26/05/2024
কেমন নারীর বিয়ের জন্য উত্তম??
চরিত্র ও আমলে যে ভালো সেই জীবনসঙ্গী হিসেবে উত্তম। যে ধর্মেরই হোক না কেন ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে যার জীবন তার থেকেই বেশি শান্তি আশা করা যায়।
যে নারী তার রব কে ভালোবাসে, ভয় করে, আদেশ নিষেধ মেনে চলে,স্বামীর হক সম্পর্কে ভালো মতো জানে আশা করি বিয়ের পর স্বামীর খেদমত, সন্তুষ্টিতে সে একধাপ এগিয়ে থাকবে।
বাহ্যিক সুরত না অন্তরের সৌন্দর্যকেই মুখ্য গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আমল ও আখলাক সুন্দর হলে অনেক সময় শ্যাম বা কালোবর্নের মেয়েরাও বেশ ভালো সংসারি হয়ে থাকে। কিন্তু আফসোস তো এটাই যে এযুগে ছেলেরা ফর্সার কাছে দ্বীনের আলোকে কম্প্রোমাইস করে।
অনেক মেয়েদেরই বিয়ের আগে অন্যত্র সম্পর্ক থাকে। বিয়ের আগে এক বা একাধিক পুরুষের সাথে প্রাক বৈবাহিকজীবনে অবাধ মেলামেশা করলে বিয়ের পর দূর্বল স্বামীকে বিভিন্ন সময়ে অপমান অপদস্ত হেয় হতে হয়। কেননা পূর্বের বেড পার্টনারের স্মৃতি ভুলতে না পেরে স্বামীর সাথে রূঢ় আচরণ করে।
স্ত্রী যদি বাবার বাড়িতে ঘরোয়া আদব কায়দা না শিখে,আত্মীয় স্বজন উশৃংখল হলে প্রতোক্ষ বা পরোক্ষভাবে স্ত্রীর উপর প্রভাব পড়বে এবং এতে করে স্বামী ও সন্তানের উপর ও কিছুটা প্রভাব পড়ে তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে।
বিয়েতে কাছর আত্মীয় স্বজন এড়িয়ে চলা ভালো কেননা এতে যৌন আকর্ষন কম হওয়া এবং সন্তানদের মধ্যে ও কিছু জেনেটিকেলি রোগ হতে পারে। দ্বীনদার,সুশ্রী,মায়াবী হাসিখুশি স্বভাবের মেয়েরা ভালো হয়।
যে নারী বিয়ের আগে চরিত্র হেফাজত করে এবং স্বামীর হক আদায় করে পরকীয়ায় লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
গোনাহ কে গোনাহ জানতে হবে,অন্তরের ঘৃনা করতে হবে।
সাময়িক সুখের জন্য অবাধ মেলামেশা কে না বলি। যারা যি-না ব্যভিচারে আসক্ত, তারা না ব্যক্তিগত ভাবে সুখী আর না সংসার জীবনে!! এবং অসুখী মানুষের সোহবতে আপনি কখনও সুখী হবে না।
যাকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন সে শুধু স্ত্রীই নয়, সে হবে আপনার ভবিষ্যত সন্তানের মা। এজন্য প্রথমেই তিনি কেমন মা হবেন মনে একটা ধারনা রাখবেন। সুসন্তান সংসারকে আলোকিত করে এবং পিতামাতা কে গর্বিত করে।
বয়সের ব্যবধান ৪-৬ বছর হলে ভালো হবে এবং কুমারী নারী বিয়ের জন্য উত্তম।