেতে পারে যদি তাদের ইসলাম গ্রহণের প্রতি আকৃষ্ট করা হয় বা ইসলামের প্রতি সদয় করা হয়।

إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللَّهِ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

উচ্চারণ:
ইন্নামা আস-সাদাকাতু লিলফুকারায়ি ওয়াল মাসাকিনি ওয়াল আমিলীনা আলাইহা ওয়াল মুআল্লাফাতি কুলুবুহুম ওয়া ফির রিকাবি ওয়াল গারিমিনা ওয়া ফি সাবিলিল্লাহি ওয়াবনি সাবিল, ফরিদাতাম মিনাল্লাহি। ওয়াল্লাহু আলীমুন হাকিম।"
অর্থ:
সদকাসমূহ তো ফকির, মিসকিন, যাকাত আদায়ের কাজে নিযুক্ত, যাদের মন জয় করা প্রয়োজন, দাস মুক্তি, ঋণগ্রস্ত, আল্লাহর পথে এবং মুসাফিরদের জন্য নির্ধারিত। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি ফরজ বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।"
[সূরা আত-তাওবা, আয়াত ৬০]

নবী (সা.)-এর জীবন থেকে উদাহরণ:
নবী মুহাম্মদ (সা.) বিভিন্ন সময়ে মুআল্লাফাতি কুলুবুহুম খাতের অধীনে অমুসলিমদের যাকাত প্রদান করেছেন যাতে তারা ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হন।

সারসংক্ষেপ:
যাকাত প্রধানত মুসলিম দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত হলেও, অমুসলিমদের যাকাত প্রদান করা যেতে পারে মুআল্লাফাতি কুলুবুহুম খাতের অধীনে, যদি তাদের ইসলাম গ্রহণের প্রতি আকৃষ্ট করা হয় বা ইসলামের প্রতি সদয় করা হয়। এই ক্ষেত্রে যাকাত প্রদান করার উদ্দেশ্য হলো তাদের মন জয় করা এবং ইসলামের প্রতি তাদের আগ্রহ ও ভালোবাসা বৃদ্ধি করা।

#জাকাত

Address

Sunamganj

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when নতুন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share