30/05/2024
ম্যানসিটির সাবেক স্ট্রাইকার ওলানরেয়াজু কায়োদে গত সপ্তাহে তার লাইফের সবচেয়ে বড় শকটা পেলেন। ৩০ বছর বয়সী এই নাইজেরিয়ান ফুটবলার জানতে পারেন, এতদিন যে তিন সন্তানকে নিজের মনে করে বড় করেছেন, তাদের একজনের বাবাও তিনি নন!
কয়েক বছর আগে ক্লাবের সাথে কন্ট্রাক্ট শেষ হলে তার স্ত্রীর আচরণ বদলে যায়। তার স্ত্রীর পরকীয়া শুরু করে ব্রিটিশ যাজক টবির সাথে। কায়োদের টাকায় কেনা দুটো মার্সিডিজ এসইউভি গিফট করে টবিকে। এ ধরণের নানান ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে আসে অনুসন্ধানে।
ডরি এত বছরের সংসার জীবনে স্বামী কায়োদের কোনো সন্তানকে দুনিয়ায় আসতে দেয়নি। বরং জন্ম দিয়েছে প্রেমিক টবির সন্তানকে। কিন্তু কায়োদেকে বলেছে এগুলো তারই সন্তান।
আপনি ভাবতে পারেন, প্রথমবার বাবা হওয়ার অনুভূতি! তারপর একটু একটু করে তাকে বড় করা। কিন্তু এত বছর পর জানলেন সে আপনার সন্তান নয়! তারচেয়েও বড় ব্যাপার, জীবনের অংশ হয়ে যাওয়া স্ত্রী এতবছর ধরে গোপনে ধোঁকা দিয়েছে। অবৈধ সন্তানকে পেটে ধরে আপনাকে বাবা হবার মিথ্যা ফিলিংস দিয়েছে। তাও একবার নয়, পরপর তিনবার!
কায়োদের ইন্সটাগ্রামে সেই সন্তানদের সাথে কত হ্যাপি ফটো ছিলো! আধমরা লোকটা একে একে সব ছবি ডিলেট করে দিয়েছেন।
এবার আসে সবচেয়ে দুঃখজনক পার্ট। নির্লজ্ব ডোরা এক ডিভোর্স উকিল হায়ার করেছে। কায়োদের সম্পত্বির অর্ধেক সে পাবে। সাথে কায়োদে যে তুর্কি ক্লাবে খেলছে, সেখানকার চলমান চুক্তির টাকা পাবে।
এই না হলে পশ্চিমা আইন! যেই নারী একজন নির্দোষ পুরুষের সংসার-সন্তান-সম্পত্ত্বি সব কেড়ে নিলো তাকেই গিফট করা হলো সন্তান আর টাকা, যাতে সে প্রেমিকের সাথে এক সুখী জীবন কাটাতে পারে।
******
তবু পশ্চিমাদের জন্য সহানুভূতি আসতে চায় না। ইসলামী আইনে ডোরা নামের ওই নোংরা জীবটাকে পাথর দিয়ে খালাস করতে হবে। কিন্তু পশ্চিমা পুরুষেরাই যে এর বিরোধী!
পৃথিবীতে বর্তমানে চার জায়গায় এই ব্যাভিচারিকে পাথরে হত্যার আইন চালু আছে। সেখান থেকে আসা নিউজের নিচে পশ্চিমা পুরুষদের কমেন্ট দেখবেন - "কী বর্বর", "প্রস্তর যুগের বর্বরেরা" , "ইসলাম আসলে ডেথ কাল্ট" ইত্যাদি।
মানে নিজেরা কাকোল্ডারি, চিটিং আর এরকম ফ্রডের শিকার হয়ে ধ্বংস হয়ে যাক, তবু সমাধান ওরা মানবে না, ইসলামের বলে।
সিম্প্যাথি আসা তাই কষ্টকর।