
25/09/2024
প্রিয়নবী (সা.) এর ব্যবসায়িক জীবন: এক আদর্শ উদ্যোক্তার জীবন কাহিনী
মক্কার বালুকাময় মরুভূমিতে একদিন এক সূর্যের মতো উজ্জ্বল নুর জন্মগ্রহণ করেছিল। সেই নুরই ছিলেন আমাদের প্রিয় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তিনি ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা, যার জীবনকাহিনী অনন্তকালের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
কিশোর বয়স থেকেই ব্যবসা-বাণিজ্যের জগতে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। চাচা আবু তালেবের সঙ্গে বিভিন্ন দেশে বাণিজ্য সফরে যান। সততা, বিশ্বস্ততা ও কর্মদক্ষতার কারণে তিনি খুব দ্রুত সবার প্রিয় হয়ে ওঠেন। তাঁর সততা এত পরিচিত ছিল যে, লোকেরা তাঁকে ‘আল-আমিন’ অর্থাৎ বিশ্বস্ত বলে ডাকত।
খাদিজা (রা.) নামে এক সমৃদ্ধ ব্যবসায়ীর সাথে তাঁর বিবাহ হয়। খাদিজা (রা.) তাঁর বিশ্বস্ততা ও কর্মদক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে তাঁকে নিজের বাণিজ্যিক কাজে সঙ্গী করেন। মহানবী (সা.) তাঁর বিশ্বাস ভাঙেননি। বরং তাঁর ব্যবসাকে আরও উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যান।
তিনি কেবল ব্যবসায়ীই ছিলেন না, ছিলেন একজন দক্ষ পরিচালকও। মুদারাবার ধারণা অনুযায়ী তিনি ব্যবসা করতেন। অর্থাৎ লাভ উভয় পক্ষের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া হতো। এই সিস্টেম আজকের দিনেও ব্যবসায়িক জগতে প্রচলিত।
নবুয়তপ্রাপ্তির পরেও তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে গিয়েছিলেন। তবে এবার তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল ইসলামের প্রচার। তিনি ব্যবসাকে ইসলামের সাথে মিলিয়ে নতুন এক পথ দেখিয়েছিলেন।
আজও যখন আমরা ব্যবসায়িক জগতের জটিলতা আর প্রতিযোগিতার মধ্যে হাবুডুবু খাই, তখন মনে পড়ে যায় মহানবী (সা.) এর সরলতা আর নিষ্ঠার কথা। তিনি শুধু ব্যবসা করেননি, তিনি ব্যবসাকে একটি নৈতিকতা দিয়েছিলেন। তাঁর জীবনকাহিনী আমাদেরকে শিখিয়েছে যে, ব্যবসা কেবল মুনাফা অর্জনের মাধ্যম নয়, এটি মানুষের সেবা করার একটি উপায়।
তিনি ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী, একজন মহান নেতা এবং সর্বোপর একজন মানবতাবাদী। তাঁর জীবন আমাদের জন্য এক আদর্শ। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরাও সফল ব্যবসায়ী হতে পারি এবং একই সাথে সমাজের উন্নতির জন্য কাজ করতে পারি।
আমরা সবাই মহানবী (সা.) এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে সফল ব্যবসায়ী হতে পারি এবং একই সাথে সমাজের উন্নতির জন্য কাজ করতে পারি। আসুন আমরা সবাই মিলে তাঁর আদর্শকে জীবনে বাস্তবায়িত করি।