04/05/2025
ㅡরাগ সবার আছে,থাকবে আর এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার, কিন্তু কেউ অহেতুক রাগ করেনা কারণবশতই এমনটা হয়।ㅡ
কেউ হয়তো অধিকারের নিশ্চয়তা নিয়ে তার আত্মার অংশে জড়ানো কারো সাথে রাগ করে। আবার হয়তো কেউ অহেতুক রাগ করে বসে,তবে এমন স্বভাবের মানুষ খুবই কম। রাগ কখনো জীবনের সাথে নিজের ইচ্ছা অনিচ্ছার প্রাধান্য না পাওয়াতে অধিক অংশে রাগ আসে।
ㅡআপনি যতই অধিকারের জায়গা নিশ্চিত করে,ㅡহোক তার আচরণেই রাগ করেন কিন্তু আপনি স্বাভাবিক হয়ে তার প্রতি যতই অনুতপ্তের সুর শুনান তার কানে সেটা পৌঁছাবেনা।সে বুঝার চেষ্টা করবেনা আপনি যে রাগে বেকুব সেজে এমনটা করেছেন সে আর প্রাধান্য দিবেনা।
ㅡকিন্তু আমরা রাগের মাথায় অনেক কিছু করে বসি কিংবা বলে ফেলি আসলে তখনকার মূহুর্তের করা কিছু বা কথাগুলো কি সত্যিই আমাদের মনের কথা?
ㅡসেই মুহূর্তে আমরা অনেক সময় দেখা যায় এমন কিছু মুখ দিয়ে আসে স্বাভাবিক হলে তখন ভাবনা চিন্তায় আসে কেন আমি রাগ করলাম?কেন তাকে এতো কথা শুনালাম?কেন তাকে যন্ত্রণা দিলাম?
ㅡতখন আর এই ভাবনার উত্তর থাকেনা অযৌক্তিক কিছুর মতো রূপ নেই।
ㅡএই রাগের মাথায় আমরা সারাজীবন আগলে রেখে মায়া পেলেপুষে রাখা মানুষটাকেও কথা বলতে দ্বিধায় বাধি না! নিজের একান্ত বলতে কেউ থাকলে তাকেও মন ভেঙে দেওয়ার মতো কথা বলি।
ㅡবনঘরে বন পুড়ে যাওয়ার মতো আমরা আমাদের প্রিয় মানুষকে ক্ষত বিক্ষত করে দেই সেই রাগে।
ㅡরাগের কারণ বুঝা উচিত, নিয়ন্ত্রণ রাখার মতো অবস্থানে নিজেকে আবদ্ধ রাখা।শুধু রাগের ক্ষেত্রেই না যেকোনো কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ অতিক্রম হলে আমাদের উপর জারি হয় বিপথগামী সংকেত,আর এটা সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন সবারই জানা।
রাগের মাথায় এটা ভাবা উচিত যে আমি তাকে রাগ করে আসলেই কিছু বলব নাকি, এই রাগের মাথায় মুখ ফসকে আসছে?
রাগের কারণে এমন কিছু করা উচিত না যেটা আমাদের জন্য আমাবস্যার ঘোর হয়ে দাঁড়ায়।
ㅡগোলাম মাওলা