𝕁𝕒𝕊𝕚𝕄-786

25/07/2025

🇦🇺: Five thousand

🇧🇩: পাছাঝার

25/07/2025

আফিয়ার লা শ পাওয়া গিয়েছে CMH এ DNA টেস্ট এর মাধ্যমে গতকাল ৫ জনের ভিতরে তার লাশও শনাক্ত করা হয়।

কিন্তু দুঃখের বিষয় কি জানেন? ওই যে জানালার পাশে গ্রিল এর সাথে যে লেগে ছিলো? পুড়ে কয়লা হয়ে ওইটাই ছিলো আমাদের ছোট আফিয়া।

আল্লাহ এই ছোট্ট পরী টা কে এত কষ্ট করে নিলো। জান্নাতে নিশ্চয়ই ভালো থাকবে আমাদের পাখিটা।

মরিয়ম উম্মে আফিয়া
ক্লাস - ৩
বিভাগ - আকাশ (স্কাই)

24/07/2025

23/07/2025

লা*শ লুকানোর গল্পের সাথে আমি কোনভাবেই একমত নই। এত সোজা না..
২০০ লা*শ লুকানো মানে হচ্ছে ২০০ মা এবং ২০০ বাবা কে পাগল করে দেওয়া।
৪০০ টা প্যারেন্ট পাগল হওয়া মানে বুঝেন?? যারা প্যারেন্ট হয়েছেন তারা ভালো বুঝবেন।

তাও এরা দিনমজুর, রিকশাওয়ালা, খেটে খাওয়া শ্রমিক টাইপ নিরুপায় মানুষ না।

নিজের বাচ্চাকে মাইলস্টোনে পড়াতে পারে এমন মানুষ।

তার টাকা আছে, পরিচিতি আছে, লিংক আছে, পজিশন আছে, প্রচুর আত্মীয় এবং বন্ধুবান্ধব আছে, দেশ বিদেশে আত্মীয় আছে যোগাযোগ আছে।

লা*শ না পেলে প্রতিজনের তরফ থেকে অন্তত ১০টা ফ্রেন্ড এন্ড ফ্যামিলি নিখোজ সংবাদ পোস্ট দিতো। ফেসবুকে-ই আপনি ৪০০০ নিখোজ সংবাদ ভেসে বেড়াতে দেখতেন।

মিডিয়া এই ৪০০ প্যরেন্ট কে খুজে খুজে আরো ৪০০০ রিপোর্ট বানাতো।

শক্তি খাটিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প কে থামানো যেতে পারে, কিন্তু কোন মা বাবা কে থামানো যায় না। ইমপসিবল। ভয়ংকর রকম অসম্ভব!!!

আমার সন্তান যদি আমি ২ দিন খুজে না পাই আমি তো এতক্ষনে ইউনুস সাহেবের অফিসের সামনে গিয়া চিৎকার শুরু করতাম।

কেউ যদি আমাকে ১ কোটি টাকা দিয়ে বলে "তোমার ছেলে কে ভুলে যাও। কথা বেশী বললে গু*লি করে দিবো.."

আমি তো হাতের কাছে যা থাকতো সেটা নিয়ে ঐ শালার উপর ঝাপায় পড়তাম। এরপর গু*লি টুলি যা করার করুক গা..

সুতরাং ৪০০ প্যারেন্ট কে চুপ রাখা কোনভাবেই সম্ভব না। এটা আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের হিসেব।

পলিটিকাল চিন্তা করলেও বুঝা যায় যে এখন তো কোন নির্বাচিত সরকার নেই। এখন ইন্টেরিম গভমেন্ট।
নিজের ইমেজ ভালো রেখে পরের নির্বচনে আবার ক্ষমতায় আসার মত কিছু এদের নাই। এনারা আগামি বছরেই বিদায়। এরপর আর কেউ তাদের চিনবে না ওনাদের ও কাউকে চেনা লাগবে না।

সো এই গেইম খেলার ই কোন দরকার তাদের নেই।

আর ঐ যে ক্যামেরার সামনে যারা বলতেসে শত শত লাশ দেখসি,
এই ব্যাপারটা আমি আমার জীবনে বহু দেখছি।
ঐ সময়ে সাধারন মানুষ ১০ টা ডেডবডি দেখলেও মানসিক উত্তেজনায় ফীল করবে ১০০ টা দেখেছি। যারা সাংবাদিকতা করেন তারা অনেকেই জানেন এটাকে Flashbulb Memory Distortion বলা হয়।

সুতরাং ২০০-৩০০ -৪০০ বাচ্চার উপর প্লেন টা পড়েছে বলে গত ২ দিন যে একটা ভয়ংকর সীমাহীন শিউরে ওঠা আতংকে ছিলাম,
সেটা আমার আপাতত কেটে গিয়েছে।

যদিও তারপরেও স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলার মত কিছু নেই।

৫০ টা বাচ্চা ও যদি মা*রা গিয়ে থাকে এই স্মৃতি আমাদের কমপক্ষে আগামি ৫ বছর কাঁদানোর জন্য যথেষ্ট।

বেঁচে ফেরা আরো ৫০ টা বাচ্চা সারাজীবন বিকৃত চেহারা/হাত/ পা নিয়ে ঘুরে বেড়াবে এটাও একটা বড় সত্য।

আর মাহেরিন চৌধুরীর মত শিক্ষিকা কে আমরা হারিয়েছি, যিনি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে গিয়েছেন, এ যুগের শিক্ষকদের নিয়ে আমরা যত যাই বলি, ছাত্র-ছাত্রী রা তাদের কাছে সন্তানসম ই হয়।

::

22/07/2025

22/07/2025

যারা ২ লিটার পানি ৬০০ টা'কায় বিক্রি করছে এরা কোন মানুষের জন্ম হতে পারে না, আরে ভাই হিংস্র জানোয়ারেরা ও বিপদের সময় দয়া দেখায়, বিবেক দেখায়, তোরা কোন পশুর জন্ম সেটা আমাদের জানা নেই। দোয়া করি তারা ও যেনো নিজেরা ম**'রার সময় পানি না পায়।

22/07/2025

দূর্ঘটনাস্থলে তখনও এম্বুলেন্স পৌঁছাতে পারেনি। তাই আশেপাশের মানুষজন পুড়ে যাওয়া বাচ্চাদের কোলে নিয়েই দৌড়াচ্ছিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যে।

মেট্রো স্টেশন থেকে সবচেয়ে কাছের হাসপাতাল মন্সুর আলী মেডিকেল কলেজের রেগুলার ভাড়া ৩০-৪০ টাকা। কিন্তু রিকশাওয়ালারা চাচ্ছিল ১২০ টাকা, ১৫০ টাকা।

মাইলস্টোন থেকে কাছাকাছি মর্ডান হাসপাতালে রেগুলার ভাড়া ২৫০-৩০০ টাকা, অথচ সিএনজিওয়ালারা চাচ্ছে ১০০০ টাকা, ১২০০ টাকা।

একজন লোক পুড়ে যাওয়া একটা বাচ্চাকে নিয়ে অনেকক্ষণ যাবত ঘুরছিল কিন্তু একটা রিকশাওয়ালা, সিএনজিওয়ালাও রেগুলার ভাড়ায় যেতে চাচ্ছিল না। তাদেরকে বেশি ভাড়াই দিতে হবে।

এমনকি একটা প্রাইভেট কার পর্যন্ত থামেনি পুড়ে যাওয়া মাসুম বাচ্চাগুলোকে নিয়ে যাওয়ার জন্যে। এইদিকে বাচ্চাগুলোর পুরো শরীর পোড়া,শরীরের মাংস গলে গলে পড়ার মতো অবস্থা।

বাচ্চাগুলো তখন পোড়া শরীর নিয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছিল, গোঙাচ্ছিল শুধু।

এদেশের মানুষগুলো এমন কেন.? বিপদ দেখলেই ওরা সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দেয়। এদেশের মানুষগুলো সভ্য হবে কবে.?

20/07/2025

সারাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ থমথমে একটা হরতাল পালিত হলো- একটা পিঁপড়া ও বাহিরে বের হওয়ার সাহস পায় নি।

19/07/2025

এই সিড়িতে তার গুলিবিদ্ধ দেহ পড়েছিল আধ ঘন্টার ও বেশি সময়। হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার বলেছিল " গুলি লাগার সাথে সাথে নিয়ে আসলে চেষ্টা করতাম। এখন তো দেরি হয়ে গেল ,অনেক রক্ত ঝরে গেছে"
ডাক্তার ওর জন্য অনেক আফসোস করেছিলো।স্কুল ড্রেস পড়া ছেলেটা , ক্রিসেন্ট হাসপাতালের ডাক্তারদের খুব মায়া হচ্ছিলো ওর জন্য। ইস একটু যদি নিয়ে আসতো।

উত্তরা পূর্ব থানার বিপরীত দিকে এবি টাওয়ার সামনে এসে পুলিশ কাছ থেকে গুলি করে ,সবাই ছড়িয়ে গেলে তার দেহ পরে থাকে অনেক্ষন। পুলিশের মায়া হয়নাই, উল্টো আরো কাউকে বের হতে দিচ্ছিলো না যারা সিড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলো।

১৮ জুলাই উত্তরার প্রথম পাচজন শহীদের একজন শেখ ফাহমিন জাফর।

'স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে গিয়ে আমার মৃত্যু হলে খুনি হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত তোমরা আমার লাশ ঘরে আনবে না।'
আমি গেলাম" এই কথা বলে বের হয়েছিলো ফাহমিন জাফর।

জুলাই বিপ্লবের শহীদ টঙ্গি সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফাহমিন জাফরের

©️ From -JRA