
23/08/2025
আজ থেকে প্রায় 40 বছর আগে কোন এক দুপুরে আমার প্রতিবেশী বড় ভাই মরহুম আসাব উদ্দিন জৈন্তাপুর যাবেন বাসে চড়ে। তার Honda50 এর অবস্থা খুবই শোচনীয়। (তাই বাসে যাওয়া) খুব ধীরে ধীরে চলে, ব্রেক না ধরে পা মাটিতে রাখলেই থেমে যায়, সব গিয়ারে ই একই স্পিড, স্টার্ট করতে চাবি লাগে না। বাসে ওটারা আগে স্টার্ট অবস্থায় Hondaটা আমাকে ধরিয়ে দিয়ে বলেন এটা যেন উনার গেটের ভেতরে রেখে দেই। বললেন সিটের উপর বসে পা দিয়ে ধাক্কা দিয়ে দিয়ে চালালেই চলবে। আমি সিটের উপর বসলাম। পা দিয়ে দুই তিন ধাক্কা দিয়ে দুই পা উপরে তুললাম। এখন দেখি হোন্ডা চলতেই আছে। আমি এই হোন্ডা নিয়ে আর ঘরে গেলাম না। লামাপাড়ার রাস্তা দিয়ে গিয়ে সোজা উপশহরের এ ব্লকের দিকে ঢুকলাম। তখনো উপশহরে তেমন বাড়িঘর হয় নাই। প্রায় ফাঁকা ফাঁকা অবস্থা। তবে রাস্তা সবগুলোই পাকা হয়ে গেছে। রাস্তায় এত বেশি স্পিড ব্রেকার। আমি মোটরসাইকেল নিয়ে যখনই স্প্রিড ব্রেকারে উপরে উঠতাম তখন মোটরসাইকেল বন্ধ হয়ে যেত। তারপর আবার কিক দিয়ে স্টার্ট করতাম আরো কিছুক্ষণ পর আবার স্পিড ব্রেকার আবার বন্ধ এভাবে চলতে থাকলো। হঠাৎ একজন লোক এটা দেখে আমাকে বললেন তুমি যখন দেখবে স্পিড ব্রেকার আসছে তখন ফার্স্টগিয়ারে নিও। আমি ফার্স্টগিয়ার বলতে সামনের দিকে একটা চাপ দিব এইরকমই জানতাম, উনি বললেন না হণ্ডা ফিফটিতে নিউট্রাল অবস্থায় পিছনের দিকে একটা চাপ দিলে ফার্স্ট গিয়ার হয়। এইভাবে প্রায় ঘন্টাখানেক চালানোর পর আমি উনার বাসার গেইটের ভিতরে এনে মোটরসাইকেলটি রেখে দিলাম।