31/08/2025
ছেলের বয়স মাত্র ১৩।
বাবা মা খুব শখ করে ২০০৭ সালে ছোট্ট ছেলেটাকে বিয়ে দিয়ে আর একটা পুতুলের মত, মনের মত ছোট্ট বৌ নিয়ে আসে ঘরে।
ছেলে কবির একদম সরল সোজা মানুষ।
ছেলে আর ছেলের বৌকে নিয়ে সুখে দিন কাটাচ্ছিল কবিরের বাবা মা।
কিন্তু কবিরের চাচা ফুফাদের এই সুখে এলার্জি শুরু হল!
তার ফুফুাতো,চাচাতো ভাইদের কুনজর পড়ল কিশোর কবিরের ছোট্ট পুতুলের মত বৌটার উপর আর তাদের ভিটা বাড়ির উপর।
কবির নিজেই কিশোর। তার উপর সরল সোজা।
এক রাতে কবিরের চাচাতো, ফুফাতো ভাইয়েরা কবিরের বৌটাকে কলংকিত করল 😡আর অসহায় মেয়েটি জানোয়ারদের সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে এক সময় এ পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল😭!
মরে গেল মেয়ে টা😭
সেই সাথে মরে গেল কবিরের গোটা পরিবারের সুখ টা😭!
কবিরের বাবা ভালো মানুষ।
তার চাচা, ফুফুরা ছিল ধুরন্দর!
কবিরের নামে উল্টো স্ত্রী হত্যার মামলা দিল তারা।
আর বোকাসোকা কবিরকে তার ধুরন্ধর চাচা শিখিয়ে দিল,সে যেন আদালতে যেয়ে সাক্ষী দেয়,যে সে নিজে বৌ কে মে'রে ফেলেছে 😡!
কবিরকে বোঝালো,যদি সে এটা সাক্ষী দেয়,তাহলে তাকে ছেড়ে দিবে। নয়ত তার বাবা মাকেও পুলিশে ধরে নিয়ে যাবে!
১৪ বছরের বোকাসোকা, সরল সোজা এবং সদ্য বৌ হারা কিশোর তখন চাচাদের চালাকি বুঝতে পারে নি।সে চাচাদের শেখানো অনুযায়ী আদালতে স্বীকার করে যে,সে বৌকে হত্যা করেছে!
এরপর তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়😭!
এদিকে চতুর চাচারা,তাদের দীর্ঘদিনের করা পরিকল্পনায় সফল হয়।
কবিরদের জমি দখল করে নেয়।আর তার বাবা মা কে বের করে দেয় ঘর থেকে 😭।
কবিরের মা মারা যায় 😥!
আর অসহায় ভালো মানুষ বাবা রাস্তায় রাস্তায় সর্ব শান্ত হয়ে ভগ্নহৃদয়ে ভিক্ষা করে বেড়ায়।
দীর্ঘ ১৯ বছর পর আল্লাহর দয়ায়, কবিরের বিচার শিথিল করা হয়।
তাকে আদালত মুক্ত করে দেয়।
আলহামদুলিল্লাহ!
কিন্তু কবির মুক্ত হয়ে দেখে,কবিরের মা নেই।
ঘর নেই।
ভিটা নেই।
আছে শুধু বাবা।
তিনিও রাস্তায় ভিক্ষা করেন😭!
এতবছর পর সন্তানকে ফিরে পেয়ে বৃদ্ধ অসহায় বাবা সন্তানকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদেন😭😭!!
👉যারা কবিরের কৈশোর, তারুণ্য, পরিবার, মা,প্রিয়তমা স্ত্রী, ভিটা এবং ১৯টা বছরের স্বাধীনতা কেড়ে নিল,তাদের বিচার কি হবে?