
12/07/2025
এই বিএনপি দিয়ে আমরা কী করবো?
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, মিলফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। সরকারও নড়াচড়া বসেছে, কিছু একটা করতে হবে!!
আফসোস, শুধু হত্যাকাণ্ডের পর তাহাদের চেত্ জাগ্রত হয়। ৫ই আগস্টের পর থেকে এদেশের কোটি কোটি পরিবার ওদের চাঁদাবাজি, লুণ্ঠন, নির্যাতন, সন্ত্রাসের শিকার। বাংলাদেশের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায়, রাস্তা-ঘাটে হাট-বাজারে, বাস স্ট্যান্ড-টেম্পু স্ট্যান্ডে, এমনকি সবজির ভ্যানওয়ালাকে চাঁদা দিতে হয় যা স্বাধীনতার পর এদেশে নজিরবিহীন। চাঁদা না দেয়ায় অসংখ্য নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে কিন্তু সরকার কিছুই করেনি। সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে শ্লোগান ধরেছে,
নৌকা আর ধানের শীষ,
দুই সাপের এক বিষ।
কিন্তু টনক নড়েনি কারো। এখন পৈশাচিকতা সীমা অতিক্রম করেছে, জাতি ফুঁসে উঠেছে তাই তাহারাও জেগে উঠেছে। তারপরও যদি আসল অপরাধীদের ধরতে পারতো...ধরেছে ছেলা-পোলাকে। আসল চাঁদাবাজরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। কারণ তাদের রিমান্ডে নিলে রথি-মহারথিরাও ফেসে যেতে পারেন...ভাগ তো সবাই পান!!
৫ই আগস্টের পর দেশের একটা বড় রাজনৈতিক দল এখন সন্ত্রাসী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। জনাব তারেক রহমান গত ১০ মাসে ৫ হাজারের বেশি সন্ত্রাসীকে তার দল থেকে বহিষ্কার করেছেন। কিন্তু বহিষ্কৃতরা থামেনি; স্থানীয় নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তারা আরো শক্তিশালী হয়েছে। ফলে বিএনপি নিজেদের সন্ত্রাসীদের থামাতে ব্যর্থ হয়েছে। একটা রাজনৈতিক দলকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে আখ্যা দিয়ে তাকে নিষিদ্ধ করার জন্য আর কিছু লাগে না, গত ১০ মাসের আমলনামাই যথেষ্ট। এখন প্রশ্ন হলো, এর দায় কার? শুধুই কি বিএনপি'র? না, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সরকারের দায়িত্ব। সরকারের উচিত ছিল অন্তত তারেক রহমান যে কয়জনকে বহিষ্কার করেছে তাদেরকে গ্রেফতার করে দীর্ঘ মেয়াদে শাস্তির ব্যবস্থা করা যাতে অন্যায় মাথাচাড়া দিয়ে না উঠে। জনাব তারেক রহমান ভদ্রলোক, চেষ্টা করছেন সুস্থ রাজনীতি করতে, কিন্তু ব্যর্থ হচ্ছেন স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সরকারের অসহযোগিতার কারণে। এহেন পরিস্থিতিতে সভ্য দেশ হলে নিদেনপক্ষে এই উপদেষ্টা পরিষদ পদত্যাগ করতো, নতুবা বিএনপি'র চেয়ারপার্সন পদত্যাগ করতো।
মজার ব্যাপার হলো, ফ্যাসিস্ট হাছিনার আমলেও দেশবাসী এভাবে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, হত্যা, লুণ্ঠন দেখেনি। তখন ৯৯৯ অনেক বেশি সচল ছিল, মানুষ অন্যায় করতে ভয় পেত, পুলিশকে সমীহ করতো। আর এখন থানা ঘেরাও করে সন্ত্রাসীকে ছাড়িয়ে আনে বিএনপি'র লোকজন।
এখন দেশবাসির উচিত রাজপথ দখল করা, শুধু মিলফোর্ডের অপরাধীদের নয়, সমগ্র দেশের চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের বিচার নিশ্চিত করা। এ দাবী জোড়ালো করা- হয় বিএনপি তওবা করে সুস্থ ধারার রাজনীতি করবে, না হয় তাদেরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হব। অন্যতায়, আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য বাংলাদেশ উপহার দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।
বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ, হ্যাঁ।