10/08/2025
📸 এই পুলিশ ভাইয়ের পোস্ট,,, একটি ছবি… আর স্মৃতির ঝড়
মাইলস্টোনের সেই পাইলট স্যারের সঙ্গে আমার জীবনের অবিস্মরণীয় মুহূর্ত
আজ হঠাৎ গুগল ফটো স্ক্রল করতে করতে থেমে গেল চোখ…
একটি পুরনো ছবি—আমার পাশে এক ভদ্র, বিনয়ী, সদা হাস্যোজ্জ্বল মানুষ।
প্রথমে চিনতে পারিনি, কিন্তু কয়েক সেকেন্ড পরেই বুকের ভেতর কেমন যেন কেঁপে উঠল…
মনে পড়ে গেল দেড় বছর আগের এক সকাল।
📅 ২৫ জানুয়ারি ২০২৪
সকালবেলা আমি মোহাম্মদপুর মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে ডিউটিতে ছিলাম। হঠাৎ এক কর্মচারী কুড়িয়ে দিলেন—একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স, আইডি কার্ড আর কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র।
আইডি কার্ডে থাকা নম্বরে ফোন করতেই জানতে পারি—এগুলোর মালিক একজন পাইলট, নাম তৌকীর ইসলাম স্যার। তখন স্যার ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন। আমি বললাম, “স্যার, জাহাঙ্গীর গেট শাহীন স্কুলের সামনে আসুন, আমি আমার সন্তানকে নিতে যাচ্ছি—ওখানেই আপনাকে কাগজগুলো দেব।”
স্কুল ছুটির সময় দেখা হলো। হাতে তুলে দিলাম তাঁর হারানো কাগজপত্র। বিনিময়ে পেলাম এক আন্তরিক হাসি, কৃতজ্ঞতার উষ্ণতা… আর একটি ছবি।
আজ সেই ছবিটিই খুলে বসে আছি আমার চোখের সামনে—আর মন ভেসে যাচ্ছে সেদিনের মুহূর্তে।
কিন্তু আজ এই ছবির মানুষটির খবর পেলাম একেবারে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে…
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার সংবাদে যখন তৌকীর ইসলাম স্যারের নাম ও ছবি দেখলাম—হৃদয় যেন হিম হয়ে গেল। ছবির মিলন আর আইডি কার্ডের স্মৃতি মিলিয়ে নিশ্চিত হলাম—এই ছবির মানুষটিই সেই পাইলট স্যার, যাঁকে আমি একদিন তাঁর হারানো জিনিস ফিরিয়ে দিয়েছিলাম।
আল্লাহ তৌকীর ইসলাম স্যারসহ এই দুর্ঘটনায় নিহত সকলকে জান্নাতবাসী করুন।
আহতদের দ্রুত সুস্থতা দান করুন এবং তাঁদের প্রিয়জনদের মাঝে ফিরিয়ে দেওয়ার তৌফিক দিন।
আমিন। 🕊