Freelancer Nurul Amin

01/07/2025

"অচেনা পথের যাত্রী – একজন ব্যর্থ ফ্রিল্যান্সারের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প"

রাজিব ছিল এক স্বপ্নবাজ তরুণ। কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক শেষ করে সে ঠিক করল—চাকরির পেছনে না ছুটে ফ্রিল্যান্সিং-এ নিজের ভবিষ্যৎ গড়বে। ইউটিউব দেখে দেখে সে গ্রাফিক ডিজাইন শিখল, কয়েকটা কোর্সও করল। তারপর Fiverr-এ একটা আকর্ষণীয় গিগ বানাল, Upwork-এ প্রোফাইল খুলল।

প্রথম কয়েকদিনে সে ৫০টা বিড করল। কোনো রিপ্লাই নেই। দিন গেল, সপ্তাহ গেল। অথচ রাজিব প্রতিদিন ৮-১০ ঘণ্টা সময় দিচ্ছে, শেখার চেষ্টা করছে।

বন্ধুরা বলতে লাগল,
— “তুই এখনো Fiverr-এ বসে আছিস? চল অফিসে CV জমা দে।”
বাড়িতেও চাপ বাড়ল। মা বললেন,
— “বাবা, তুই কী করিস, সেটা কেউ বোঝে না। চাকরি কর না কেন?”

রাজিব চুপচাপ থাকত। কিন্তু ভেতরে ভেতরে ভেঙে পড়ছিল। নিজের প্রতিভা নিয়ে সন্দেহ জাগে তার মনে। নিজেকে প্রশ্ন করত,
— “আমি কি ব্যর্থ? অন্যরা যেখানে মাসে হাজার ডলার আয় করে, আমি একটাও কাজ পাচ্ছি না কেন?”

অবশেষে, এক রাতে সে ঠিক করল—ফ্রিল্যান্সিং ছেড়ে দেবে।

তবে, হাল ছেড়ে দেওয়ার আগে সে শেষবারের মতো একটা ভিডিও দেখতে ইউটিউবে ঢুকল। ভিডিওর নাম ছিল: “একটা কাজও না পেয়ে যারা সফল হয়েছে”। সেখানে এক ফ্রিল্যান্সার বলছিলেন:

“আমি প্রথম কাজ পাই ৭৪তম বিডে। জানো কেন? কারণ প্রথম ৭৩টা বিডে আমি শুধু কাজ চাইছিলাম। ৭৪তম বিডে আমি ক্লায়েন্টের সমস্যা বুঝে তাকে সমাধান দিয়ে ছিলাম।”

এই কথাগুলো রাজিবের মনে আঘাত করল। সে বুঝল—সে শুধু নিজের স্কিল দেখিয়ে কাজ চাইছিল, কিন্তু ক্লায়েন্ট কী চায়, সেটা কখনো গুরুত্ব দেয়নি।

পরদিন থেকে রাজিব নিজের কাজের ধরন পুরোপুরি পাল্টে দিল। সে কাস্টম প্রপোজাল লেখা শুরু করল, ক্লায়েন্টের ব্রিফ বুঝে সমাধান দিয়ে প্রস্তাব দিত। Behance ও Dribbble-এ নিজের পোর্টফোলিও সাজাল, প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় কাজ করত। নিজের প্রোফাইল SEO অপটিমাইজ করল।

২৮ দিন পর, Fiverr-এ একটি মেসেজ এলো—একজন ক্লায়েন্ট লোগো ডিজাইন চাচ্ছে।

রাজিবের চোখে জল চলে এলো।

সে সময়মতো কাজ জমা দিল, ক্লায়েন্ট খুশি হয়ে ৫-স্টার রিভিউ দিল। তারপর একে একে আরও কাজ আসতে লাগল।

আজ তিন বছর পর, রাজিব বাংলাদেশের একজন সফল ফ্রিল্যান্সার। প্রতি মাসে আয় করে ১,৫০০ ডলার। সে এখন নিজের একটা ছোট টিম চালায়, নতুনদের শেখায়।

ক্লাসে সে বলে,
— “আমি ব্যর্থ হইনি, আমি শিখেছিলাম। ব্যর্থতা মানেই থেমে যাওয়া না, বরং নতুনভাবে শুরুর সিগন্যাল।”

🧭 গল্প থেকে যেটা শেখার:
ব্যর্থতা আসবেই, কিন্তু হাল ছেড়ে দিলে কিছুই আসবে না।
শুধু স্কিল না, ক্লায়েন্টের প্রয়োজন বুঝে কাজ করতে জানতে হবে।
প্রতিদিন একটু একটু করে শিখে যাও — আজ না হলে কাল হবে।
সফল ফ্রিল্যান্সাররা সবাই একসময় ব্যর্থ ছিল, কিন্তু তারা থামেনি।

শেষ কথা:
“তুমি হয়তো এখন ব্যর্থ, কিন্তু যদি ধৈর্য ধরো, শিখো, নিজের ভুল বুঝে ঠিক করো—তবে তুমি হবেই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার।”

28/06/2025

কম্পিউটারের একদম জিরো থেকে এডভান্সড লেভেল পর্যন্ত একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হওয়া সম্ভব।

💻🔰 পর্যায় ১: একদম শুরু (জিরো লেভেল)
📌 লক্ষ্য: কম্পিউটারের বেসিক ধারণা তৈরি

✅ করণীয়:
🖥️ কম্পিউটার কী ও কীভাবে কাজ করে বোঝা
🖱️ মাউস ও কিবোর্ড ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন

📁 ফাইল ও ফোল্ডার ম্যানেজমেন্ট (Copy, Paste, Rename, etc.)

🧾 টাইপিং প্র্যাকটিস (বাংলা ও ইংরেজি)
🧮 MS Office শেখা:
📝 MS Word (ডকুমেন্ট লেখা ও ফরম্যাটিং)
📊 MS Excel (ডেটা এন্ট্রি, ফর্মুলা)
📽️ PowerPoint (প্রেজেন্টেশন তৈরি)

📚 শেখার মাধ্যম:

YouTube: "Computer Basics in Bangla"
ওয়েবসাইট: gcflearnfree.org
সফটওয়্যার: Typing Master, MS Office Practice

🧭💡 পর্যায় ২: স্কিল বাছাই ও ফোকাস
📌 লক্ষ্য: একটি নির্দিষ্ট স্কিল নির্বাচন করা

🎯 বেছে নিতে পারেন:

🎨 Graphic Design (Photoshop, Illustrator)
🛍️ Digital Marketing (SEO, Facebook Ads)
🧑‍💻 Web Design/Development (HTML, CSS, JS)
🧰 WordPress/Shopify Customization
✍️ Content Writing / Copywriting
📸 Video Editing / Motion Graphics

📌 টিপস:

একসাথে অনেক কিছু শেখা নয় ❌
একটি স্কিলে 🔍 ফোকাস করুন ✅
প্র্যাকটিস = প্রগ্রেস ✔️

🧑‍🏫🧠 পর্যায় ৩: স্কিল ডেভেলপমেন্ট (ইন্টারমিডিয়েট টু এডভান্সড)
✅ করণীয়:

🎓 একটি ভালো কোর্সে ভর্তি হওয়া (YouTube / Udemy / LinkedIn Learning)

🛠️ বাস্তব প্রজেক্টে কাজ করা (ফেক না, রিয়েল প্র্যাকটিস)

📂 পোর্টফোলিও তৈরি (Behance, GitHub, Dribbble, বা নিজের ওয়েবসাইটে)

📝 Soft Skills শেখা:

Communication ✉️
Time Management ⏰
Problem Solving 💡

📌 প্ল্যাটফর্ম:

Graphic Design: YouTube > Adobe Tutorials, Freepik Practice

Web Development: w3schools.com, freecodecamp.org

Marketing: Google Digital Garage (Free Certification)

🧳🚀 পর্যায় ৪: মার্কেটপ্লেসে পা রাখা (প্রফেশনাল শুরু)
📌 প্রস্তুতি:

✅ Fiverr / Upwork / Freelancer এ একাউন্ট খোলা
🖼️ প্রফেশনাল প্রোফাইল পিক ও সুন্দর বায়ো
📢 ভালো কভার লেটার ও কাস্টমাইজড অফার
🎯 নিজের স্কিল অনুযায়ী গিগ/বিড তৈরি

📌 প্রথম কাজ পেতে করণীয়:
🔍 Low competition niche নির্বাচন
💵 শুরুতে কম রেটে মানসম্মত কাজ করা
⭐ কাস্টমার রিভিউ ও সঠিক ডেলিভারি টাইম বজায় রাখা

📈👨‍💼 পর্যায় ৫: একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া
✅ করণীয়:

💰 ইনকাম বাড়ানো → Premium Clients খোঁজা
👥 নিজের টিম গঠন করা
🌍 নিজের ব্র্যান্ডিং (Website, LinkedIn, YouTube)
📚 আপডেটেড থাকা (নতুন ট্রেন্ড শেখা)

📌 একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সারের বৈশিষ্ট্য:

বিশ্বস্ত 🛡️
সময়নিষ্ঠ ⏱️
দক্ষ ✅
আত্মবিশ্বাসী 💼
সবসময় শেখার মানসিকতা 🎯

🌟 শেষ কথা:
🗣️ “কম্পিউটার শিখে কেউ গরীব থাকে না, যদি শেখাটা হয় মন থেকে।”

🔥 ব্যর্থতা থাকবে, কিন্তু ধৈর্য, অধ্যবসায় আর নিয়মিত চর্চাই আপনাকে সবার থেকে আলাদা করবে।

28/06/2025

ঢাকার এক গলির ছোট্ট ভাড়াবাড়িতে থাকত অভি। সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করা এক তরুণ। স্বপ্ন ছিল—নিজের আয় নিজেই করবে, পরিবারের হাত থেকে বোঝা সরাবে। পড়াশোনার পাশাপাশি ইউটিউবে দেখে দেখে সে ফ্রিল্যান্সিং শিখেছিল—ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইন, এমনকি একটু কোডিংও।

প্রথম দিকে অভি ছিল অনেক আশাবাদী। Fiverr ও Upwork এ প্রোফাইল করল, সুন্দর বায়ো লিখল, কিছু নমুনা কাজও বানাল। তারপর প্রতিদিন ১৫-২০টা করে বিড দিত। কিন্তু সপ্তাহ গেল, মাস গেল—কোনো রেসপন্স নেই।

ধীরে ধীরে হতাশা গ্রাস করল অভিকে। বন্ধুরা চাকরি করছে, কেউ কেউ বিদেশে যাচ্ছে, আর সে কিনা সারাদিন ল্যাপটপে ঘাঁটাঘাঁটি করেও এক টাকাও আয় করতে পারছে না। একদিন রাতে অভি নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করল:

— “আমি কি ভুল পথে হাঁটছি?”

তার বাবা বললেন, “তুই একটা চাকরি খুঁজে নে অভি, সবসময় এসব অনলাইন অনলাইন করে লাভ নেই।”
বন্ধুরাও হাসি ঠাট্টা করত, “তোর আবার ফ্রিল্যান্সিং! ক্লায়েন্ট দেখলেই পালায় বুঝি!”

অভি তখন প্রায় হাল ছেড়ে দিচ্ছিল।

কিন্তু এক রাতে ইউটিউবে সে এক সফল ফ্রিল্যান্সারের ইন্টারভিউ দেখল। লোকটা বলছিল,
“প্রথম ছয় মাস শুধু শেখা আর শিখে ঠিকভাবে প্রোফাইল গড়া দরকার। বিড করা মানেই কাজ পাওয়া না, কিন্তু বিডের ধরন ঠিক হলে, সময় দিলে কাজ আসবেই।”

এই কথা যেন অভিকে জাগিয়ে তুলল। সে বুঝতে পারল—সে শুধু কাজ খুঁজেছে, কিন্তু নিজেকে ঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেনি।

সে তার প্রোফাইল নতুনভাবে গঠন করল। নির্দিষ্ট একটা স্কিলে ফোকাস করল — UI/UX Design। Behance-এ পোর্টফোলিও সাজাল, LinkedIn একটিভ করল, আর Fiverr প্রোফাইলে SEO ঠিক করল। YouTube ও Blog থেকে প্রতিদিন ২-৩ ঘন্টা করে নতুন নতুন বিষয় শিখতে লাগল।

এবার সে কাস্টমাইজড কভার লেটার লিখতে শুরু করল, ক্লায়েন্টের প্রজেক্ট বুঝে বিড করত। ২ মাস পর, Upwork-এ একটা ছোট কাজের রিপ্লাই এলো — ১৫ ডলারের লোগো ডিজাইন।

অভি কাঁপা হাতে কাজ করল, সময়ের আগেই ডেলিভারি দিল। ক্লায়েন্ট মুগ্ধ হয়ে ৫ স্টার দিল। সেই প্রথম রিভিউ তাকে নতুন জ্বালানি দিল।

এরপর কাজ আসতে লাগল ছোট ছোট করে, কিন্তু অভি প্রতিটি কাজকে নিজের মতো যত্ন করে করত। সময়মতো ডেলিভারি, ক্লায়েন্টের কথায় নজর দেওয়া—সবকিছুতেই সে পেশাদার আচরণ বজায় রাখল।

ছয় মাসের মধ্যে তার ইনকাম ২০০ ডলার ছুঁলো। এক বছরের মাথায় অভি মাসে ৬০০–৮০০ ডলার আয় করতে লাগল। বাবা-মা আর কিছু বলতেন না, বরং নিজেরাই অতিথিদের বলতেন, “আমার ছেলে এখন অনলাইনে ডলার আয় করে।”

অভি এখন নিজের ছোট একটা টিম বানিয়েছে, গ্রামের কিছু তরুণকে ফ্রিল্যান্সিং শেখাচ্ছে।

একদিন, সে নিজের পুরনো ল্যাপটপে বসে নিজের জীবনের পথটা ভেবে বলল:
— “ব্যর্থতা হলো প্রথম ধাপ। শেখা না থামালেই সফলতা আসবেই।”

গল্পের শিক্ষণীয় দিক:

ফ্রিল্যান্সিংয়ে ধৈর্য ও ধারাবাহিকতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

শিখতে হবে, অনুশীলন করতে হবে, নিজেকে আপডেট রাখতে হবে।

ব্যর্থতা মানেই শেষ না, বরং এটা সাফল্যের পথে শেখার সুযোগ।

28/06/2025

গ্রামের নাম ছিল বাঁশবাড়ি। ছোট্ট শান্ত একটি গ্রাম, যেখানে মানুষজন মাটির ঘরে বাস করত, হালচাষ করত আর সন্ধ্যায় মাটির চুলায় রান্না করত। সে গ্রামে বাস করত রুমন নামে এক কিশোর। রুমন অন্যদের থেকে একটু আলাদা ছিল। তার চোখে ছিল জানার তীব্র আগ্রহ। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে সে প্রতিদিন গাছতলায় বসে পুরনো খবরের কাগজ পড়ত, স্কুলের বই ঘেঁটে নতুন জিনিস জানার চেষ্টা করত।

রুমনের বাবা মিজান মিয়া একজন কৃষক। দরিদ্র হলেও তিনি সবসময় ছেলেকে শিক্ষিত করার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু সংসারের অভাব-অনটনে ছেলের পড়াশোনার খরচ চালানো কঠিন হয়ে পড়ছিল।

একদিন রুমন বাজার থেকে ফিরছিল। পথে তার চোখ পড়ল রাস্তার পাশে ফেলে রাখা কিছু পুরনো বইয়ের দিকে। সে দৌড়ে গিয়ে দেখল, কিছু স্কুলের বই আর একটি ইংরেজি ব্যাকরণ বই। সে বইগুলো তুলে নিয়ে ঘরে ফিরে এলো। সেদিন থেকে শুরু হলো তার নতুন এক অভিযান — নিজে নিজে পড়াশোনা করে শেখা।

বইগুলো পুরনো হলেও তার মধ্যে ছিল নতুন জগতের দরজা। রাতের আঁধারে কেরোসিনের কুপি জ্বালিয়ে সে বই পড়ত, শব্দের মানে খুঁজত, নতুন তথ্য জানত। স্কুল বন্ধ থাকলে সে আশেপাশের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পড়াত। তারা তাকে “স্যার” বলে ডাকত মজা করে।

কিন্তু গ্রামে সবাই এমন ছিল না। কেউ কেউ বলত, “বই পড়ে কি পেট চলে?”
কেউ আবার হাসি ঠাট্টা করত, “রুমন বই পড়ে বড় নেতা হবে বুঝি?”

রুমন কখনো প্রতিবাদ করত না। সে চুপচাপ নিজের পথে হাঁটত। তার মা চুপচাপ মাথায় হাত বুলিয়ে দিত, বুঝত ছেলেটা কিছু একটা করতে চায়।

একদিন খবর এলো পাশের ইউনিয়নে একটি স্কুলে ভর্তি নেওয়া হবে। ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। রুমন ঠিক করল সে পরীক্ষা দেবে। মায়ের আঁচল ধরে বলল,
— “মা, আমি স্কুলে পড়তে চাই। আমায় যেতে দাও।”

মা কিছু টাকা জমিয়ে রেখেছিলেন, দিলেন ছেলের হাতে।
পরীক্ষার দিন, রুমন পরনের একমাত্র পরিষ্কার জামাটা পরে পরীক্ষায় বসল। প্রশ্ন দেখে তার মুখে হাসি ফুটল। বইয়ের পাতায় সে যেসব উত্তর খুঁজেছিল, তার অনেকটাই প্রশ্নে এসেছে।

এক সপ্তাহ পর ফলাফল প্রকাশিত হলো। রুমনের নাম প্রথমে। স্কুলে ভর্তি হয়ে গেল সে, আর সেখানে নতুন এক দুনিয়ার সঙ্গে পরিচয় হলো তার — লাইব্রেরি, বিজ্ঞান ল্যাব, কম্পিউটার ক্লাস।

তার শিক্ষকরা অবাক হয়ে গেল তার মেধা দেখে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক একদিন ডেকে বললেন,
— “তোমার চোখে আগুন আছে, রুমন। পড়ালেখা বন্ধ করো না। আমরা আছি তোমার পাশে।”

সময় বয়ে গেল। রুমন ধাপে ধাপে উচ্চমাধ্যমিক, তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলো। সেখানেও তার চেষ্টা অব্যাহত থাকল। একদিন সে সরকারি বৃত্তি পেয়ে বিদেশে পড়তে গেল।

পাঁচ বছর পর, বাঁশবাড়ি গ্রামে একটি নতুন ইভেন্ট — গ্রন্থাগার উদ্বোধন। বিশাল একটা ঘর, অনেক বই, ইন্টারনেট সুবিধা। উদ্বোধন করতে এলেন ড. রুমন মিজান — বাংলাদেশের একজন তরুণ শিক্ষাবিদ, গবেষক।

গ্রামের মানুষ তখন তাকে দেখে আর হাসে না। তারা গর্ব করে বলে, “এই ছেলেটা আমাদের গ্রাম থেকে উঠে এসেছে।”

রুমন মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলল,
— “এই গ্রন্থাগার কেবল বইয়ের ঘর না, এটা স্বপ্ন দেখার জায়গা। আমি একদিন রাস্তা থেকে বই কুড়িয়ে পড়েছি, আজ আপনাদের জন্য বই নিয়ে এলাম।”

গল্পের শিক্ষণীয় দিক:
এই গল্পটি আমাদের শেখায় যে অভাব কোনো বাধা নয়, যদি থাকে ইচ্ছাশক্তি ও অধ্যবসায়। জ্ঞানের আলো যেকোনো অন্ধকার ঘরকে আলোকিত করতে পারে। বই কেবল পৃষ্ঠা নয়, প্রতিটি পৃষ্ঠায় লুকিয়ে থাকে সম্ভাবনার এক একটি চাবি। সেই চাবির দরজা খুলে দিতে পারে ভবিষ্যতের দিগন্ত।

15/06/2025

🇧🇩 বেকারত্ব দূরীকরণে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের করণীয়
✅ ১. নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলা
শুধু সার্টিফিকেট না, ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

প্রতিটি তরুণ-তরুণীর উচিত—
কম্পিউটার দক্ষতা শেখা (MS Word, Excel, Email, ডিজিটাল সাইন)
ফ্রিল্যান্সিং/ডিজিটাল মার্কেটিং/গ্রাফিক ডিজাইন/ভিডিও এডিটিং
পেশাভিত্তিক কাজ শিখে আত্মকর্মসংস্থান (ইলেকট্রিশিয়ান, মেকানিক, বিউটিশিয়ান)
👉 দক্ষ মানুষ কখনো বেকার থাকে না।

✅ ২. উদ্যোক্তা হওয়ার মানসিকতা তৈরি
চাকরির পেছনে না ছুটে ছোট ছোট ব্যবসা শুরু করা
পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের উৎসাহিত করা ব্যবসা শুরু করতে
গ্রামে বা শহরে স্থানীয় সম্পদ ব্যবহার করে ছোট উদ্যোগ:
হাঁস-মুরগি পালন
অনলাইন ফুড ডেলিভারি
হস্তশিল্প/কাপড় ব্যবসা
অ্যাগ্রো প্রোডাক্ট/অর্গানিক ফার্মিং
👉 একজন উদ্যোক্তা নিজে কাজের সুযোগ তৈরি করে, অন্যকেও চাকরি দিতে পারে।

✅ ৩. কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া
১০ম শ্রেণির পর থেকেই ছেলেমেয়েদের কারিগরি শিক্ষায় উৎসাহিত করা
গার্মেন্টস, হসপিটালিটি, ড্রাইভিং, ফার্মিং, টেকনিক্যাল কোর্স
টিএসসি (TSC), পলিটেকনিক, বিএমইটি (BMET)-এর কোর্সগুলো করানো

✅ ৪. ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আয় করা
ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক—এই প্ল্যাটফর্ম গুলোতে অর্থ উপার্জনের সুযোগ

ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং: Fiverr, Upwork, Freelancer, PeoplePerHourঅনলাইন টিউটরিং, কোর্স তৈরি, কনটেন্ট ক্রিয়েশন
👉 ডিজিটাল জগতে কাজের অভাব নেই, প্রয়োজন শুধু দক্ষতা ও ইচ্ছা।

✅ ৫. সমবায় ভিত্তিক উদ্যোগ গড়ে তোলা
৪-৫ জন মিলে মিনি ফার্ম, মৎস্য প্রকল্প, ক্ষুদ্র শিল্প তৈরি করা
সমবায় ভিত্তিক ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবহার করে আত্মনির্ভর হওয়া

✅ ৬. মেয়েদের কর্মসংস্থানে উৎসাহ দেওয়া
মেয়েদের কর্মজীবী হিসেবে গড়ে তুললে পারিবারিক আয় বাড়বে
ঘরে বসেই মেয়েরা করতে পারে:
অনলাইন হস্তশিল্প
কেক-বেকারি ব্যবসা
ইউটিউব / ফ্রিল্যান্সিং
বুটিক হাউজ বা অনলাইন দোকান

✅ ৭. অভিভাবক ও সমাজপতির দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন
শুধু “চাকরি” নয়, কাজকে সম্মান জানানো
সন্তানদের যেকোনো কাজ শেখাতে উৎসাহিত করা
“নিজে কিছু করো” সংস্কৃতি গড়ে তোলা

✅ ৮. প্রবাসে কর্মসংস্থানে প্রস্তুতি নেওয়া
বিদেশে চাকরির জন্য ভাষা শিক্ষা, স্কিল ডেভেলপমেন্ট
BMET বা অভিবাসন সংস্থার মাধ্যমে নিরাপদ বিদেশযাত্রা
সঠিকভাবে পাসপোর্ট, প্রশিক্ষণ ও তথ্য নিয়ে আগানো

✅ ৯. সামাজিক উদ্যোগ ও স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম
স্থানীয় পর্যায়ে যুবসমাজকে প্রশিক্ষণ দেওয়া
"একটি পরিবার, একটি কর্মসংস্থান" মডেল চালু করা
NGO / সরকারি স্কিমের আওতায় সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা

✅ ১০. সরকারি সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে সচেতনতা
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ট্রেনিং
SME Foundation / PKSF এর লোন প্রোগ্রাম
স্টার্টআপ বাংলাদেশ প্রকল্প

👉 যারা জানে না, তারা সুযোগ পায় না।

🌟 শেষ কথাঃ
"বেকারত্ব দূর হবে তখনই, যখন আমরা প্রত্যেকে নিজেকে কর্মক্ষম করে তুলব এবং অন্যকেও কাজের সুযোগ তৈরি করে দিতে সাহায্য করব।"

15/06/2025

✅ ১. মানসিক প্রস্তুতি ও উদ্যোক্তা মনোভাব গঠন
উদ্যোক্তা মানসিকতা: ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, লিডারশিপ, অধ্যবসায়

Self-assessment: আপনি কিসে ভালো? আপনার আগ্রহ/দক্ষতা কোন দিকে?

পড়ুন/দেখুন:

“Think and Grow Rich” by Napoleon Hill
“Rich Dad Poor Dad” by Robert Kiyosaki
TED Talks on entrepreneurship

✅ ২. আইডিয়া তৈরি ও যাচাই
বাজারের চাহিদা বুঝুন: কী সমস্যা আছে যা আপনি সমাধান করতে পারেন?

স্টাডি করুন: কোন সেক্টরে প্রবেশ করবেন — ফ্যাশন, এগ্রো, এফ-কমার্স, আইটি, ইউটিউব, ফুড, সার্ভিস, ইত্যাদি।

আইডিয়ার viability যাচাই: এটা লাভজনক হবে? কাস্টমার আছে? প্রতিযোগিতা কেমন?

Tools:

Google Trends
Facebook Groups
Quora, Reddit, YouTube Comments

✅ ৩. বিজনেস প্ল্যান তৈরি
One-page business plan করুন:

সমস্যার ধরন
সমাধান (আপনার প্রোডাক্ট/সার্ভিস)
টার্গেট মার্কেট
মার্কেটিং কৌশল
মূলধন / বাজেট
লাভের পদ্ধতি (Revenue Model)

শেখার রিসোর্স:

Udemy: Business Planning
YouTube: “How to make a Business Plan”

✅ ৪. মার্কেট স্টাডি ও কাস্টমার বুঝে ওঠা
Target Audience Analysis

Survey করুন (Google Form, ফোন, ইনবক্সে প্রশ্ন)
Customer Persona তৈরি করুন
Competitor Analysis করুন

টুলস:

SWOT Analysis
Customer Journey Map

✅ ৫. মূলধন সংগ্রহ বা ফাইনান্সিং
নিজের জমানো টাকা (Bootstrapping)

Family/Friends
Bank Loan (SME loan)
Venture Capital / Angel Investors
Crowdfunding (GoFundMe, Kickstarter)

✅ ৬. ব্যবসা শুরু করার আইনি দিক
Business Name Registration

Trade License নেওয়া
ব্যাংক একাউন্ট খোলা (ব্যবসায়িক)
TIN Certificate (যদি লাগে)
Online Payment Setup (Nagad, bKash, SSLCOMMERZ)

✅ ৭. প্রোডাক্ট/সার্ভিস ডেভেলপমেন্ট
Prototyping (নমুনা তৈরি)

Feedback নিন (প্রথম ১০ জন কাস্টমার)
Improve করুন

✅ ৮. মার্কেটিং ও বিক্রয় (Sales)
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা

Facebook Boost/Ads
YouTube Content
SEO
Email Marketing
Influencer Marketing
Branding করুন
নাম, লোগো, স্লোগান
page, Website

কোর্স:

Google Digital Garage
HubSpot Free Marketing Course
YouTube: Neil Patel, GaryVee

✅ ৯. ব্যবসার পরিচালনা ও টিম গঠন
ডেলিভারি ও প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট

Customer Service
টিম মেম্বার নিয়োগ
Accountant
Delivery Person
Marketing Assistant

✅ ১০. গ্রোথ ও স্কেলিং
নতুন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস অ্যাড করুন

অন্য শহরে বা দেশে এক্সপ্যান্ড করুন
অটোমেশন আনুন (POS, CRM, Chatbot)

✅ ১১. রিপোর্টিং ও হিসাব রাখার অভ্যাস
দৈনিক বিক্রয় রিপোর্ট

মাসিক লাভ-ক্ষতির হিসাব
ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট

✅ ১২. ব্যর্থতা ও পুনরায় চেষ্টা
ব্যর্থ হলে শেখা ও পুনরায় পরিকল্পনা

Pivot করুন (নতুনভাবে পরিকল্পনা করুন)
Networking ও Mentorship নিন

📚 সাজেশন: শেখার জন্য বাংলা কোর্স/প্ল্যাটফর্ম
10 Minute School – উদ্যোক্তা বিষয়ক কোর্স

Shikhbe Shobai – ডিজিটাল মার্কেটিং
Bohubrihi – স্টার্টআপ গাইড

Bdjobs Training

YouTube Channels: "Startup Bangladesh", "Young Entrepreneurs"

✅ সংক্ষেপে উদ্যোক্তা হবার জন্য চেকলিস্ট
ধাপ কাজ
১ আইডিয়া ঠিক করা
২ বিজনেস প্ল্যান লেখা
৩ মার্কেট স্টাডি ও কাস্টমার বোঝা
৪ মূলধন সংগ্রহ
৫ ব্যবসা রেজিস্ট্রেশন ও শুরু
৬ বিক্রয় ও মার্কেটিং
৭ স্কেলিং ও উন্নয়ন

09/06/2025

Importance of you video SEO for real estate business

The Importance of YouTube Video SEO for Real Estate Businesses

YouTube video SEO is a game-changer for real estate businesses. Here’s why it’s essential and how it can directly boost visibility, leads, and sales:

✅ 1. Higher Visibility in Search Results
YouTube is the second-largest search engine, and Google often ranks YouTube videos at the top of its results.

With proper video SEO (title, tags, description, closed captions), your listings and services can rank for property-related keywords like:

✅ 2. Increased Engagement with Visual Content
Real estate is a visually driven industry—potential buyers want to see what they’re investing in.

Video tours, drone footage, and neighborhood walkthroughs build trust and interest.

SEO ensures these high-quality videos actually get discovered.

✅ 3. More Qualified Leads
When your videos are optimized and attract the right audience, you're more likely to get leads that convert—people actively searching for properties, not just browsing.

Calls-to-action in videos (e.g., “Call us to book a tour”) + SEO = better conversion funnel.

✅ 4. Builds Brand Authority & Trust
Consistent, optimized content helps position you as a local real estate expert.

Educational content like “How to get a home loan” or “Property buying process” builds authority and shows you're here to help, not just sell.

✅ 5. 24/7 Marketing Agent
SEO-optimized videos work for you day and night.

Once ranked, a good video can bring traffic and leads for months or even years with zero ad spend.

✅ 6. Competitive Advantage
Most agents upload listings but ignore SEO.

If you optimize your videos with:
Targeted keywords
Geo-tags
Eye-catching thumbnails

Structured descriptions
…you’ll outrank your competition—and attract more clients.

💡 Real-Life Example:
A realtor in Miami used SEO on his YouTube videos to target "Luxury condos in Brickell." One video hit 100K+ views, generating $2M+ in property sales—all organic.

🔑 Conclusion:
Without SEO, your videos are like billboards in the desert—they exist, but no one sees them.
With SEO, your real estate business becomes searchable, visible, and profitable.

26/05/2025

মনোভাবের গুরুত্ব
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা

একজন লোক মেলায় লাল-নীল-হলুদ-সবুজ ইত্যাদি অনেক রংয়ের বেলূন বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করত। কখনও কখনও তার বিক্রি কমে গেলে, সে হিলিয়াম গ্যাসে ভর্তি একটি বেলুন আকাশে উড়িয়ে দিত। বিলুনটিকে আকাশে উঠে যেতে দেখলে উৎসাহী বাচ্চারা বেলুনওয়ালার কাছে ভিড় করে তার বিক্রি বাড়িয়ে দিত। সারাদিন এই পদ্ধতিতে বেলুনওয়ালা বেলুন বিক্রি করত। একদিন পিছন থেকে জামায় টান পড়াতে বেলুনওয়ালা মুখ ফিরিয়ে দেখল একটি বাচ্চা ছেলে। ছেলেটি জিজ্ঞাস করল, কালো রংয়ের বেলুনও কি আকাশে উড়বে? বালকটির অত্যধিক আগ্রহ লক্ষ্য করে লোকটি তাকে আশ্বস্ত করে বলল, ভাই, রংয়ের জন্য বেলুন আকাশে ওড়ে না, ভেতরের গ্যাস বেলুনকে আকাশে ওড়ায়।

মানুষের জীবনেও এ কথা সত্য। আমাদের বিতরে কি আছে সেইটাই প্রধান। আমাদের ভিতরে যে জিনিসটি আমাদের উপরে সাহায্য করে তা হোল আমাদের মানসিকতা।

আপনারা কি কখনও চিন্তা করে দেখেছেন, কেন কোনও কোও ব্যক্তি, সংস্থা বা দেশ অন্যদের তুলনায় বেশি সফল?

এর মধ্যে কোনও গূঢ় রহস্য নেই। সফল ব্যক্তিরা একটি নির্দিষ্ট ও কাঙ্খিত ফললাভের জন্য চিন্তা ও কাজ করেন। তারা জানেন, ফললাভের লক্ষ্যে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ মানুষ। তারা আরও জানে তাকে কিভাবে গড়ে তুলে কাজে লাগাতে হয়। আমার বিশ্বাস যে কর্মীর গুণমানের উপর যে কোনও ব্যক্তি, সংস্থা ও দেশের সাফল্য নির্ভর করে।

25/05/2025

🐦দুই বন্ধু ও চড়ুই পাখি 🐦
দুই বন্ধু বনভোজন করতে গিয়েছিল। এক বন্ধু একটি চড়ুই ধরে খাঁচায় পুরে নিয়ে যায়। অন্য বন্ধু বলল, “এটা উড়ে বেড়ানোর জন্য, বন্দি করো না।”
প্রথম বন্ধু হেসে উড়িয়ে দেয়। বছরখানেক পরে সে আবার সেই স্থানে গিয়ে দেখে, সেই চড়ুই তাকে চিনে এসেছে—কাছে এসে বসে।

25/05/2025

এক লোক নদীর পাড়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তার পায়ে একটি ছোট পাথর ঠেকে গেল। তিনি বিরক্ত হয়ে পাথরটিকে ছুড়ে ফেললেন। হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করলেন পাথরের মধ্যে হীরা জ্বলছে!

জীবনে অনেক “তুচ্ছ” জিনিস আসলে অনেক মূল্যবান হয়, যদি আমরা তা চিনতে পারি। সবকিছু অবহেলা না করে, খোঁজ নেওয়া উচিত। 👍

15/05/2025

"ব্যর্থতা শেষ নয়, এটি নতুন শুরুর এক ধাপ মাত্র। যারা হেরে গিয়েও উঠে দাঁড়ায়, তারাই একদিন ইতিহাস গড়ে। তাই থেমে যেও না—তোমার গল্প এখনো শেষ হয়নি!"

23/04/2025