20/03/2025
ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণে ইস্তাম্বুলের মেয়রকে এরদোয়ান সরকার গ্রেফতার করার পর ইস্তাম্বুল সহ গোটা তুরষ্কের সকল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছে এবং গোটা তুরষ্কের ছাত্র জনতা দেশের বিভিন্ন শহরে বিশাল বড় বড় প্রতিবাদ সমাবেশ করছে।
এসব সমাবেশে কয়েক মিলিয়ন তুর্কী নাগরিক অংশগ্রহণ করছে। এছাড়াও গোটা দেশের বিভিন্ন শহর থেকে রাজধানী আংকারার দিকে লাখ লাখ মানুষ লংমার্চ করে এসেছে এরদোয়ানের প্রাসাদ ঘেরাও করার জন্য। খোদ আংকারার ছাত্র জনতাও আংকারা প্রায় অচল করে দিয়েছে।
তুর্কী পুলিশ এবং আর্মির পেটোয়া বাহিনী সারাদেশে ছাত্র জনতার উপর ব্যপক ক্র্যাকডাউন করছে এবং গণহারে গ্রেফতার করছে। তারপরও এরদোয়ানের ইসরাইল তোষণের বিরুদ্ধে স্বাধীনচেতা তুর্কী নাগরিকদের চলা প্রতিবাদ আন্দোলন থামছে না।
দীর্ঘদিন ধরেই তুরষ্কে "স্টপ ফুয়েলিং জেনোসাইড" আন্দোলন চলছে যাতে ইসরাইলী গণহত্যায় তুর্কী সরকারের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার প্রতিবাদে তুরষ্কের ফিলিস্তিনপন্থী ঈমানদার জনগণ অংশগ্রহণ করছে।
উল্লেখ্য, গাযযা যুদ্ধে ইসরাইলী গণহত্যার মধ্যেও তুর্কী সরকার ইসরাইলে জ্বালানী তেল, স্টিল, বিস্ফোরক, আগ্নেয়াস্ত্র, খাদ্য দ্রব্য সহ নানা রকম সামরিক উপকরণ ও যুদ্ধ সামগ্রী পাঠিয়ে আসছে। এছাড়াও এরদোয়ান সরকার তুরষ্ক থেকে প্রায় ১০ হাজার তুর্কী সৈন্যকে ইসরাইলের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য ইসরাইলে পাঠিয়েছে। ইসরাইলকে নানা রকম স্ট্র্যাটেজিক সাহায্যও করে আসছে তুর্কী সরকার বহু বছর ধরে। এছাড়াও তুর্কী সরকার আমেরিকা, ইউরোপ ও ন্যাটোর পক্ষে তাঁবেদারী করে আসছে বহু বছর ধরে এবং বিভিন্ন মুসলিম দেশগুলোর বিরুদ্ধে আমেরিকা ও ন্যাটোর পক্ষ নিয়ে নানা রকম ষড়যন্ত্র ও যুদ্ধ চালিয়ে আসছে।
এসব কারণে দীর্ঘদিন ধরেই তুরষ্কের ইসলামপন্থী ও স্বাধীনচেতা জনগণ এরদোয়ানের এসব দালালীর প্রতিবাদ করে আসছে। কিন্তু এরদোয়ান সরকার জনগণের এসব প্রতিবাদকে উপেক্ষা করে ইসরাইলের পক্ষে চামচামী চালিয়ে গিয়েছে।
এখন ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ইস্তাম্বুলের মেয়রকে গ্রেফতার করার পর এরদোয়ানের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে চলা ফিলিস্তিনপন্থী তুর্কী জনগণের আন্দোলন চরম ও চূড়ান্ত রূপ ধারণ করেছে যা কোনোভাবেই দমন করতে পারছে না ইসরাইলের তাঁবেদার এরদোয়ান এবং ওর ইসরাইলপন্থী আর্মি।
এদিকে আজ সকালে তুরষ্কের সরকারী একটি জেট আংকারা থেকে উড্ডয়ন করে রেসপন্ডার অফ করে অজ্ঞাত স্থানের দিকে রওয়ানা হয়েছে। তুরষ্কের অনেক সূত্রের দাবী অনুযায়ী প্লেনটিতে এরদোয়ান এবং ওর মন্ত্রীপরিষদের অনেক সদস্য আংকারা থেকে পালিয়ে মার্কিন কোনো সামরিক ঘাঁটি কিংবা ইসরাইলে গিয়ে আশ্রয় নিতে পারে। আরেকটু সময় গেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় তুর্কী গণঅভ্যুত্থাণের মুখে ইসরাইলের দোসর এরদোয়ান সরকার প্রায় পতনের দ্বারপ্রান্তে। এক্ষেত্রে ইসরাইল ও আমেরিকার সহায়তায় যদি তুর্কী সরকার গণহত্যার পথ বেছে নেয়, সেক্ষেত্রে হয়তো এই যাত্রায় আরও কিছুদিনের জন্য বেঁচে যেতে পারে ইসরাইলের গোলাম এরদোয়ান।
তবে, এইবার মনে হচ্ছে তুর্কী ছাত্র জনতা প্রাণপণ লড়াই করে পতন ঘটিয়ে ছাড়বে ফিলিস্তিনী শিশুদের রক্তের সাথে গাদ্দারী করা মুনাফিক এরদোয়ানের ...