
30/07/2025
ডাক্তার বললেন—'রোগটা গসিপোফিলিয়া,
কানের পর্দায় পচন, জিহ্বায় এডিমা, শেষ স্টেজে মুখ গলে যাবে!'
আমি বললাম,—
এই 'পচন রোগ কিভাবে ধরলো?
ডাক্তার হাসে,
কানের পর্দায় ঢুকাও পরনিন্দার 'বিষ, জিব্বাহ দিয়ে খাও পরচর্চার আমিষ'-
'পচন ধরেছে তোমার মস্তিকে 'এই অমৃত 'বিষের স্বাদে'।
"আমি চিৎকার করে বললাম—'এটা তো আমার দোষ না!'
ডাক্তার হাসলেন—'তোমার স'মাজই তো ট'ক্সিক কালচার তুমি তার পেট্রিডিশ,
এখানে প্রতিদিন "গীবতের ইনজেকশন" দেওয়া হয়,
তুমি শুধু একটি "হিউম্যান রিয়্যাকশন"—অন্তত সত্যিটা স্বীকার করো!'
আমি অস্বীকার করলাম:
ডাক্তার চেয়ারে বসে আছেন—
তার হাতে নিয়ে নাড়ছেন, আমার পঁচে যাওয়া রিৎপিন্ডের "ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম"!
স্পষ্ট ভাসে তাতে —"একটি গলিত পঁচা মাংস"?'
ডাক্তার বললেন—'অস্ত্রোপচার করতে পারি,
বিবেকের 'বৃক্ক — প্রতিস্থাপন করে—
কিন্তু ডোনার কি পাবো?
এই শহরে তো সবাই নৈতিক 'ডায়ালিসিস -এ!
যাও, ফিরে যাও—তোমার "পচা আত্মা" নিয়ে বাঁচো!
আমি বলি,
আমরা সবাই মিলে পান করি একই গল্পের 'বিষ, আমার জিহ্বায় তার লালা—তার কানে আমার 'বিষ!
ডাক্তার বলে,-
যে গল্প তুমি ছড়াও অন্যের নামে —সেটা সত্য হলে তুমি তৃপ্ত 'খুনি',
মিথ্যা হলে তুমি শয়তান!
তবুও প্রশ্ন—কোনটা বেশি পাপ?
আমি বলি,
এই পরচর্চার নগরে যে হাত মেলাই—এটা কি বন্ধুত্ব, নাকি বন্ধুত্বের নামে,-
একজনের লাশ আরেকজন টেনে, খুঁজি অযথা সম্পর্কের মানে?
———
'গীবতের ই'নজেকশন'।