14/07/2025
বাংলাদেশের অন্য কোন ঘরণার সর্বোচ্চ ব্যক্তি কি মাহফিলে রবীন্দ্রনাথ কিংবা জসিমউদ্দীনের কবিতা আবৃত্তি করেন?
নিউ জার্সির প্যাটারসনে বড় ছাহেব মাহফিলে গভীর দ্বীনি বয়ানের মাঝে আবৃত্তি করলেন—
“এইখানে তোর দাদির কবর ডালিম গাছের নিচে,
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।”
‘কবর’ শব্দ দিয়ে তিনি আরবি অক্ষর কাফ ও ক্বাফ এর সঠিক উচ্চারণ শেখালেন।
আমরা এমন এক মুর্শিদ পেয়েছি, যিনি শুধুমাত্র প্রচলিত অর্থে কোনো পীর নন—
তিনি একজন সাহিত্যিক, মানবতাবাদী, পরিবেশবাদী, হাদীসের বিশারদ, ক্বারী, মুফাসসির, দেশপ্রেমিক, এতিমের অভিভাবক ও যুগের হাতেম তাই।
তার বয়ানে নেই বিষেদগার, নেই অন্যের সমালোচনা।
তিনি মানুষকে ভালোবাসার শিক্ষা দেন, কাউকে ধ্বংসের বদলে হেদায়াতের দুআ করেন।
তিনি সাধারণ মানুষের সামনে ইখতেলাফি মাসায়েল বলেন না, বরং জীবনঘনিষ্ঠ সংক্ষিপ্ত আমলের দাওয়াত দেন।
তিনি দেশপ্রেমের শিক্ষা দেন, জন্মভূমির অসহায় মানুষের গল্প বলেন, হাদীস থেকে হুব্বে রাসুল ﷺ এর শিক্ষা দেন।
তিনি দুআ শিক্ষা দেন, আল্লাহর দরবারে হাত তুলে কান্নাকাটি করেন,
এতিমের কাছ থেকে দুআ নিতে বলেন, অন্ধ মানুষের অন্তরের আলোর কথা বলেন,
চলাফেরায় অক্ষম মানুষের দুঃখের কথা বলেন,
তিনি পিতা-মাতার ত্যাগের কথা বলেন,
পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ঈমান ও আমলের ওপর সাবিত থাকার দুআ করেন।
আর যারা বরযখের জিন্দেগিতে চলে গেছেন, তাদেরকে আমাদের দুআয় স্মরণ করতে বলেন।
এমন মুর্শিদ বিরল যার বয়ানে হৃদয় জেগে ওঠে, চোখ ভিজে আসে, আর আত্মা খুঁজে পায় নিজের পথ।