01/07/2025
🌸 "ঘৃণা থেকে ভালোবাসা"
চরিত্র:
রুহি: শহরের নামকরা বড়লোক ব্যবসায়ীর মেয়ে, অহংকারী, বিলাসী জীবনযাপন করে।
ফারহান: এক গরিব ছেল, গ্রামের স্কুলে প্রাইভেট টিউশন করে আর ছোটখাটো কাজ করে সংসার চালায়।
✨ গল্প শুরু:
ঢাকার এক নামী কলেজে ভর্তি হয় ফারহান, ট্যালেন্টেড হলেও গরিব বলে তার জীবন বরাবরই সংগ্রামের। অন্যদিকে, রুহি ঐ একই কলেজে পড়ে, বিলাসী জীবন তার অহংকার, আর গরিবদের সে তাচ্ছিল্য করে।
রুহির সাথে প্রথম দেখা হয় কলেজের লাইব্রেরিতে। ফারহান একটি বই নিতে গেলে রুহি অপমান করে —
“এই বই তো আমাদের মতো স্ট্যান্ডার্ডের জন্য, তোমার মতো লোকদের জন্য না।”
ফারহান কিছু বলে না, চুপচাপ সরে যায়।
💔 ঘৃণা থেকে দূরত্ব:
দিন গড়ায়, রুহির অহংকার যেন আরও বাড়ে। কিন্তু ধীরে ধীরে সে দেখতে পায়, ফারহান বরাবরই সবার প্রতি সহানুভূতিশীল — বন্ধুদের পড়াতে সাহায্য করে, লাইব্রেরিয়ানকে বই গোছাতে সাহায্য করে, এমনকি কলেজের ঝাড়ুদারকে ওষুধ কিনে দেয়।
রুহির ভেতরে একটু একটু করে প্রশ্ন জাগে — “এত ভালো হতে পারে কেউ? এত কম থাকা সত্ত্বেও?”
😢 হঠাৎ এক ঝড়:
একদিন হঠাৎ করেই রুহি অসুস্থ হয়ে পড়ে। জানা যায়, তার কিডনিতে জটিল সমস্যা — নিয়মিত ডায়ালাইসিস না হলে তার প্রাণ বাঁচবে না।
সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার, তার রক্তের গ্রুপ অনেক বিরল — O Negative। পরিবার চারদিকে খুঁজেও ডোনার পাচ্ছে না।
ঠিক তখনই ফারহান চুপচাপ হাসপাতালে আসে। সে জানায়, তার রক্তের গ্রুপও O Negative, আর সে রুহির জন্য নিজের একটি কিডনি দিতে রাজি।
রুহির বাবা-মা বিস্মিত, কারণ তারা এই ছেলেটিকে বহুবার অপমান করেছে।
💖 ভালোবাসার জন্ম:
অপারেশন সফল হয়। রুহি নতুন করে জীবন পায়।
চোখ খুলে দেখে ফারহান পাশে বসে আছে — ক্লান্ত, কিন্তু মুখে শান্তির হাসি।
রুহি কান্নাভেজা কণ্ঠে বলে,
“তুমি আমার জীবন ফিরিয়ে দিয়েছো… আমি তো তোমাকে ঘৃণা করতাম… কিন্তু তুমি?”
ফারহান হেসে বলে,
“ভালোবাসা ঘৃণার জবাব দেয় না… শুধু অপেক্ষা করে, কবে তুমি বুঝবে — কে সত্যিই তোমার হয়ে আছে।”
🌹 গল্পের শেষ:
মাসখানেক পর রুহি পুরোপুরি সুস্থ হয়। সে কলেজে ফিরে আসে। ফারহান তখনো আগের মতো সাদামাটা পোশাকে, সবার পাশে।
কিন্তু এবার রুহি সবার সামনে গিয়ে তার হাত ধরে —
“এই ছেলেটি একদিন শুধু আমাকে ভালোবাসেনি, আমার জীবনও বাঁচিয়েছে। আমি তাকে ভালোবাসি… সমস্ত অহংকার আজ আমি ফেলে দিলাম।”
🌟 শেষ কথা:
ভালোবাসা কখনও ঘৃণায় হার মানে না।
অহংকার ভেঙে যায়, ভালোবাসা থেকে যায়।
একটা হৃদয় যখন সত্যিকারের নিঃস্বার্থ হয়,
তখন সেটাই সবচেয়ে বড় ধন।