VoIcE Of HuMaNiTy

VoIcE Of HuMaNiTy মানুষের কথা,ইতিহাস,ঐতিহ্য,শিক্ষা,সাহ? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম

স্মরণ -           বীরাঙ্গনা কাঁকন বিবি                  আঁচল তাঁর            লাল সবুজের পতাকা---------------------------...
21/03/2024

স্মরণ -

বীরাঙ্গনা কাঁকন বিবি
আঁচল তাঁর
লাল সবুজের পতাকা
---------------------------------------------------
কাঁকন বিবি ১৯৭১ সালে সংঘটিত বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এক বীরযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা ও গুপ্তচর।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর বিপক্ষে মুক্তিবাহিনীর হয়ে গুপ্তচরের কাজ করেন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

তাঁর বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার লীপুর ইউনিয়নের ঝিরাগাঁও গ্রামে।

তাঁর প্রকৃত নাম কাঁকাত হেনিনচিতা। নামটি খাসিয়া। খাসিয়া সম্প্রদায়ের এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মূল বাড়ি ছিল ভারতের খাসিয়া পাহাড়ের পাদদেশের এক গ্রামে।

১৯৭০ সালে দিরাই উপজেলার শহীদ আলীর সাথে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাঁর নতুন নাম হয় নুরজাহান বেগম।

১৯৭১ সালের ১৬ মার্চ তিনি সখিনা নামের এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কন্যা সন্তান জন্ম দেবার ফলে স্বামীর সাথে তাঁর মনোমালিন্য দেখা দেয় এবং এক পর্যায়ে তাঁদের মধ্যে মৌখিক ছাড়াছাড়ি হয়।

পরবর্তীতে এপ্রিল মাসে তাঁর সাথে ইপিআর সৈনিক মজিদ খানের বিয়ে হয়। মজিদ তখন কর্মসূত্রে সিলেট ইপিআর ক্যাম্পে থাকতেন। দুই মাস সিলেটে স্বামীর সাথে বসবাস করার পরে তিনি পূর্বের স্বামীর ঘর থেকে সখিনাকে আনতে যান। মেয়েকে নিয়ে ফিরে আসার পরে তিনি স্বামীকে না পেয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তাঁর স্বামী বদলি হয়ে দোয়ারাবাজার সীমান্ত এলাকার কোন এক ক্যাম্পে আছেন।

যুদ্ধকালীন জীবনে তিনি স্বামীকে খুঁজতে বের হন। সীমান্তবর্তী ঝিরাগাঁও গ্রামে জনৈক শহীদ আলীর আশ্রয়ে শিশুকন্যাকে রেখে দোয়ারাবাজারের টেংরাটিলা ক্যাম্পে যান।

১৯৭১ সালের জুন মাস তখন। পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে ধরা পড়েন, তাদের বাঙ্কারে দিনের পর দিন অমানুষিকভাবে নির্যাতন করে তাঁকে ছেড়ে দেয় তারা।

এরপরেই কাঁকন বিবি স্বামীকে পাবার আশা ত্যাগ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হবার তাড়না লাভ করেন। জুলাই মাসে তাঁর সাথে দেখা হয় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের।তাঁদের সাথে দেখা করেন তিনি।

মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী তাঁকে সেক্টর কমাণ্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর শওকতের সাথে দেখা করিয়ে দেন।

তাঁর উপর দায়িত্ব দেয়া হয় গুপ্তচর হিসেবে বিভিন্ন তথ্য জোগাড় করার। তিনি অসমসাহসিকতার সাথে বিভিন্ন রূপে পাকিস্তানিদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্যসংগ্রহ করেন। তাঁর সংগৃহীত তথ্যের উপর ভিত্তি করে মুক্তিযোদ্ধারা অনেক সফল আক্রমণ চালান।

গুপ্তচরের কাজ করতে গিয়েই দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজারে পাকি বাহিনীর হাতে পুনরায় ধরা পড়েন তিনি।

এবারে একনাগাড়ে ৭ দিন পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকারেরা তাঁকে বিবস্ত্র করে তাঁর উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। লোহার রড গরম করে তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছেঁকা দেয়া হয়। মৃত ভেবে অজ্ঞান কাঁকন বিবিকে পাকি বাহিনী ফেলে রেখে যায়।

কয়েকদিন পরে জ্ঞান ফিরে আসলে তাঁকে উদ্ধার করে বালাট সাবসেক্টরে নিয়ে আসা হয়। সুস্থ হয়ে তিনি পুনরায় ফিরে আসেন বাংলাবাজারে। অস্ত্র চালনায় প্রশিক্ষিত হন মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীর কাছে।

এর পরবর্তীকালে তিনি সম্মুখ যুদ্ধ আর গুপ্তচর উভয় কাজই শুরু করেন। এরপরে প্রায় ২০টি যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন তিনি।

১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে টেংরাটিলায় পাকি সেনাদের সাথে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। এই যুদ্ধে তাঁর দেহে কয়েকটি গুলি বিদ্ধ হয়।

দেশ স্বাধীন হলে কাকন বিবি দোয়ারাবাজার উপজেলার লীপুর ইউনিয়নের ঝিরাগাঁও গ্রামে এক ব্যক্তির কুঁড়েঘরের বারান্দায় মেয়ে সখিনাসহ আশ্রয় নেন।

এর পরের প্রায় ২ যুগ তিনি ছিলেন সবার চোখের অন্তরালে। ১৯৯৬ সালে স্থানীয় সাংবাদিক বিষয়টি সকলের গোচরে নিয়ে আসলে দেশব্যাপী এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে এক একর খাস জমি প্রদান করেন।

সিলেটের মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান তাঁকে ঐ জায়গার ওপরে একটি ছোট কুঁড়েঘর নির্মাণ করে দেন।

এরপরের কয়েক বছর মোটামুটি ভাল কাটলেও পরবর্তীকালে অর্থাভাবে নিয়মিত চিকিৎসা করাতেও অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে।

১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বীরপ্রতীক উপাধিতে ভূষিত করার ঘোষণা দেন। কিন্তু আজও তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়নি।

২১ মার্চ ২০১৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কাঁকন নিবি। শ্রদ্ধাঞ্জলি।

তথ্যসূত্রঃ 'বিবিসি বাংলা' ২২ মার্চ ২০১৮, প্রভাতী অধিবেশন

'আকাশের মেঘ থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ে ভিজে গেছে ধুলো/এখন মাটির গন্ধ চারিদিকে টের পাওয়া যায়/স্টেশন ছাড়িয়া ট্রেন চলে গেল...
21/03/2024

'আকাশের মেঘ থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ে ভিজে গেছে ধুলো/এখন মাটির গন্ধ চারিদিকে টের পাওয়া যায়/স্টেশন ছাড়িয়া ট্রেন চলে গেল/ইঞ্জিনের কালো ধোঁয়াগুলো চাঁদের আলোয় যেন বাদুড়ের মতন লাফায়'
-- জীবনানন্দ দাশের অগ্রন্থিত কবিতা সমগ্র থেকে সংকলিত

21/03/2024
স্মরণ -               মুঘল শাহজাদা                  দারা শিকোহ---------------------------------------------------- শাহজা...
21/03/2024

স্মরণ -

মুঘল শাহজাদা
দারা শিকোহ
---------------------------------------------------- শাহজাদা দারা শিকোহ মুঘল সম্রাট শাহজাহান ও মুমতাজ মহলের বড় পুত্র।

জন্ম ২০ মার্চ ১৬১৫ খৃস্টাব্দে

ফার্সি ভাষায় দারা শিকোহ্‌ নামের অর্থ মহিমান্বিত। তিনিই সর্বপ্রথম ফার্সি ভাষায় ভগবত গীতা ও উপনিষদ অনুবাদ করেন।

দারা শিকোহর স্ত্রীর নাম নাদিরা বানু বেগম। এই দম্পতির সন্তানাদি হলেন সোলায়মান শিকোহ, মমতাজ শিকোহ, সিপহীর শিকোহ জাহানজেব বানু বেগম।

মুঘল সাম্রাজ্যর উত্তরাধিকারী হিসেবে তিনি পিতা শাহজাহান এবং ভগ্নি জাহানারা বেগমের সমর্থন পেয়েছিলেন।

কিন্তু ছোট ভাই আওরঙ্গজেব এর সাথে সিংহাসন ও সাম্রাজ্য নিয়ে যুদ্ধে দারা শিকোহ পরাজিত হন।

আওরঙ্গজেবের আদেশে ৩০ আগস্ট ১৬৫৯ খৃস্টাব্দে দিল্লীতে তার শিরোচ্ছেদ করা হয়।

তথ্যসূত্রঃ 'শিক্ষাবার্তা'
৩০ আগস্ট ২০০৯

অভিনন্দন -                 শুভ জন্মদিন        কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক----------------------------------------------------...
04/03/2023

অভিনন্দন -

শুভ জন্মদিন
কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক
----------------------------------------------------
কবি, সাংবাদিক, গল্পকার, ঔপন্যাসিক, গদ্যকার্টুনিষ্ট- সবগুলোই যাঁর নামের সঙ্গে মানিয়ে যায় তিনি আনিসুল হক।

আজ ৪ মার্চ নন্দিত এই ব্যক্তিত্বের ৫৮তম জন্মদিন।

১৯৬৫ সালের এই দিনে নীলফামারীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শুভ কামনা আনিসুল হক!

আনিসুল হক রংপুর জেলা স্কুল থেকে ১৯৮১ সালে এসএসসি এবং রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে ১৯৮৩ সালে এইচএসসি পাস করেন।

উভয় পরীক্ষাতেই সম্মিলিত মেধাতালিকায় স্থান পান। এরপর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক পাস করেন।

তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেলওয়ে বিভাগে যোগদান করেন। অল্প কিছুদিন চাকরির পর সাংবাদিকতায় চলে আসেন।

তিনি ১৯৮৭ সালে সাপ্তাহিক 'দেশবন্ধু' পত্রিকার সহসম্পাদক, ১৯৮৯ সালে সাপ্তাহিক 'পূর্বাভাস' পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক, ১৯৯১ সালে 'সাপ্তাহিক খবরের কাগজ' এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হন।

১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত 'দৈনিক ভোরের কাগজ' এর সহকারি সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তারপর থেকে 'দৈনিক প্রথম আলো' এর সাথে যুক্ত আছেন।

বুয়েটে পড়ার সময় কবিতার দিকে বেশি ঝোঁক ছিল তাঁর। পরবর্তীতে এর পাশাপাশি কথাসাহিত্যেও মনোযোগী হন। উপন্যাস, বিদ্রুপ রচনা, নাটক রচনায় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন আনিসুল হক।

মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের সত্য ঘটনা নিয়ে তাঁর লেখা 'মা' উপন্যাসটি সূধী ও পাঠক সমাজে আজও সমানভাবে সমাদৃত। বইটি বেশ কয়েকটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

৫১বর্তী, আজকালকার ভালোবাসা, আলো-অন্ধকারে যাই, আমার একটা দু:খ আছে, আয়েশা মঙ্গল, তাঁর বিখ্যাত কয়েকটি গল্পগ্রন্থ।

মা, বীর প্রতীকের খোঁজে, নিধুয়া পাথার, খেয়া তাঁর জনপ্রিয় উপন্যাস।

তাঁর রচিত বিখ্যাত টিভি নাটকগুলো হচ্ছে নাল পিরান, করিমন বেওয়া, প্রত্যাবর্তন, সাঁকো, প্রতি চুনিয়া, চড়ুইভাতি, মেগা সিরিয়াল ৫১বর্তী।

আনিসুল হকের 'ব্যাচেলর' এবং 'মেড ইন বাংলাদেশ' সিনেমা দুটির কাহিনী সুধী সমাজে তুমুল দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল।

শ্রেষ্ঠ টিভি নাট্যকার হিসেবে পুরস্কার, টেনাশিনাস পদকসহ বেশ কয়েকটা পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

সাহিত্যের জন্য পেয়েছেন খুলনা রাইটার্স ক্লাব পদক, কবি মোজাম্মেল হক ফাউন্ডেশন পুরস্কার।

২০১২ সালে কথাসাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান।

ফেসবুক পরিবারের পক্ষে তাঁর জন্য রইল শুভ কামনা আজকের এই বিশেষ দিনটিতে।

★ ইংরেজিতে তিরিশটি জানা অজানা লিঙ্গ পরিবর্তন। (Male & Female) ★১) Bachelor ( কুমার ) ➫  Spinster ( কুমারী )২) Horse ( ঘো...
03/03/2023

★ ইংরেজিতে তিরিশটি জানা অজানা লিঙ্গ পরিবর্তন। (Male & Female) ★

১) Bachelor ( কুমার ) ➫ Spinster ( কুমারী )

২) Horse ( ঘোটক ) ➫ Mare ( ঘোটকী )

৩) Drone ( পুরুষ মৌমাছি ) ➫ Bee (স্ত্রী মৌমাছি)

৪) Beau ( সুন্দর পুরুষ ) ➫ Belle (সুন্দরী মহিলা)

৫) Lad ( বালক ) ➫ Lass ( বালিকা )

৬) Gander ( রাজহংস ) ➫ Goose ( রাজহংসী ).

৭) Wizard ( যাদুকর ) ➫ Witch ( যাদুকরী ).

৮) Monk ( সন্ন্যাসী ) ➫ Nun ( সন্ন্যাসিনী ).

৯) Fox (খেঁকশিয়াল) ➫ Vixen (খেঁকশিয়ালিনী)

১০) Buck ( হরিণ ) ➫ Doe ( হরিনী ) .

১১) Boar ( শূকর ) ➫ Sow ( শূকরী ) .

১২) Duke ( ডিউক ) ➫ Duchess ( ডিউকের পত্নী ) .

১৩) Murderer (হত্যাকারী) ➫ Murderess (হত্যাকারিণী)

১৪) Ram ( ভেড়া ) ➫ Ewe ( ভেড়ী ) .

১৫) Stag ( হরিণ ) ➫ Hind ( হরিণী ) .

১৬) Widower ( বিপত্নীক ) ➫ Widow ( বিধবা ) .

১৭) C**t ( বাচ্চা ঘোটক) ➫ Filly (বাচ্চা ঘোটকী)

১৮) Sloven(নোংরা পুরুষ )➫ Slut (নোংরা নারী)

১৯) Author ( লেখক ) ➫ Authoress (লেখিকা)

২০) Bridegroom ( বর ) ➫ Bride ( কনে ) .

২১) Host (অতিথিসেবক) ➫ Hostess (অতিথিসেবিকা)

২২) Poet ( কবি ) ➫ Poetess ( মহিলা কবি ) .

২৩) Heir ( উত্তরাধিকারি ) ➫ Heiress ( উত্তরাধিকারিণী )

২৪) Patron ( পৃষ্ঠপোষক ) ➫ Patroness ( পৃষ্ঠপোষিকা)

২৫) Priest (ধর্মযাজক ) ➫ Priestess (ধর্মযাজিকা)

২৬) Shepherd ( পুং রাখাল ) ➫ Shepherdess ( মহিলা রাখাল)

২৭) Executor(নির্বাহক)➫Executrix (নির্বাহিকা)

২৮) Abbot ( মঠাধ্যক্ষ ) ➫ Abbess ( মঠাধ্যক্ষা)

২৯) Emperor ( সম্রাট ) ➫ Empress ( সম্রাজ্ঞী )

৩০) Tailor(দর্জি) ➫ Seamstress (মহিলা দর্জি)

শিপ্টিং ডিউটি? ঘুমের ঘাটতি মেটানোর উপায়♣ঘুমের সঙ্গে আপস করে কাজ। সপ্তাহে কয়েক দিন রাত জাগতে বাধ্য। কেউ আবার টানা এক সপ্ত...
02/03/2023

শিপ্টিং ডিউটি?
ঘুমের ঘাটতি মেটানোর উপায়♣

ঘুমের সঙ্গে আপস করে কাজ। সপ্তাহে কয়েক দিন রাত জাগতে বাধ্য। কেউ আবার টানা এক সপ্তাহ দিনেরবেলা কাজ সারেন, পরের সপ্তাহেই কাজের সময় বদলে হয়ে যায় ‘নাইট ডিউটি’। গোটা রাজ্যে এমন পেশার অভাব নেই যেখানে কাজের জন্য ছাড়তে হয় রাতের ঘুম। বরাদ্দ ঘুমে টান পড়ে প্রায়শই। ভাবেন হয়তো, অন্য সময় ঘুমিয়ে ‘ম্যানেজ’ করে নেব। কিন্তু তা কি আদৌ সম্ভব?
প্রতিটি মানুষের শরীরে একটি নির্দিষ্ট ‘বায়োরিদম’ আছে। জীববিদ্যার এই রিদম মেনেই আমাদের অভ্যন্তরীণ শারীরিক ক্রিয়াকলাপ চলতে থাকে। দিনের আলোয় কাজ করব ও আলো নিভে এলে অর্থাৎ রাত গড়ালে বিশ্রাম করতে হবে— এই চক্রকে বলে সার্কাডিয়ান রিদম।
পশু-পাখি সকলের শরীরেই এই সার্কাডিয়ান রিদম আছে। পাখিরাও ভোরবেলা বাসা ছাড়ে, সন্ধেয় কাজ সেরে বাসায় ফেরে। অতএব, এই সার্কাডিয়ান রিদম প্রাকৃতিক। যা প্রকৃতি নির্দিষ্ট, তা ব্যাহত হওয়া আমাদের শরীর ও মনের জন্য একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। আজ সেই কুফল হাতেনাতে না পেলেও, মন ও শরীর একসময় বিদ্রোহ করবেই। যাঁরা একটানা নাইট করেন, তাঁদের সার্কাডিয়ান রিদম পাল্টে যায়। তাঁদের সকালে ঘুম ও রাতে কাজে অভ্যস্ত হয়ে যায় শরীর। সেখানে ক্ষতিও সেভাবে হয় না। কিন্তু নাইট ও ডে মিলিয়ে মিশিয়ে কাজ হলেই কিন্তু বিপদ!

কী কী বিপদ♦

• সকলের আগে সমস্যায় পড়ে হজমশক্তি। রাতে জেগে থাকার জন্য অনেকেই ব্ল্যাক কফি, চিপস, চকোলেট এসব মুখরোচক স্ন্যাক্স খান। এতে ঘুম কাটিয়ে কাজে লেগে থাকা যায়। নৈশাহার তো আগেই সারা হয়েছে। এদিকে জেগে থাকার কারণে শরীর কোনওরূপ বিশ্রাম পায়নি। ফলে রাতের খাবারটুকু হজম করতেও তাঁকে নাজেহাল হতে হয়েছে। তাই হজমের গোলমাল হবেই। ফলে কোষ্ঠবদ্ধতা, আইবিএস নানাবিধ অসুখ হানা দেয়।

• শিফটিং ডিউটিতে শরীর তার বায়োলজিক্যাল ক্লককে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। যখনই সে রাতের কাজের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চাইছে, তখনই রুটিন বদলে দিনের কাজে ফেরত যাচ্ছেন আপনি। আবার শরীরঘড়ি যখন আপনার দিনের কর্মসূচি মেনে নিয়ে তার রুটিন সাজাতে শুরু করল, তখনই আবার আপনি রাতের ডিউটিতে যোগ দিলেন। এতে শরীর তার অভ্যন্তরীণ কাজগুলো গুছিয়ে করে উঠতে পারে না। ফলে বাড়ে রক্তচাপ, সুগার, ওবেসিটি, অনিদ্রা। শরীর ভেঙে যায়। শিফটিং ডিউটির ফলে ধৈর্য কমে যাওয়া, বিরক্তি বেড়ে যাওয়া, ডিপ্রেশনের শিকার হওয়াও আকছার ঘটছে।
তাহলে কী করব?

প্রথমেই একটা কথা স্পষ্ট করে দেওয়া ভালো। রাতের ঘুমের বিকল্প কিছু হয় না। তাই কাজের ধরন অন্যরকম হলে শরীরের ক্ষতি সম্পূর্ণভাবে রুখে দেওয়া অসম্ভব। এদিকে চাকরি ছাড়তে পারব না কেউই। সংস্থা আমার শরীর ও ঘুম নিয়ে মাথা ঘামাতে বাধ্য নয়। বেশিরভাগ জায়গায় দেখা যায়, ‘নাইট করতে পারছে না’— বিরাট দোষের পর্যায়ে পড়ে। বহু কর্মীর চাকরিও যায়। তা তিনি যতই দক্ষ হোক না কেন! সুতরাং শিফটিং ডিউটিতে কিছু নিয়ম মেনে চলুন।
• দিনের যে কোনও সময় একটানা অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমোতেই হবে। অনেকেই সাংসারিক কাজের ফাঁকে ঘণ্টা দুই-তিন ঘুমিয়ে নেন। তাতে ক্লান্তি হয়তো কমে। বাকি কোনও ক্ষতিপূরণ হয় না। বরং ক্ষতির পাল্লা ভারী হয়।

• নিয়মিত কাজে যাওয়ার আগে, বিকেলের দিকে মিনিট ১৫-২০ যোগাভ্যাস করুন। শরীরের ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে যাবে।
• ‘মি টাইম’ খুব জরুরি। সেই সময়টা প্রিয় গল্পের বই পড়ুন, গান শুনুন, খেলাধুলো করুন। চুপ করে চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকুন। কেউ মেডিটেশনও করতে পারেন। সময়ে না ঘুমাতে পারার খানিকটা ক্ষতি এতে পূরণ হবে। এরপরেও বলব, রাতে ঘুম আর দিনে কাজের নিয়মের কোনও বিকল্প হয় না।

সাঙ্গীতিক স্মরণ -           পপ সম্রাট আজম খান                স্মরণীয়-বরণীয়----------------------------------------------...
28/02/2023

সাঙ্গীতিক স্মরণ -

পপ সম্রাট আজম খান
স্মরণীয়-বরণীয়
----------------------------------------------------
আজম খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী। তার পুরো নাম মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান। তাকে বাংলাদেশের পপ ও ব্যান্ড সঙ্গীতের একজন অগ্রপথিক বা গুরু হিসেবে গণ্য করা হয়।

আজম খানের জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে - রেল লাইনের ঐ বস্তিতে, ওরে সালেকা, ওরে মালেকা, আলাল ও দুলাল, অনামিকা, অভিমানী, আসি আসি বলে ইত্যাদি। সর্বোপরি তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকায় সংঘটিত কয়েকটি গেরিলা অভিযানে তিনি অংশ নেন।

প্রথম কনসার্ট প্রদর্শিত হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনে ১৯৭২ সালে।

আজম খানের জন্ম ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫০ সালে আজিমপুরে।তার বাবার নাম মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন খান, মা জোবেদা খাতুন। সেখানে তারা ১০ নম্বর সরকারি কোয়ার্টারে থাকতেন।

তার বাবা ছিলেন সেক্রেটারিয়েট হোম ডিপার্টমেন্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তা। ব্যক্তিগতভাবে তিনি হোমিওপ্যাথির চিকিৎসক ছিলেন।

তারা তিন ভাই ও এক বোন। বড় ভাই সাইদ খান, মেজো ভাই সুরকার আলম খান, ছোট ভাই লিয়াকত আলী খান মুক্তিযোদ্ধা এবং ছোট বোন শামীমা আক্তার খানম।

১৯৫৫ সালে তিনি প্রথমে আজিমপুরের ঢাকেশ্বরী স্কুলে বেবিতে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালে তার বাবা কমলাপুরে বাড়ি বানান। এরপর থেকে সেখানে বসতি তাদের। সেখানে তিনি কমলাপুরের প্রভেনশিয়াল স্কুলে প্রাইমারিতে এসে ভর্তি হন। তারপর ১৯৬৫ সালে সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুলে বাণিজ্য বিভাগে ভর্তি হন।

এই স্কুল থেকে ১৯৬৮ সালে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭০ সালে টি অ্যান্ড টি কলেজ থেকে এইচএসসিতে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। মুক্তিযুদ্ধের পর পড়ালেখায় আর অগ্রসর হতে পারেননি।

১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময়ে আজম খান পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তখন তিনি 'ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী' এর সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণের বিরুদ্ধে গণসঙ্গীত প্রচার করেন।

বাবার অণুপ্রেরণায় যুদ্ধে যাবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

১৯৭১ সালে যুদ্ধ শুরু হলে, তিনি পায়ে হেঁটে আগরতলা চলে যান। আগরতলার পথে সঙ্গী হন তার দুই বন্ধু। এসময় তার লক্ষ্য ছিল সেক্টর ২ এ খালেদ মোশাররফের অধীনে যুদ্ধে যোগদান করা।

আজম খান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ২১ বছর বয়সে। তার গাওয়া গান প্রশিক্ষণ শিবিরে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা যোগাতো। তিনি প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ভারতের মেলাঘরের শিবিরে।

যুদ্ধ প্রশিক্ষণ শেষে তিনি কুমিল্লায় পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশ নেয়া শুরু করেন। কুমিল্লার সালদায় প্রথম সরাসরি যুদ্ধ করেন। এর কিছুদিন পর তিনি আবার আগরতলায় ফিরে আসেন। এরপর তাকে পাঠানো হয় ঢাকায় গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য।

আজম খান ছিলেন দুই নম্বর সেক্টরের একটা সেকশনের ইনচার্জ। আর সেক্টর কমান্ডার ছিলেন কর্ণেল খালেদ মোশাররফ।

ঢাকায় তিনি সেকশন কমান্ডার হিসেবে ঢাকা ও এর আশেপাশে বেশ কয়েকটি গেরিলা আক্রমণে অংশ নেন। আজম খান মূলত যাত্রাবাড়ি-গুলশান এলাকার গেরিলা অপারেশনগুলো পরিচালনার দায়িত্ব পান।

এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল তার নেতৃত্বে সংঘটিত 'অপারেশন তিতাস'। তাদের দায়িত্ব ছিল ঢাকার কিছু গ্যাস পাইপলাইন ধ্বংস করার মাধ্যমে বিশেষ করে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ও হোটেল পূর্বাণী'র গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটানো।

তাদের লক্ষ্য, ঐ সকল হোটেলে অবস্থানরত বিদেশীরা যাতে বুঝতে পারে যে দেশে একটা যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে তিনি তার বাম কানে আঘাতপ্রাপ্ত হন। যা পরবর্তীতে তার শ্রবণক্ষমতায় বিঘ্ন ঘটায়।

আজম খান তার সঙ্গীদের নিয়ে পুরোপুরি ঢাকায় প্রবেশ করেন ১৯৭১ এর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। এর আগে তারা মাদারটেকের কাছে ত্রিমোহনীতে সংগঠিত যুদ্ধে পাকি সেনাদের পরাজিত করেন।

১৯৮১ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি রাজধানীর মাদারটেকের সাহেদা বেগমকে বিয়ে করেন। তখন তার বয়স ছিল ৩১ বছর। তার এক ছেলে এবং দুই মেয়ে। প্রথম সন্তানের নাম ইমা খান এবং দ্বিতীয় সন্তানের হৃদয় খান এবং তৃতীয় সন্তানের নাম অরণী খান। সহধর্মিনী মারা যাবার পর থেকে একাকী জীবনযাপন ছিল তার।

মরণোত্তর একুশে পদক প্রাপ্ত পপসম্রাট আজম খান দীর্ঘদিন দুরারোগ্য ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে ৫ জুন ২০১১ সালে প্রয়াত হন।

এই পৃথিবীতে সৃষ্টির স্থান হয়, সৃষ্টির যে চাষী তার স্থান হয় না -স্মরণ -              গোবিন্দ হালদারবাঙ্গালীর প্রাণে উদ্দ...
26/02/2023

এই পৃথিবীতে সৃষ্টির স্থান হয়, সৃষ্টির যে চাষী তার স্থান হয় না -

স্মরণ -

গোবিন্দ হালদার
বাঙ্গালীর প্রাণে উদ্দীপনা ছড়িয়েছিল
যাঁর যাদুর স্পর্শ
----------------------------------------------------
‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’, ’এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা’, ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল রক্ত লাল’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা তোমার আমার ঠিকানা’ ইত্যাদি গান শুনে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধারা ও সাধারণ মানুষ অনুপ্রাণিত হয়েছে যথেষ্ট।

মুক্তিযুদ্ধের উদ্দীপক প্রাণশক্তি হিসেবে এই গানগুলোর অবদান অসীম। আজও আমরা এসব গান শুনে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হই।

এই কালজয়ী গানগুলোর গীতিকারকে আমরা চিনি? অনেকেই চিনি না। না চেনাটা বড় ধরনের কোনো ঘটনা নয়।

এরকমই রবীন্দ্রনাথের 'সোনার তরী' কবিতায় রূপকাশ্রয়ে বলা হয়েছে, এই পৃথিবীতে সৃষ্টির স্থান হয়, সৃষ্টির যে চাষী তার স্থান হয় না। তাই আমরা গোবিন্দ হালদারের অমর সৃষ্টি গ্রহণ করে, বরণ করে উজ্জীবিত হই কিন্তু কখনো খবর রাখি না ঐ অমর গানের গীতিকার ও সুরকারকে।

গোবিন্দ হালদার একজন বাঙালি। ভৌগোলিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের অধিবাসী।জন্মেছিলেন বনগাঁয়ে। কিন্তু তাঁর রক্তে রয়েছে বাংলাদেশের ঋণ।

তাঁর পূর্বপুরুষরা ছিলেন বাংলাদেশের অধিবাসী। তাছাড়া, আমরা তো ভৌগোলিক কারণে কাঁটাতারের বেড়ায় আলাদা হয়ে গেছি; কিন্তু মনে প্রাণে সংস্কৃতিতে একই মায়ের পুত্রকন্যা।

তাই তিনি মনে ধারণ করেছিলেন আমাদের হয়ে স্বাধীনতা ও মুক্তির আবেগ, দেশপ্রেমের উচ্ছ্বাস। ফলে তাঁর হৃদয়-উৎস-ধারা-জল বেয়ে বেরিয়ে এসেছে স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধ-দেশপ্রেমের কথা-গান; যা আমাদের বাঙালির প্রাণে উদ্দীপক হয়ে বেজেছে মুক্তিযুদ্ধের সময়। আজও বাজে। কালজয়ী হয়ে বেজে যাবে চিরকাল।

চিরায়ত/কালজয়ী শ্রেষ্ঠ বাংলা গানের উপর বিবিসির জরিপে ২০টি গানের মধ্যে অন্যতম সেরা দুটি গান ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’, ’এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা’।

গোবিন্দ হালদারের লেখা, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক। এই দুটিসহ পনেরটি (?) গান পেয়েছি আমরা তাঁর কাছ থেকে। সেই সূত্রে তিনি আমাদের দেশের পরম বন্ধু ও সুহৃদ স্বজন।

গোবিন্দ হালদারের সৃষ্টি অমর, কিন্তু গোবিন্দ হালদার অমর কিনা সে কথা আজ বললে আমার উপরে পাঠক হয়তো চটে উঠবেন।

বাস্তবতা হচ্ছে 'সোনার তরী'তে গোবিন্দ হালদারের মতো গীতিকার ও সুরকারের ঠাঁই হয় না। তাই তাঁর মৃত্যু হয়। আমরা একসময় ভুলেও যাই তাঁদের। কিন্তু তার গানকে আমরা কোনো দিন ভুলতে পারব না। তাঁকে ভুলতে পারি তাঁর গানকে নয়। তবুও যেটুকু তাঁর বেঁচে থাকা, যেটুকু অমরত্ব তা ঐ অমর সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে।

মানুষের জরা, ব্যাধি, বার্ধক্য, মরণ আছে। কিন্তু তার কালজয়ী সৃষ্টির ওগুলো নেই।

দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী এই মানবতাবাদী বাঙালি কবি গীতিকার, সুরকার গোবিন্দ হালদারকে আমরা তাঁর গানের সাথে সুরের সাথে স্মরণ রাখবো।

তাঁর গানের কথা যেমন ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা আমরা তোমাদের ভুলব না’, ঠিক তেমনি করে তাঁর গানে, তাঁর সুরের ধারায় আমরা একটি দেশ পেয়েছি, যে মুক্ত স্বাধীন স্বদেশ গড়েছি, তাঁকে আমরা কোন দিন ভুলব না। তাঁর গানের সাথে সুরের সাথে তাঁকেও অমর করে স্মরণীয়-বরণীয় করে রাখবো।

অভিনন্দন♥অদম্য মেধাবী চন্দ্র শেখর চৌহান এখন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক.....ফুটপাতে বাবা মানিক চৌহানের চায়ের দো...
26/02/2023

অভিনন্দন♥
অদম্য মেধাবী চন্দ্র শেখর চৌহান এখন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক.....
ফুটপাতে বাবা মানিক চৌহানের চায়ের দোকান। দোকানে চা, পরোটা, পেঁয়াজু, শিঙাড়া বিক্রি করেন। মা মিনা চৌহানের কাগজের ঠোঙা বানানোর ব্যবসা। সেই ঠোঙা বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করেন। মন্দিরের জমিতে বসবাস করেন তাঁরা, নিজেদের কোন জমিজমা নেই, অভাব-অনটন সংসারের নিত্যসঙ্গী। তাদের বাড়ি গাইবান্ধা জেলা শহরের শনিমন্দির রোডে। এরকম সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠা চন্দ্র শেখর চৌহান শিক্ষাজীবনের প্রতিটি ধাপে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল করে এখন বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষক। তিনি শিক্ষকতা করছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। উল্লেখ্য,২০২১ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেন চন্দ্র শেখর। স্নাতকোত্তরে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য তিনি ‘প্রেসিডেন্ট গোল্ড মেডেল’ও অর্জন করেছেন।
অভিনন্দন এবং শুভকামনা চন্দ্র শেখর চৌহানকে। ইচ্ছাশক্তি,চেষ্টা, অধ্যাবসায় থাকলে সফলতা তো সময়ের ব্যাপার মাত্র।

স্মরণ -                 বাঙালির বন্ধু                 জর্জ হ্যারিসন---------------------------------------------------৭১...
25/02/2023

স্মরণ -

বাঙালির বন্ধু
জর্জ হ্যারিসন
---------------------------------------------------
৭১'র ক্ষত-বিক্ষত বাংলাদেশের প্রিয় বন্ধু তুমি।

তোমার জন্ম ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩ সালে ইংল্যান্ডের ল্যাংশায়েরের লিভারপুলে।

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ভিনদেশি সহকর্মী তুমি -

বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবেসে বিশ্বখ্যাত সেতার বাদক পন্ডিত রবি শঙ্করকে সাথে নিয়ে '৭১ এর ১ আগস্ট নিউইয়র্ক শহরের ম্যাডিসন স্কোয়ারে 'কনসার্ট ফর বাংলাদেশ' এর আয়োজন করেছিলে তুমি।

আর তা হতে সংগৃহীত আড়াই লক্ষ মার্কিন ডলার তুমি অকাতরে দান করেছিলে বাংলাদেশের উদ্বাস্তুদের জন্য।

আমরা ভুলিনি - ভুলতে পারিনা তোমার সেদিনের সেই মহানুভবতার কথা।

২৯ নভেম্বর ২০০১ সালে তুমি চলে গেছ নশ্বর পৃথিবী ছেড়ে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে ভিনদেশি কণ্ঠযোদ্ধা জর্জ হ্যারিসন -

বাংলাদেশ তথা ফেসবুক পরিবারের পক্ষে তোমার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই আজকের এই বিশেষ দিনটিতে। ❤❤❤

Address

Sylhet

Telephone

+8801611040587

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when VoIcE Of HuMaNiTy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to VoIcE Of HuMaNiTy:

Share