LM JIHAD

LM JIHAD জীবন হল এমন একটি ফুল, যার প্রতিটি পাপড়ি হল একটি স্বপ্ন।”

ডাক্তার বললেন—'রোগটা গসিপোফিলিয়া,কানের পর্দায় পচন, জিহ্বায় এডিমা, শেষ স্টেজে মুখ গলে যাবে!'আমি বললাম,—এই 'পচন রোগ কিভা...
30/07/2025

ডাক্তার বললেন—'রোগটা গসিপোফিলিয়া,
কানের পর্দায় পচন, জিহ্বায় এডিমা, শেষ স্টেজে মুখ গলে যাবে!'

আমি বললাম,—
এই 'পচন রোগ কিভাবে ধরলো?
ডাক্তার হাসে,
কানের পর্দায় ঢুকাও পরনিন্দার 'বিষ, জিব্বাহ দিয়ে খাও পরচর্চার আমিষ'-
'পচন ধরেছে তোমার মস্তিকে 'এই অমৃত 'বিষের স্বাদে'।

"আমি চিৎকার করে বললাম—'এটা তো আমার দোষ না!'
ডাক্তার হাসলেন—'তোমার স'মাজই তো ট'ক্সিক কালচার তুমি তার পেট্রিডিশ,
এখানে প্রতিদিন "গীবতের ইনজেকশন" দেওয়া হয়,
তুমি শুধু একটি "হিউম্যান রিয়্যাকশন"—অন্তত সত্যিটা স্বীকার করো!'

আমি অস্বীকার করলাম:
ডাক্তার চেয়ারে বসে আছেন—
তার হাতে নিয়ে নাড়ছেন, আমার পঁচে যাওয়া রিৎপিন্ডের "ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম"!
স্পষ্ট ভাসে তাতে —"একটি গলিত পঁচা মাংস"?'

ডাক্তার বললেন—'অস্ত্রোপচার করতে পারি,
বিবেকের 'বৃক্ক — প্রতিস্থাপন করে—
কিন্তু ডোনার কি পাবো?
এই শহরে তো সবাই নৈতিক 'ডায়ালিসিস -এ!
যাও, ফিরে যাও—তোমার "পচা আত্মা" নিয়ে বাঁচো!

আমি বলি,
আমরা সবাই মিলে পান করি একই গল্পের 'বিষ, আমার জিহ্বায় তার লালা—তার কানে আমার 'বিষ!
ডাক্তার বলে,-
যে গল্প তুমি ছড়াও অন্যের নামে —সেটা সত্য হলে তুমি তৃপ্ত 'খুনি',
মিথ্যা হলে তুমি শয়তান!
তবুও প্রশ্ন—কোনটা বেশি পাপ?

আমি বলি,
এই পরচর্চার নগরে যে হাত মেলাই—এটা কি বন্ধুত্ব, নাকি বন্ধুত্বের নামে,-
একজনের লাশ আরেকজন টেনে, খুঁজি অযথা সম্পর্কের মানে?

———
'গীবতের ই'নজেকশন'।

পুরুষরা অনেক সময় যেই জায়গাটাকে সবচেয়ে যত্ন করে, শেষে সেই জায়গাটাকেই ধ্বংস করে ফেলে। আর সেটা হচ্ছে তার নিজের স্ত্রীর মন।স...
29/07/2025

পুরুষরা অনেক সময় যেই জায়গাটাকে সবচেয়ে যত্ন করে, শেষে সেই জায়গাটাকেই ধ্বংস করে ফেলে। আর সেটা হচ্ছে তার নিজের স্ত্রীর মন।

স্ত্রীর মনটা অনেকটা শিশুর মতো।
একজন মেয়ে যখন কাউকে ভালোবেসে তার জীবন উজাড় করে দেয়, তখন সে শুধু সংসার গড়তে চায় না, সে চায় ভালোবাসার মানুষটা তার পাশে থাকুক, তাকে বুঝতে চেষ্টা করুক, তার দুর্বলতাগুলোকে গ্রহণ করুক, আর তার কষ্টগুলো ভাগ করে নিক।

কিন্তু যখন সে কষ্টের কথা বলতে যায়, তখন যদি শোনে "তুমি ড্রামা করছ", "তুমি বেশি সেনসিটিভ", "তুমি কিছুই বোঝো না", তখন সে ধীরে ধীরে নিঃশব্দ হয়ে যায়।

তাহলে কী করা উচিত?
• শোনার চেষ্টা করুন, বোঝার চেষ্টা করুন: স্ত্রী কাঁদছে মানে শুধু চোখের জল নয়, হয়তো তার ভেতরের ভাষা হারিয়ে গেছে।
• তুলনা করবেন না: মায়ের, বোনের বা অন্য কারো সঙ্গে স্ত্রীর তুলনা করা মানে তাকে অপমান করা।
• সময় দিন: শুধু ফোনে চোখ রাখবেন না, বরং তার চোখে চোখ রাখুন। সেখানে অনেক না বলা কথা থাকে।
• স্বীকৃতি জানান: ছোট ছোট কথাতেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। যেমন, "তুমি যা করো, আমি সেটা দেখি", "তোমার কারণে আমার দিনটা সহজ হয়"।

📍📍ঈগলের পিঠে বসে একমাত্র পাখি যে সাহস করে, তা হলো কাক।…এই কাক কখনো কখনো ঈগলের ঘাড়ে ঠোকর মেরে বিরক্ত করে। কিন্তু ঈগল কি প...
28/07/2025

📍📍ঈগলের পিঠে বসে একমাত্র পাখি যে সাহস করে, তা হলো কাক।…
এই কাক কখনো কখনো ঈগলের ঘাড়ে ঠোকর মেরে বিরক্ত করে। কিন্তু ঈগল কি প্রতিক্রিয়া দেখায়? না, ঈগল কখনো ঝগড়ায় জড়ায় না। সে তার গতি পরিবর্তন করে না, রাগ প্রকাশ করে না। সে শুধু করে একটি কাজ উঁচুতে উড়ে যায়।
এত উঁচুতে, যেখানে কাকের জন্য বেঁচে থাকা অসম্ভব, যেখানে বাতাস পাতলা, অক্সিজেন কম ফলে কাক নিজেই পড়ে যায়, ঈগলের কিছুই করতে হয় না।

এই দৃশ্য আমাদের জীবনের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।

আমাদের চারপাশেও থাকে অনেক “কাক” স্বরূপ মানুষ যারা নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে চায় আপনার সাফল্যকে আঘাত করে। যারা নিজের আত্মবিশ্বাসের অভাব ঢাকে আপনার যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তারা কখনো হবে সহকর্মী, কখনো বন্ধু নামের মুখোশধারী, কখনো এমনকি আত্মীয় যারা আপনার স্বপ্নকে তুচ্ছ মনে করে, আপনার সাহসকে ধ্বংস করতে চায়।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, আপনি কি ঈগলের মতো হবেন, নাকি কাকের সাথে লড়াইয়ে সময় নষ্ট করবেন?

আপনি যদি প্রতিটি সমালোচনার উত্তর দিতে যান, প্রতিটি কটূক্তিতে প্রতিক্রিয়া দেখান তাহলে আপনি নিজের শক্তি ক্ষয় করবেন, নিজের লক্ষ্য থেকে সরে যাবেন। কিন্তু আপনি যদি উঁচুতে উঠেন নিজের উন্নতিতে, নিজের স্বপ্নে, নিজের অটলতায় তাহলে সেই “কাকেরা” আর কিছুই করতে পারবে না।

জীবনে উচ্চতা অর্জনের মানে শুধু অর্থ বা খ্যাতি নয়।

এই উচ্চতা মানে:

আপনার চরিত্রের দৃঢ়তা

আপনার ধৈর্য ও সহনশীলতা

আপনার নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা

এবং নিজের লক্ষ্য ও মূল্যবোধে অটল থাকার সাহস।

যখনই সমালোচনা আসবে, মনে রাখবেন ঈগল কখনো কাককে প্রতিক্রিয়া দেয় না, ঈগল শুধু আকাশে উড়ে যায়। আপনি যখন নিজের কর্মে সফল হবেন, যখন আপনি শব্দ না করে উপস্থিতি দিয়ে কথা বলবেন, তখন পুরো বিশ্ব বুঝবে, আপনি কী দিয়ে তৈরি।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়...

ঈগল কখনো দলবদ্ধ পাখি নয়। সে একা শিকার করে, একা উড়ে, একা নেতৃত্ব দেয়। একা চলা মানে দুর্বলতা নয় বরং আপনার আত্মবিশ্বাস, আপনার দৃষ্টিভঙ্গি, এবং নিজের উপর বিশ্বাসের চূড়ান্ত প্রকাশ।

শেষ কথায় বলি, যারা আপনার প্রতি ঈর্ষান্বিত, আপনার সাফল্যে অস্বস্তি বোধ করে তারা চায় আপনি থেমে যান। আপনার সবচেয়ে বড় প্রতিশোধ হবে, আপনি থামবেন না বরং আরও ওপরে উঠবেন।

🦅 নিজেকে ঈগলের মতো তৈরি করুন যাতে কেউ আপনাকে নামাতে না পারে, কারণ আপনি তখন এমন এক উচ্চতায় থাকবেন, যেখানে কাকেরা শ্বাসও নিতে পারবে না।

⚡ ভুল করো🚫। কারণ, তাতেই তোমার মূল্য বাড়ে। ✅মাঝে মাঝে ভুল বলো। না হলে বুঝবে কী করে, মানুষ তোমার কথা শুনছে কিনা!মাঝে মাঝে...
28/07/2025

⚡ ভুল করো🚫। কারণ, তাতেই তোমার মূল্য বাড়ে। ✅

মাঝে মাঝে ভুল বলো। না হলে বুঝবে কী করে, মানুষ তোমার কথা শুনছে কিনা!
মাঝে মাঝে ভুল লিখো। তবেই সেই মানুষও মন্তব্য করবে, যে আজীবন প্রতিজ্ঞা করেছে, তোমার কোনো পোস্টে কমেন্ট করবে না!

স্ট্যাসি বালিসের বইয়ের নাম ছিল—"How to Change a Life"। দ্বিতীয় সংস্করণে ভুলে ছাপা হলো—"How to Change a Wife"!
সেই 'ভুল'–ই বইটিকে করে দিল বেস্টসেলার।

ভুল মানেই ব্যর্থতা না। বরং, অনেক সময় ভুল–ই হয়ে ওঠে উত্তরণের সিঁড়ি।

দুধ নষ্ট হলে দই হয়, দাম বাড়ে। দই–ও নষ্ট হলে পনির হয়—আরও দামি।
আঙুর টক হলে তা রূপ নেয় ওয়াইনে, যার দাম আঙুরের চেয়ে ঢের বেশি।

ভুল মানেই তোমার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ হওয়া। ভুল মানেই শিখে ফেলার নতুন একটা সুযোগ।

কলম্বাস নেভিগেশনে ভুল করেছিলেন বলেই আমেরিকা আবিষ্কৃত হয়েছে।
ফ্লেমিং–এর ভুল থেকেই আবিষ্কৃত হয় পেনিসিলিন।
এডিসন বারবার ভুল করতেন, আর তাতেই আবিষ্কার হত নতুন কিছু।

তিনি বলেছিলেন—
❝ আমি ভুল করিনি। আমি শুধু এমন ১০০০টা উপায় আবিষ্কার করেছি যেগুলো কাজ করে না। ❞

রবিন শর্মা বলেন— ❝ ভুল বলে কিছু নেই, সবই নতুন শিক্ষা। ❞
আলবার্ট আইনস্টাইন বলেন— ❝ যে ভুল করেনি, সে কখনো চেষ্টা করেনি। ❞
রিচার্ড ব্রানসন বলেন— ❝ নিয়ম মেনে কেউ হাঁটা শেখে না, ভুল করতে করতেই শেখে। ❞
কলিন পাওয়েল বলেন— ❝ নেতা জন্মায় না, তৈরি হয় ভুলের মধ্য দিয়ে। ❞
মাইকেল জর্ডান বলেন— ❝ আমি এত বেশি ভুল করেছি, তবেই সফল হয়েছি। ❞
হেনরি ফোর্ড বলেন— ❝ ভুল হলো নতুনভাবে শুরু করার সুযোগ। ❞

একজন প্রেমিকও বলে ফেলেছিল এক অসাধারণ কথা—
❝ ভুল মানুষের প্রেমে পড়াও একটা সুযোগ—আরো ভালো কাউকে ভালোবাসার। ❞

সত্যিকারের মানুষ কখনোই পুরোপুরি নির্ভুল নয়। কারণ, ভুল না করলে শেখা যায় না।

তাই, পেন্সিল হও।
ভুল করলে ঘষে মুছে নাও, আবার শুরু করো।
কলম হলে ভুল ঢাকার সুযোগ থাকে না, আর আঁকা যায় না সুন্দর কোনো চিত্র।

ভুল করো, শেখো, আবার চেষ্টা করো।
কারণ, ভুল মানুষকেই মানুষ করে তোলে।

- স্যার,আমাকে চিন‌তে পে‌রে‌ছেন?- না বাবা, আমি তোমা‌কে চিন‌তে পা‌রি‌নি। তুমি কে?- আমি একসময় আপনার ছাত্র ছিলাম।- ও আচ্ছা!...
27/07/2025

- স্যার,আমাকে চিন‌তে পে‌রে‌ছেন?
- না বাবা, আমি তোমা‌কে চিন‌তে পা‌রি‌নি। তুমি কে?
- আমি একসময় আপনার ছাত্র ছিলাম।
- ও আচ্ছা! এখন তু‌মি কি কর‌ছ?
- আমি একজন শিক্ষক।

সা‌বেক ছা‌ত্রের মুখ থে‌কে এই কথা শু‌নে বৃদ্ধ শিক্ষ‌ক অত‌্যন্ত খু‌শি হ‌য়ে বললেন, "বাহ্! খুব ভালো! খুব ভালো! আমার পেশা বেছে নিয়েছ তাহলে!"

যুবক মৃদুহেসে জবাব দিল, "আসলে আমি আপনার মতো একজন শিক্ষক হতে পে‌রে‌ছি ব‌লে নি‌জে‌কে ধন‌্য ম‌নে কর‌ছি। আপনি আমাকে আপনার মতো হতে ভীষণ অনুপ্রাণিত করেছেন স্যার!"

বৃদ্ধ শিক্ষক কিছুটা কৌতূহল নি‌য়ে যুবকের শিক্ষক হওয়ার নেপথ্য কারণ জান‌তে চাই‌লে, যুবক‌ তার শিক্ষক হ‌য়ে উঠার গল্প বল‌তে গি‌য়ে বৃদ্ধ শিক্ষক‌কে স্মরণ ক‌রিয়ে দি‌লে, স্কু‌লে ঘ‌টে যাওয়া একটি ঘটনার কথা।

"ম‌নে আছে স্যার, একদিন আমার এক সহপাঠী বন্ধু, যে আপনারও ছাত্র ছিল, একটি নতুন হাতঘড়ি নি‌য়ে ক্লা‌সে এসেছিল। তার ঘড়ি‌টি এতোটাই সুন্দর ছিল যে আমি কোনভাবেই লোভ সামলা‌তে পা‌রি‌নি। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যেভাবেই হোক ঘ‌ড়ি‌টি আমার চাই। এরপর সুযোগমতো তার প‌কেট থে‌কে ঘ‌ড়িট‌ি চুরি করি আমি। কিছুক্ষণ পর আমার সেই বন্ধু তার ঘড়ির অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে এবং তখনই আমাদের স্যার অর্থাৎ আপনার কাছে অভিযোগ করে। তার এই অ‌ভি‌যোগ শু‌নে আপনি ক্লাসের উদ্দেশ্যে বলে‌ছি‌লেন, "আজ ক্লাস চলাকালীন সম‌য়ে এই ছাত্রের ঘড়িটি চুরি হয়েছে, যেই চুরি করে থাকো, ঘা‌ড়ি‌টি ফিরিয়ে দাও।"

আপনার নির্দেশ শু‌নেও আমি ঘা‌ড়ি‌টি ফেরত দিতে পারিনি।
কারণ, ঘড়িটি ছিল আমার কা‌ছে খুবই আকর্ষণীয়। তাছাড়া, আমরা খুবই গরীব ছিলাম, এমন ঘড়ি কেনার সামর্থ্যও আমাদের ছিল না।

যাই হোক, সেদিন আপনি দরজা বন্ধ করে সবাইকে বেঞ্চ ছে‌ড়ে উঠে দাঁড়ি‌য়ে ক্লাসরু‌মের ফ্লো‌রের ম‌ধ্যে একটি গোলাকার বৃত্ত তৈরি করতে বললেন এবং সবাই‌কে চোখ বন্ধ করার নির্দেশন দি‌লেন, অতঃপর ঘড়ি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আপনি পর্যায়ক্রমে আমাদের সবার পকেট এবং ব্যাগ খুঁজ‌তে লাগ‌লেন। আমরা সবাই আপনার নির্দেশনা মোতাবেক নীরবে দাঁ‌ড়ি‌য়ে রইলাম।

এক এক ক‌রে পকেট এবং ব্যাগ চেক ক‌রতে করতে একটা সময় আপনি যখন আমার ব্যাগে হাত দি‌য়ে ঘ‌ড়ি‌টি খুঁ‌জে পে‌লেন। তখন ভ‌য়ে, লজ্জায় আমার শরীর কাঁপ‌ছিল। কিন্তুু সেই মুহূ‌র্তে, ঘড়ি‌টি আমার কাছ থেকে উদ্ধার হবার পরও আপনি কিছু ব‌লেন‌নি এবং শেষ পর্যন্ত সব ছাত্রকেই চেক কর‌ছি‌লেন। সব‌শে‌ষে, আপ‌নি আমাদের উদ্দেশ্যে বললেন, "ঘ‌ড়ি পাওয়া গে‌ছে, এবার তোমরা সবাই চোখ খুল‌তে পা‌রো।"

ঘ‌ড়ি‌টি পাবার পর আমার সেই বন্ধু‌টি আপনার কা‌ছে জান‌তে চে‌য়ে‌ছিল, ঘ‌ড়ি‌টি কার কাছে পাওয়া গি‌য়ে‌ছিল? ‌আপনি তা‌কে ব‌লে‌ছি‌লেন, ঘ‌ড়ি‌টি কার কাছে পাওয়া গে‌ছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তোমার ঘ‌ড়ি যে পাওয়া গে‌ছে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।

সেই দি‌নের ঘটনা নি‌য়ে পরবর্তী‌তে আপনি আমার সা‌থে আর কো‌নো কথা ব‌লেন‌নি। এমন‌কি সেই গর্হিত কাজের জন‌্য আমাকে তিরস্কার পর্যন্ত করেননি। নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য আপ‌নি আমাকে স্কু‌লের কো‌নো কামরায় নিয়ে যাননি। ঘটনাটি ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়, অথচ আপ‌নি অত‌্যন্ত বু‌দ্ধিমত্তার সা‌থে চু‌রি হওয়া ঘ‌ড়ি‌টি উদ্ধার কর‌লেন এবং সবার সামনে আমার সম্মান রক্ষা করলেন।

সেই ঘটনার পর আমি বহুদিন অনু‌শোচনায় ভুগে‌ছি। ক্লা‌সে ঘ‌টে যাওয়া ওই ঘটনা ওই দিনই শেষ হয়ে গে‌লেও এর রেশ র‌য়ে যায় আমার ম‌নের ম‌ধ্যে। বি‌বে‌কের সাথে যু‌দ্ধে বার বার দং‌শিত হ‌য়ে‌ছি। নীরবে অনুশোচনার আগুনে পুড়েছি।তারপর সিদ্ধান্ত নিলাম, এইসব অ‌নৈ‌তিক কাজ জীবনে আর কখ‌নো করব না। একজন ভা‌লো মানুষ হ‌ব — একজন শিক্ষক হ‌ব। স‌ত্যিকার অ‌র্থে মানুষ গড়ার কা‌রিগর হ‌ব। আপনার কাছ থে‌কে সেদিন আমি স্পষ্ট বার্তা পেয়েছিলাম: একজন শিক্ষকের কেমন হওয়া উ‌চিত। অপমান ছাড়াও মানু‌ষকে সং‌শোধন করা যায় সে‌টি আপনার কাছ থে‌কেই শি‌খে‌ছি। আপনার উদারতা এবং মহানুভবতা আজ আমা‌কে এখানে নিয়ে এসেছে স্যার।

সা‌বেক ছা‌ত্রের কথাগু‌লো শুনতে শুনতে বৃদ্ধ শিক্ষকের চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠল! চোখের জল মুছতে মুছতে মৃদু হেসে শিক্ষক বললেন, "ঘটনাটি আমার দিব্যি ম‌নে আছে। কিন্তুু আমি তোমাকে মনে রাখিনি, কারণ সে সময় শুধু তোমাদের নয়, আমার চোখও বন্ধ ছিল।"

তারপর শিক্ষক দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করে বললেন, "তুমিই বলো বাবা, কোনো শিক্ষক কি সন্তানতুল্য ছাত্রদের চোরের বেশে দেখতে পারে? আমি চাই আমার ছাত্রদের বীরের বেশে দেখে গর্ব করতে।"
©
পা ধরে সালাম করবেন না আল্লাহ নিষেধ করেছেন। ইমেজ মনযোগ আকর্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়।

মা হয়ে আমি কীভাবে মেয়ের মৃত্যু কামনা করি?"ছোট্ট মেয়ে নাজিয়া। বয়স মাত্র কয়েক বছর।জীবনের অনেক স্বপ্ন, হাসি, খেলা— সব কিছু ...
27/07/2025

মা হয়ে আমি কীভাবে মেয়ের মৃত্যু কামনা করি?"

ছোট্ট মেয়ে নাজিয়া। বয়স মাত্র কয়েক বছর।
জীবনের অনেক স্বপ্ন, হাসি, খেলা— সব কিছু যেন থমকে গেল এক মর্মান্তিক মুহূর্তে।

বিমান দুর্ঘটনার পর যখন বাবা-মা দৌঁড়ে হাসপাতালে পৌঁছায়, তখন মেয়েটিকে দেখতে চায় একটিবার।
ডাক্তার এসে বললেন:
"দোয়া করেন যেন বাচ্চাটা তাড়াতাড়ি মারা যায়।"

শুনেই স্তব্ধ মা।
কান্নায় ভেঙে পড়ে বললেন:
"মা হয়ে আমি কিভাবে আমার সন্তানের মৃত্যু কামনা করি? কিভাবে!?"

ডাক্তার বললেন—
"আমরা বাঁচানোর জন্য সব চেষ্টাই করছি। কিন্তু তার ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড, পাকস্থলী— সব পুড়ে গেছে। সে প্রচণ্ড যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। আমাদের চিকিৎসার চেয়ে তার এখন শান্তি দরকার। দয়া করে দোয়া করুন যেন সে মুক্তি পায়।"

জানালার কাচ দিয়ে দেখলেন—
নাজিয়া হাত-পা ছুড়ছে, চিৎকার করছে, যেন যন্ত্রণা থেকে মুক্তির আকুতি জানাচ্ছে।

চারপাশ নীরব, কেবল কাচে মাথা ঠেকিয়ে এক মা ফিসফিস করে কিছু বলছিলেন।
না জানি সে দোয়া কী ছিল।
নিজের সন্তানের যন্ত্রণা দেখে যেকোনো মা হয়তো তখন ঈশ্বরের কাছে শুধুই শান্তি চেয়েছেন... শেষ শান্তি।

সেদিন হাসপাতালের বাতাসটাও ভারী হয়ে উঠেছিল।
শুধু একটাই প্রশ্ন ঘুরছিল সবার মনে—
"এ যন্ত্রণার পরিণতি কি শুধুই মৃত্যু? নাকি এর থেকেও কিছু নির্মম?"



কার কি মতামত
26/07/2025

কার কি মতামত

একজন নারীর সবচেয়ে সুন্দর অনুভূতি কোনো দামি উপহার, অলংকার বা বিলাসবহুল রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার নয়। বরং সেই মুহূর্তটি, যখ...
26/07/2025

একজন নারীর সবচেয়ে সুন্দর অনুভূতি কোনো দামি উপহার, অলংকার বা বিলাসবহুল রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার নয়। বরং সেই মুহূর্তটি, যখন সে বুঝতে পারে তার ভালোবাসার মানুষটি তাকে শুধু ভালোবাসে না, বরং গভীরভাবে শ্রদ্ধা করে, যত্ন নেয়, এবং ভাবে, "এই মেয়েটিই আমার জীবনের অমূল্য অংশ।"

নারীরা প্রেমে ত্যাগী হয়। তারা ভালোবাসা মানে বোঝে নিঃস্বার্থভাবে নিজেকে উজাড় করে দেওয়া। চায় না জমিজমা, স্বর্ণালঙ্কার বা সমাজজয়ী আয়োজন। শুধু চায় আন্তরিক কিছু সময়, সত্যিকারের যত্ন আর সম্মান যা তাকে মানুষ হিসেবে বাঁচতে দেয়।

যখন একজন নারী কাউকে ভালোবাসে, তখন সে নিজের সমস্ত অনুভব, আবেগ ও স্বপ্ন তার সঙ্গে ভাগ করে নেয়। সে চায় না অঢেল সম্পদ, চায় বিশ্বাসযোগ্যতা। এমন একটি কাঁধ, যেখানে সে ক্লান্ত মাথা রেখে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে। এমন একটি দৃষ্টি, যেখানে সে নিজের অস্তিত্বের সম্মান খুঁজে পায়।

কিন্তু আফসোস, অনেকেই নারীর “মূল্য” বোঝে, “মূল্যায়ন” বোঝে না। তারা নারীর ভালোবাসা পেয়ে যায়, কিন্তু বুঝতে পারে না, কী পেয়েছে। অথচ একজন নারী যখন কাউকে ভালোবাসে, তখন সে একটাই আশা করে “আমায় বোঝো, আমায় সম্মান করো, আমায় সেই গুরুত্ব দাও, যেটা আমি ডিজার্ভ করি।”

ভালোবাসা মানে কেবল প্রেমের কথা বলা নয়, বরং অনুভব করিয়ে দেওয়া "তুমি নিরাপদ, তুমি প্রয়োজন নয় প্রিয়।" ভালোবাসা মানে পাশে দাঁড়ানো, যখন সে ভেঙে পড়ে, কাঁদে, নিঃস্ব হয়। মানে হাত ধরে রাখা, যখন সারা পৃথিবী তার বিপক্ষে দাঁড়ায়।

নারীরা চায় না রাজ্য, তারা চায় সেই রাজাকে, যে তার হাতে ভালোবাসার মুকুটটা তুলে দিতে জানে। এমন একজন মানুষ, যার বুকের পাশে সে বিশ্বাস রেখে ঘুমাতে পারে, যে তার চোখের ভাষা পড়ে, হাসির আড়ালের কান্না বুঝে। যে তাকে শুধু নারী নয়, একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে সম্মান করে।

নারীর কাছে সবচেয়ে সুন্দর অনুভূতি হচ্ছে ভালোবাসার মানুষের চোখে নিজের জন্য শ্রদ্ধা ও গুরুত্বের প্রতিচ্ছবি দেখা। সেটি হয়তো চকচকে নয়, কিন্তু তার গভীরতা আজীবন হৃদয়ে গেঁথে থাকে।

গ্যালিলিও যেদিন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, "আমি আবারো বলছি, সূর্য স্থির, পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘোরে। আমাকে শাস্তি দি...
25/07/2025

গ্যালিলিও যেদিন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, "আমি আবারো বলছি, সূর্য স্থির, পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘোরে। আমাকে শাস্তি দিয়েও সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর প্রদক্ষিণ করাকে আপনারা বন্ধ করতে পারবেন না, পৃথিবী আগের মতোই ঘুরতে থাকবে", সেদিন ওনার কথায় সবাই হেসেছিল। বিচার সভায় গ্যালিলিওর চরম শাস্তি হয়েছিল। বাকিটা ইতিহাস।

সতীদাহর মতো জঘন্য এক সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে যেদিন রাজা রামমোহন রায় রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, সেদিন সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ওনাকে হাস্যস্পদ করেছিল। বাকিটা ইতিহাস।

সিগনেট থেকে প্রকাশিত বিভূতিভূষণের "পথের পাঁচালী"-র সংক্ষিপ্ত সংস্করণ "আম আঁটির ভেঁপু"-র জন্য ছবি আঁকতে আঁকতেই সত্যজিতের মনে হয়েছিল, তিনি যদি কোনোদিন সিনেমা তৈরি করেন, তবে এটাই হবে তার প্রথম সিনেমা। সিনেমার শুটিং যখন শুরু হয়, তখন শুধু প্রযোজকরাই নন, তৎকালীন বিখ্যাত পরিচালকরাও তাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করেছিল। অনেকে তো ওনাকে পাগল পর্যন্ত বলেছিল। বাকিটা ইতিহাস।

একটা কথাই মনে রাখবেন, লাখ লাখ লোকও যদি একটা পুকুরকে সমুদ্র বলে, রাতারাতি পুকুরটা সমুদ্র হয়ে যায় না।

তাই প্রশ্ন এটা নয় যে পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে আপনি কত শতাংশ, প্রশ্ন এটাও নয় যে আপনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, প্রশ্নটা হচ্ছে আপনি ঠিক নাকি ভুল।

লি‌বিয়া ও মিশ‌রের কিছু মুসলিম ভাইগা‌জা উপকূ‌লের অসহায় বাসিন্দাদের জন্য ভালোবাসা ও সহানুভূতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন ...
25/07/2025

লি‌বিয়া ও মিশ‌রের কিছু মুসলিম ভাই
গা‌জা উপকূ‌লের অসহায় বাসিন্দাদের জন্য ভালোবাসা ও সহানুভূতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। তাঁরা খাবার ভর্তি প্লাস্টিক বোতলসমূহ সমুদ্রে ভাসিয়ে দিচ্ছেন, যেন সেগুলো স্রোতের টানে গা‌জা উপকূ‌লে পৌঁছায়।

তাঁরা আল্লাহর কাছে দোয়া করছেন, যেন সমুদ্রের ঢেউ এই সাহায্যসমূহ নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়।
আল্লাহর জন্য কিছুই অসম্ভব নয় — যিনি শিশু মূসাকে নীল নদে ভাসিয়ে ফেরাউনের প্রাসাদের দ্বারে পৌঁছে দিয়েছিলেন, তিনিই পারেন আজও তাঁর বান্দাদের সাহায্য পৌঁছে দিতে।

আল্লাহ তাআলা এই ভাইদের প্রচেষ্টা কবুল করুন। আমিন।
আল্লাহ চাইলে সবই সম্ভব। ইনশাআল্লাহ।

এই ঘটনা আমাদের শেখায়:
🔹 মন থেকে চাইলেই অনেক কিছু করা সম্ভব।
🔹 মানবিকতা এখনও বেঁচে আছে।
🔹 সাহায্যের পথ বন্ধ নয়, ইচ্ছাশক্তি থাকলেই পথ খোলা।

゚ #ভালোবাসা #মানবতা

পুরো শরীরের রক্তনালী, শিরা-উপশীরা, ধমনী আর মস্তিষ্কে নিজের স্বপ্নটাকে এমনভাবে গেঁথে দাও, যেন প্রতিটি নিঃশ্বাসে শুধু সেই ...
24/07/2025

পুরো শরীরের রক্তনালী, শিরা-উপশীরা, ধমনী আর মস্তিষ্কে নিজের স্বপ্নটাকে এমনভাবে গেঁথে দাও, যেন প্রতিটি নিঃশ্বাসে শুধু সেই স্বপ্নের ছোঁয়া থাকে।শরীরের ৬৫০টি মাংসপেশী যেন একযোগে বলে ওঠে— "তুই পারবি!"তোর ঘুমও যেন তোর স্বপ্নকে দেখে জেগে থাকে।

কারণ জানেন তো?সভ্যতা ইতিহাস তৈরি করে তখনই, যখন মানুষ নিজের স্বপ্নের পেছনে পাগলের মতো ছুটে যায়।আর হ্যাঁ,
ঘোড়াকে যদি লাগাম না টানা হয়— সে দৌড়াতে শেখে না।তেমনি আপনার জীবনেও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে, জেদে আগুন ধরিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এই পাগলামিই একদিন ইতিহাস লিখে যায়!
আজ শুরু করুন— নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার যাত্রা

মৃত পাখির বাচ্চাগুলো হয়ত অপেক্ষায় ছিল কখন মা তাদের জন্য খাবার নিয়ে আসবে! কিন্তু তারা তো জানে না কোনো এক পাষাণহৃদয় শিক...
24/07/2025

মৃত পাখির বাচ্চাগুলো হয়ত অপেক্ষায় ছিল কখন মা তাদের জন্য খাবার নিয়ে আসবে! কিন্তু তারা তো জানে না কোনো এক পাষাণহৃদয় শিকারির ফাঁদে পড়ে জীবন হারিয়েছে মা পাখিটি। দেখতে দেখতে অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হলো, কিন্তু মা আর নীড়ে ফিরে এলো না!

ফাঁদে পড়া মা পাখিটি বাচ্চাগুলোর দোহাই দিয়ে বাঁচার জন্য কতই না আকুতি জানিয়েছে! কিন্তু পাখির সেই কান্নার ভাষা বোঝার মত ক্ষমতা তো আমাদের নেই।

হয়তোবা বাচ্চাগুলো ক্ষুধার যন্ত্রণায় চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে একসময় নিস্তেজ হয়ে গেছে, অনাহারে ধুঁকে ধুঁকে ত্যাগ করেছে শেষ নিঃশ্বাস। দিনের পর দিন কাঠফাটা রোদে পড়ে থেকে শুকিয়ে গেছে তাদের দেহের মাংস। আর কঙ্কালগুলো এমনি ভাবেই পড়ে আছে মায়ের তৈরি সেই স্বপ্নের নীড়ে!

Address

Sylhet
3080

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when LM JIHAD posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share