15/08/2024
ছবির এই নারীর নাম ডা: মৌমিতা দেবনাথ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের RG Kar Medical College এর ৩০ বছর বয়সী একজন চিকিৎসক।
টানা ৩৬ ঘন্টার অক্লান্ত ডিউটি শেষে মৌমিতা সেমিনার রুমে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। ঠিক এ সময় তার কলিগ মেয়ে বন্ধুর সাহায্যে তাকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। নির্মম সেই মৃত্যুকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চালিয়ে দিতে চাইল আত্মহত্যা বলে।
মৌমিতার সারা দেহে পৈশাচিক, বর্বর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দীর্ঘক্ষণ হাত দিয়ে গলা চেপে ধরায় তার দু চোখ বেয়ে রক্ত বেরিয়ে এসেছিলো। পুরো দেহে পাওয়া গিয়েছে ১১৩ টি মানুষের কামড়ের দাগ, যে কামড় মানুষরুপী হিংস্র শকুনিরা তাদের পৈশাচিক আনন্দে উপভোগ করেছিলো।
১৫০ গ্রাম সিমেন (বীর্য) পাওয়া যায় মৌমিতার দেহে, প্রাপ্ত ফ্লুইডের পরিমান অনুযায়ী ধারণা করা হয় কমপক্ষে ১৮-২০ জন কাপুরুষ তাকে গণধর্ষণ করে।
এমন পৈশাচিক গণধর্ষণকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিলো মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, কর্তৃপক্ষের এই অন্যায়ের প্রতিবাদ যারা করতে গিয়েছেন তাদেরকেও ক্ষমতার জোরে শাসিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
জাস্ট একবার ভাবুন, কতটা সময় ধরে মেয়েটার গলায় চেপে ধরার কারনে তার চোখের মনি ভেদ করে রক্ত বেরিয়ে আসে!!
একটাবার ভাবুন, কতটা পরিমানের অমানুষ হলে নিজে মেয়ে হয়ে অন্য মেয়ের হাত চেপে ধরে ১৮-২০ জনকে দিয়ে নিজের মেয়ে কলিগকে ধর্ষণ করাতে পারে!!
ভাবা যায়- কতটা হিংস্র ও জানোয়ার হলে একটা মেয়ের শরীরে ১১৩ টা কামড় বসাতে পারে?
ভারতে গণধর্ষণের ঘটনা অহরহই ঘটে, কিন্তু মৌমিতার এই ঘটনা সকল বিভৎসতাকে হার মানিয়েছে। পৃথিবীতে একই সময়ে একজন নারীর উপর এমন বিভৎস নির্যাতন অন্য কোথাও হয়েছে বলে আমার জানা নেই।
মৌমিতার বিভৎসতার পক্ষে যারা সাফাই গাইছে বা গাইবে তারা প্রত্যেকেই সাক্ষাৎ রক্তচোষা ডাইনি।যারা এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিয়ে যেতে চাইবে তারা শুধু ভারতেই নয় সমগ্র পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর।
মৌমিতা আমার আত্মীয় কিংবা পরিচিত কেহ নয়, কিন্তু আজ থেকে আমি মৌমিতার ভাই। মৌমিতা আমার বোন। আমি আমার বোনের উপর জুলুম ও নির্যাতনের কঠিন বিচার চাই। যারা আমার বোনকে হত্যা করেছে তাদের প্রত্যেকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
#মৌমিতা
WE DEMAND JUSTICE FOR MOUMITA DEVNATH!!