Netman MJI

Netman MJI This is an entertaining and informative page for all ages. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing.

Fair Use Disclaimer
This page may use some copyrighted materials without specific authorisation of the owners but contents used here falls under the "Fair Use" copyright disclaimer under section 107 of the copyright act 1976. Allowance is made for fair use for purposes such as criticism, comment, news reporting, scholarship and research. Nonprofit, educational or personal use tips the balance in favour of fair use.

31/03/2025
আসিফের কৃতকর্মের ব্যাখ্যা।আমি ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম আসিফ কেন এভাবে ইমামের পাশে দাঁড়িয়েছিল [কারণ এটা করে তো সমালোচকদের হা...
31/03/2025

আসিফের কৃতকর্মের ব্যাখ্যা।

আমি ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম আসিফ কেন এভাবে ইমামের পাশে দাঁড়িয়েছিল [কারণ এটা করে তো সমালোচকদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হলো। তারা দিনভর এটা চর্চা করছে এবং ছাত্রজনতার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।] অবশেষে আসিফের এহেন কর্মের ব্যাখ্যা আমি পেয়েছি,
আসিফ শুরুতে অন্য মুসুল্লিদের সঙ্গে প্রথম কাতারেই দাঁড়িয়েছিলেন, ইমামের পাশে নয়। নামাজ শুরুর ঠিক আগে আগে ইমাম সাহেব নামাজের জন্য সবাইকে দাঁড়াতে আহ্বান করলে বিকল্প ইমাম মূল ইমামের ডান পাশে এক স্টেপ পেছনে দাঁড়ান। মাইকে প্রথম কাতার থেকে যে কোনো একজনকে ইমামের বাম পাশে এক স্টেপ পেছনে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়৷ তখন কয়েকজনের পরামর্শে আসিফ সামনে এসে দাঁড়ান।

পুরো ভিডিও দেখে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে যে আসিফ শুরুতেই ইমামের পাশে এসে দাঁড়াননি। ইমামের আহ্বানে এবং অন্যদের পরামর্শে এসে দাঁড়ান।

কিন্তু আমি সন্তুষ্ট হইনি, কারণ তৃতীয় বিশ্বের রক্ষণশীল রাষ্ট্রে রাজনীতির মাঠে অনেক তুচ্ছ বিষয় মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। আসিফদের আরো সতর্ক থাকতে হবে।

বঙ্গদেশে ঈদ উদ্‌যাপনের সাতকাহন।[সুলতানী আমল থেকে বর্তমান]বাংলাদেশ তথা বঙ্গীয় জনপদে ঈদ উদযাপন হয়ে আসছে আবহমান কাল থেকেই...
30/03/2025

বঙ্গদেশে ঈদ উদ্‌যাপনের সাতকাহন।
[সুলতানী আমল থেকে বর্তমান]

বাংলাদেশ তথা বঙ্গীয় জনপদে ঈদ উদযাপন হয়ে আসছে আবহমান কাল থেকেই। হাজার বছর আগেও এই জনপদে মুসলমানদের বসবাসের প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার খিলজির বাংলা বিজয়ের পর ঈদ উদযাপনে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়। এর আগে স্থানীয় পর্যায়ে পারিবারিক আবহে ছিল এই উদযাপন। কিন্তু রাষ্ট্র ক্ষমতা মুসলিমদের হাতে চলে আসার পর থেকে উন্মুক্ত প্রান্তরে ঈদের সালাত আদায়ের জন্য দলে দলে মুসলিমগণ সমবেত হতে শুরু করেন যা তাঁদের ঈদের সালাতের মূল স্পিরিট।

সম্প্রতি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঘোষণা দিয়েছেন, সুলতানি আমলের ঐতিহ্যকে ধারণ করে এবারের ঈদ নতুনভাবে উদযাপিত হবে। শুধু ব্যক্তি কিংবা পরিবার কেন্দ্রিক ঈদ আনন্দ না হয়ে এবারের ঈদ যেন কাটে সমবেতভাবে। জামাত শেষে ঈদকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা উল্লেখ করেন তিনি। আরো উল্লেখ করেন, সময় স্বল্পতার কারণে এবার সারা দেশে একযোগে এই ঈদ আনন্দ র‌্যালি, মেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব না হলেও আগামীতে সারা দেশে একযোগে এমন ঈদ আনন্দ উদ্‌যাপন করা হবে।

এখন প্রশ্ন হলো, কেমন ছিল সুলতানী আমলের ঈদ উদযাপন? এ বিষয়ে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে,
১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গদেশ মুসলিম অধিকারে এলেও নামাজ, রোজা ও ঈদ উদ্‌যাপনের প্রচলন হয় তার বেশ আগে থেকেই। তবে ঘটা করে ঈদ পালনের রীতি শুরু হয় স্বাধীন সুলতানি আমলে। ধারণা করা হয়, সেই আমলেই প্রথম ঢাকা শহরে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন শুরু হয়। তখন কৃষিনির্ভর গ্রামবাংলায় বসবাসকারী মুসলমানরা যার যার সাধ্য অনুযায়ী ঈদের আনন্দে মেতে উঠত। ইবাদত, খাওয়া-দাওয়া ও আনন্দ-উৎসব সবই ছিল তাতে। মজার ব্যাপার হলো, তাদের এই আয়োজনে ভিন্ন ধর্মের লোকজনও শামিল হতো। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আনন্দ ভাগাভাগি হতো। তবে তখনকার সময়ে সাধারণ মানুষের ঈদ আয়োজন এত ব্যয়বহুল ছিল না।

ঐতিহাসিকদের মতে, পরবর্তী সময়ে বঙ্গদেশে ঈদ উদযাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে মোগলরা। মোগলদের সময় ঈদ উদযাপনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল ঈদ মিছিল। রাজধানীতে ঈদের দিন মোগল সম্রাটরা নামাজ পড়তে যেতেন মিছিল করে। মোগলাই জৌলুস প্রকাশিত হতো সেই ঈদ মিছিলে। সেই ধারাবাহিকতায় বলা যেতে পারে, মোগলরা আসার আগে এই অঞ্চলে, মানে পূর্ববঙ্গে ঈদ ‘উৎসব’ হয়ে ওঠেনি। মোগল রাজধানী আগ্রা থেকে এত দূরে উৎসব করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে চাইতেন না মোগলরা। ১৬১০ সালের পর থেকে আগ্রার অনুকরণে এখানকার ঈদ উদযাপনটা হয়ে ওঠে জাঁকজমকপূর্ণ।

মোগলদের ঈদ উদযাপন হতো দু-তিনদিন ধরে। চলত সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন। আত্নীয়-স্বজন, পরিবার-পরিজন নিয়ে একরকম মেলাই বসে যেতো। তখনকার ঈদ উদযাপনের চিত্র পাওয়া যায় সেই সময়কার সুবাদার ইসলাম খাঁ চিশতির সেনাপতি মির্জা নাথানের বর্ণনা থেকে, তিনি উল্লেখ করেন, সন্ধ্যায় যখন মোমবাতির আলোয় আলোকিত হতো মোগল আমলের ঢাকা শহর, তখনও শেষ রোজার সন্ধ্যাকাশে উঠতো ঈদের চাঁদ। শিবিরে বেজে উঠতো শাহী তূর্য (রণশিঙ্গা) এবং গোলন্দাজ বাহিনী গুলির মতো একের পর এক ছুঁড়তে থাকতো আতশবাজি। সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলতো এই আতশবাজির খেলা। শেষরাতের দিকে বড় কামান দাগা হতো।

মোগল সাম্রাজ্যের পতনের সাথে সাথে ঢাকায় ঈদ উদযাপনের জৌলুস হারিয়ে যেতে থাকে। ঢাকার উপর মূল ধাক্কা এসে লাগে ১৭৬৫ সালে। সে বছর মোগল সম্রাটের কাছ থেকে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার রাজস্ব সংগ্রহের ভার পায় ইংরেজরা। ঢাকার নায়েব-নাযিমরা পরিণত হন ক্ষমতাহীন শাসকে। পড়তি ঢাকার জৌলুস ধরার চেষ্টা করা হতো ঈদ ও মহরমের মিছিলের মাধ্যমে। এই মিছিলগুলোর প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন ঢাকার নায়েব-নাযিমরা। বলে রাখা ভালো, শিয়া মতাবলম্বী হওয়ায় নায়েব-নাযিমরা ঈদের পাশাপাশি মহরমেরও মিছিল বের করতেন।

এ সময় ঈদের মিছিলগুলো নায়েব-নাযিমদের নিমতলী প্রাসাদ (বর্তমানে নিমতলী এলাকা), চকবাজার, হোসনি দালান প্রভৃতি স্থাপনার সামনে দিয়ে যেতো। মিছিলে থাকতো সজ্জিত হাতি, ঘোড়া, পালকি, অস্ত্র হাতে সৈন্যদল। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের কারো কারো হাতে থাকতো রং-বেরংয়ের ছাতা অথবা বাদ্যযন্ত্র। নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য হাতির পিঠে সওয়ার হয়ে নায়েব-নাযিমরা থাকতেন একেবারে সামনের দিকে। সাধারণ দর্শকের পাশাপাশি ঢাকার অভিজাত শ্রেণির লোকজনসহ থাকতেন ঢাকায় অবস্থানকারী ইউরোপীয়রাও।

তবে ধীরে ধীরে ইংরেজদের দুঃশাসনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে এই অঞ্চলের মানুষের আর্থিক সক্ষমতা কমতে থাকে, ঈদও হারাতে থাকে তার চিরায়ত জৌলুস। এরপর ৪৭-এ দেশ স্বাধীন হলেও শিকড়ের কাছাকাছি আর যাওয়া হয়নি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে। পরবর্তীতে ৭১-এ যদিও দেশ স্বাধীন হয় কিন্তু মুসলমানরা হারায় তাঁদের বীরত্ব গাঁথা ইতিহাস। রাষ্ট্র এবং সংস্কৃতি নিয়ন্ত্রিত হতে থাকে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী কর্তৃত্বের চাওয়া অনুযায়ী। মুসলমানদের কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে গল্প-উপন্যাস, নাটক-সিনেমায় পিছিয়ে পড়া সংস্কৃতি হিসেবে উপস্থাপন করা হতে থাকে।

উল্লেখ্য, মুজিব-জিয়া-এরশাদ কেউই ভারতীয় এই শৃঙ্খল থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি। এমনকি হাল আমলে খালেদা-হাছিনা সরকারও গা ভাসিয়ে ছিল এই শৃঙ্খলে। আর ২০১৪ সালের পর হাছিনা সরকার তো মুসলিম সংস্কৃতির বারোটা বাজানোর জন্য সমস্ত আয়োজন করেছিল। এমনকি পাঠ্যপুস্তক পর্যন্ত ভারতীয় প্রেসক্রাইবশন অনুযায়ী ভারত থেকেই ছাপানো শুরু হয়েছিল। এদেশের গণমানুষের স্বাধীনতা কার্যত জিম্মি হয়ে পড়েছিল ভারতীয় আগ্রাসনের কাছে। এর ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছিল, ৭১ কি সত্যি আমাদের মুক্তি দিয়েছে নাকি ৪৭-এর মতই ব্যর্থ একটা স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি?

তবে আশার কথা হলো, ধ্বংস প্রাপ্ত এই জনপদেই গজিয়ে উঠেছে নতুন আশার প্রদীপ-
একটা টগবগে প্রজন্ম যারা জেনারেশন জি নামে পরিচিত, তাঁরা ভাঙ্গতে চাচ্ছে শত শত বছর ধরে চেপে বসা অনাচার আর অপসংস্কৃতি বেড়ি। তাঁরা ডাক দিয়েছে স্বাধীন জাতি হিসেবে নিজেদের আত্মপরিচয় অনুসন্ধানের। এর একটা রাজনৈতিক গুরুত্ব অবশ্যই আছে। এটা আমাদেরকে মুক্তি দেবে সমস্ত সাংস্কৃতিক হ্যাজিমনি থেকে এবং তরান্বিত করবে এক দূর্বার জাতি হিসেবে নিজেদের আত্মপ্রকাশের।

তাই আসুন আমরাও তাঁদের পাশে দাঁড়াই। মুসলিম সংস্কৃতির জাগরণে আমরাও গর্বিত অংশি হই। তবে কোন অবস্থাতেই ইসলামীক ভাবগাম্ভীর্য ক্ষুন্ন হয় এমন পদক্ষেপ নেয়া যাবে না।

©️

27/03/2025

সংসারী মানুষের জন্য সংগৃহীত।

১। সাদা মোজা ধোয়ার জন্য গুড়া সাবানের সঙ্গে ১ চা চামচ সাদা সিরকা মিশিয়ে নিন। এতে মোজা যেমন সাদা হবে তেমনি মোলায়েম থাকবে।

২। ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার সময় ওয়াশিং পাউডারের সঙ্গে ১ চামচ বরিক পাউডার মিশিয়ে দিন। এতে ধোয়ার পর কাপড় সব একসঙ্গে জট পাকাবে না।

৩। সাদা কাপড় থেকে হালকা কোন দাগ তোলার জন্য কাপড় ধোয়ার পর ২টি পাতি লেবুর রস আধা বালতি পানিতে মিশিয়ে ভিজা কাপড় ডুবিয়ে দিন। ১০ মিনিট পর তুলে না নিংড়ে মেলে দিন।

৪। বলপেনের দাগ কাপড় থেকে তুলতে চাইলে কাচা মরিচের রস ঘষে ঘষে দাগের ওপর লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। তারপর গুঁড়া সাবান দিয়ে কাপড় ধুয়ে নিন। দাগ চলে যাবে।

৫। তেল চিটচিটে তাক বা কাঠের র‍্যাক পরিষ্কার করা জন্য ১ কাপ পানিতে ১ চা চামচ সরিষার তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মসলিনের কাপড় দিয়ে ঘষে ঘষে মুছে নিন। তাকগুলো চমৎকার হয়ে উঠবে।

৬। ওয়াশ বেসিন বা সিল্ক বেসিন পরিষ্কার করার জন্য খানিকটা ফ্ল্যাট সোডা যেমন কোক-পেপসি ইত্যাদি ঢেলে দিন। ৫ মিনিট পর মুছুন। দেখুন কেমন নতুনের মত চকচকে হয়ে উঠেছে।

৭। হাঁড়ি-পাতিল থেকে পোড়া ও কালো দাগ তোলার জন্য সিরিষ কাগজে গুঁড়া সাবান লাগিয়ে ঘষুন। তারপর ধুয়ে নিন। পোড়া দাগ চলে যাবে।

৮। পুরোনো হাঁড়ি থেকে তেল কালির দাগ তোলার জন্য চা পাতা বা কফি দিয়ে ঘষুন। দেখবেন দাগ চলে যাবে।

৯। মশা, মাছি ও পিপড়ার উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘর মোছার পানিতে সামান্য ডিজেল মিশিয়ে নিন। উপদ্রব বন্ধ হয়ে যাবে।

১০। ঘরের মেঝে বা যেকোন মোজাইক পরিষ্কার করার জন্য পানিতে কেরোসিন মিশিয়ে নিন ও এই পানি দিয়ে ঘর মুছে নিন। এতে মেঝে চকচক করবে।

১১। রান্নাঘরের কেবিনেট বা কাউন্টার যদি মার্বেল পাথরের হয় তাহলে পরিষ্কার করার জন্য খাবার সোডা পানিতে গুলে রাতে লাগিয়ে রাখুন। সকালে পানিতে সাদা সিরকা মিশিয়ে কাপড় দিয়ে মুছে নিন। সব দাগ চলে যাবে।

১২। রান্নাঘর থেকে পোড়া বা যেকোন গন্ধ দূর করতে চাইলে একটি পাত্রে কিছুটা সিরকা চুলায় চাপান। শুকান অবধি জ্বাল করুন।

১৩। বারান্দা বা জানালার গ্রিল পরিষ্কার করার জন্য প্রথমে শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর আধা কাপ কেরোসিন তেলের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ তুলোয় দিয়ে লাগিয়ে নিন। এতে গ্রিলে ময়লা বা জং লাগবে না।

১৪। বাসনকোসনে কোন কিছুর কষ লাগলে টক দই বা দুধের সর দিয়ে ঘষে ধুয়ে নিলে দাগ দূর হয়ে যাবে।

১৫। চিনেমাটির পাত্রে দাগ পড়লে লবণ পানি দিয়ে সহজেই পরিষ্কার করা যায়।

১৬। নারকেল ভাংগার পূর্বে কিছু সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখলে নারকেলটি সমান দু'ভাগে ভেঙে যাবে।

১৭। সেদ্ধ ডিমের খোসা তাড়াতাড়ি এবং ভাল ভাবে ছাড়াতে চাইলে ফ্রিজের ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।

১৮। পাটালী গুড় শক্ত রাখতে চাইলে গুড়টি মুড়ির মাঝে রাখুন।

১৯। আদা টাটকা রাখার জন্য বালির মাঝে রেখে দিন।

২০। ঘি-এ সামান্য লবণ মিশিয়ে রাখলে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।

২১। বিস্কুট টাটকা এবং মচমচে রাখার জন্য কৌটার মাঝে এক চামুচ চিনি অথবা ব্লটিং পেপার রেখে দিন।

২২। অপরিপক্ক লেবু থেকে রস পাওয়ার জন্য ১৫মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।

২৩। রান্না তাড়াতাড়ি করার জন্য মসলার সাথে ক'ফোটা লেবুর রস মিসিয়ে দিন, দেখবেন সবজি তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।

২৪। সবজির রঙ ঠিক রাখতে ঢাকনা দিয়ে জ্বাল না দেয়াই ভালো। আর কিছু সবজি আছে যেগুলো সামান্য সেদ্ধ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেও রান্নার পরও রঙ ঠিক থাকে।

২৫। কড়াইতে গরম তেলে কিছু ভাজার সময়, যা দেবেন তার সঙ্গে সামান্য লবন দিল। তাহলে আর তেল ছিটবেনা।

২৬। খেজুরের গুড় দিয়ে পায়েস করতে গিয়ে অনেক সময় দুধটা ফেটে যায়। দুধ ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে তারপর গুড় মেশাবেন। ভালো করে নেড়ে আবার কিছুটা ফুটিয়ে নেবেন, দুধ ফাটবে না।

২৭। চিনেবাদাম ও কাজুবাদাম তেলে ভেজে পরে রান্নায় ব্যবহার করুন। খাবারের স্বাদ বাড়বে।

২৮। সেমাই বা মিষ্টিজাতীয় খাবারে অনেকে বাদাম ব্যবহার করেন। বাদামে যদি তেল মেখে পরে তাওয়ায় ভাজেন তাহলে তেল কম লাগবে। নয়তো শুকনো ভাজতে গেলে তেল বেশি লাগবে।

২৯। ওল, কচু অথবা কচুশাক রান্না করলে তাতে কিছুটা তেঁতুলের রস বা লেবুর রস দিয়ে দিন। তাহলে খাওয়ার সময় গলা চুলকানোর ভয় থাকবে না।

৩০। কেক বানাতে যদি ডিমের পরিমাণ কম হয়, তার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কর্নফ্লাওয়ার।

৩১। অনেক সময়ই তাড়াতাড়ি স্যুপ রান্না করতে গিয়ে তা পাতলা হয়ে যায়। তখন দুটো আলু সেদ্ধ করে স্যুপে মিশিয়ে ফোটালে স্যুপ ঘন হবে।

৩২। আলু ও ডিম একসঙ্গে সেদ্ধ করুন। দুটো দুই কাজে ব্যবহার করলেও সেদ্ধ তাড়াতাড়ি হবে।

23/03/2025

মজুদদারী-আরতদারী হারাম হওয়া প্রসঙ্গে।

১। আরতদারী হারামঃ
আমাদের দেশে আরতদাররা গ্রাম থেকে আসা লোকদের মালামাল বিক্রি করে দেয় এবং লভ্যাংশ থেকে একটা হারে কমিশন নেয়। তারা এমন একটা ব্যবস্থা চালু করে রেখেছে যে, গ্রামের কোন উৎপাদক বা ছোট ব্যবসায়ী শহরে এসে সরাসরি ভোক্তা বা খুচরা বিক্রেতার কাছে মাল বিক্রি করতে পারেন না। আরতদার নামক এই শ্রেণীর লোকদের মাধ্যমে মাল বিক্রি করতে হবে। মাঝে বসে অনেকটা জিম্মি করে তারা অনৈতিক সুবিধা নেয় যা শরীয়ার দৃষ্টিতে হারাম।

হাদীসে এসেছে,
আনাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, 'আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন, যেন কোন শহুরে লোক কোন গ্রাম্য লোকের পণ্য বিক্রয় না করে; যদিও সে তার সহোদর ভাই হয়।'
-(বুখারী ২১৬১, মুসলিম ৩৯০৪)।

২। মজুদদারী হারামঃ
মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় হালাল খাদ্যসামগ্রী গুদামজাত করে কিংবা মজুতের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ানো বা দাম বাড়ার অপেক্ষায় থাকাকে ইসলামের পরিভাষায় ‘ইহতিকার’ বা মজুতদারি বলা হয়। রাসুল সাঃ মজুদদার ব্যক্তিকে নিকৃষ্ট ব্যক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

হাদীসে এসেছে,
'মজুদদার খুবই নিকৃষ্টতম ব্যক্তি। কারণ, যদি জিনিসপত্রের দাম হ্রাস পায় তাহলে তারা চিন্তিত হয়ে পড়ে, আর যদি মূল্য বেড়ে যায় তাহলে তারা আনন্দিত হয়।’
-মিশকাত।

অতএব, আমাদের দেশে হাজার বছর ধরে গড়ে ওঠা নিকৃষ্ট বাজার ব্যবস্থা ভেঙ্গে দিতে হবে। একজন প্রান্তিক কৃষক বা তার প্রতিনিধি যেন শহরের বাজারে এসে সরাসরি মাল বিক্রি করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ইসলাম তাই বলে। পশ্চিমা বিশ্বে এটা আছে, আর আছে বলেই সেখানে একজন কৃষকেরও ব্যক্তিগত গাড়ি থাকে।

জুলাই বিপ্লবীদের আসন্ন সংকট।[পর্ব-২]প্রথম পর্বে বলেছিলাম ভারতের প্রত্যেক্য মদদে প্রথম আলো-ডেইলী স্টার কিভাবে জুলাই বিপ্ল...
21/03/2025

জুলাই বিপ্লবীদের আসন্ন সংকট।
[পর্ব-২]

প্রথম পর্বে বলেছিলাম ভারতের প্রত্যেক্য মদদে প্রথম আলো-ডেইলী স্টার কিভাবে জুলাই বিপ্লবীদের ফাঁদে ফেলে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করছে এবং আওয়ামী লীগের পূণর্বাসনের পরিবেশ তৈরি করছে। ইতোমধ্যে বিপ্লবীদের একাংশ তাদের ফাঁদে পড়ে তাদের শেখানো বুলি আওড়িয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি করছে। এদিকে সোশাল মিডিয়া জুড়ে চলছে বিপ্লবী নেতা ও অংশীজনদের চরিত্র হনন। কারণ প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে টার্গেটকে নৈতিকভাবে দেওলিয়া করে দেয়া ভারত এবং তার এজেন্টদের প্রধানতম অস্ত্র। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন ব্যক্তিবর্গ বা উদীয়মান ব্যক্তিবর্গ বা তাদের টার্গেটের ব্যক্তিগত জীবনের দূর্বলতা প্রকাশ করা, নারী-সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির প্লট সাজানো, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ইত্যাদি বিষয় ছড়িয়ে নৈতিকভাবে তাদেরকে দূর্বল করে দেয়া হচ্ছে। জুলাই বিপ্লবীদের প্রতি মানুষের আস্থা হারানোর অন্যতম কারণ কিন্তু এটাই যা শুরু হয়েছিল বন্যার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দিয়েই। এছাড়া অত সম্প্রতি এনসিপি'র বিভিন্ন কার্যক্রমে অর্থের উৎস কী এই বিতর্ক করে তাদের উপর জনগণের মনকে বিষিয়ে তুলেছে।

কথিত জঙ্গি ইস্যুতে নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখিয়ে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ইমেজ নষ্ট করা হচ্ছে ভারতের আরেকটি অস্ত্র। তাদের বয়ানে সবসময়ই বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের হটস্পট বানিয়ে দেখানোর চেষ্টা করে। বাংলাদেশে কাল্পনিক ISI, তালেবান তারা খুঁজে পায়। সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়েও তারা বয়ান তৈরি করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ইমেজ নষ্ট করেছে। আরেকটি গ্রুপ চেষ্টা করছে কিভাবে আইনশৃঙ্খলা অবনতি করে দেশকে অস্তির করে তোলা যায়।

এদিকে বিপ্লবীদের অপর একটি অংশ জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য লড়ছে। তাঁদের উপর খড়্গ হচ্ছে দেশের শক্তিশালী এজেন্সি সহ আরো অনেক অথরিটি। ফলে শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য ছাড়া এই মুহূর্তে তাদের টিকে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, বর্তমানে বিপ্লবের স্টেকহোল্ডাররা যার যার স্বার্থ নিয়ে বিভক্ত। এক্ষেত্রে তারা নিজেদের মধ্যে দূরত্ব গোছিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ৫ই আগস্টের ন্যায় ইস্পাত কঠিন ঐক্য নিয়ে এগিয়ে না আসলে জাতিকে ভয়ঙ্কর পরিণতি ভোগ করতে হবে।

-এটাই আমার পর্যবেক্ষণ।

©️ Preserved

ভারতের ফাঁদ থেকে বাঁচার উপায়।[এই লেখাটি কয়েকটি পর্বে ভাগ হবে; রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে ব্যক্তি পর্যায় পর্যন্ত]পর্ব-১। ...
20/03/2025

ভারতের ফাঁদ থেকে বাঁচার উপায়।

[এই লেখাটি কয়েকটি পর্বে ভাগ হবে; রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে ব্যক্তি পর্যায় পর্যন্ত]

পর্ব-১। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ঃ
প্রভাবশালী কন্টেন্ট ক্রিয়েটর Elias Hossain এবং Pinaki Bhattacharya - পিনাকী ভট্টাচার্য আমাদের কাছে তাঁদের দেশপ্রেম এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষণের জন্য সমাদৃত। তাঁরা এটা বুঝতে সক্ষম হয়েছেন যে, বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে ভারতকে অবশ্যই ঠেকাতে হবে। তাই তাঁরা দেশকে ভারতীয় প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য লড়াই করছেন। এমনিতেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রচন্ড দ্রোহ তাঁদেরকে সবসময় ক্ষমতাসীনদের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে দেয়। ক্ষমতাসীনদের সাথে লড়তে গিয়ে তাঁরাও অনেক সময় খেয়ালে বা বেখেয়ালে ভারতের ফাঁদে পা দিচ্ছেন; তাঁদের বিক্ষুব্ধ বয়ান অনেক সময় ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহায়তা করে। তাই ভারতের ফাঁদ থেকে বাংলাদেশকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে রক্ষা করতে হলে আমাদেরকে আরো কৌশলী হতে হবে।

এবার দেখা যাক ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কী কী অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে। কারণ সেগুলো সচেতনভাবে মোকাবেলা করতে পারলেই তাদেরকে ঠেকানো সহজ হয়ে যাবে।

১। চরিত্রহননঃ
টার্গেটকে নৈতিকভাবে দেওলিয়া করে দেয়া ভারতের প্রধানতম অস্ত্র। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন ব্যক্তিবর্গ বা উদীয়মান ব্যক্তিবর্গ বা তাদের টার্গেটের চরিত্রহনন করা, ব্যক্তিগত জীবনের দূর্বলতা প্রকাশ করা, নারী-সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির প্লট সাজানো, অবৈধ সম্পদ অর্জন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে টার্গেটের ইমেজ নষ্ট করা বা নৈতিকভাবে তাকে দূর্বল করে দেয়া ভারতের বহু পুরনো অস্ত্র। এ কাজটা তারা ভালোই করছে তাদের অনুগত মিডিয়া ব্যবহার করে।
এই ফাঁদে পা দিয়েছেন আমাদের Elias Hossain এবং Pinaki Bhattacharya । তাঁরা প্রতিনিয়তই এ কাজটা করছেন বর্তমান ক্ষমতাসীন উপদেষ্টা ও অন্যান্য ক্ষমতাসীন ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে। তাঁরা অবশ্য এটা করছেন সংশোধনের উদ্দেশ্যে যদিও এর ফলে বর্তমান সরকার দ্রুত জনসমর্থন হারাচ্ছে।

২) অর্থনৈতিক চাপঃ
বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে দেওলিয়া করার প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর মাধ্যমে এদেশের অর্থনৈতিক ভিতকে নড়বড়ে করে দেয়া ভারতের বহুল ব্যবহৃত অস্ত্র। সেটা করতে গিয়ে তারা গার্মেন্টস খাতের উপর আঘাত করে যাতে পশ্চিমারা সহজেই বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এছাড়া তারা অর্থপাচার ও দুর্নীতির রেকর্ড ফাঁস করে যাতে বৈদেশিক বিনিয়োগ কমে যায়, জনগণ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে, আস্থা হারিয়ে ফেলে। জুলাই বিপ্লবীদের প্রতি মানুষের আস্থা হারানোর অন্যতম কারণ কিন্তু এটাই যা শুরু হয়েছিল বন্যার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দিয়েই। এছাড়া বিপ্লবের পর বহু দিন গার্মেন্টসে অস্থিরতা ছিল।

৩) কথিত জঙ্গি ইস্যুঃ
কথিত জঙ্গি ইস্যুতে নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখিয়ে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ইমেজ নষ্ট করা ভারতের আরেকটি অস্ত্র। তাদের বয়ানে সবসময়ই বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের হটস্পট বানিয়ে দেখানোর চেষ্টা করে। বাংলাদেশে কাল্পনিক ISI, তালেবান তারা খুঁজে পায়। অতি সম্প্রতি মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলশি গ্যাবার্ডের বক্তব্য কিন্তু এটাই প্রমাণ করে।

৪) সংখ্যালঘু ইস্যুঃ
সংখ্যালঘু ইস্যুটি ভারতের কাছে সবসময় একটা ট্রাম কার্ড। তারা সবসময় এদেশের ক্ষমতাসীনদের কাবু করে ফেলে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বয়ান তৈরি করে। তারা সুক্ষ্মভাবে ষড়যন্ত্র করে পরিস্থিতি তৈরি করে এবং তা আন্তর্জাতিকভাবে প্রচার করে। মনে আছে বিপ্লবের পর পর মন্দির আক্রমনের নাটক, ইস্কনের সেই চিন্ময় দাসের কথা?

-চলবে

©️ Preserved

রোজা-অটোফেজি-নোবেল পুরস্কারজাপানি আনবিক জীববিজ্ঞানী  #ইয়োশিনোরি_ওসুমি ২০১৬ সালে  #অটোফেজি-এর কার্যকারীতা রহস্য উন্মোচনে...
19/03/2025

রোজা-অটোফেজি-নোবেল পুরস্কার

জাপানি আনবিক জীববিজ্ঞানী #ইয়োশিনোরি_ওসুমি ২০১৬ সালে #অটোফেজি-এর কার্যকারীতা রহস্য উন্মোচনে অসামান্য অবদান রাখার জন্য #চিকিৎসাশাস্ত্রে_নোবেল_পুরস্কার লাভ করেন। সোজাসুজি বললে তিনি #রোজা বা #সিয়াম নিয়ে গবেষণা করে পুরষ্কারটা ভাগিয়ে নিয়েছেন। মজার ব্যাপার হলো, ইয়োশিরোনি ওসুমির নোবেল পুরস্কার লাভের পর পৃথিবী জুড়ে অটোফেজি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয় এবং আধুনিক মানুষেরা ব্যাপকভাবে রোজা রাখতে শুরু করে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সচেতন নারী ও পুরুষ ব্যস্ত হয়ে পড়ে এর সুফল লাভের আশায়। বাংলাদেশে চিকিৎসা সেবার লক্ষ্যে এর ব্যাপক ব্যবহার করে সাফল্য লাভ করেন #ডাঃ_জাহাঙ্গির_কবির ।

অটোফেজি একটি গ্রিক শব্দ; Auto অর্থ আত্ম, এবং Phagy অর্থ ভক্ষণ অর্থাৎ আত্মভক্ষণ। শরীরের কোষগুলো যখন বাহির থেকে কোনো খাবার না পেয়ে নিজেই নিজের কোষে সঞ্চিত চর্বি/শক্তি খেতে/ব্যবহার শুরু করে তখন মেডিক্যাল সাইন্সের ভাষায় তাকে অটোফেজি বলা হয়।

আমরা যখন নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে থাকি তখন শরীরের কোষগুলোতে অতিরিক্ত চর্বি/শক্তি জমতে থাকে। প্রতিনিয়ত খাদ্য গ্রহণের ফলে কোষগুলো নিজের মধ্যে জমে থাকা চর্বি/শক্তি ব্যবহার করতে পারে না। কিন্তু শরীরের কোষগুলো যদি নিয়মিত তাদের নিজেদের পরিষ্কার করতে না পারে তাহলে তাদের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়, একসময় তারা নিষ্ক্রিয় হয়ে শরীরে বিভিন্ন প্রকারের রোগের উৎপন্ন করে। #ক্যান্সার বা #ডায়াবেটিসের মত অনেক বড় বড় রোগের শুরু হয় এখান থেকেই।

আমরা যখন অটোফেজি করি বা রোজা রাখি তখন আমাদের পেট খালি থাকে। শরীরের কোষগুলো বাইরে থেকে কোন খাদ্য বা শক্তি পায় না। তখন তাদের নিজেদের ভিতরের চর্বি/শক্তি ব্যবহার করতে হয় এবং কোষগুলোকে নিজেরাই নিজেদের পরিষ্কার করতে শুরু করে। কোষের এ রহস্য উন্মোচন করার জন্যই বিজ্ঞানী ইয়োশিনোরি ওসুমিকে নোবেল পুরস্কারটা দেয়া হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, পরবর্তীতে যখন ঐ বিজ্ঞানী রোজা সম্পর্কে জানতে পারলেন তখন তাঁর বিষ্ময়ের সীমা থাকল না। তিনি অধিকতর গবেষণা করেন এবং ইসলামের আরো কিছু বিধিবিধান জানার ও বুঝার চেষ্টা করেন। তিনি এ উপলব্ধি করতে সক্ষম হন যে, ইসলামই হতে পারে একমাত্র সত্য ধর্ম এবং তিনি #বৌদ্ধধর্ম ছেড়ে #ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন।

-আমাদের পরম সৌভাগ্য যে আমাদের মহান রব রোজার মত একটা অতি আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক ইবাদতকে আমাদের জন্য অবশ্য আবশ্যক করেছেন, #সুবহানআল্লাহ!!

জুলাই বিপ্লবীদের আসন্ন সংকট।[পর্ব-১]জুলাই বিপ্লবের সবচেয়ে বড় দুইটি শক্তি হলো- ছাত্রশিবির এবং ছাত্রদল। ছাত্রশিবির বিপ্ল...
19/03/2025

জুলাই বিপ্লবীদের আসন্ন সংকট।
[পর্ব-১]

জুলাই বিপ্লবের সবচেয়ে বড় দুইটি শক্তি হলো- ছাত্রশিবির এবং ছাত্রদল। ছাত্রশিবির বিপ্লবের শুরু থেকে প্রতিটা বাঁকে নিউক্লিয়াসের মত শক্তি জুগিয়েছে, পথ নির্দেশনা দিয়েছে। ছাত্রদল মাঝামাঝি পর্যায় থেকে আন্দোলনকারীদের সাথে মিশে গিয়ে সাহসীকতার সাথে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছে। এই দুই শক্তি না থাকলে ছাত্রশক্তির মতো একটা শিশু সংগঠনের নেতারা এতো বড় আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে পারতো না।

রাজনৈতিকভাবে ছাত্রশিবির এবং ছাত্রদল প্রকাশ্য নেতৃত্বে আসলে ফ্যাসিবাদ হাছিনা তাদের অকাতরে হত্যা করতো, গুম করতো। তাই তারা গোপনে ছাত্রশক্তির নেতাদের সাথে সাধারণ ছাত্র হিসেবে মিশে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং আন্দোলনকে সফল করে ঘরে ফিরেছেন।
মনে রাখতে হবে, এই দুই শক্তির মুরব্বি সংগঠন জামায়াত-বিএনপি'র তুমুল জনপ্রিয়তার জন্যই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একটা হিজরা কিংবা হিরো আলমের মতো লোকজনও ভোটে দাড়ালে জিতে যেতো। এই হিজরা কিংবা হিরো আলমরা কিন্তু নিজের যোগ্যতা বলে জিততো না, বরং জামায়াত-বিএনপি'র অদৃশ্য সমর্থনের জোরে জিততো যেমনটা হয়েছে জুলাই বিপ্লবীদের ক্ষেত্রেও।

বিপ্লব পরবর্তী সময়ে ছাত্রদল ফিরে গেছে নিজেদের প্যাভিলিয়নে কিন্তু ছাত্রশিবির ছায়া হয়ে বিপ্লবীদের অদৃশ্য সমর্থন জুগিয়েছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। তাই বিপ্লবের নেতৃবৃন্দ বা সমন্বয়কগণ টের পাননি মাঠের রাজনীতির মাইর। তারা অপার আনন্দ নিয়ে দেশব্যাপী ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং বিভিন্ন পদ-পদবী উপভোগ করছেন। এভাবে চলতে থাকলে সহসাই তারা সংগঠিত শক্তি হিসেবে সুদৃঢ় অবস্থানে যেতে পারতো। কিন্তু তাদের কেউ কেউ ভারতীয় এজেন্ট ও প্রথম আলো-ডেইলী স্টারের ফাঁদে পড়ে কিছু ভুল করছেন যার জন্য ঐক্য বিনষ্ট হচ্ছে [এই একি ফাঁদে বিএনপি নেতৃবৃন্দও পা দিয়েছেন এবং অচিরেই তারা এর জন্য আফসোস করবে]।

প্রথম আলো-ডেইলী স্টার ও তাদের বাপ, ভারত ঠিকই বুঝতে পেরেছে এই বিপ্লবীদের আসল শক্তি কোথায়। ফলে তারা এখানে ফাটল ধরানোর জন্য সুকৌশলে আমাদের শিশু উপদেষ্টা মাহফুজ ও আসিফকে ব্যবহার করছে। তারা দু'জন ওদের ফাঁদে পড়ে এমন কিছু ভুল করছে যার জন্য বিপ্লবীদের সর্বশেষ শক্তিটাও হয়তো মুখ ফিরিয়ে নিবে। ফলশ্রুতিতে বিপ্লবী নেতৃবৃন্দ ও সমন্বয়কদের সমূহ সংকট আসন্ন।

বলে রাখি, বিপ্লবী নেতৃবৃন্দ এভাবে ঐক্য বিনষ্ট করতে থাকলে অচিরেই আওয়ামী লীগ তাদের অবৈধ টাকার জোরে এবং ভারতের সমর্থনে পূণর্বাসীত হবে, আবার ফিরে আসবে সেই অন্ধকার যুগ। বিপ্লবীদের মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ এখনো যতোটা শক্তিশালী তাতে এই বিপ্লবী সমন্বয়ক এবং তাদের পরিবার-পরিজনদের ঘোষণা দিয়ে ৩ দিনের মধ্যে মাটিতে মিশিয়ে দিতে পারবে।

ছাত্রশিবির-ছাত্রদল কৌশলগত কারণে এখনো বিপ্লবীদের রক্ষা করে চলেছেন (যদিও ছাত্রদল ইদানিং মারমুখী আছে)। তারা সরে গেলে বিপ্লবীদের সংগঠন বাম সংগঠনগুলোর মত ব্যানার ধরার লোকও পাশে পাবে না। তখন মাহফুজ-আসিফরা ইঁদুরের গর্তে লুকিয়েও আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের হাত থেকে রক্ষা পাবে না। বিপ্লবীদের খুঁজে খুঁজে বের করে হত্যা করা হবে। বিপ্লবীরা যখন প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াবে, প্রথম আলো-ডেইলী স্টার তখন ভারতীয় এজেন্টের নিয়ে ইন্টার-কন্টিনেন্টালে বুফে খাবে। আর আমরা যারা বিপ্লবের সমর্তক তারা বিমর্ষ বদনে আফসোস করবো।

-এটাই আমার পর্যবেক্ষণ।

©️ Preserved

জাতিসংঘের মহাসচিব ও শিশু মির্জা ফখরুল ইসলাম।মির্জা সাহেব,আপনার সামনে জাতিসংঘের মহাসচিব ছিল। আপনি চাইলেই গত ১৫ বছরে হওয়া ...
18/03/2025

জাতিসংঘের মহাসচিব ও শিশু মির্জা ফখরুল ইসলাম।

মির্জা সাহেব,
আপনার সামনে জাতিসংঘের মহাসচিব ছিল। আপনি চাইলেই গত ১৫ বছরে হওয়া তিনটা বড় গণহত্যার বিচারের দাবী জানাতে পারতেন। পিলখানা, শাপলাচত্বর আর জুলাইয়ের গণহত্যার বিচারের জন্য হাছিনাকে ফেরত আনতে জাতিসংঘের সাহায্য চাইতে পারতেন। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হরনের জন্য বিচার চাইতে পারতেন। বিদেশে পাচার হওয়া হাজার হাজার কোটি দেশে ফেরত আনতে সাহায্য চাইতে পারতেন। অথচ, আপনি বাচ্চা ছেলের মতো কাঁদতে কাঁদতে চকলেট চেয়ে বসলেন।

প্রত্যেক দিন নির্বাচন নিয়ে গ্যানর গ্যানর করেন, কিসের নির্বাচন? এতো নির্বাচনের কাজ কি? আগেও তো নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এসেছিলেন। টানা পাঁচবার দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দেশ। দেশের ভালো দেখে ভালো লাগছে না? ভারতের ইশারায় আর কতো নাচবেন?

মনে রাখবেন, মার্কা দেখে ভোট আর ভারতের দালালি করে ক্ষমতায় আসার দিন শেষ। আমজনতা সব বুঝে। আর বিএনপি'র জন্য আপনি কী করেছেন? বিএনপিকে আপনি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। হাছিনার ইশারায় দল চালিয়েছেন, মধু খেয়েছেন। গত ১৫ বছরে কোন একটা আন্দোলন করতে পেরেছেন? নাকি করার কোন সদিচ্ছা আপনার ছিল? আপনি তো হাছিনার আমলেই ভালো ছিলেন।

সবাই জানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ আপনি ধারণ করেন না। বেগম খালেদা জিয়ার সীমাহীন ত্যাগ ও অক্লান্ত পরিশ্রম গড়ে ওঠা একটি সফল দলকে ডুবাতে আপনার মতো কয়টা মির্জাই যথেষ্ট। আপনার উপর আমাদের আস্থা নেই, আমরা বিএনপি'র এই চেয়ারে একজন দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতৃত্বকে দেখতে চাই।

-সংগৃহীত

16/03/2025

বক্তব্য ক্লিয়ার-
পরিবেশটা এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যখন কেউ ধর্ষণ করবে সে তার মৃত্যু পরোয়ানা নিজেই লিখবে। ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড; এটা ফাঁসি দিয়েও হতে পারে আবার পাথর মেরেও হতে পারে। তবে অবশ্যই প্রকাশ্যে হতে হবে। ভীতি ছড়িয়ে দিতে হবে যেন আর কেউ ধর্ষণ করার চিন্তাও না করে।

তবে একি সাথে বিবাহও সহজ করতে হবে। অন্যতায় সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে।

https://www.facebook.com/share/18SjoMJVaZ/

সন্তানের ভবিষ্যৎ ও পিতার আত্মত্যাগ।ছবিটা দেখলে মনে হবে, একটা পাগল ময়লার মধ্যে শুয়ে আছে। কিন্তু তিনি কোন পাগল নন, তিনি ...
16/03/2025

সন্তানের ভবিষ্যৎ ও পিতার আত্মত্যাগ।

ছবিটা দেখলে মনে হবে, একটা পাগল ময়লার মধ্যে শুয়ে আছে। কিন্তু তিনি কোন পাগল নন, তিনি একজন পিতা।পাবনা থেকে মেয়েকে নিয়ে এসেছেন রাজশাহীতে, স্বপ্ন পূরণের এক নতুন দিগন্তের পথে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা, কেন্দ্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। মেয়ের পরীক্ষা চলছে বিজ্ঞান অনুষদের ড. কুদরাত-এ-খুদা ভবনে। আর ঠিক সেই ভবনের পেছনেই ড্রেনের পাশে নিঃশব্দে শুয়ে আছেন এই বাবা।

পেশায় তিনি একজন মাইক্রোবাস চালক, মাসে পাঁচ হাজার টাকা বেতন, তার সঙ্গে ভাড়ার ওপর ২০% কমিশন। সংসার চলে টানাটানির মধ্যে, কিন্তু তার স্বপ্নের পরিধি বিশাল।

দুই ছেলে, এক মেয়ে। এই মেয়েটিই আজ ভর্তি পরীক্ষায় বসেছে, বড় হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে। মেজো ছেলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে, ছোট ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে। সীমিত আয়ের সংসার, কিন্তু সন্তানদের ভবিষ্যৎ যেন কোনো বাধায় না থামে এটাই একমাত্র লক্ষ্য এই বাবার।

নিজে শুয়ে আছেন ধুলোমাখা পথের এক কোণে, কিন্তু বুকের ভেতর লালন করছেন বিশাল এক স্বপ্ন। সন্তানদের জন্য নিজের সবটুকু নিঃশেষ করতে রাজি, কেবল তারা যেন এগিয়ে যেতে পারে।

স্বপ্নগুলো রঙিন হয়ে ধরা দিক প্রতিটি পিতার জীবনে।

এই ছবির ভার জাতি কিভাবে বইবে?
15/03/2025

এই ছবির ভার জাতি কিভাবে বইবে?

03/04/2024

বাংলাদেশে যেভাবে অন্ধকার যুগের উত্থান হচ্ছে।

৪।
এই বিষয়গুলো সরাসরি প্রমাণ করে যে, দেশে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার জোর চেষ্টা চলছে। যাতে নতুন প্রজন্মের নৈতিক এবং আত্মিকভাবে দুর্বল করে দিয়ে দেশের জনগণকে শোষণ করা যায়। তারা জানে ইসলামিক মূল্যবোধের শিক্ষিত একটি জাতিকে কোনোভাবে দমন করা সম্ভব নয়। তাই হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা চাপিয়ে দিয়ে আমাদের কোমলমতি শিশুদের ইসলামবিদ্বেষী বানানোর আয়োজন চূড়ান্ত করেছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ১০-১৫ বছর মধ্যে বাংলাদেশে এক হিন্দুত্ববাদী প্রজন্ম গড়ে উঠবে।
বর্তমানে আামাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে পুরোপুরি ইসলামকে মুছে ফেলার চেষ্টা নিয়ে সুকৌশলে এগোচ্ছে। এখন বলতে গেলে হিন্দুত্ববাদীরাই পুরো শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করছে। আমাদের আগামী প্রজন্মের মধ্যে বপন করছে হিন্দুত্ববাদের বীজ যাতে করে নৈতিক চরিত্র শিক্ষার্থীরা হারিয়ে ফেলে তার আয়োজন করা হয়েছে বলে জনগণ মনে করে।

৫।
নতুন এ শিক্ষাব্যবস্থায় সরাসরি কোরআন হাদিস উল্লেখ করে কোন ধর্মীয় শিক্ষা তো স্থান পায়নি, বরং কবিতা, গল্প আর প্রবন্ধের মাধ্যমে ন্যূনতম যতটুকু ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা ছিল তাও এই শিক্ষানীতিতে বাদ দেয়া হয়েছে। একইসাথে যুক্ত করা হয়েছে ইসলামবিদ্বেষী লেখকদের বিভিন্ন গল্প ও কবিতা। সাথে যুক্ত হয়েছে হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন প্রবন্ধ ও কবিতা। আজকের লেখায় বর্তমান পাঠ্যকক্রমে হিন্দুত্ববাদের প্রসার ও আদর্শিক তথা ইসলামবিদ্বেষ অন্তর্ভুক্ত করণের সামান্য উদাহরণ উপস্থাপন করা হলো।

এটি এদেশের মুসলিমদের ঈমান ও আকিদার সাথে সাংঘর্ষিক। তাই হিন্দুত্ববাদী শিক্ষাব্যবস্থা বাদ দিতে বাংলাদেশের মুসলিমদের এখনই সোচ্চার হতে হবে। এখনই সময় সবাই মিলে ধর্মহীন এই হিন্দুত্ববাদী শিক্ষানীতিকে সরিয়ে ফেলার এবং ইসলাম ও মুসলিম মূল্যবোধ রক্ষা করার। অন্যতায় আমাদের প্রত্যেককে পস্তাতে হবে- দুনিয়া ও আখেরাতে।

-সংগৃহীত।

03/04/2024

বাংলাদেশে যেভাবে অন্ধকার যুগের উত্থান হচ্ছে।

২।
ইসলাম সম্পর্কিত লেখাগুলো শুধু বাদই দেয়া হয়নি এগুলো বাদ দিয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে যুক্ত করা হয়েছে ‘বই’ নামে একটা কবিতা যেটা ধর্মীয়গ্রন্থ কোরআন বিরোধী কবিতা। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ‘লাল গরু’ নামে একটি ছোট গল্প আনা হয়েছে; এই গল্পে মুসলিম শিক্ষার্থীকে শেখানো হচ্ছে গরু হচ্ছে মায়ের মতো, তাই জবাই করা ঠিক নয়। অর্থাৎ, এখানে শেখানো হচ্ছে ‘হিন্দুত্ববাদ’। সপ্তম শ্রেণিতে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘লালু’ নামক একটা গল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাতে শেখানো হচ্ছে হিন্দুদের কালী পূজা ও পাঁঠা বলীর কাহিনী। নবম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ১৪৯ নম্বর পৃষ্ঠায় একটি মানচিত্র দেয়া হয়েছে সেখানে সন্ত্রাসী ইসরাইলের নাম থাকলেও বাদ দেয়া হয়েছে স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনের নাম। ৭ম শ্রেণির বইয়ে যুক্ত করা হয়েছে বহুল আলোচিত ‘শরিফ থেকে শরিফা’ ট্রান্সজেন্ডার বা সমকামিতার গল্প। ৩য় শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ে যুক্ত করা হয়েছে হিন্দুদের মূর্তির ছবি। পরে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলে অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে বই ফেরত নেয়া হয়।

৩।
এছাড়া মাদরাসার বইগুলোর প্রচ্ছদে ছেলেমেয়েদের বিতর্কিত ছবি যুক্ত করা হয়েছে। যুক্ত করা হয়েছে নাচ, গান ও সঙ্গীত। ষষ্ঠ, সপ্তম শ্রেণির স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বই এ ছেলেমেয়েদের বয়ঃসন্ধিকালীন স্পর্শকাতর বিষয়গুলোকে এমনভাবে তোলে ধরা হয়েছে, যাতে স্বভাবজাত লজ্জা শরম কারো মাঝে থাকে না। ষষ্ঠ শ্রেণির স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বইয়ের ৯৬ পৃষ্ঠায় একটি ছেলে বন্ধু তার মেয়ে বন্ধুকে স্পর্শ করাকে নিরাপদ স্পর্শ বলা হয়েছে। নবম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ১১০ পৃষ্ঠায় ভারত উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে মুসলমানদের কোনো অবদান নেই এবং শুধুমাত্র হিন্দুদের অবদান ছিল বুঝানো হয়েছে। নতুন এ শিক্ষানীতিতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ইসলাম ধর্মশিক্ষা ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে, যা আগে আবশ্যক ছিল। এগুলো কিসের আলামত, তা জাতিকে অনুধাবন করতে হবে।

-সংগৃহীত।

কোন কোন খাবার মায়েদের  #বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে?Which foods increase   milk supply? নিম্নোক্ত খাবারগুলো মায়ে...
01/04/2023

কোন কোন খাবার মায়েদের #বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে?
Which foods increase milk supply?

নিম্নোক্ত খাবারগুলো মায়েদের বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে-
সবুজ শাকসবজি বিশেষত ঝিঙে, করলা, লাউ, ঢ়েরস, লাউ শাক, সজনে ডাটা, সজনে পাতা ভর্তা, গাজর, কাঁচা পেঁপে, সব ধরনের বাদাম, মিষ্টি আলু, কালো জিরার ভর্তা, মেথি, ছোলা, লেবু, তুলসী পাতা, পুদিনা পাতা, থানকুনি পাতা, পাতলা ডাল ইত্যাদি;
নিম্নোক্ত ফল সমূহ- পেয়ারা, কলা, যে কোন রসালো ফল;
এছাড়া নদীর মাছ, মধু, দুধ, খাবার পানি ইত্যাদি।
মনে রাখতে হবে, এ সময় মায়েরা যেন ভাজা পোড়া না খান, তরকারি যেন পাতলা হয় এবং কম মসলাদার হয়। তামাক, জর্দা, কার্বোনেটেড পানিয়, এলকোহল, জাংক ফুড এ খাবার প্রসূতি মায়েরা খাবেন না।

সন্তানের জন্য চমৎকার শিক্ষামূলক উপদেশবাবাকে এক ছেলের জিজ্ঞাসা!!-“বাবা, সফল জীবন কাকে বলে?"বাবা (সরাসরি উত্তর না দিয়ে) বল...
25/03/2023

সন্তানের জন্য চমৎকার শিক্ষামূলক উপদেশ

বাবাকে এক ছেলের জিজ্ঞাসা!!
-“বাবা, সফল জীবন কাকে বলে?"

বাবা (সরাসরি উত্তর না দিয়ে) বললেন/
- “আমার সাথে চলো, আজ ঘুড়ি উড়াবো। তখন বলবো।"

বাবা ঘুড়ি ওড়ানো শুরু করলেন। ছেলে মনযোগ দিয়ে দেখছে। আকাশে ঘুড়ি বেশ কিছু ওপরে উঠার পর বাবা বললেনঃ
- “এই দেখো ঘুড়িটা অতো উচুতেও কেমন বাতাসে ভেসে আছে। তোমার কি মনে হয়না, এই সূতার টানের কারণে ঘুড়িটা আরোও উপরে যেতে পারছেনা?"

ছেলে,
“তা ঠিক, সূতো না থাকলে ওটা আরও উপরে যেতে পারতো!"

বাবা আলগোছে সূতোটা কেটে দিলেন। ঘুড়িটা সূতার টান মুক্ত হয়েই প্রথমে কিছুটা উপরে উঠে গেল। কিন্তু একটু পরেই নিচের দিকে নামতে নামতে অদৃশ্য হয়ে গেল।

এবার বাবা ছেলেকে জীবনের দর্শন শুনাচ্ছেন ...

"শোনো, জীবনে আমরা যে উচ্চতায় বা পর্যায়ে আছি বা থাকি; সেখান থেকে প্রায় মনে হয় ঘুড়ির সূতার মত কিছু কিছু বন্ধন আমাদের আরও উপরে যেতে বাধা দেয়। যেমনঃ
■ ঘর,
■ মা-বাবা,
■ পরিবার,
■ অনুশাসন,
■ সন্তান ইত্যাদি।

আর আমরাও সেইসব বাঁধন থেকে কখনো কখনো মুক্ত হতে চাই। বাস্তবে ঐ বন্ধনগুলোই আমাদের উঁচুতে টিকিয়ে রাখে, স্থির রাখে, নিচে পড়ে যেতে দেয় না। ঐ বন্ধন না থাকলে আমরা হয়তো ক্ষণিকের জন্য কিছুটা উপরে যেতে পারি, কিন্তু অল্পসময়েই আমাদেরও পতন হবে ঐ বিনে সূতোর ঘুড়ির মতই!

জীবনে তুমি যদি উঁচুতে টিকে থাকতে চাও, তবে কখনোই ঐ বন্ধন ছিঁড়বে না। সুতা আর ঘুড়ির মিলিত বন্ধন যেমন আকাশে ঘুড়িকে দেয় ভারসাম্য; তেমনি সামাজিক, পারিবারিক বন্ধনও আমাদের জীবনের উচ্চতায় টিকে থাকার ভারসাম্য দেয়। আর এটাই প্রকৃত সফল জীবন।"

(সংগৃহীত)

Address

Road No-04
Sylhet
3100

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Netman MJI posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Netman MJI:

Share