Rasel Ahmed পথহারা পথিক

Rasel Ahmed  পথহারা পথিক ভালোবাসি জীবন যুদ্ধ করতে...

একটি পরিবারের ভিত মজবুত করার পেছনে যার ভূমিকা অনেক সময় আড়ালে থেকে যায়, তিনি হলেন পরিবারের বড় ছেলে। তিনি শুধু একজন সন্তান...
15/07/2025

একটি পরিবারের ভিত মজবুত করার পেছনে যার ভূমিকা অনেক সময় আড়ালে থেকে যায়, তিনি হলেন পরিবারের বড় ছেলে। তিনি শুধু একজন সন্তান নন—তিনি একযোগে একজন ভাই, অভিভাবক, উপার্জনকারী, পরামর্শদাতা, কখনও আবার বাবার ভূমিকা পালনকারী একজন যোদ্ধা। বড় ছেলের জীবনে যতটুকু পাওয়া, তার চেয়ে বহুগুণ বেশি হলো ত্যাগ, পরিশ্রম আর দায়িত্বের বোঝা।

প্রথম দায়িত্ব: ছায়ার মতো আগলে রাখা–
পরিবারে বড় ছেলে যেন সেই গাছের মতো, যার ছায়ায় পুরো পরিবার আশ্রয় নেয়। বাবা-মায়ের প্রতি দায়িত্ব, ছোট ভাইবোনদের শিক্ষাদান, সঠিক পথে পরিচালনা, পরিবারে সমস্যা দেখা দিলে প্রথম ঝাঁপিয়ে পড়া—এসবই যেন তার প্রতিদিনের চিত্র। ছোটরা ভুল করলে বাবা না হয় বকবে, কিন্তু বড় ভাই আগেই বুঝিয়ে দেয় যেন সে ভুল না হয়।

সংগ্রামের শুরু খুব তাড়াতাড়ি–
বড় ছেলের জীবন সাধারণত আর ১০টা সন্তানের মতো হয় না। কৈশোর থেকেই তাকে পরিণত হতে হয়। লেখাপড়ার পাশাপাশি সংসারের হাল ধরা, কখনও বাবার ব্যবসায় হাত লাগানো, কখনও টিউশনি করে নিজের খরচ চালানো—এসবই তার জীবনের নিয়মিত সঙ্গী। অনেক বড় ভাই নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দেন, যেন ভাইবোনরা স্বপ্ন দেখতে পারে।

ত্যাগের দীর্ঘ তালিকা–
বড় ছেলের জীবনে এমন অনেক কিছুই আসে, যা সে নিজের জন্য চায়, কিন্তু পরিবারে সবার আগে ভাবতে গিয়ে তা ত্যাগ করে। নিজের পড়াশোনার সুযোগ ছাড়েন ছোট ভাইবোনের শিক্ষা নিশ্চিত করতে, নিজের পছন্দের জীবনসঙ্গী ত্যাগ করেন পারিবারিক চাপে, নিজের জীবন গুছানোর আগেই ঝাঁপিয়ে পড়েন অন্যদের জীবন গড়তে। কিন্তু এই ত্যাগের কথা কেউ খুব বেশি জানে না, স্বীকৃতিও আসে খুব কম।

নীরব এক পথপ্রদর্শক–
বড় ছেলে কখনও কোনো কিছু দাবি করে না, কিন্তু সে সবার পাশে থাকে। সে অভিমানে কিছু না বললেও ভেতরে ভেতরে ভেঙে পড়ে। তবুও শক্ত থাকে, কারণ সে জানে, তার উপর ভরসা করে আছে পুরো পরিবার। পরিবারের কষ্ট, চাহিদা, দুঃখ-কষ্ট—সব কিছুই প্রথমে তার কাঁধেই এসে পড়ে।

স্বীকৃতি দিন, শ্রদ্ধা জানান–
পরিবারের বড় ছেলের অবদান কখনো কোনো ক্যালকুলেশনে মাপা যায় না। সে যেন নিরব এক সৈনিক, যিনি কোনো দিন বিশ্রাম চান না, কোনো দিন প্রশংসাও আশা করেন না। তবে আমাদের উচিত, সেই মানুষটিকে অন্তত একটিবার জড়িয়ে ধরা, বলা—“ আপনার জন্যই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।”
একটা পরিবারের অদৃশ্য নায়ক, সেই বড় ছেলের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা সবসময় থাকা উচিত।

#জীবন_চক্র

একটু মন খুলে ভাবুন, আর হৃদয়ে হাত রেখে পড়ুন, অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়বেন।১. যে ছেলেটা নিজের পরিবার, বন্ধুবান্ধব, চেনা-জান...
15/07/2025

একটু মন খুলে ভাবুন, আর হৃদয়ে হাত রেখে পড়ুন, অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

১. যে ছেলেটা নিজের পরিবার, বন্ধুবান্ধব, চেনা-জানা সব পেছনে ফেলে আপনাকে জীবনের সঙ্গী করেছে—সে কি আপনার চেয়ে কম ত্যাগ করেছে?
একদিন সে মা-বাবার ছেলের পরিচয় থেকে ‘কারো স্বামী’তে রূপান্তরিত হয়েছে—শুধু আপনাকে ভালোবেসে।

২. আপনার চোখের জল মুছাতে যে হাতটা আগে এগিয়ে আসে, সেটা কি কারো বাবার হাত? না, সেটা স্বামীর।
কারণ, সে জানে আপনার কান্নার মানে, বুঝে আপনার চুপ করে যাওয়া, অনুভব করে আপনার না বলা কথা।

৩. একটা মেয়ে যখন অসুস্থ হয়, সবাই পরামর্শ দেয়, কিন্তু স্বামীটা চুপচাপ পাশে বসে সারা রাত জেগে ভাবে—‘কি করলে আমার মানুষটা ঠিক হবে?’
এই চিন্তার গভীরতায় আপন ভাব না খুঁজে পাওয়া কি সম্ভব?

৪. অনেক সময় হয়তো কথা কম হয়, ভালোবাসা প্রকাশে কৃপণ, কিন্তু তবুও রাতের খাবার গরম করে রেখে দেওয়া, ভিজে কাপড় ছায়ায় শুকাতে দেওয়া—এসব ছোট ছোট কাজেই লুকিয়ে থাকে তার নিঃশব্দ ভালোবাসা।

৫. আপনার স্বামীই একমাত্র মানুষ, যে আপনাকে দেখে প্রতিদিন বদলাতে থাকে—আপনার অভ্যাসে নিজেকে মানিয়ে নেয়, আপনার ছায়া হয়ে ওঠে।
প্রেমের চাইতেও বড় এই “সহযো*দ্ধা”র ভূমিকা।

৬. যখন সবাই ভুল বোঝে, ভুল ধরে, তখন হয়তো কড়া কথা বলেও সবার আড়ালে আপনাকে সবচেয়ে বেশি বুঝতে চেষ্টা করে—সে মানুষটিই আপনার স্বামী।

৭. এই সমাজে অনেক সম্পর্ক ভেঙে যায়, বিশ্বাস হারিয়ে যায়, তবু যদি একজন স্বামী তার স্ত্রীর পাশে থেকে যায়—তবে তার চেয়ে বড় আপন কেউ নয়।

ভালোবাসা মানে শুধুই গোলাপ আর মোমবাতি নয়, ভালোবাসা মানে—কেউ একজন আড়ালে আপনার জন্য সব হারিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আর সেই মানুষটার নাম—স্বামী।
জীবন সুন্দর যদি মানুষ টা সঠিক হয়।

~ সংগৃহীত

#বাংলাদেশ

একটি মেয়ে বিবাহিত জীবনে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলো এবং তার স্বামীকে হত্যা করতে চাচ্ছিলো। একদিন সকালে সে তার মায়ের কাছে দৌড়...
15/07/2025

একটি মেয়ে বিবাহিত জীবনে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলো এবং তার স্বামীকে হত্যা করতে চাচ্ছিলো। একদিন সকালে সে তার মায়ের কাছে দৌড়ে গিয়ে বললো- “আমি আমার স্বামীকে নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি, আমি আর তার বাজে কথা সমর্থন করতে পারছি না। আমি তাকে হত্যা করতে চাই, তবে আমি ভয়‌ও পাচ্ছি যে দেশের আইন আমাকে দায়ী করবে। তুমি কি দয়া করে এ বিষয়ে সাহায্য করতে পারো, মা?”

মা উত্তর দিলেন- “হ্যাঁ, আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারি। তবে তার আগে কয়েকটি কাজ আছে যা তোমাকে করতে হবে।”

মেয়ে জিজ্ঞাসা করলো- “কি কাজ মা? আমি তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যে কোনো কাজ করতে প্রস্তুত আছি।”

মা বললেন- “ঠিক আছে, তাহলে শোনো:-

১. তোমাকে প্রথমেই তার সাথে শান্তি স্থাপন করতে হবে, যাতে সে মারা যাওয়ার পর কেউ তোমাকে সন্দেহ করতে না পারে।

২. তার কাছে তরুণ এবং আকর্ষণীয়া দেখাবার জন্য তোমাকে সুন্দর করে সেজে থাকতে হবে।

৩. ভালো করে যত্ন নিতে হবে এবং তার প্রতি সদয় ও কৃতজ্ঞ হতে হবে।

৪. তোমাকে হিংসা কমিয়ে ধৈর্য ধরতে হবে; বেশি মনোযোগী হতে হবে, আরও শ্রদ্ধাশীল এবং বাধ্য হতে হবে।

৫. প্রয়োজনে নিজের টাকা তার জন্য ব্যয় করবে এবং রাগ করা যাবে না, এমনকি সে যদি তোমাকে কিছু দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তবুও।

৬. তার সাথে উচ্চস্বরে কথা বলা যাবে না, সবসময় শান্তি এবং ভালবাসা বজায় রাখতে হবে। যাতে সে মারা গেলেও তোমাকে কেউ সন্দেহ করতে না পারে।

৭. তার কোন চাওয়া পাওয়া অপূর্ণ রাখবে না। সে যেভাবে পছন্দ করে সেভাবে চলবে এবং তার পছন্দের খাবার বানিয়ে দিবে।”

এরপর মা জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি এগুলো সব করতে পারবে?”

মেয়ে জবাব দিল, “হ্যা, আমি পারবো।”

মা বললেন, “ঠিক আছে, তাহলে এই পাউডারটা নিয়ে যাও এবং প্রতিদিন তার খাবারের সাথে খানিকটা করে মিশিয়ে দিবে; এটাই ধীরে ধীরে তাকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাবে।”

৩০ দিন পর মেয়েটি তার মায়ের কাছে ফিরে এসে অত্যন্ত দুঃখের সুরে মিনতি করে বললো “মা, এখন আর স্বামীকে হত্যার কোনও ইচ্ছা আমার নেই। আমি এখন তাকে ভালোবাসতে পেরেছি কারণ সে পুরোপুরি বদলে গেছে। সে এখন আমার কল্পনার চেয়েও খুব ভালো স্বামী। এখন তাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে আমি কী করতে পারি? আমাকে সাহায্য কর!”

মা উত্তরে বললেন- “ভয়ের কিছু নেই, তুমি চিন্তা করো না। ঐদিন আমি যে পাউডার তোমাকে দিয়েছিলাম তা ছিলো হলুদের গুঁড়া। যা কখনই তার মৃত্যুর কারণ হবে না। সত্যি কথা বলতে কি- তুমি নিজেই ছিলে এমন একটি বিষ যা ধীরে ধীরে তোমার স্বামীকে উত্তেজিত এবং হতাশাগ্রস্থ করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছিলো।”

শিক্ষা:- সর্বপ্রথম নিজের ভুল বা দোষগুলো চিহ্নিত করে সংশোধন করা।

সংগৃহীত

“নারী ভুল জায়গায় গিয়ে ঠকে এবং সঠিক জায়গায় গিয়ে ঠকায়” 🔸 ভুল জায়গায় গিয়ে ঠকে:নারী যখন এমন মানুষ বা পরিবেশে আস্থা...
15/07/2025

“নারী ভুল জায়গায় গিয়ে ঠকে এবং সঠিক জায়গায় গিয়ে ঠকায়”
🔸 ভুল জায়গায় গিয়ে ঠকে:
নারী যখন এমন মানুষ বা পরিবেশে আস্থা রাখে যা তার সম্মান, নিরাপত্তা বা মর্যাদা রক্ষা করে না, তখন নারী প্রতারিত হয়, কষ্ট পায়, সম্পর্ক নষ্ট হয়, মানসিক ভেঙে পড়ে।

🔸 সঠিক জায়গায় গিয়ে ঠকায়:
যখন নারী এমন একজন পুরুষের জীবনে আসে, যে তাকে সম্মান করে, ভালবাসে, তাকে সম্মান দেয়, তখন অনেক নারী তার সেই নিরাপত্তা ও ভালোবাসার জায়গায় অহংকার দেখায়, অন্যায় চাহিদা করে, বা তার দায়িত্বকে হালকাভাবে নেয়, ফলে সেই পুরুষকেই মানসিক কষ্ট দেয়।

বাস্তব উদাহরণ

অনেক নারী ভুল মানুষকে ভালোবেসে তার সবকিছু উৎসর্গ করে, তার দোষ, মদ্যপান, নেশা, অন্য মেয়েদের সাথে সম্পর্ক সহ্য করে। শেষে সেই ছেলে তাকে ছেড়ে দেয়, নারী ঠকে।

কিন্তু যখন সেই নারী সৎ, দ্বীনদার, দায়িত্বশীল একজন স্বামীর ঘরে আসে, সে স্বামীর সাথে তুলনামূলক অহংকার, অহেতুক সন্দেহ, বা অতিরিক্ত চাহিদা করে, ফলে সে সেই সঠিক মানুষকেই ঠকায়।

🔹 নারীকে সম্মান ও মর্যাদা ভগবান দিয়েছেন। কিন্তু যখন নারী অন্যায় সম্পর্কে জড়ায় (অবৈধ সম্পর্ক), নৈতিকতা ছেড়ে ফ্যাশনের পেছনে ছুটে, তখন সে দুনিয়ার কাছে খারাপ চরিত্রের নারী হিসেবে প্রতিপন্ন হয়।
🔹 আর যখন নারী দ্বীনদার স্বামী পায়, ভালো পরিবার পায়, তখন তার দায়িত্ব হলো সেই পরিবেশকে সম্মান করা। কিন্তু অহংকার, অবহেলা, অযাচিত চাহিদা করে অনেক নারী সেই সঠিক স্থানকে কষ্ট দেয়।

সমাজ থেকে নেওয়া বাস্তব অভিজ্ঞতা

✅ অনেক নারী অর্থলোভী বা বিলাসী পুরুষের পেছনে গিয়ে ঠকে, শেষমেষ একাকী হয়ে যায়।
✅ আবার কোনো নারী একজন সহজ-সরল, ভালো মানুষের জীবনে এসে অহেতুক ঝগড়া, সন্দেহ, পরিবারকে হুমকি দিয়ে জীবনকে জটিল করে তোলে।
✅ তাই নারী যখন ভুল জায়গায় যায়, প্রতারিত হয়। সঠিক জায়গায় আসে, তখন নিজের অভ্যাস বা অহংকার দিয়ে প্রতারনা করে।

উপসংহার

“নারী ভুল জায়গায় গিয়ে ঠকে এবং সঠিক জায়গায় গিয়ে ঠকায়” –
🔸 কথাটি আমাদের সমাজের বাস্তবতা।

বাচ্চার দুষ্টুমিতে এলোমেলো হয়ে যাওয়া ঘর দেখে আজ কিবিরক্ত হচ্ছেন? খেলনা ছড়িয়ে আছে, দেওয়ালে রঙের দাগ,প্রতিটি কোণজুড়ে...
15/07/2025

বাচ্চার দুষ্টুমিতে এলোমেলো হয়ে যাওয়া ঘর দেখে আজ কি
বিরক্ত হচ্ছেন? খেলনা ছড়িয়ে আছে, দেওয়ালে রঙের দাগ,
প্রতিটি কোণজুড়ে ছোট্ট পায়ের দৌড়ঝাঁপ ... সব যেন
অগোছালো!
কিন্তু জানেন কি? এই এলোমেলো ঘর একদিন ঠিকই
সাজানো-গোছানো, পরিপাটি হয়ে যাবে৷
তবে সেই ঘরে থাকবে না খিলখিল করে হেসে ওঠা শিশুর
কণ্ঠস্বর, থাকবে না ছোট্ট পায়ের টুপটাপ শব্দ, খেলনার
টুংটাং আওয়াজ কিংবা ঠোঁট ফুলিয়ে কান্নার সুর ।
হয়তো তখন আপনার ঘর থাকবে, কিন্তু আপনার সোনামণি
তার শৈশব পেরিয়ে বড় হয়ে গেছে। তার একটি নিজস্ব
জগৎ তৈরি হয়েছে, যেখানে "আম্মু", "আব্বু" বলে আপনাকে
বারবার ডাক দেয়ার সময় নেই।
সে এখন আপনাকে আর বিরক্ত করে না, খাবার নিয়ে
পেছনে ছুটতে হয় না, অসুখে আর রাত জাগতে হয় না।
শুধু পড়ে থাকে কিছু মধুর স্মৃতি, শৈশবের কোমলতায় গড়া
কিছু মুহূর্ত ।
সন্তান—আল্লাহর দেওয়া সবচেয়ে বড় নেয়ামত ৷
বিশ্বাস না হলে, একবার তাকান সেই মানুষটির দিকে যার
কোল খালি। বুঝে যাবেন, আজ আপনার কাছে যা
বিরক্তিকর মনে হচ্ছে, তা কারো কাছে অপ্রাপ্তির যন্ত্রণা।
তাই বলছি, আপনার শিশু সন্তানের দুষ্টুমিগুলোকে বিরক্তির
নয়, বরং আনন্দের চোখে দেখুন। পারলে তার সঙ্গে খেলায়
যোগ দিন, একসাথে মজা করুন। কারণ সময় একদিন
পেরিয়ে যাবে—থেকে যাবে শুধু স্মৃতি।
আরেকটা কথা মনে রাখবেন—
শিশুদের সান্নিধ্য পৃথিবীর সবচেয়ে প্রশান্তিদায়ক অনুভূতি।
আপনি যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন, সন্তানকে কাছে পেলে
অন্তর নরম হয়ে যায়, একটা স্বস্তি কাজ করে-যা আপনি
দূর থেকে কখনোই পাবেন না।
আজ রিজিকের খোঁজে অনেকে সন্তানদের থেকে দূরে চলে
যাচ্ছেন। মনে রাখুন, রিজিক তো আল্লাহই দেন। কাছ থেকে
পরিশ্রম করলেও বরকত পাওয়া যায়। আর সন্তানরাও তখন
ভালোভাবে মানুষ হয়ে ওঠে। তাদের মূল্যবোধ,
আদব-কায়দা, চরিত্র—সবকিছু গড়ে ওঠে আপনার
সান্নিধ্যে।
অন্যথায়, যদি আপনি দায়িত্ব ফেলে দূরে থাকেন, সন্তান
মানুষ না হলে একদিন তার জন্য আপনাকেই সারাজীবন
ভুগতে হবে।
তাই বলছি, কষ্ট হলেও সন্তানের পাশে থাকুন। সময় দিন,
শিক্ষা দিন, ভালোবাসা দিন। এই সময় আর কখনো ফিরে
আসবে না।

💖 অনেক মানুষ আলাদা হয়ে যায় না, কারণ আলাদা হওয়ার খরচটাও শুধু টাকার নয় ভেঙে পড়া আত্মার, প্রশ্নের মুখে পড়া অস্তিত্বের।কারণট...
15/07/2025

💖 অনেক মানুষ আলাদা হয়ে যায় না, কারণ আলাদা হওয়ার খরচটাও শুধু টাকার নয় ভেঙে পড়া আত্মার, প্রশ্নের মুখে পড়া অস্তিত্বের।

কারণটা কখনো আইন-কানুন, কখনো সন্তানের ভবিষ্যৎ, কখনো বা সমাজের কটাক্ষ কিন্তু ফলাফল প্রায় একই: "থাকা"র মধ্যেও এক ধরণের "না-থাকা"।

🔸 কেউ ডিভোর্স দিতে চায় না, কারণ আদালত, আইনজীবী, খোরপোষ সবই শুধুই অর্থনৈতিক ঝামেলা নয়, মানসিক ক্লান্তির আরেক নাম।
🔸 কেউ মুখ বুজে থাকেন শুধুই সন্তানের চোখের দিকে তাকিয়ে, ভাবেন এই ছোট্ট মুখগুলো কিভাবে মেনে নেবে যে ‘মা-বাবা একসাথে নেই’?
🔸 কেউ জানেন, আলাদা হলেই সন্তান মানুষ করতে হবে একা আর এই "একলা" শব্দটাই যথেষ্ট ভয় ধরানোর জন্য।

তবে এখানে শেষ নয়…

🔹 কেউ কেউ থাকেন, কারণ সেই মানুষটা হয়তো ভালোবাসে না, কিন্তু ঠকায়ও না। টিকে থাকার এই ছোট্ট আশ্বাসটুকুই তাদের কাছে যথেষ্ট।
🔹 আবার কেউ থাকেন শুধুই সুবিধার জন্য স্বাধীনতা, টাকা, নিরাপত্তা… হয়তো ভালোবাসা নেই, তবুও বাকি জিনিসগুলো তো আছে।
🔹 কেউ থাকে শুধুই সমাজের ভয় থেকে “লোকে কি বলবে?” এই ভয়ই যেন তাদের জীবনটা চালায়।

🌀 কিন্তু সবচেয়ে কষ্টের সত্য?
অনেকেই শুধু অভ্যেসের জন্য একসাথে থাকে।
ভালোবাসা কবে হারিয়ে গেছে, তার হিসাব মেলেনা।
দুজন মানুষ পাশাপাশি থেকেও হয়ে যান ‘অচেনা’।

তবে এর মাঝে আরও একটি নতুন দিকও আজকাল চোখে পড়ে
🔸 অনেকেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসছেন নিজের মানসিক সুস্থতার কথা ভেবে।
🔸 নিজেকে ভালোবাসাটাকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন, আর এটাও শিখছেন ভাঙা মানেই শেষ নয়, বরং নতুনভাবে শুরু করার সুযোগ।
🔸 থাকা আর টিকে থাকা এই দুইয়ের মাঝে পার্থক্য বুঝে ফেলছেন অনেকেই।

তবুও একটা প্রশ্ন থেকে যায়…

এই সংসারগুলোয় আসলেই কি ভালোবাসা আছে?
না কি এগুলো শুধু দায়িত্ব, সুবিধা, আর সমাজের চোখে বাঁচার কৌশল?

মানুষ ভাঙতে চায় না এই সত্যটাই সবচেয়ে তীব্র।
তাই তো অনেকেই বেঁচে থাকে শুধুই মানিয়ে নিয়ে।
আর আমরা একে বলি জীবন।

14/07/2025

হিন্দি বা বাংলা ছবিতে নায়ক আর গুন্ডাদের মারামারি করে ঠিক আছে, কিন্তু ফল বা তরকারির ভ্যান গুলো যে উল্টায় ফেলায় দেয়, এই ভ্যান গুলোর দোষ টা আসলে কি?

✅✅পুরো গল্পটি পড়ুন আমার নাম মীরা। বয়স তেইশ ছুঁই ছুঁই।✅একটা সরকারি স্কুলে পড়াই - সকালে নিয়ম মাফিক স্কুল, দুপুরে বাড়ি, আর...
14/07/2025

✅✅পুরো গল্পটি পড়ুন

আমার নাম মীরা। বয়স তেইশ ছুঁই ছুঁই।

✅একটা সরকারি স্কুলে পড়াই - সকালে নিয়ম মাফিক স্কুল, দুপুরে বাড়ি, আর সন্ধ্যায় নিঃশব্দ এক সংসার।

আমার বিয়ে হয়েছে বছর পাঁচেক। স্বামী অমিত- চাকরি করে একটা ব্যাঙ্কে। ভদ্র, শান্ত, যত্নশীল সবাই বলে, "তোর তো ভাগ্য ভালো মেয়ে!"

✅শুরুতে সব ঠিক ছিল, নতুন সংসারের রঙিন দিন গুলোয় আমি ডুবে ছিলাম।

কিন্তু ধীরে ধীরে একটা অদৃশ্য শূন্যতা ঘিরে ধরল আমাকে। রাতে পাশে শুয়ে থাকা মানুষটা যেন ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে লাগল। যখন আমি একটু ছুঁয়ে দিতে চাইলাম – সে মুখ ঘুরিয়ে নিল।

✅কখনও বলল - মাথা ধরেছে, আবার কখনও অফিসের কাজের ক্লান্তি। আর আমি অপেক্ষা করে গেলাম... রাতের পর রাত।

প্রথমে ভাবতাম - সময় দাও, ঠিক হয়ে যাবে। তারপর নিজেকে দোষ দিতে শুরু করলাম। হয়তো আমি আর ওর চোখে আগের মতো সুন্দর নই?

✅নিজেকে আরও যত্ন নিতে শুরু করলাম, চুলে নতুন ছাঁট, শাড়িতে রঙিন ভাব, ঠোঁটে একটু বাড়তি লিপস্টিক।

✅তবুও... অমিতের চোখে কখনও কোনো আগ্রহ দেখিনি। সেই চোখে ছিল কেবল দায়বদ্ধতা, অভ্যাস... আর নিঃস্বর্ত দূরত্ব।
একদিন বলেই ফেললাম
"আমি কি তোমার পছন্দ নই?"
সে একটু চুপ করে রইল, তারপর বলল -
"ভালোবাসি, কিন্তু ঠিক সেভাবে নয়।"
সে উত্তর আমার ভিতরটা ভেঙে দিল।
তখন বুঝলাম, আমার জীবনে একজন স্বামী আছে, কিন্তু সঙ্গী নেই।

✅দিনগুলো কেটে যায় আমি রান্না করি, সংসার চালাই, স্কুলে ছেলেমেয়েদের শিখাই সম্পর্ক মানে কী, ভালোবাসা মানে কী। আর রাত হলে... নিঃশব্দে নিজেকে জড়িয়ে ধরি।

✅এই সমাজে অনেক মেয়েই আছে যারা একটা নামধারী সম্পর্কে বেঁধে থাকলেও প্রেম, ছোঁয়া, অন্তরঙ্গতা এই শব্দগুলো শুধু গল্পে খুঁজে পায়।
আর প্রতিদিন এক নতুন মুখোশ পরে বেরোয় হাসিখুশি দেখানোর অভিনয় করে।
আমি আজও বেঁচে আছি।
তবে পূর্ণ নই।
আমি শুধু চাই - আর কোনো মেয়ে যেন এমন 'সুখী' দাম্পত্যে নিঃস্ব না হয়ে পড়ে।
Copied

⚠️ ব্ল্যাক ম্যাজিকইক্বরা টিভি। সরাসরি ফোনালাপের অনুষ্ঠান চলছে। উপস্থাপনায় আছেন শায়খ আব্দুল্লাহ শাহাদাত। এক মহিলা কল করলো...
14/07/2025

⚠️ ব্ল্যাক ম্যাজিক

ইক্বরা টিভি। সরাসরি ফোনালাপের অনুষ্ঠান চলছে। উপস্থাপনায় আছেন শায়খ আব্দুল্লাহ শাহাদাত। এক মহিলা কল করলো।

- আসসালামু আলাইকুম।
- ওয়া 'আলাইকুমুস সালাম।
- শায়খ! আমি অনেক বড় গুনাহ করে ফেলেছি। আল্লাহ তা'আলা কি আমাকে ক্ষমা করবেন?
- কেনো ক্ষমা করবেন না, অবশ্যই ক্ষমা করবেন। নিশ্চই তিনি অতি ক্ষমাশীল অতি দয়ালু।
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, (আপনি বলে দিন, হে আমার বান্দারা! যারা নিজেদের উপর বাড়াবাড়ি করেছো! আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করে দেন। নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু(যুমারঃ ৫৩)।

- কিন্তু আমার গুনাহটা অনেক বড় আর গুরুতর। আল্লাহ কিছুতেই আমাকে ক্ষমা করবেন না।

- না বোন! আপনি এমনটা ভাববেন না। আল্লাহ তা'আলা বলেছেন,
(নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সাথে শিরক করাকে ক্ষমা করেন না। এছাড়া আর (সব) পাপ তিনি যাক ইচ্ছা ক্ষমা করে দেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শিরক করে সে ঘোরতর ভ্রান্তিতে পতিত হয়। (নিসাঃ১১৬)

- আমি সাত-সাতবার হজ করেছি। কিন্তু এ পর্যন্ত একবারও কা'বাঘর নিজ চোখে দেখতে পাইনি।

শায়খঃ ইয়াল্লাহ! ইয়া রাব!

মহিলাঃ আমি হেরেমে প্রবেশ করার পর তাওয়াফ কারীদেরকে দেখি, কিন্তু কা'বাঘর দেখতে পাই না। এমনকি একজন আমার হাত ধরে কা'বা শরী ছুঁইয়েও দেখিয়েছি। আমি হাত দিয়ে কা'বা ধরতে পেরেছি। কিন্তু কা'বা আমার সামনে দৃশ্যমান হয়নি।

শায়খঃ তাহলে তো দেখা যাচ্ছে আপনার পাপটা সত্যিই গুরুতর। বলুনতো কি এমন পাপ করেছেন? নিশ্চিত হয়ে বলুন, যাতে আমার বুঝতে সুবিধা নয়।

মহিলাঃ আমি অশ্লীল কাজে লিপ্ত ছিলাম। বিয়ের পরও অনেকবার হয়েছে। আমি ঠিক বলতে পারছি না, কোন পাপের কারনে আমার এই অবস্থা হয়েছে।

শায়খঃ অসম্ভব! এটা ছাড়াও অন্য কোনো পাপ আছে। শুধু অশ্লীলতার জন্য এমনটা ঘটতে পারে না। আপনি ভেঙে বলুন। আপনি কী করেছেন?

মহিলাঃ সত্যি কথা বলতে কি, আমি একজন নার্স। আমার গোপনে সম্পর্ক ছিলো একদল ব্ল্যাকম্যাজিক (কালোজাদু) চর্চাকারীদের সাথে। তারা নানাভাবে জাদুচর্চা করতো। তারা শবসাধনা করতো।

জাদুকরের শিখিয়ে দেয়া নিয়মানুযায়ী, হাসপাতালের হিমাগারে চুরি করে প্রবেশ করতাম। শবগুলো মুখে 'বিশেষ কাজ" করে মুখগুলো সেলাই করে দিতাম। শবগুলোকে এই অবস্থাতেই দাফন করা হতো। এই ন্যাক্কারজনক কাজ অসংখ্যবার করেছি।

শায়খঃ এমন কাজ কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। জাদুবিদ্যা তো শিরক।
নিশ্চয়ই শিরক বড় পাপ (লুকমানঃ১৩)

দুই সপ্তাহ পরে, ইক্বরা অনুষ্ঠানে একটা ফোন আসলো।

- আসসালামু আলাইকুম
- ওয়া 'আলাইকুমুস সালাম।
- হ্যালো শায়খ! দু' সপ্তাহ আগে একজন মহিলা ফোন করেছিলেন, আমি তার সন্তান।

শায়খঃ জি, বাবা! চিনতে পেরেছি। বলো কি খবর।

ছেলেঃ শায়খ! আমার আম্মু ইন্তিকাল করেছেন। তার মৃত্যুটা স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে। কিন্তু দাফনের সময় এমন একটা ঘটনা ঘটেছে, আমরা কেউ ধারণাও করতে পারি নি এমনটা কখনো ঘটতে পারে।

শায়খঃ কী ঘটনা?

ছেলেঃ জানাযার পর আমরা কবরস্থানে গেলাম। লাশ কবরে নামাতে গিয়েই বিপত্তি বাঁধলো। আমরা কবরে নামলেই কবরটা সংকুচিত হয়ে আসে। লাশ বের করলে কবরটা আবার ঠিক হয়ে যায়। আবার লাশ নামালে কবরটা সংকুচিত হয়ে যায়। এমনকি আমাদের পক্ষে ভেতরে দাঁড়ানোও অসম্ভবত হয়ে দাড়িয়েছিলো। এ ঘটনা দেখে, সাথে যারা ছিলো ভয়ে পারলিয়ে গেলো। তারা বললো, তোমার মা হয়তো এমন কোনও কাজ করেছে যে, কবর তাকে গ্রহণ করতে চাচ্ছে না। আমি বসে বসে কাঁদতে লাগলাম। এমন সময় দেখলাম একজন বৃদ্ধ লোক আসলে। তার পোশাক ছিলো অত্যন্ত উজ্জ্বল আর শুভ্র। দেখলেই মন ভালো হয়ে যায় এমন একজন মানুষ। তাকে দেখেই আমার মনে হলো, আমার আমনে এজন ফিরিশতা দাঁড়িয়ে আছেন। বিশেষ করে তার সাথে কথা বলে বিশ্বাসটা আরও বদ্ধমূল হলো। তিনি বললেন,

তোমার আম্মুকে যেভাবে আছে রেখে চলে যাও। পেছনে ফিরে তাকাবে না। আমি কোনও কথা না বলে চলে আসলাম। কিছুদূর আসার পর আমি আর কৌতূহল দমন করতে পারলাম না। আমার মায়ের কী হলো সেটা না দেখে বাড়ি যেতে মন টানছিলো না। পেছন ফিরে তাকালাম। দেখলাম, আকাশ থেকে প্রকাণ্ড এক অগ্নিগোলক ছুটে আসলো। চোখের নিমিষেই আম্মার লাশটাকে পুড়িয়ে ছাই করে দিলো। খাটিয়াসহ পুড়ে ছাই হয়ে গেলো।

আগুনের উত্তাপ এত প্রবল ছিল যে, এতদূর থেকেও আমার মুখটা ঝলসে গেল। শুধু দুচোখ অক্ষত রইলো।

আমি চিন্তিত হয়ে গেলাম, আমার চেহারা কেনো ঝলসে গেলো? আল্লাহ কি আমার প্রতি নারাজ?

শায়খঃ প্রিয় বৎস! সম্ভবত আল্লাহ তা'আল মায়ের পাপ থেকে তোমাকে পবিত্র করতে চেয়েছেন। তুমি তো তোমার মায়ের হারাম উপার্জনেই বড় হয়েছো। আল্লাহকে ভয় করো। তাঁর কাছেই ক্ষমা চাও। আল্লাহ আ'আলা তোমার জন্য যা দিয়েছেন তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকো।

[যারা যাদুকর/কবিরাজ/কুফরী হুজুরদের কাছে যান তারা নিজেদের পরিনতি সম্পর্কে সচেতন হোন। তওবা করে ফিরে আসুন। মৃত্যু অতি সন্নিকটে।]

— আতিক উল্লাহ হাফিযাহুল্লাহ

আমার বয়স ৩০ ও আমার স্ত্রীর বয়স ২৪। আমাদের বিয়ের ১.৫ বছর চলছে। আমি একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরী করি। আমার স্ত্রী এমনিতে...
14/07/2025

আমার বয়স ৩০ ও আমার স্ত্রীর বয়স ২৪। আমাদের বিয়ের ১.৫ বছর চলছে। আমি একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরী করি। আমার স্ত্রী এমনিতে সাংসারিক, গুনবতী, সুন্দরী ওর সবই ভালো কিন্তু তাকে নিয়ে আমি সন্তুষ্ট না। বিয়ের এত সময় পর ও তার কিছু আচরন আমাকে ক"ষ্ট দেয়।

আমি আমার জীবনে কখনো প্রেম করি নাই, এজন্য আমার স্ত্রীকে নিয়ে আমার আশা একটু বেশি ছিলো। সে একটু রোমান্টিক হবে, আমাকে ভালোবাসবে এইটুকুই চেয়েছিলাম।

আমি তার সাথে একটু দু"ষ্ট''মি বা চাইল্ডিশ আচরন করলে সে বি"র"ক্ত হয় "বলে আমি নাকি এখনো বাচ্চা, আমার মধ্যে ম্যাচুরিটি আসে নাই।"

আমরা যখন পাশাপাশি থাকি, তখন আমি তার সাথে একটু গা ঘে"ষে বসে থাকি! আমার ভালো লাগে এটা, কিন্তু তার সহ্য হয়না।

বিয়ের প্রথমে যখন এগুলা করতো, ভাবতাম যে "এখনো হয়তো মানিয়ে নিতে পারেনি, আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে।" কিন্তু আজকের প্রায় ১.৫ বছর হয়ে গেলো, সবই আগের মতো।

এছাড়া ও শা"রী*রি"ক সম্পর্কের সময় আজ পর্যন্ত কখনো নিজে থেকে সাড়া দেয়নি। যতবার করেছি, আমি ই নিজে থেকে ডেকেছি।

অনেকবার চেষ্টা করেছি, তাকে আর নিজ থেকে সাড়া দিবো না! কিন্তু নিজেকে ক"ন্ট্রো"ল করতে পারি নাই। মাঝখান দিয়ে কতো স্পেশাল ডে গেল, কোনদিন নিজ থেকে সাপ্রাইজ দেয়নি।

আমার জন্ম দিনের সময় বললো "শুভ জন্মদিন তোমাকে" অথচ তার জন্মদিনে আমি তাকে সাপ্রাইজ দিয়েছিলাম, কেক কা/টা, গিফট দেওয়া সব ই করেছিলাম আমি।

সব পুরুষই চায় তার বউ যেন তার জন্য সুন্দর করে সাজে, সুন্দর শাড়ি পরে। আমার প্রিয় রঙ নীল! আমি তাকে কিছুদিন আগে একটা নীল শাড়ি কিনে দিয়ে বললাম "কাল তো শুক্রবার, তুমি গোসল করার পর আমার জন্য এই শাড়ি টা পড়ে থেকো।"

নামাজ পড়ে বাসায় এসে দেখি, সে তার পুরাতন একটা থ্রী পিস পরে আমার সামনে আসছে।

সেই সময় মনে এতো রা"গ হয়েছে কি আর বলবো! তবে রা"গের থেকে বেশি মনে ক"ষ্ট পেয়েছি।

মানুষ নাকি মান-সি"ক ও শা"রী"রিক তৃ"প্তি"র জন্য বিয়ে করে। আর আমি বিয়ে করে শা/রী"রিক ও মান-সি"ক দুইভাবেই অ"সু"স্থ।

আমি পরামর্শ দেন কিভাবে স্ত্রীকে আমার মর্ম ও গুরুত্ব বুঝাতে পারবো। 😥

>নাম প্রকাশ করবেন না।

টাকা—একটি ছোট শব্দ হলেও এর প্রভাব জীবনের প্রতিটি স্তরে গভীর। বর্তমান যুগে টাকা ছাড়া জীবন প্রায় অচল। তবে টাকার গুরুত্ব ...
14/07/2025

টাকা—একটি ছোট শব্দ হলেও এর প্রভাব জীবনের প্রতিটি স্তরে গভীর। বর্তমান যুগে টাকা ছাড়া জীবন প্রায় অচল। তবে টাকার গুরুত্ব বুঝতে হলে আমাদের বুঝতে হবে—টাকা কেবলই একটি মাধ্যম, কিন্তু জীবনের সবকিছু নয়।

টাকার প্রয়োজনীয়তা
টাকা ছাড়া আমরা আমাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারি না। খাবার, কাপড়, বাসস্থান, চিকিৎসা এবং শিক্ষা—এই পাঁচটি মৌলিক চাহিদা পূরণে টাকার প্রয়োজন অপরিহার্য। একটি পরিবারে শিশুর জন্ম থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে টাকার প্রয়োজন হয়। টাকা ছাড়া আমরা যেমন ভালোভাবে বাঁচতে পারি না, তেমনি ভবিষ্যতের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে পারি না।

সমাজে টাকার প্রভাব
সমাজে টাকার অবস্থান অনেক উঁচুতে। টাকার পরিমাণ দিয়ে মানুষকে বিচার করা হয়—কে কত বড়, কে কত সম্মানিত, তা অনেক সময় টাকায় নির্ধারিত হয়। চাকরি থেকে শুরু করে বিয়ে, বন্ধুত্ব থেকে শুরু করে সামাজিক মর্যাদা—সবকিছুতে টাকার প্রভাব স্পষ্ট।

টাকার সীমাবদ্ধতা
তবে এটাও সত্যি—টাকা সব কিছু নয়। টাকা দিয়ে আপনি শারীরিক প্রয়োজন মেটাতে পারবেন, কিন্তু মানসিক শান্তি কিনতে পারবেন না। টাকার মাধ্যমে আপনি ওষুধ কিনতে পারবেন, কিন্তু ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, কিংবা বিশ্বাস কিনতে পারবেন না। আবার অনেক সময় অতিরিক্ত টাকার লোভে মানুষ নৈতিকতা ভুলে যায়, পরিবার ভেঙে পড়ে, সম্পর্ক নষ্ট হয়।

সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন
টাকা উপার্জন করা প্রয়োজন, কিন্তু তা হতে হবে সৎ ও ন্যায়ের পথে। জীবনে টাকার পিছনে ছুটতে গিয়ে আমরা যেন মূল্যবান সম্পর্ক ও আত্মিক শান্তি হারিয়ে না ফেলি। টাকা যেন আমাদের নিয়ন্ত্রণ না করে, বরং আমরা যেন টাকাকে নিয়ন্ত্রণ করি।

“টাকা জীবনের চালিকাশক্তি হলেও তা জীবনের লক্ষ্য নয়।” জীবনে টাকা দরকার, তবে মানুষের মূল্য টাকা দিয়ে মাপা যায় না। টাকা থাকা ভালো, তবে জীবনে ভালো থাকা আরও জরুরি।

লেখা- জীবন চক্র
#জীবন_চক্র

"অনেকদিন ধরে মাথায় ঘুরছে কাজটা করবো, করবো… কিন্তু কিছুতেই শুরু করা যাচ্ছে না।"এই “শুরু করার আগের প্রস্তুতি” — আসলে একটা ...
14/07/2025

"অনেকদিন ধরে মাথায় ঘুরছে কাজটা করবো, করবো… কিন্তু কিছুতেই শুরু করা যাচ্ছে না।"

এই “শুরু করার আগের প্রস্তুতি” — আসলে একটা ফাঁদ।

যখন আপনি বলেন, “আমি এখনও প্রস্তুত না,”
এর মানে আপনি ভয় পাচ্ছেন, সন্দেহ করছেন, বা সবকিছু পারফেক্ট হতে চাচ্ছেন।

কিন্তু শুরু করার সবচেয়ে ভালো সময় হলো — যখন আপনি এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত না।

দ্রুত কোনো কিছু শুরু করার ৫টি সহজ নিয়ম:

১. ২ মিনিটের নিয়ম:
যেটা শুরু করতে চান, খুব ছোট করে ২ মিনিট সময় নিয়ে শুরু করুন। শুধু ডকুমেন্ট খুলে বসুন, একটা লাইন লিখুন, একটা পৃষ্ঠা পড়ুন — ব্যাস!

২. কাজ > পরিকল্পনা:
অনেক বেশি প্ল্যান করলে কাজটাই আর শুরু হয় না।
আগে শুরু করুন, পরে ঠিকঠাক করে নেবেন।

৩. পারফেকশন বাদ দিন:
সবকিছু পারফেক্ট করে শুরু করার চিন্তা করলে, কখনই শুরু করা হবে না। গোছালো না হলেও শুরুটা করলেই হয় — অনেক সময় এলোমেলো শুরু থেকেই দারুণ কিছু তৈরি হয়।

৪. দায়িত্ব তৈরি করুন:
কারো সঙ্গে শেয়ার করুন — আপনি কাজটা শুরু করেছেন।
তাহলে আপনার থেমে যাওয়ার সুযোগ কম থাকবে, কারণ কেউ আপনাকে মনে করিয়ে দেবে।

৫. পরিবেশ বদলান:
আপনার চারপাশের পরিবেশ একটু বদলান।
যেখানে মনোযোগ কম ভাঙবে, এমন জায়গায় কাজ করুন।
এতে মাথায় আলাদা একরকম মুড তৈরি হবে।

পোস্ট ক্রেডিট তুষার।

Address

Sylhet

Telephone

+8801576620730

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rasel Ahmed পথহারা পথিক posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share