স্মৃতি ছেড়া পাতা Sriti Chera Pata

স্মৃতি ছেড়া পাতা Sriti Chera Pata কিছু ভালো লাগা কথা, কিছু ভালোবাসার কথা, কিছু কষ্টের কথা, মন কে ভালো রাখার জন্য কিছু সময় কাটানো। সব কিছু ভরপুর

হায়রে গোপালগঞ্জ, গোপালগঞ্জ খবর এখন সারা দুনিয়া কাপছে, গোপালগঞ্জ। গরম খবর
16/07/2025

হায়রে গোপালগঞ্জ, গোপালগঞ্জ খবর এখন সারা দুনিয়া কাপছে, গোপালগঞ্জ। গরম খবর

ডান কাত হয়ে ঘুমানোর বৈজ্ঞানিক মু’জিযা, আপনার সময়ের মাত্র ৬০ সেকেন্ড নিন !চলুন একসাথে জেনে নিই !💐 ১. কেউ কেউ পেটের উপর ...
11/07/2025

ডান কাত হয়ে ঘুমানোর বৈজ্ঞানিক মু’জিযা, আপনার সময়ের মাত্র ৬০ সেকেন্ড নিন !
চলুন একসাথে জেনে নিই !
💐 ১. কেউ কেউ পেটের উপর ভর করে ঘুমান।
💐 ২. কেউ কেউ পিঠের উপর শুয়ে ঘুমান।
💐 ৩. কেউ কেউ বাম কাত হয়ে ঘুমান।
💐 ৪. কেউ কেউ ডান কাত হয়ে ঘুমান।
১. পেটের উপর ঘুমানো:
এই অবস্থায় ঘুমালে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, কারণ দেহের ওজন এবং হাড়ের কাঠামো ফুসফুসের উপর চাপ ফেলে।
👈 তাই, পেটের উপর ঘুমানো স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
৩. বাম কাত হয়ে ঘুমানো:
সাধারণভাবে খাবার হজম হতে ২ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় লাগে।
কিন্তু বাম কাত হয়ে ঘুমালে হজম হতে লাগে ৫ থেকে ৮ ঘণ্টা, কারণ ডান ফুসফুস বড় হওয়ায় তা হৃদয় এবং যকৃৎকে চাপ দেয়।
ফলে যকৃৎ, যা শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ, সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না এবং অস্বস্তি তৈরি হয়।
👈 অতএব, বাম কাত হয়ে ঘুমানোও স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
৪. ডান কাত হয়ে ঘুমানো:
ডান কাত হলে, বাম ফুসফুস যেহেতু ছোট ও হালকা, তাই চাপ কম পড়ে।
আর যকৃৎ শরীরের নিচে স্থির হয়ে থাকে, ফলে হজম দ্রুত হয়।
💐 তাই, এটাই ঘুমানোর সবচেয়ে উত্তম উপায়—স্বস্তিদায়ক এবং উপকারী।
হাদীস দ্বারা প্রমাণ:
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“যখন তুমি শোবার যায়, তখন নামাযের ওযু করো, তারপর ডান কাত হয়ে শুয়ে পড়ো এবং বলো:
اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ...”
📖 সহীহ বুখারী ও মুসলিম (মত:আলাইহি)
প্রাচীন বাণী:
পিঠের উপর ঘুমানো: রাজাদের ঘুম
পেটের উপর ঘুমানো: শয়তানের ঘুম
বাম কাত হয়ে ঘুমানো: ধনীদের ঘুম (অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে)
ডান কাত হয়ে ঘুমানো: পরহেযগার ও আলেমদের ঘুম
🌟 আর এটি-ই ছিল রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর ঘুমানোর ভঙ্গি।
📚 এই কল্যাণকর জ্ঞান ছড়িয়ে দিন, কারণ কল্যাণের দিকনির্দেশক তার কার্যসম্পাদনকারীর মতোই পুরস্কার পাবেন।
🕋🤲 আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম ওয়া বারিক ‘আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মদ !

বাবার রুমের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম।হঠাৎ মনে হল একটু বাবার রুম থেকে ঘুরে আসি।অনেকদিন হল বাবার রুমে যাওয়া হয় না।বিয়ের পর থেকেই...
06/07/2025

বাবার রুমের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম।হঠাৎ মনে হল একটু বাবার রুম থেকে ঘুরে আসি।অনেকদিন হল বাবার রুমে যাওয়া হয় না।বিয়ের পর থেকেই বাবার সাথে আগের মত সময় কাটানো হয় না।শুক্রবারে সময় পেলেই বউকে নিয়ে ঘুরতে চলে যায়।বাবা গেছেন কিছু ঔষধ আনতে।আমি বাবার রুমে ঢুকে দেখি রুমটা খুব এলোমেলো।খুব অগোছালো।ঠিক যেমন একটা ছোট্ট বাচ্চার রুম।বাবার বয়স হয়েছে।শরীরটারও দিন দিন অবনতি ঘটছে।আমার সাথে তার অনেকদিন কথাতো দূরে থাক তার চেহারাটাও দেখি না।সারাদিন অফিস করে রাত করে বাসায় আসি।এসে খেয়ে দেয়ে ঘুমায় পড়ি।সকালে উঠে আবার অফিসে চলে যায়।বাবাকে নিয়ে ভাবার সময় আমার নাই।আমি জুইকে ডাক দিলাম।জুই বাবার রুমে এসে বলল,
-কি হয়েছে এতো চিৎকার করছো কেনো??
-বাবার রুমটা এত অপরিষ্কার আর অগোছালো কেনো??
-তো আমি কি করবো??
-কি করবে মানে?তোমাকে না বলেছি বাবার যত্ন নিতে।
-আমি কি প্রতিদিন শুধু ওনাকে নিয়ে পড়ে থাকবো নাকি।যত্তসব।বাড়ির আরো অনেক কাজ আমাকে করতে হয়।
-তাই বলে বাবার যত্ন নিবে না।
-কেনো?ওনাকে সময় মতো খাওয়াচ্ছি।সময় মতো ঔষধ দিচ্ছি এসব কি যত্ন নেওয়া না।
আমি কিছু বলিনি আর।জানি ওকে কিছু বলে লাভ হবে না।ও এমনই।খুব জেদি।ভালোবেসে বিয়ে করেছি।তাই এসব সহ্য করতে হচ্ছে।জুই চলে গেলো রান্নাঘরে।আমি চুপচাপ বাবার ঘর পরিষ্কার করতে লাগলাম।।রুমটা পরিষ্কার করার সময় চোখ পড়লো টেবিলে রাখা খাতাটার উপর।বাবা খাতা দিয়ে কি করছে।কৌতুহল বেড়ে গেল কি আছে তা দেখার জন্য।আমি খাতাটা নিয়ে প্রথম পেইজটা খুললাম।প্রথম পেইজে লেখা আছে আমার ডায়েরি।লেখাটা পড়ে খুব অদ্ভুদ লাগলো।আমি পরের পেইজ খুলতেই দেখি।মায়ের একটা পুরানো ছবি।আর তার নিচে লেখা আছে কলিজা।বাবা মাকে অনেক ভালবাসতো।কিন্তু মায়ের মৃ&%ত্যুর পর বাবা খুব পাল্টে গেলেন।মা যখন মা&%রা যায় তখন আমি ইন্টারে পড়তাম।ঐসময় বাবা খুব ভেঙে পড়েছিলেন।আমি আর আপুরা মিলে অনেক কষ্টে বাবাকে সেই কষ্টটা ভুলাতে পেরেছি।আমরা তিন ভাই-বোন।আপুরা বড় আর আমি সবার ছোট।আমার আপুরা মানে ইরা আপু আর জান্নাত আপুর বিয়ে হয়েছে দুইবছর।তারপর থেকে বাবা আর আমি একা থাকি।জুই আর আমার বিয়ে হয়েছে ৬মাস হল।বাবা অনেক আগেই তার চাকরী থেকে রিটায়ার্ড হয়েছেন।আমি পরের পেইজটা উল্টালাম।সেখানে মাকে নিয়ে লেখা অনেক কবিতা আছে।আমি সব পড়ে একটু মুচকি হাসলাম।কয়েক পেইজ উল্টানোর পর লেখা আছে,
-আজ আমার ছোট্ট ছেলেটার বিয়ে।না ছোট্ট না অনেক বড় হয়েছে।সে এখন চাকরি করে।কাব্য এখন দ্বায়িত্ব নিতে শিখেছে।আজ তার বিয়ে।মেয়ে তার পছন্দের।আমি না দেখেই হ্যা করে দিই।আমার ছেলে মেয়ের আশা আমি কোনোদিন অপূর্ণ রাখিনি।তাই তাদের পছন্দ মতো সব করেছি।জুই মা দেখতে খুব মিষ্টি।দোয়া করি তারা যেনো সুখী হয়।
এভাবে কয়েক পেইজ পড়লাম সবগুলোতেই আমাকে নিয়ে লেখা।পরের পেইজ উল্টিয়ে দেখলাম,
-কাব্য এখন খুব ব্যস্ত।নিজের শরীরটাও দিনদিন অবনতি হচ্ছে।কাব্যের সাথে আগের মতো রাতের আকাশ দেখা হয় না।চায়ের দোকানে বসে আর চা খেতে খেতে বাপ-ছেলের আড্ডা দেওয়া হয় না।সারাদিন ঘরে বসে থেকে খুব বিরক্ত লাগে।তাই বউমাকে বলেছিলাম একটা ডায়েরি কিনে দিতে।কিন্তু বউমা আমাকে বলল,
-বাবা এই বয়সে ডায়েরি দিয়ে কি করবেন??
-কিছু না।একটু লিখালিখি করতাম।
-এত টাকা দিয়ে ডায়েরি না কিনে।অল্প দামে কিছু খাতা কিনে লিখলেই তো হয়।আমি কিছু না বলে খাতা কেনার টাকা নিয়ে নিলাম।এখন খুব লজ্জা হয় বউমার কাছ থেকে টাকা খুজতে।গতমাসে ঔষুধের টাকা খুজতে গিয়ে অনেক বকা শুনতে হয়েছিল।বলেছিল,
-এত দামী ঔষুধ না খেয়ে অল্প দামী ঔষুধ খেলেই তো হয়।
আমি সেদিনও কিছু বলিনি।কিছু কিভাবে বলব।কাব্যকে বললে সে ভাববে আমি মিথ্যা বলছি।সে তো আর আমার কথা ভাবে না।সে এখন নিজের ঘর সংসার নিয়ে ব্যস্ত।আমি চাই না তার সুন্দর সংসারটাকে নষ্ট করতে।এখন যে ঔষুধগুলো খাচ্ছি সেগুলো খুব সস্তা।তাতেও কষ্ট নাই।ছেলের সাথে আছি এইটাই যথেষ্ট।তবে বউমা আমাকে একটুও সহ্য করতে পারে না।আমি কিছু বললেই সে বিরক্ত হয়।কোমরের ব্যাথাটা বেড়েছে।বউমাকে ডাক্তার দেখাতে যাবো বলে কিছু টাকা চাইতে গেলে বউমা বলে,
-সব ঢং।
তাই আর কিছু বলিনি।বাধ্য হয়ে এই মাসের ঔষুদের টাকাটা বাঁচিয়ে রেখেছি।ডাক্তার দেখাতে যাবো বলে।কালকে বউমা বলেছিল আমি নাকি তাদের সংসারের বোজা।তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আজকে ডাক্তার দেখাতে যাবো।সেখান থেকে বাসায় এসে শেষবারের জন্য ছেলের মুখটা দেখে কালকেই বৃদ্ধাশ্রমে চলে যাবো।
আমি আর পড়তে পারছিনা।চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে।যেই বাবা আমাকে সামান্য কষ্ট কোনোদিন পেতে দেই নিই।সেই বাবা আজ হাজারো কষ্ট ভোগ করছে।জুই এতটাই নিচ।ছিঃ নিজেকে ওর স্বামী বলতেই লজ্জা হচ্ছে।আমি চুপচাপ রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম।কিছুক্ষণ পর বাবা ফিরে আসলো।এসে আমাকে দেখে বলল,
-বাবা আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
-কি বাবা??
-আমি কালকে বৃদ্ধাশ্রমে চলে যাবো।আমাকে কি অফিসে যাওয়ার সময় আশ্রমে নামিয়ে দিবি।
-আচ্ছা বাবা।
কথাটি বলে বাবা চলে গেলো।আমাকে কিছু বলার সুযোগ দিল না।আমার পাশে জুই ছিল।সে খুশি হয়েছে।আমাকে বলল,
-যাক এতদিনে আপদ বিদায় হবে বলে মনে হচ্ছে।কি বল কাব্য।
আমি কিছু বললাম না।রাতে জুইকে বললাম,
-এই শোনো কালকে আমরা ছুটিতে যাবো কক্সবাজার।তুমি তোমার কাপড় চোপড় প্যাক করে রাখিও।
-সত্যি বলছো তুমি??
-হ্যা সত্যি।
জুই খুশি হয়ে রান্না করতে চলে গেলো।বাবা আমাদের সাথে খাইনা অনেক দিন হল।আজকে আসলো খেতে।জুই আব্বার পছন্দের খাবার বানিয়েছে।বাবাতো কাল চলে যাবে তাই।বাবা নিস্তব্ধে খেয়ে চলে গেলো।তার চোখের কোণে অশ্রুগুলো ঠিকই দেখতে পেরেছিলাম।সকালে রেডি হলাম।গাড়িতে আমি,জুই আর বাবা বসে আছি।প্রথমে গেলাম জুইয়ের বাড়িতে।জুইকে বললাম,
-তোমার ব্যাগটা নাও।আর চল একটু তোমার বাবার সাথে দেখা করে আসি।
-কিন্তু ব্যাগ কেনো??
-আরে চলই না।
আমি জুইয়ের বাসায় গেলাম।বাবাও আসলো।বাবাকে নিয়ে এসেছি।সোফায় বসে আছি।জুইয়ের বাবা-মা আমাদের দেখে বলল,
-কিরে জামাই সাহেব অসময়ে যে??
-জ্বি আপনাদের জিনিষ আপনাদের বুঝিয়ে দিতে এলাম।
-আমাদের জিনিষ মানে??
-আপনাদের মেয়েকে।
পাশ থেকে জুই বলল,
-কি বলছো এসব কাব্য??
-হ্যা ঠিক বলছি।আর শুন তোর মত নিচ মেয়েকে বউ হিসেবে না রেখে।আমি সারাজীবন বউ ছাড়াই থাকবো।আর আমি ডিভোর্সের পেপার পাঠিয়ে দিব।সাথে তোর পাওনা সব টাকাও।
বাবা পাশ থেকে আমাকে থা&%প্পড় দিয়ে বলল,
-ছিঃ কাব্য ছিঃ।তোকে আমি এজন্যেই মানুষ করেছি।নিজের বউয়ের সাথে কেউ এভাবে ব্যবহার করে।মাফ করবেন বেয়ান সাহেব।আমি কাব্যকে বুঝিয়ে বলবো সব।
জুইয়ের আব্বু আম্মু কিছু না বুঝে বলল,
-কাব্য বাবা কি হয়েছে খুলে বল??
বাবা হয়তো টের পেয়েছে।আমি বাবাকে বললাম,
-আব্বু তুমি গাড়িতে গিয়ে বস।আমি আসছি।
আব্বু যেতে রাজি না।বাধ্য হয়ে চিৎকার দিয়ে বললাম,
-তোমাকে যেতে বলেছি যাও।
-আব্বু চলে গেলো।
তারপর জুইয়ের আব্বু বলল,
-জামাই সাহেব কি হয়েছে??আমার মেয়ে কি ভুল করেছে??
-কাব্য আমি কি করেছি??আমি তো তোমাকে অনেক ভালবাসি।
-চুপ কর তুই।তুর মতো মেয়ের মুখে ভালবাসি শুনতেই ঘৃণা লাগে।আর হ্যা আপনাদের মেয়েকে ভুলেও আমার চোখের সামনে যেনো না দেখি।
-আমার মেয়েটা কি করেছে সেটাতো বলো,
-কি করেনি সেটা জিজ্ঞেস করেন??যেই বাবা আমাকে এতটা বছর কষ্ট করে বড় করেছে।নিজে হাজারো কষ্ট সহ্য করে আমাকে মানুষ করেছে।নিজের কষ্টগুলোকে লুকিয়ে আমাদের ভাই-বোনের সুখের জন্য লড়াই করেছে।সেই বাবাকে আপনার মেয়ে আপদ বলে।বাবা শব্দটা মানে কি সেটা আপনার মেয়ে জানেনা।ওকে শিখিয়ে দিবেন।আর হ্যা জুই তুমিও শুনে রাখো,
-আমার বাবা তোমার কাছে আপদ।কিন্তু আমার কাছে সব কিছুর উর্ধে।আমার কাছে সবচেয়ে দামী।সবচেয়ে প্রিয়।
-জুই আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল,
-সরি কাব্য আমাকে ক্ষমা করে দাও।
-আমি পারবো না।ক্ষমা করা আমার পক্ষে সম্ভব না।তুমি বাবাকে আপদ মনে করো তাই না।বাবাকে এত কষ্ট দেওয়ার পর কিভাবে ভাবলে আমি তোমাকে মাফ করবো।তোমার জায়গা আমার মনেতো দূরের কথা আমার পায়ের নিচেও না।
আমি চলে আসলাম।গাড়ি স্টার্ট দিলাম।বাবা আমাকে বলল,
-কিরে বউমা কয়??
-ও আজকের পর আর আসবে না।বাবা আমাকে মাফ করে দাও।আমি ভুলে গিয়েছি।ভুলে গিয়েছি তোমাকে সময় দিতে।তুমিই আমার কাছে সব।
এখন আমি আর বাবা চায়ের দোকানে বসে বসে চা খাচ্ছি।আর আড্ডা দিচ্ছি।হুমম বাবার চোখে খুশির ঝলক দেখতে পাচ্ছি।অনেকদিন পর বাবা হাসছেন।তার হাসিমাখা মুখটা দেখি না অনেকদিন হল।তাকে হাসতে দেখে মনের মাঝে এক আনন্দের ঝড় বয়ে যেতে লাগলো।বাবা ভালবাসি।অনেক ভালবাসি তোমায়।।।

-------------সমাপ্ত------------

💞💞বাবা।💞💞

আমরা আমরাই তো 😍
03/07/2025

আমরা আমরাই তো 😍

পাত্রী রান্না পারে কিনা জিজ্ঞেস করা তে উত্তর এলো।কেন বুয়ার কাজ করাবেন ? আপনাদের বউয়ের দরকার না বুয়ার?পাল্টা জিজ্ঞেস ক...
03/07/2025

পাত্রী রান্না পারে কিনা জিজ্ঞেস করা তে উত্তর এলো।
কেন বুয়ার কাজ করাবেন ? আপনাদের বউয়ের দরকার না বুয়ার?

পাল্টা জিজ্ঞেস করলাম, মেয়ে বিয়ে দিচ্ছেন কেন? মেয়ের ভরণ পোষণ দেয়ার অক্ষমতা ?

আজব, ভরণ পোষণের অভাব হবে কেন ? জীবনসঙ্গী সংসারের জন্য বিয়ে করা।

তো বুয়ার অভাবে বিয়ে করছি এটা ভেবে নিলেন কি করে ? বেতনভোগী বুয়ার জন্য কেউ দেনমোহর ভরণ পোষণের দায় নিয়ে বিয়ে করে?

নিজের সংসারের কাজ করলেই যদি বুয়া হয়, তবে ভরণ পোষণের শর্তে বিয়ে বসলে কেন অভাবী নয়?

👉তোমার সন্তান তা-ই হবে, তুমি তাকে যা বলছো।👉তাকে স্মার্ট বলেছ,... সে বিশ্বাস করবে সে স্মার্ট।👉তাকে একরোখা বলেছ,... একটি গ...
03/07/2025

👉তোমার সন্তান তা-ই হবে, তুমি তাকে যা বলছো।
👉তাকে স্মার্ট বলেছ,... সে বিশ্বাস করবে সে স্মার্ট।
👉তাকে একরোখা বলেছ,... একটি গোঁয়ার তৈরি করে ফেলেছ তুমি।
👉যদি বলো─ "কিছুই মনে রাখতে পারো না তুমি!"... পরদিন থেকে স্কুলের পড়া মনে থাকবে না তার, এবং প্রায়ই কিছু-না-কিছু হারিয়ে ফেলবে।
👉তাকে "বেয়াদব" বললে,... তুমি কল্পনাও করতে পারবে না আগামীকাল কী প্রচণ্ড মাত্রার বেয়াদবি করবে সে তোমার সাথে, বন্ধুদের সাথে, এমনকি স্কুলেও!
👉তাকে যদি "লক্ষ্মী" বলো,... দেখবে─ যে-সহপাঠীটির সাথে কেউ খেলছে না, তাকে তোমার সন্তানটি ডেকে নিয়ে একসাথে খেলছে; দেখবে─ টিচারকে হেল্প করছে সে গড়িয়ে পড়ে যাওয়া মার্কার-পেনটি তুলে দিয়ে; দেখবে─ কান্নারত একটি শিশুকে আদর করছে সে।
💪বলো─ "তুমি বড়ো হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে 'পারবে'",... 💪"তুমি ডাক্তার হতে 'পারবে'",... "গায়িকা হতে
💪পারবে' তুমি",... "তুমি বড়ো হয়ে পেইন্টার হতে 'পারবে'";... পরমুহূর্ত থেকেই তোমার সন্তান আপ্রাণ প্রচেষ্টায় থাকবে অমন হয়ে উঠতে।
🤝গুরুত্ব দিলে, শিশু নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাববে।
অবহেলা করলে, সে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে।
🙌শিশুকে, তার ক্ষমতা চিনিয়ে দিতে হয়;
তবেই সে হয়ে ওঠে যোগ্য মানুষ, নিজের মধ্যকার ক্ষমতা চিনে নিয়ে।
❤️অতএব, তোমার শিশুসন্তানকে বলো─ "তুমি এই জগতের সুন্দরতম মানুষ।"
তোমার সন্তানটি হয়ে উঠবে তোমার জীবনের সুন্দরতম উদাহরণ।
সে তা-ই হবে, যা সে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে।
শিশুরা কথার জাদুতে গড়ে ওঠে। তাদের মগজ (neuro-plastic brain) ও মন এমন এক “নরম মাটির” মতো—যেখানে যে বীজ রোপণ করি, সেটিই চারা হয়ে বেড়ে ওঠে। ইতিবাচক শব্দ ও আস্থা-ভরা লেবেল তাদের আত্ম-ধারণা, আচরণ ও ভবিষ্যৎ সামর্থ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। নীচে কুরআন-সুন্নাহ ও আধুনিক মনোবিজ্ঞানের আলোকে বুঝিয়ে দিচ্ছি, কেন “তুমি পারবে”, “তুমি লক্ষ্মী”-ধরনের উক্তি শিশুর মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে এতো কার্যকর।
১. ইসলামী দৃষ্টিকোণ
🌱 “তুমি পারবে”— ইতিবাচক কথার শক্তি
ইসলাম, হাদীস ও মনোবিজ্ঞানের আলোকে শিশুর মানসিক গঠনে ভাষার প্রভাব
একজন শিশুর ভবিষ্যৎ গড়ার অন্যতম হাতিয়ার হলো—তার অভিভাবকের মুখে উচ্চারিত শব্দ। “তুমি পারবে”, “তুমি লক্ষ্মী”, “তুমি স্মার্ট”—এমন কথা শিশুর হৃদয়ে গভীর বিশ্বাস ও আত্মসম্মান জন্মায়। পক্ষান্তরে—“তুমি বেয়াদব”, “তুমি গোঁয়ার”, “তুমি কোনো কাজেই পারো না”—এই নেতিবাচক শব্দ শিশুর আত্মমর্যাদা ধ্বংস করে দেয়।
এই বক্তব্য শুধু আধুনিক মনোবিজ্ঞানেই প্রমাণিত নয়, বরং ইসলামের মূলনীতি ও হাদীসেও এর দারুণ সামঞ্জস্য পাওয়া যায়। নিচে ইসলামী সূত্র অনুসারে চারটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি, সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা ও দলিলসহ তুলে ধরা হলো—

১. নম্র ও সদাচারী ভাষা
মূলনীতি:
শিশুর সঙ্গে সদাচারী, দয়ালু ও শুভ বাক্য ব্যবহার করা।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
আল্লাহ তাআলা উত্তম বাক্যকে একটি শক্তিশালী, ডালপালা ছড়ানো ফলবান বৃক্ষের সঙ্গে তুলনা করেছেন। যেমন একটি গাছ বছরের পর বছর ধরে ফল দেয়, তেমনি একটি সুন্দর বাক্য শিশুর মনে স্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
দলিল:
📖 “তুমি কি লক্ষ্য করোনি, কিভাবে আল্লাহ উত্তম বাণীর দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন? তা হলো এক পবিত্র বৃক্ষের মত, যার মূল মজবুত এবং শাখা আকাশে।”
— সুরা ইবরাহ ১৪:২৪-২৫

২. নিন্দা ও কটুকথা নিষেধ
মূলনীতি:
অপমানজনক নাম বা নেতিবাচক ট্যাগ ব্যবহার না করা।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
কোনো শিশুকে “বেয়াদব”, “অসভ্য” বা “অযোগ্য” বললে সে নিজেকে তেমন ভাবতে শুরু করে এবং সেই আচরণে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। ইসলাম কুরআনে সরাসরি নিষেধ করেছে কাউকে কষ্টদায়ক উপনামে ডাকা।
দলিল:
📖 “তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। বিশ্বাসের পর মন্দ নামে ডাকা একটি গোনাহ।”
— সুরা হুজুরাত ৪৯:১১

৩. ভালো সংবাদ ও দোআ দেওয়া
মূলনীতি:
শিশুকে আশাবাদী ভবিষ্যতের বার্তা ও দোআ প্রদান করা।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
রাসূল ﷺ শিশুদের ভালোবাসতেন এবং তাদের জন্য দোআ করতেন। তিনি হাসান ও হুসাইন (রাঃ)-কে “আমার দুই ফুল” বলে সম্বোধন করতেন। এই সম্মান ও ভালো শব্দ শিশুর মনের মধ্যে নিজের গুরুত্ব এবং ভালো হওয়ার আগ্রহ জাগায়।
দলিল:
📘 সুনান আন-নাসাই (সহীহ):
রাসূল ﷺ হাসান ও হুসাইন সম্পর্কে বলেছেন—
“হুমা রাইহানাতাইয়া মিনাদ-দুনিয়া”
— “তারা দুনিয়ার দুই ফুল।”

৪. শিশুদের প্রতি দয়া প্রদর্শন
মূলনীতি:
শিশুর প্রতি স্নেহ, উৎসাহ ও প্রশংসা প্রদর্শন করা।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
রাসূল ﷺ বলেছেন, ছোটদের প্রতি দয়া না করা এবং বড়দের সম্মান না করা ব্যক্তি তাঁর উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। শিশুদের ওপর করুণা করা মানে তাদের ভালো বলা, উৎসাহ দেওয়া, এবং ভুলত্রুটি মাফ করা।
দলিল:
📗 তিরমিযি হাদীস ১৯১৯:
“مَنْ لَا يَرْحَمْ صَغِيرَنَا وَلَا يُوَقِّرْ كَبِيرَنَا فَلَيْسَ مِنَّا”
— “যে আমাদের ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং আমাদের বড়দের সম্মান করে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।”
শিশুর মন একটি শূন্য ক্যানভাস—আপনি যে ভাষায় রং তুলির আঁচড় দেবেন, সে জীবনভর সেই রঙেই নিজেকে দেখবে। ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে কেবল ভালো আচরণ নয়, বরং ভালো বাক্য-ও শিশু গঠনে অপরিহার্য। তাই আসুন, আমাদের সন্তানদের জন্য এমন শব্দ বেছে নেই, যা হবে দোআ, আশীর্বাদ ও ভবিষ্যৎ নির্মাণের হাতিয়ার।
বলুন—“তুমি পারবে”, “তুমি শ্রেষ্ঠ”, “আল্লাহ তোমাকে নেক বান্দা করুন”—এবং দেখুন, আপনার সন্তান কীভাবে হয়ে ওঠে আপনার জীবনের সেরা উপহার।
ফলাফল → ইতিবাচক ভাষার মাধ্যমে পিতা-মাতা সুন্নাহ পালন ও সন্তানের হৃদয়ে ঈমানী আত্ম-সম্মান গেঁথে দেন।
২. মনোবিজ্ঞানী দৃষ্টিকোণ
1. পিগম্যালিয়ন/রোসেনথাল এফেক্ট
• শিক্ষা-গবেষণায় দেখা গেছে, যে শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে শিক্ষক “তারা এগিয়ে যাবে”-ধরনের প্রত্যাশা পোষণ করেন, তারাই পরীক্ষায় ঝলসে ওঠে।
• বাচ্চাকে “স্মার্ট”, “লক্ষ্মী” বলা এই স্ব-সম্পূরক ভবিষ্যদ্বাণী (self-fulfilling prophecy) সক্রিয় করে।
2. লেবেলিং ও সেলফ-স্ক্রিপ্ট
• নেতিবাচক লেবেল (যেমন “বেয়াদব”) শিশুকে নিজেকে ঐ রূপে দেখতে শেখায়—ফলে আচরণেও তা ফুটে ওঠে (Labelling theory, Becker, 1963).
3. আত্ম-কার্যকারিতা (Self-Efficacy)
• আলবার্ট বান্দুরার মতে “আমি পারি”-বিশ্বাস কঠিন কাজেও অধ্যবসায় বাড়ায়। পিতা-মাতার “তুমি ডাক্তার হতে পারবে” উচ্চ-স্বপ্ন এই বিশ্বাস জাগায়।
4. গ্রোথ মাইন্ডসেট
• ক্যারল ডুএক দেখিয়েছেন, ক্ষমতা পরিবর্তনশীল—এমন বার্তা শিশুকে চ্যালেঞ্জে স্থিত রাখে। “পারবে”-ধরনের বাক্য এই মানসিকতা তৈরি করে।
5. অভ্যন্তরীণ উৎসাহ বনাম বাহ্যিক শাস্তি
• সদ্ভাষা ও স্বীকৃতি ছাত্রের ভেতরকার মোটিভেশন জাগায়; বারবার শাসন কেবল বাহ্যিক শৃঙ্খলা টিকে রাখে, কিন্তু সৃজনশীলতা দমিয়ে দেয় (Ryan & Deci, 2000).

৩. বাস্তব-প্রভাব: কীভাবে শিশুর বিকাশে সহায়তা করে?
• আত্ম-সম্মান বাড়ে → শিশুর Cortisol-স্তর কমে, উদ্বেগ-ভীতি ধরে না; শেখার জানালা প্রশস্ত হয়।
• সামাজিক সহমর্মিতা শেখে → “তুমি লক্ষ্মী” শুনে সে Empathy-র উদাহরণ দেখাতে চায়—বন্ধুকে খেলায় নেয়, ছোটদের আদর করে।
• ভাষা-আচরণে ইতিবাচক চক্র → ভালো কথা শুনে সে অন্যকেও ভালো কথা বলে; “আল-কালিমাহ আত-তইয়্যিবাহ”-র ধারাবাহিকতা গড়ে।
• লক্ষ্য-নির্দিষ্ট প্রচেষ্টা → “ডাক্তার হবে”-মন্ত্র শিশুকে পাঠ্যবই, কুদরতির ডায়াগ্রাম, STEM খেলনায় আগ্রহী করে তোলে; পরিকল্পনা-ক্ষমতা বাড়ে।
• ক্ষমতায়নের অনুভূতি → যে সন্তান বাড়িতে সম্মান পায়, বাইরের বিশ্বে অবমূল্যোচনার মুখেও ডিগ্রী হারায় না; রেজিলিয়েন্স তৈরি হয়।

৪. কীভাবে প্রয়োগ করবেন? ৫টি সহজ কৌশল
1. সুনির্দিষ্ট প্রশংসা দিন
• বলুন, “তুমি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করেছ, দারুণ!”—শুধু “ভাল” না বলে আচরণও উল্লেখ করুন।
2. নেতিবাচক ঘটনার “ব্যবহারিক ভাষা”
• “তুমি বেয়াদব” না বলে—“তোমার আচরণটা বন্ধুকে কষ্ট দিয়েছে; কীভাবে ঠিক করবো?”
3. দোআ ও শুভকামনা
• ঘুমানোর আগে মাথায় হাত রেখে “আল্লাহ তোমাকে নেক বান্দা করুন”—ইসলামি ইতিবাচক লেবেল।
4. মিশন-ভিত্তিক খেলা দিন
• “আজ আমরা ইঞ্জিনিয়ারদের মতো একটি সেতু বানাব”—লক্ষ্যের প্রতি মজার অনুশীলন।
5. নিজের ভাষার শুদ্ধি অনুশীলন
• এক সপ্তাহ “নিষিদ্ধ শব্দ তালিকা” রাখুন—নেগেটিভ ট্যাগ বললে নিজেকেই জরিমানা দিন; পরিবারে ইতিবাচক সংস্কৃতি গড়ুন।
উপসংহার
কুরআনের “পবিত্র বাক্য”-এর তুলনা ও নবী ﷺ-এর স্নেহব্যবহার আধুনিক মনোবিজ্ঞানের ফলাফলগুলোর সাথে মিলে যায়—ভালো কথা শিশুর মনের রাসায়নিক বাস্তবতা, মানসিক গঠন ও সামাজিক দক্ষতা রূপান্তরিত করে। কাজেই “তুমি পারবে”—এই বিশ্বাস-শব্দই আপনার সন্তানের জীবনের নকশা আঁকে। আওয়াজ দিন, ভালো শব্দ বুনুন; কাল সে-ই আপনার জীবনের সুন্দরতম উদাহরণ হয়ে ফিরবে—ইন-শা-আল্লাহ।

একটু নড়ে চড়ে বসুন।সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সাথে সাথেই নিজেদের পরিবর্তন করে ফেলুন। এই বাচ্চা গুলো সহপাঠীর হত্যাকারী। এত হি...
02/07/2025

একটু নড়ে চড়ে বসুন।
সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সাথে সাথেই নিজেদের পরিবর্তন করে ফেলুন। এই বাচ্চা গুলো সহপাঠীর হত্যাকারী। এত হিংসাতা তাঁরা পেল কোথা থেকে? একদিনে তো এত হিংস্র হওয়ার কথা নয়। পরিবার ও সমাজ তাঁদের মানবিকতার শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। নিচের লেখাটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। তাই শেয়ার করলাম।

নিউজটা চোখের সামনে বার বার আসতেই স্ক্রল করে চলে যাচ্ছি ভয়ে আ"তং"কে। চাইছি না দেখতে, একদমই না, তবুও সামনে আসছে। কি এক ভ"য়া"বহ অস্থিরতা কাজ করছে মনে। সপ্তম শ্রেনির বাচ্চা, হ্যাঁ সপ্তম শ্রেনি! সবে প্রাইমারি পাশ করেছে। এখনও নিজ হাতে তুলে ভালোমতো খাবার খাওয়ার বয়স হয়নি, এখনও একটু ধমকালে ভ্যা ভ্যা করে কাঁদার বয়স। মায়ের আঁচলে মুখ গুজে থাকার বয়সটাও যে পেরোয়নি এখনও। অথচ এই বয়সী কজন বাচ্চা তারই বয়সী এক সহপাঠিকে মেরে ফেললো!! তাও আবার ক্লাসে সামনের বেঞ্চে বসার মতো সামান্য বিষয় নিয়ে ঝগড়াঝাঁটিতে। কিভাবে সম্ভব! এইটুকু বাচ্চা, বলা যায় মুখে এখনও দুধের গন্ধই রয়ে গেছে।

চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার হামিদচর, কর্ণফুলীর চর। সেই চরে কাদায় মাখামাখি হয়ে উপুড় হয়ে প"রে আছে রাহাত। বন্ধুরা খেলতে ডেকে এনে মে"রে ফেলেছে। প্রতিদিনের মতো বন্ধুদের সাথে খেলার জন্য কত খুশি হয়েই না বাড়ি থেকে বের হয়েছিলো। ভালো ক্রিকেট খেলতো ছেলেটা, সামনের সিজনে অনুর্দ্ধ ১৪ ক্রিকেটের জন্য বাছাইও হয়েছিলো৷ কিন্তু জানতেই পারেনি সে যে আর ফিরবে না, হাতে আর কখনো উঠবে না শখের ব্যাট বল। না জানি বাড়ি ফেরার জন্য, বাঁ"চার জন্য কতই না কান্নাকাটি করেছে। মায়ের কাছে যেতে চেয়েছে। অথচ প্রতিদিন একই সাথে বসা, টিফিন ভাগ করে খাওয়া, আড্ডা মজার খুনসুটির বন্ধুরাই তাকে বাঁ"চ"তে দি"লো না। মৃ"ত্যু"র আগে বন্ধুদের না জানি কতটা হাতেপায়ে ধরেছে। কিন্তু এইটুকু বাচ্চাদের মনে কেন এতটুকুও দয়া হয়নি। একটা জলজ্যান্ত মানুষ, এবং তাদেরই বন্ধুকে মে"রে ফেললো! এত পা"ষাণ! এই বয়সেই! অথচ মায়ের চোখ রাঙানো দেখলেও ভ"য়ে চুপসে থাকার কথা এ বয়সীদের। কিন্তু কি দুঃ"সা"হস! কি ভ"য়ং"ক"র হয়ে উঠেছে এরা!!

মৃ"ত"দে"হের যদি বর্ননা করি তাহলে শরীরের লোম শি"উ"রে উঠবেন। রাহাতের মুখমণ্ডল একপাস থে"ত"লে গিয়েছে কারন খু"নি"রা তাকে ক্রিকেট ব‍্যাট দিয়ে মুখে আ"ঘা"ত করেছিলো।
তার বুকের মাঝখান বরাবর যেখানে হৃদপিন্ড থাকে সেখানে পুরাই থে"ত"লে দিয়েছে।
ব্লে"ড দিয়ে তার অন্ডকোষ কে"টে নিয়েছিল সেই খু"নি"রা।

আচ্ছা, এমন ভ"য়ং"ক"র কি একদিনে হয়েছে? মোটেই না৷। এর জন্য আমরা দায়ী। বাচ্চাকে ভালো ছাত্র হওয়ার দৌড়ে নামিয়ে ভালো মানুষ হওয়ার শিক্ষাটা দিচ্ছি না। মায়ের সাথে যেদিন প্রথম তর্ক করেছিলো, বাবার পকেট থেকে যেদিন না বলে ৫ টা টাকা নিয়েছিলো, দেরিতে বাসায় ফিরেছিলো, কোচিং প্রাইভেটের কথা বলে পার্কে ঘুরেছিলো, বন্ধুর সাথে ঝগড়া করে এসেছিলো, শিক্ষকের সাথে বেয়াদবি করেছিলো, শা"সন"টা আমরা শক্ত করে তখন শুরু করিনি। ছোট মানুষ বড় হলে ঠিক হয়ে যাবে বলে মেনে নেই৷ ছোট বাচ্চা বুদ্ধি হয়নি বলে চোখের খেয়ালটাও করি না। কিন্তু ভুল আমাদের এখানেই। বাচ্চাকে চোখে চোখে রাখার আর কোন বিকল্প নেই। তিতা হলেও সত্য যে, আপনার বাচ্চা তা নয় যা সে আপনাকে দেখায়। এই একটা কথা মাথায় রেখে স"ত"র্ক থাকা উচিত।

কষ্টে, ভয়ে, আতংকে শরীরটা কেমন ঠান্ডা হয়ে" আসছে নিউজটা পড়ে।
ঠিক এই বয়সী শত শত ছেলে আছে ,,,,আৎকে উঠি আমি ,,,

মন শুধু এটুকুই বলছে,
বাবা তোরা মানুষ হ, ভালো মানুষ।
ভালো ছাত্র না হলেও ক্ষতি নেই......😢

সংগৃহীত পোস্ট ।

বোতল বাবুর বোতলামি, কেমন হলো কমেন্টে জানান, শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে। বোতল বাবু নাইজেরিয়া।
01/07/2025

বোতল বাবুর বোতলামি, কেমন হলো কমেন্টে জানান, শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে।

বোতল বাবু নাইজেরিয়া।

আমের সময়ে আম সত্ত, মজাই আলাদা।
30/06/2025

আমের সময়ে আম সত্ত, মজাই আলাদা।

হিরো আলম, রিয়া মনি, মিথিলা ভালোবাসার দুই পৃথিবী
29/06/2025

হিরো আলম, রিয়া মনি, মিথিলা

ভালোবাসার দুই পৃথিবী

৪৪টা যুদ্ধবিমান! এটাই বাংলাদেশ। কিন্তু যুদ্ধ বিমানে কোন অ*স্ত্র নেই !যা আছে তাও পুরোনো, জং ধরা, আধুনিকতার ধারে কাছে না!ন...
24/06/2025

৪৪টা যুদ্ধবিমান! এটাই বাংলাদেশ। কিন্তু যুদ্ধ বিমানে কোন অ*স্ত্র নেই !
যা আছে তাও পুরোনো, জং ধরা, আধুনিকতার ধারে কাছে না!নেই ভালো মানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।
আর আমরা লজ্জা না পেয়ে গর্ব করি—"স্বাধীন দেশ!"

ভারত ৫০০টা নিয়ে একসাথে ৫টা ফ্রন্ট সামলাতে পারে,
পাকিস্তান ৪৪৫টা নিয়ে যুদ্ধের জন্য রেডি।
চীন সম্প্রতি তাদের ষষ্ঠ প্রজন্মের ফাইটার জেট উন্মোচন করেছে।
ভারত রমরমা ঢোল ফিটিয়ে হাইপারসনিক ক্ষেপনাস্ত্র টেস্ট করল।
পাকিস্তান বানাচ্ছে ICBM

আর আমরা?
দলবাজিতে মাস্টার!
পথে পথে সহ-সভাপতি
টকশোতে জেনারেল, ফেসবুকে কৌশলী, আর মাঠে?

আমাদের দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোর হেডলাইন হয়, ধর্ষণ, ছিনতাই,চাঁদাবাজি,গুম,খু*ন করল অমুক দল,অমুক নেতা।

আমাদের একটাই স্পেশাল স্কোয়াড—
“Keyboard Battalion”!
পোস্ট দিবে, শেয়ার করবে, “দেশপ্রেম” জাহির করবে—
আর বাস্তবে, একটা গোলা উড়লে পাত্তা নাই!

আসল শত্রু বাইরের না—আমরা নিজেরাই শত্রু নিজেদের।
কারণ আমরা যুদ্ধের জন্য না,
তর্কের জন্য জন্মেছি।

বাচ্চা জন্মের পর স্কুলে ভর্তি হয় না, আগে দল চিনে!
ডাক্তার জীবন বাঁচায় না, দল বাঁচায়!
ইঞ্জিনিয়ার বিল্ডিং বানায় না, বরাদ্দ চিবায়!
পুলিশ আর্মি অফিসারও রাজনীতির ব্যানারে ঝুঁকে পড়ে!

এই তো আমরা—মেধাহীন, পরিকল্পনাহীন, দায়িত্বহীন!
নেতারা গাড়িতে বুলেটপ্রুফ, আর দেশের সীমানা?
একটা ড্রোন আসলেও ধরার কেউ নাই!

একদিন হুট করে আকাশ কালো হবে,
বোমা পড়বে মাথার উপর—
তখন আর পোস্ট দেওয়ার সময় থাকবে না,
তখন বুঝব—"দেশটা ফেসবুক দিয়ে রক্ষা হয় না!"

তখন বুঝব—“বন্ধুদেশ” বলে কিছু নেই,
যার অস্ত্র আছে, তারই দাপট চলে!

এই ঘুম, এই ঢোল-বাজানো দেশপ্রেম,
সব পুড়ে ছাই হয়ে যাবে একটুখানি আগুনে।

আর তখন?
আমরা কাঁদব... কিন্তু কেউ শুনবে না।

Address

Sylhet

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when স্মৃতি ছেড়া পাতা Sriti Chera Pata posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to স্মৃতি ছেড়া পাতা Sriti Chera Pata:

Share