27/08/2024
হ্যাঁ, কখনো কখনো জালিমদের বাহ্যিকভাবে সফল মনে হয়, কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে একসময় মানুষ অনুভব করে যে ওই সাময়িক সফলতা জালিমকে চূড়ান্ত ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। মহান আল্লাহ সঠিক সময়ে ঠিকই তাদের পাকড়াও করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘অচিরেই জালিমরা জানতে পারবে, তাদের প্রত্যাবর্তনস্থল কোথায় হবে।’
(সুরা : শুআরা, আয়াত : ২২৭)
তাই মুমিনের উচিত কারো ওপর জুলুম হয় এমন কাজ থেকে দূরে থাকা।
কোনো জালিমকে জুলুমের কাজে সহযোগিতা করা থেকে বিরত থাকা। যারা তা করবে, তাদের সঙ্গে প্রিয় নবী (সা.) সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন। এবং তাদের হাউসে কাওসার থেকে বঞ্চিত করা হবে। কাআব ইবনে উজরা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেছেন, হে কাআব ইবনে উজরা, আমার পরে যেসব নেতার উদয় হবে আমি তাদের (অনিষ্ট) থেকে তোমার জন্য আল্লাহ তাআলার সহায়তা প্রার্থনা করি। যে ব্যক্তি তাদের দ্বারস্থ হলো (সান্নিধ্য লাভ করল), তাদের মিথ্যাকে সত্য বলল এবং তাদের স্বৈরাচার ও জুলুম-নির্যাতনে সহায়তা করল, আমার সঙ্গে ওই ব্যক্তির কোনো সম্পর্ক নেই এবং এ ব্যক্তির সঙ্গে আমারও কোনো সংস্রব নেই। ওই ব্যক্তি ‘কাউছার’ নামে হাউজের ধারে আমার কাছে আসতে পারবে না। অন্যদিকে যে ব্যক্তি তাদের দ্বারস্থ হলো (তাদের কোনো পদ গ্রহণ করল) কিন্তু তাদের মিথ্যাকে সত্য বলে মানল না এবং তাদের স্বৈরাচার ও জুলুম-নির্যাতনে সহায়তা করল না, আমার সঙ্গে এ ব্যক্তির সম্পর্ক রয়েছে এবং এ ব্যক্তির সঙ্গে আমারও সম্পর্ক রয়েছে। শিগগিরই সে ‘কাউছার’ নামে হাউজের কাছে আমার সঙ্গে দেখা করবে। হে কাআব ইবনে উজরা, নামাজ হলো (মুক্তির) সনদ, রোজা হলো মজবুত ঢাল (জাহান্নামের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধক) এবং সদকা (জাকাত বা দান-খয়রাত) গুনাহসমূহ মিটিয়ে দেয়, যেভাবে পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়। (তিরমিজি, হাদিস : ৬১৪)
নাউজুবিল্লাহ, যার সুপারিশ ছাড়া কিয়ামতের মাঠে গোটা মানবজাতি অসহায় হয়ে পড়বে, সেই নবী (সা.) যদি কারো সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন, তাহলে তার চেয়ে পোড়া কপাল আর কে হতে পারে? অতএব, দুনিয়ার হীন স্বার্থে জালিমের অসংলগ্ন কাজকে সমর্থন ও উৎসাহ দেওয়া থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। তাদের থেকে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কারণ জুলুমে সহযোগিতা করাও জঘন্য গুনাহ। মহান আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন।