সম্ভাবনাময় অথচ পশ্চাৎপদ এ উপজেলা ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। মুসলিম,হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীস্টান ছাড়াও হাজং, গারো, মনিপুরি, ত্রিপুরা সহ কয়েকটি উপজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন সৌহাদ্য ও সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে। উপজেলাটি নৈসর্গিক অপরূপ সৌন্দর্যে মুখরিত। বিশ্বম্ভরবপুর উপজেলা পটভূমি
সম্ভাবনাময় অথচ পশ্চাৎপদ হাওড়-বাওরে ভরপুর বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের (খাসিয়া/জৈন্তা অংশ) পাদদেশে অবস্থ
িত যা নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি অপরূপ সৌন্দর্যে ও পাখীর কলরবে মুখরিত। উত্তাংশে উচু ভূমি আর দক্ষিনাংশে হাওড় এই উপজেলাকে দিয়েছে এক বৈচিত্রময় সৌন্দর্য। মুসলিম,হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীস্টান ছাড়াও হাজং, গারো, মনিপুরি, ত্রিপুরা সহ কয়েকটি উপজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন পাহাড়ের পাদদেশে সৌহাদ্য ও সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে। বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলার সংযোগস্থলে যাদুকাটা নদীর তীরে প্রতি বছর চৈত্র মাসে বসে বারুনী মেলা ও শাহ্ আরেফিন ফকিরের আসত্মানায় আসে অসংখ্যভক্ত; লক্ষ হিন্দু- মুসলিমের পদধূলিতে মুখরিত হয়ে উঠে এ অঞ্চল।
বাংলাদেশের ৩০ টি কৃষি অঞ্চলের মধ্যে এই উপজেলা ২১ ও ২২ কৃষি পরিবেশ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত এবং মাটি অত্যন্ত অম্ল। ধান এ উপজেলার প্রধান ফসল হলেও চিনাবাদাম, শাকসবজি, আলু গম, মিষ্টি আলু ইত্যাদি ফসলও আবাদ হয়ে থাকে। এছাড়া উদ্যান ফসল যেমন- লেবু, কমলালেবু, লিচু, আনারসসহ নানাবিধ অপ্রচলিত ফল এবং মশলাজাতীয় ফসল যেমন- আদা, হলুদ, গোল মরিচ, দারুচিনি, তেজপাতাসহ মহামূল্যবান আগর চাষের রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। এ অঞ্চলের প্রধান প্রধান সম্পদ হচ্ছে- ধান,সবজি, মাছ, পাথর আর বালু।
কৃষি নির্ভর শিল্প কারখানা স্থাপনের অফুরমত্ম সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও যথোপযুক্ত উদ্যোগের অভাবে তা গড়ে উঠেনি। সামাজিক ও ব্যক্তি উদ্যোগে যথেষ্ট আত্ম কর্মসংস্থানমূলক কর্মকান্ড গ্রহণ না করায় এখানকার অনেক লোককেই বেকার বা অলস সময় কাটাতে হয়।
এখানকার উল্লে¬খযোগ্য সংখ্যক ভূমির মালিক প্রবাসী জীবন যাপন বা অন্য পেশায় নিয়োজিত বলে বর্গা চাষীদের ওপর কৃষি কাজে নির্ভরশীলতা বেশি যা আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণের অন্তরায়। উপজেলার হাওর-বাওর দক্ষিণাংশে আর উত্তরাংশে উচু ভূমি বেশিরভাগ এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর তুলনামূলকভাবে নিচে ও শক্ত পাথরযুক্ত, তাই সেচ ব্যবস্থা অপ্রতুল। বর্ষা মৌসুমে অথৈ পানি থাকলেও খরা মৌসুমে সেচের পানির অভাবে বিপুল পরিমাণ জমি অনাবাদী থাকে। সেচ কার্যক্রমের মাধ্যমে যা চাষের আওতায় আনা যেতে পারে ।
ইউনিয়ন সমূহ
উত্তরে- ভারতের মেঘালয় প্রদেশ, দক্ষিনে- সুনাগঞ্জ সদর ও জামালগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে ভারতের মেঘালয় ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা, পশ্চিমে- জামালগঞ্জ ও তাহিরপুর উপজেলা অবস্থিত।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাটি পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে আছেন একজন চেয়ারম্যান ৯ জন সাধারণ সদস্য ও ৩ জন সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নের জনবল কাঠামোতে আছেন একজন ইউনিয়ন পরিষদ সচিব, একজন দফাদার ও নয়জন মহল্লাদার।
১নং সলুকাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ।
২নং ধনপুর ইউনিয়ন পরিষদ
৩নং পলাশ ইউনিয়ন পরিষদ
৪নং ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ
৫নং বাদাঘাট (দঃ) ইউনিয়ন পরিষদ
ভাষা ও সংস্কৃতি
আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক-ভৌগোলিক বহুবিধ অনুষঙ্গের কারণে অঞ্চলবেধে সংস্কৃতি ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা রুপপরিগ্রহ করে। তাই একটি দেশের সামগ্রিক লোকসংস্কৃতি এবং একটি বিশেষ অঞ্চলেরলোকসংস্কৃতিতেও অনেক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। বহু ভাঙ্গা-গড়া, চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজকের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদ পূর্নতা পেয়েছে। এ অঞ্চলের লোক সংস্কৃতির প্রতি একটুঘনিষ্ট হলে সহজেই অনুমান করা যায় যে, এ অঞ্চলের একটি সমৃদ্ধ লোক সংস্কৃতিরপরিমন্ডল রয়েছে। লোক সংস্কৃতির একটি প্রধানতম শাখা লোকসাহিত্য।
দর্শনীয় স্থান
১ খরচার হাওর
সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সুনামগঞ্জ জেলা হতে সুরমা নদী পার হয়ে লেগুনা অথবা মোটর সাইকেলে খরচার হাওয়র নামক স্থানে আসা যায়।
২ পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ সুইজারল্যান্ড খ্যাত সুনামগঞ্জের চ্যাংবিল, পাহাড় বিলাস
সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় যেভাবে যাবেন. সুনামগঞ্জ সুরমা সেতু থেকে বিশ্বম্ভপুর সড়কে দিয়ে যাবেন চালবন্দ পয়েন্টে যাবার আগে ডানদিকে বাঘবেড় সড়ক আছে সেদিক দিয়ে ডুকবেন যে কাউকে জিজ্ঞেস করবেন মথুরকান্দি বাজারে যাবো।মথুরকান্দি বাজারের পাশেই চেংবিল অবস্থিত। বিকেলের দিকে গেলেই ভালো পরিবেশটা ভালো লাগবে।
বাইকে অথবা সিএনজি অথবা কারও নিতে পারেন।
৩ বোয়াল চত্বর
সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সুনামগঞ্জ আব্দুর জহুর ব্রীজ হতে পলাশ বাজার হয়ে কারেন্টের বাজারে্ই দৃষ্টি নন্দন বোয়াল চত্বর। সিএনজি, মটর সাইকেলসহ যেই কোন যানবাহন দিয়ে আসতে পারবেন।
৪ হাওর বিলাস
সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সুনামগঞ্জ আব্দুর জহুর ব্রীজ হতে পলাশ বাজার ও কারেন্টের বাজার রাস্তা দিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে আসবেন। উপজেলা পরিষদের সামনেই করচার হাওরে অবস্থিত হাওর বিলাস। সিএনজি, মটর সাইকেলসহ যেই কোন যানবাহন দিয়ে আসতে পারবেন।