07/06/2025
আপনি যদি নিজেকে "মাছে ভাতে বাঙালি" বলে গর্ব করতে পারেন, তাহলে কোরবানির বিরোধিতা করার নৈতিক অবস্থান আর থাকে না।
গবেষণায় দেখা গেছে, মাছও ব্যথা অনুভব করে এবং মৃত্যুর সময় কষ্ট পায় (গবেষণার রেফারেন্স দেখুন কমেন্টে)। মাছের ধীরে ধীরে মারা যাওয়াটা একটা যন্ত্রণাদায়ক প্রক্রিয়া।
আপনি যদি মাছ খেতে পারেন, তাহলে কোরবানিকে নিষ্ঠুর বলার অধিকার কোথায়? বরং সঠিক নিয়মে কোরবানি করার সময় পশু এর থেকে আরও কম সময় ব্যথা অনুভব করে, নরমালি গড়ে ২০ সেকেন্ড।
ধরে নিচ্ছি, আপনি নিরামিষভোজী। প্রতি বছর শাকসবজি উৎপাদনের জন্য কোটি কোটি পোকামাকড় ও ইঁদুর মারা যায়। কীটনাশক, ইঁদুর মারার ফাঁদ এসব প্রাণঘাতী উপায়ে জমি রক্ষা করা হয়। যদি প্রাণীপ্রেম থাকেই, তবে সেটা শুধু গরু-ছাগলের জন্য কেন, পোকামাকড় বা ইঁদুরের জন্য নয় কেন?
মূলত, অন্য কোনো প্রাণীর ক্ষতি না করে মানুষের বেঁচে থাকা সম্ভব না। আমরা কেবল এই খাদ্যশৃঙ্খলের একটি অংশ মাত্র। জীবন মানেই অন্য প্রাণীর ওপর নির্ভরশীলতা।
আর কোরবানির সময়ই তো বহু দরিদ্র পরিবার মাংস খাওয়ার সুযোগ পায়। সারা বছর যে মানুষ মাংস কিনতে পারে না, কোরবানির মাধ্যমে তার ঘরেও তা পৌঁছে যায়। এছাড়া গোটা কোরবানির অর্থনীতি, যেমন গরু পালন, চিকিৎসা, পরিবহন, কসাই, চামড়াশিল্প, সবই হাজারো মানুষের জীবিকা।
সুতরাং প্রশ্ন হলো...
আপনি কি সত্যিই প্রাণীর কষ্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন, নাকি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুশীলনকে নিশানা করাই আপনার মূল উদ্দেশ্য?
আমি আপনাদের প্রাণীপ্রেমকে শ্রদ্ধা করি। তবে আক্রমণাত্মক বক্তব্যের জবাবে কিছু প্রশ্ন তুলতেই হলো।
প্রতি বছর কোরবানির সময় এলেই কিছু পশুপ্রেমী খুব সরব হয়ে ওঠেন। এবছর আমাকে এই সমালোচনার মুখে আরও বেশি পড়তে হচ্ছে, কারণ আমি কোরবানির জন্য একটি ভিডিও বানিয়েছি।