20/10/2024
কেয়ামত বলতে আমরা কি বুঝি? পৃথিবীর শেষ। এখন যে আজ মারা যাবে, তার জন্য আজই তো পৃথিবীর শেষ, তাই না? আমার ভালো কাজ করার ক্ষমতা শেষ হয়ে যাবে। এরপর পৃথিবী কবে শেষ হবে, তা তো আর আমার ক্ষেত্রে ম্যাটার করে না।
অনেকে আবার বয়স হয়ে যাওয়ার জন্য বসে থাকি। বয়স হলে ভালো কাজ করব। যারা কম বয়সে মারা যায়, তাদের জন্য তো পৃথিবীর শেষ খুব দ্রুতই আসে। তারা আর সুযোগ পাবে?
পৃথিবী একটা দেনা পাওনার যায়গা। এই দেনা পাওনা দিয়ে শেষ বিচারের দিন অনেক কিছুই নির্নয় হবে। তো আমরা কারো থেকে টাকা নেওয়ার পর দিতে না পারলে নিজেকে খুব চালাক ভাবি। যার থেকে টাকা নিয়েছি, তাকে বোকা ভাবি। বোকা বানাতে পারলে কি যে খুশি হই।
আমি বিষয়টা অন্য ভাবে চিন্তা করার চেষ্টা করছি। দেনাদার হিসেবে মৃত্যুবরণ করা থেকে পাওনাদার হিসেবে মৃত্যুবরণ করা উত্তম। যে দিন আমার সব হিসেব বন্ধ হয়ে যাবে, সে দিন এই পাওনা গুলো দিয়ে কিছু সওয়াব পেতে পারি। হয়তো মাত্র এক টাকা কারো থেকে পেতাম, তা দিয়েই ফুলসিরাত পার হতে পারব। আবার হয়তো কারো কাছে এক টাকা দেনা রেখে মারা গেলাম। এই একটাকার জন্যই ফুলসিরাতে আটকে গেলাম। পৃথিবীর সময় গুলো কারো টাকা মেরে খেলেও কেটে যাবে। আবার কারো থেকে পাওনা থাকলে তা না পেলেও কেটে যাবে। কাটবে না আখেরাত। তা অনন্ত কালের জন্য।
আজ মারা গেলে যে সম্পদ আমরা রেখে যাবো, তা নিয়ে ভাগাভাগি হবে। কিন্তু আমি যদি কোন দেনা রেখে যাই, তার খোঁজ কেউ নিবে না। তা শোধ করার চেষ্টা করবে না। এই সিম্পল জিনিস আমরা বুঝি না। আমরা অন্যের উপর জুলুম করে যাদের খাওয়াই, তারা আখেরাতে একটুও কাজে আসবে না। উল্টো সব দোষ নিজের গাড়ে ছাপিয়ে দিবে।
এখানে ইবাদত অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেকে চিন্তা করি ইবাদত করলে লাভ কি। এই ইবাদতই মূলত মানুষকে মন্দ কাজ থেকে দূরে রাখে। সরল পথে চলতে সাহায্য করে। এটা আল্লাহর কথাঃ
‘(হে রাসুল!) আপনার প্রতি যে কিতাব ওহি (নাজিল) করা হয়েছে; তা থেকে তেলাওয়াত করুন আর নামাজ প্রতিষ্ঠা করুন। নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীল ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। আর আল্লাহর স্মরণই তো সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন যা তোমরা কর।’ (সুরা আনকাবুত : আয়াত ৪৫)
তো আমরা যদি মন্দ দিকে যাই, অন্যের হক দিতে চেষ্টা করি না, বুঝতে হবে আমাদের ইবাদতে কোন ভুল হচ্ছে। শুধরে নেওয়ার সময় এসেছে। কথা গুলো আমার জন্যও, রিমাইন্ডার হিসেবে লিখলাম।
Cpy_by_jakirhussain